![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানে বছরে কমবেশি ৬৫ লাখ যাত্রীর সেবা দেয়া হচ্ছে এখানে। যে হারে যাত্রী বাড়ছে তাতে বছর শেষে হয়ত আর কমপক্ষে লাখ পাঁচেক যাত্রী বাড়বে। ২০২০ সালে সেটা আশি লাখের মতো বাড়বে। এত সংখ্যক যাত্রী বর্তমান অবকাঠামো দিয়ে সামাল দেয়া খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কেননা আরও কয়েকটি এয়ারলাইন্স পাইপ লাইনে রয়েছে। তারা ফ্লাইট সিডিউল চাচ্ছে। এ অবস্থায় সিডিউল দেয়ার আগে বিমানবন্দরে সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন। যেহেতু বর্তমানের টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২-এ যে বেল্ট ও জায়গা আছে তা বাড়ানোর কোন উপায় নেই। এ সীমিত স্থানেই সব কিছু সামাল দিতে হবে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট দিয়ে। এ জন্য সিভিল এভিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে চেকইন কাউন্টার ও কনকর্স হলের মাঝখানের গ্লাস ফেন্স খুলে ফেলার। যাতে এখানে বেশিসংখ্যক যাত্রী একসঙ্গে দাঁড়ানোর সুবিধা পান। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরের সিপিজে, কোরিয়ার ইউনসিন ও বাংলাদেশের শীর্ষ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ডিডিসি যৌথভাবে থার্ড টার্মিনালের সমীক্ষা, নক্সা ও আকৃতি তৈরির কাজ করে। এদেরই হাতে তৈরি করা সমীক্ষা প্রতিবেদন ও ড্রয়িং ডিজাইনেই এখন চূড়ান্ত মূল্যায়ন ও যাচাই বাছাইয়ের জন্য কাজ করবে নতুন কনসালট্যান্ট নিপ্পন কোং। আগামী তিন মাসের মধ্যে থার্ড টার্মিনালের ড্রয়িং ডিজাইন চূড়ান্ত অনুমোদনের পরই দরপত্র ডাকা হবে। যা ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যাদেশ দিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হবে বহুল আলোচিত থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের। বারোটি বোর্ডিং ব্রিজ। প্রতি চারটির জন্য একটি লিফট। বারোটি কনভয় বেল্ট। বিশটা চেকইন কাউন্টার। প্রতিটিতে সিকিউরিটি স্ক্যানার। ঘণ্টায় দুই হাজার যাত্রীর লাগেজ স্ক্যান করার অত্যাধুনিক চেকিং কাউন্টার। থাকছে ১২শ’ গাড়ির পার্কিং সুবিধা। বছরে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীর সেবা প্রদানের সক্ষমতা। এভাবেই ৩০ লাখ বর্গফুট জায়গায় সাজানো হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের দৃষ্টিনন্দন এক ড্রয়িং ডিজাইন। বিশ্বখ্যাত কোরিয়ার ইনশিয়ন কোম্পানি এক বছর ধরে যৌথভাবে এ প্রকল্পের সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি ও ড্রয়িং ডিজাইনের কাজ করেছে। সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প বা থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ কাজকেও অগ্রাধিকার হিসেবে আমলে নেয় জাইকা। এ প্রকল্প নিয়ে জাইকার প্রতিনিধিরা বহিঃসম্পদ বিভাগ ও সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন। এতে উভয়পক্ষই সম্মত হয়। এ সময় প্রকল্পের ব্যয়, সময়সীমা ও ডিজাইন নিয়েও তারা একমত হন ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। জাইকা সিভিল এভিয়েশনকে নিশ্চিত করে, প্রকল্প ব্যয়ের চৌদ্দ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব খুব শীঘ্রই জাপান সরকারের অনুমোদন পাবে। ইন্টারন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন্স অব ট্রাভেলস এজেন্টসের (আইএটিএ) গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বে যাত্রী বৃদ্ধির শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান। যাত্রী বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বিদেশগামী শ্রমিকের উর্ধমুখী অবস্থান। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে এশিয়ার ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আত্মপ্রকাশের দরুন যাত্রী বৃদ্ধি পাচ্ছে। থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ করলেও সেটা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে বড়জোর দশ থেকে পনেরো বছর। তারপর কি হবে? সেটা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত। তাই পদ্মা সেতুর মতোই গুরুত্ব দিয়ে এখনই উচিত বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯
ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: সরকারের এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই