![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৌরশক্তি থেকে জ্বালানি উৎপাদন এখন সহজলভ্য হচ্ছে। সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে, নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্বালানি উৎপাদন করা হচ্ছে। এটি যেমন পরিবেশবান্ধব, তেমনি সাশ্রয়ী। এ কারণে বিশ্বব্যাপীই সৌর জ্বালানির কদর বাড়ছে। সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা বিভিন্ন শক্তিতে রূপান্তর করে ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন খরচ কমছে, তেমনি পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে। বর্তমানে দেশে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর ৪৭টি প্রকল্প থেকে প্রায় ১২ হাজার ৬৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। কিন্তু সৌরশক্তি থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার মাত্র ৩ শতাংশ। এই খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো গেলে দেশের অনেক মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। অথচ বিভিন্ন দেশেই এখন কয়লার পরিবর্তে সৌরশক্তি ব্যবহারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্রা বাড়ছে। বিশেষ করে জার্মানি ও সুইডেন এ ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে। জার্মানি তাদের প্রায় সব ট্রেনই সৌরবিদ্যুতে চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে। একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সুইডেনও। তাই এখন সময় হয়েছে দেশবাসীকে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার। সরকার তাই দেশের বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের নবায়নযোগ্য শক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেয়ার জন্য নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে যাতে তারা এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক আগে থেকেই নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে ৯ শতাংশ হারে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু দেশের অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের সুদ কমালেও এই খাতে এখনো আগের হারই বহাল আছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের উপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, সংশ্লি¬ষ্ট বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং এ খাতে বিনিয়োগ করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করে চলেছে। দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে জীবাশ্ম জ্বালানির উপযুক্ত বিকল্প সৌরশক্তি নির্ভর নবায়নযোগ্য জ্বালানি। দেশে এ খাতটির বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এখনো যথাযথভাবে এর বিকাশ ঘটেনি। সৌরশক্তি নির্ভর নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে দেশবাসীকে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী নতুন নতুন যন্ত্র-যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে নিয়মিত বিরতিতে সৌরশক্তি নির্ভর নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার সম্পর্কিত বিভিন্ন মেলার আয়োজন, জনসচেতনা বৃদ্ধিমূলক প্রচারণা এবং এ সংক্রান্ত উদ্যোগে কম সুদে-সহজ শর্তে ঋণ প্রদানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সময়োপযোগী উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষম বর্তমানে সরকার দেশে সৌরশক্তি নির্ভর নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে ইতিবাচক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সফল হবে – এটাই প্রত্যাশিত।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩২
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: সৌরশক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি চাহিদা মিটানো যাবে বলে বিশ্বাস।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: অথচ বিভিন্ন দেশেই এখন কয়লার পরিবর্তে সৌরশক্তি ব্যবহারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্রা বাড়ছে। আর বাংলাদেশে রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র বানানোর জন্য সরকারপাগল হয়ে গেছে।
লেখা ভালো লেগেছে +++