![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উন্নয়নে দ্রুত, নিশ্চিত ও সফল নেতৃত্বদানের জন্য মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি বলা হয়ে থাকে। ঠিক একই কারণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আধুনিক, দ্রুত উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি বলতে দ্বিধার কোনো অবকাশ থাকার কারণ নেই। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাহাথির মোহাম্মদ যেমন ১৯৮১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২২ বছরে তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বিশ্বকে উপহার দিয়েছেন এক আধুনিক-উন্নয় মালয়েশিয়া_ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও তেমনি তার তিনবারের প্রধানমন্ত্রিত্ব কৌশল, গতিশীল এবং ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে মাহাথির মোহাম্মদের চেয়ে কম সময়ে বাংলাদেশকে তুলে নিয়ে চলেছেন এক অভূতপূর্ব উচ্চতায়। বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ১৬২ মিলিয়ন মানুষের দেশের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন অত্যন্ত শক্ত হাতে, দৃঢ় ও সতর্ক পদক্ষেপে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগের কারণে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকর মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করার যে রূপকল্প শেখ হাসিনার সরকার গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নের পথে যে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এবং সে অগ্রযাত্রা যে দৃশ্যমান এবং স্পর্শযোগ্য তা বোধকরি সরকারের চরম নিন্দুকেরাও অস্বীকার করতে পারবে না। শেখ হাসিনা মাহাথিরের মতো এখনো ২২ বছর প্রধানমন্ত্রিত্ব করেননি। প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মের দশ বছর এবং তৃতীয় টার্মের তিন বছর সব মিলে একযুগ এর বেশি তার প্রধানমন্ত্রিত্বের কাল তাও আবার নিরবচ্ছিন্নভাবে নয়। ১৯৯৬-২০০১-এর অর্জন এবং উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো সরকার বদলের কারণে ধারাবাহিকতা এবং কাঙ্ক্ষিত পরিণতি পায়নি। শেখ হাসিনার সরকারের সুপরিকল্পিত, সুসমন্বিত এবং ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো মূলত শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে। এর মধ্যে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সাথে সাথে দেশে নৈরাজ্য, অরাজকতাও এসেছে। কিন্তু উন্নয়ন কর্মসূচি এবং তার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা এক মুহূর্তের জন্যও থমকে থাকেনি। ইতোমধ্যে মাথাপিছু আয় ১৪৬৬ ইউএস ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের সময় যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৪,৯৪২ মেগাওয়াট এবং প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩,২৬৮ মেগাওয়াট, তা বর্তমানে ১৪,৫৩৯ মেগাওয়াট উন্নীত হয়েছে। এবং দেশের প্রায় ৭৬ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয় সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪,০০০ মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশকে বিদ্যুৎ স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশের দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন পদ্মা বহুমুখী সেতু এখন মূর্তিমান বাস্তবতা। দেশের বৃহত্তম এই ভৌত অবকাঠামো আমাদের আত্মনির্ভরশীলতা ও আভিজাত্যের প্রতীকে পরিণত হবে। আর এই অর্থ নির্ভরতা একজন স্বপ্নময় প্রধানমন্ত্রীর একটি বৃহৎ স্বপ্নের বাস্তবায়ন। তারা সরকারের সাফল্য সৌধের বৃহত্তর স্তম্ভ। সব মিলে উন্নয়নের প্রশ্নে বাংলাদেশের আর পেছন ফেরার অবকাশ নেই। এখন শুধু সামনে চলা।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: অব্যাহত থাকুক উন্নয়নের মহাসড়কে এই পথচলা।
আপনার দাবির সাথে একমত না পোষণ করার কোনো যৌক্তিকতা আমার নাই।
জয় বাংলা। বাংলার জয় হোক।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আহা রুবন বলেছেন: কম সময়ে দেশে চোখে পড়ার মত যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটি সম্ভব হয়েছে অথর্ব বিএনপির জন্য। বিএনপি যদি আগের মত শক্তিশালী থাকত, প্রতি পদে পদে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হত।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
মিঃ আতিক বলেছেন: মালয়শিয়া কখনো দেখেছেন বলে মনে হয়না। তাই এত তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেছেন। মাহথির মোহাম্মাদ এর সাথে শেখ হাসিনার তুলনা একটা গাধার সাথে ঘোড়ার তুলনার মত।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৩
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: বর্তমান সরকারের এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকুক।
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: শেখ হাসিনার দুই নয়ন বাংলাদেশের উন্নয়ন ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
গোয়েবলসদের স্বপ্ন, অনেকের জন্য দু:স্বপ্ন