নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রীণপোর্ট বিনির্মাণ

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭


চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৮০ ভাগেরও বেশি আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবাহিত হয়ে থাকে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বছরে গড়ে আড়াই হাজারেরও বেশি ছোট বড় জাহাজ চলাচল করে থাকে। ইতোপূর্বে এসব জাহাজ থেকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কি পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে তা নিরূপণের কোন ব্যবস্থা ছিল না। দেশের বৃহত্তম এই সামুদ্রিক বন্দরে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণের ঘটনার বিপরীতে এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থাই গড়ে উঠেনি। ফলে এ বন্দরে ক্ষতিকারক কার্বন নিঃসরণ পরিবেশের যে বিপর্যয় ডেকে আনছে তা নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট মহলগুলোতে। তবে আশার কথা, বিষয়টি স্পর্শকাতর পর্যায়ে চলে আসার আগেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে গ্রীনপোর্ট হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিক পর্যায়ে জরিপ কার্যক্রম চালাতে এক মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), শীঘ্রই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এর পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণকারী জাহাজগুলোকে কার্বন ট্যাক্সেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ডাটাবেজ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচীর আর্থিক সহায়তায় চট্টগ্রাম বন্দরে চলাচলকারী জাহাজগুলোর যন্ত্রপাতি পরিবেশের উপর কি কি ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে সে তথ্যও ডাটাবেজে নিয়ে আসা হবে। বিভিন্ন সময়ে এ বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্প্রসারিত হলেও কার্বন নিঃসরণ রোধে কোন ব্যবস্থা অদ্যাবধি গড়ে উঠেনি। অথচ মাদার ভেসেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাইজের ছোট বড় জাহাজগুলো উচ্চমাত্রার জ্বালানি পোড়াচ্ছে, যা পরিবেশকে ক্রমাগতভাবে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সাধারণত, জাহাজ বন্দর বা বহির্নোঙ্গরে ভেড়ার পরও এর ইঞ্জিন সচল রাখতে হয়। এ সচল রাখার বিপরীতে প্রতিনিয়ত জ্বালানি পুড়ে ক্ষয় হয়। বিশ্বের উন্নততম বন্দরগুলোতে জাহাজ থেকে কার্বন নিঃসরণ বিষয়ে কঠোর বাধানিষেধ রয়েছে। শুধু তাই নয়, এ ধরনের জাহাজগুলো থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণও আদায় করে থাকে। এ জন্য রয়েছে ডাটাবেজ প্রযুক্তি। আর্থিক সহায়তার সীমাবদ্ধতার কারণে ইতোপূর্বে ডাটাবেজ প্রযুক্তি না থাকায় কার্বন নিঃসরণকারী জাহাজের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপও নেয়া যায়নি। তবে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার এ বন্দরকে বিশ্বমানের গ্রীনপোর্টে রূপান্তরের যে সময়োপযোগী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তাতে এর কোন বিকল্প নেই। শেষ পর্যন্ত ডাটাবেজ তৈরি কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত হতে চলেছে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউএনইপি, গঠন করা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের ১০ সদস্যের একটি কমিটি। এ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে টানা ছয় মাস এ বন্দরে আসা-যাওয়ার জাহাজগুলোর উপর জরিপ চালানো হবে। এরপরই জাহাজ থেকে কি পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে এবং বন্দরের জেটি এলাকাজুড়ে পরিবেশের পরিস্থিতি নানা উপাত্ত সংগ্রহ করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। পরবর্তীতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে চট্টগ্রাম বন্দরকে গ্রীনপোর্ট হিসেবে গড়ে তোলার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের শতভাগ বাস্তবায়ন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি তো অনেক বন্দর মন্দর করছেন, সিলেটে একটা সামুদ্রিক বন্দর করা যাবে? ওটা নিজের থেকেই গ্রীন হয়ে যাবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.