![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের সার্বিক রপ্তানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে এক হাজার ৬৭৯ কোটি ৮১ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রপ্তানি খাত মূলত পোশাক শিল্প নির্ভর, রপ্তানিতে এই খাতের অবদান দিন দিন বাড়ছেই। প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক খাতের আয় ধারাবাহিকভাবে ভাল হওয়ার কারণেই রপ্তানি আয়ে উল্লেখ করার মতো প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে। তবে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধির অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করণার্থে প্রচলিত বাজার ছাড়াও নতুন বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে পোশাকের পাশাপাশি অন্য পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে হবে। বিগত মাসগুলোতে সরকারের গৃহিত নানা সময়োপযোগী উদ্যোগে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণেই পোশাক খাত দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে অতি সম্প্রতি কিছু স্বার্থান্বেষি-কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র ও প্ররোচণার মাধ্যমে শ্রমিক আন্দোলনের নামে নাশকতা ও সহিংসতার প্রসার ঘটিয়ে দেশীয় অর্থনীতির প্রাণভোমরা পোশাক খাত ধ্বংসের অপচেষ্টা লিপ্ত হয়েছিল। কিন্তু সরকারের আন্তরিকতা ও তড়িৎ সময়োপযোগী উদ্যোগের মাধ্যমে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের আস্থা অর্জনের সাফল্যে এই ষড়যন্ত্রকে নশ্চাৎ করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, ইপিবির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক খাতের নিট পণ্যের (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় দুই-ই বেড়েছে। ৬৬৫ কোটি ৬ হাজার ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৬৮১ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ওভেন পণ্যেও (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ৭৬০ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওভেন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬৮৯ কোটি ৬১ লাখ ডলারের। জুলাই-অক্টোবর সময়ে বড় পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় বেড়েছে। এই খাতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ ডলার, যার প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। চামড়া ও চামড়জাত পণ্যের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময়ে ৬২ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া মাছ রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করার মতো। এসময়ে ২৯ কোটি ১৫ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়েছে। এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ০৩ শতাংশ। পাশাপাশি আসবাবপত্র, হস্তশিল্প এবং রাসায়নিক পণ্য ও শুকনো খাবারের রপ্তানিও বেড়েছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, গতিশীল নেতৃত্ব আর যুগোপযোগী বাণিজ্যবান্ধব নীতিমালার সুষ্ঠু সমন্বয়ে গৃহিত নানা উদ্যোগে আগামী দিনগুলিতেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকবে – এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। আর তাতেই নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের সুন্দর, সমৃদ্ধ আগামী।
©somewhere in net ltd.