![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কৃষি হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প। জিডিপির প্রায় ২৩ শতাংশ আসে কৃষি হতে। অন্যদিকে সরকারের রয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগান। তাই কৃষিতে নয়া তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার খুবই কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। সরকারের রয়েছে কৃষি তথ্য সেবা (আইইএস) এবং ই-কৃষি সেবা। বাংলা ওয়েবসাইট, কৃষি কল-সেন্টার, মাল্টিমিডিয়া ই-বুক, টাচ স্ক্রিন কিয়স্ক ইত্যাদি হল এসকল সেবার উদাহরণ। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষিবিষয়ক তথ্য পুরাতন পদ্ধতিতে এবং নয়া তথ্যপ্রযুক্তির মধ্য দিয়ে পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার প্রবর্তন করেছে তিনটি অ্যাপ—‘কৃষকের জানালা’, ‘কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা’ ও ‘বালাইনাশক নির্দেশিকা’। এই তিনটি অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের যাবতীয় সমস্যার সমাধান হতে পারে। কৃষককে কেবল এই তিনটি অ্যাপ তার মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করতে হবে। নিঃসন্দেহে এটা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই ধরনের উদ্যোগের ফলে কৃষিজ তথ্য ও কৃষকের মধ্যকার ব্যবধান একেবারে ঘুচে যাবে। বিনিয়োগ ব্যতীত মধ্যস্বত্বভোগীরা এতকাল যে সুবিধা নিয়ে কৃষককে ঠকিয়ে আসছিল, তা দূর হতে চলল। কারণ ফসল ফলানোর তথ্য এখন কৃষক নিজেই সংগ্রহ করতে পারবে, আবার ফসল বাজারজাত কবার ক্ষেত্রে তার দখল অনেকখানি প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ কৃষক এসকল অ্যাপ হতে বিভিন্ন বাজারের সর্বশেষ দর বা খবরাখবর জানতে পারবে। এইভাবে কৃষকের নানান দুর্ভোগ কমে আসবে। এতদিন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান ও রেডিও-টেলিভিশন ইত্যাদির মাধ্যমে কৃষক তথ্য পেয়েছে। তথ্য জানার জন্য তথ্যপ্রযুক্তিগত ব্যবস্থা ছিল ওয়েবসাইট কিংবা ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র। ওয়েবসাইট ব্যবহারে ছিল নানান সীমাবদ্ধতা। একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে প্রয়োজন ইন্টারনেটের সংযোগ ও কিছুমাত্রায় ইংরেজি জ্ঞান। কিন্তু সাধারণ কৃষকের পক্ষে তা অনেকখানি অসম্ভব ছিল। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র হতে তথ্য পেতে কৃষককে কেন্দ্রে যেতে হয়। আবার সকল কেন্দ্র যে ভালোমতো চলছে তাও নয়। তাই এই দুইটি সেবার তুলনায় মুঠোফোনে তথ্য পৌঁছাইয়া গেলে তা অধিক কার্যকর হবে। কারণ আজকাল সব কৃষকই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এর ফলে কৃষি তথ্যসেবার সর্বোচ্চ সুবিধা কৃষক পাবে। এতে একদিকে কৃষক যেমন উপকৃত হবে তেমনি দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে হবে সমৃদ্ধশালী।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার প্রবর্তন করেছে তিনটি অ্যাপ—‘কৃষকের জানালা’, ‘কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা’ ও ‘বালাইনাশক নির্দেশিকা’।
নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ!!
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১০
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: নিঃসন্দেহে দেশ অনেক ডিজিটাল এখন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
জিডিপির ২৩ শতাংশ কৃষি থেকে আসে??? বলেন কি? রেফারেন্স দিলে খুশি হতাম!