নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

৯৯৯ এই একটি নম্বরেই প্রশান্তি

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮


বাংলাদেশে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তির (আইসিটি) ব্যাপক উন্নয়নে ন্যাশনাল ইমারজেন্সি সার্ভিস বা জাতীয় হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে। ৯৯৯-এই একটি নম্বরে কল করে দেশের যে কোন প্রান্তের যে কোন ব্যক্তি জরুরী প্রয়োজনে অতি দ্রুত সেবা পাবেন। সকল বিপদে বন্ধুর মতো পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে ৯৯৯। বিশ্বের উন্নত দেশে এ ধরনের জরুরী সার্ভিস আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এ্যাম্বুলেন্স সহযোগিতা পেতে বিনা টোলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলেই অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে দ্রুত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। গত বছর চালু হওয়া জাতীয় হেল্প ডেস্ক চলতি বছরের মার্চের প্রথমার্ধ পর্যন্ত ১৩ লাখ ফোন কল পেয়েছে। এর মধ্যে সহযোগিতা চেয়ে ফোন কল ছিল ৪ লাখ। বাকি কলগুলো ছিল বিষয়টি জানার। সহযোগিতা চেয়ে যে কলগুলো এসেছিল তার মধ্যে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে কল এসেছিল ৬৮ শতাংশ। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চেয়ে কল ছিল ২৭ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ কল ছিল এ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার জন্য। প্রতিদিনই সহযোগিতা চাওয়ার কল সংখ্যা বাড়ছে। দেশের সকল স্থানের সকলের পক্ষে জরুরী সার্ভিসগুলোর ফোন নম্বর জানা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও প্রতিটি প্রান্ত থেকে কমন একটি সহজ নম্বরে দ্রুত যোগাযোগের প্রযুক্তি স্থাপিত হয়েছে। শীঘ্রই সার্ভিসের ক্ষেত্র বাড়িয়ে দেশের প্রতিটি জেলায় ৯৯৯ হেল্পডেস্ক চালু করা হবে। বর্তমানে কেন্দ্রীয়ভাবে গাজীপুর হাইটেক পার্কে ৯৯৯ হেল্পডেস্ক পাইলট প্রকল্প হিসেবে স্থাপিত হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ৩০টি লাইন সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। এজন্য কর্মরত আছেন ৩শ’ দক্ষ কর্মী। তারা প্রতিদিন দেশের প্রতিটি প্রান্তের গড়ে ৩০ হাজার কল রিসিভ করে দ্রুত সহযোগিতার লিংক করে দেন। এ পর্যন্তই তাদের কাজ শেষ হয় না। যে প্রয়োজনে কল করা হয়েছে সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ঠিকমতো সহযোগিতা পেল কি না তাও মনিটরিং করা হয়। কে কতটা সহযোগিতা পাচ্ছে কিভাবে পাচ্ছে বা পায়নি ৯৯৯ কর্তৃপক্ষকে তার জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) বিভাগ জাতীয় হেল্পডেস্কের কার্যক্রম মনিটরিং করে। শীঘ্রই এই সার্ভিসগুলোর প্রযুক্তি আপগ্রেড করে ব্যাপ্তি বাড়ানো হবে। ৯৯৯ এ কল করার সময় কয়েকটি তথ্য নির্দিষ্ট করে বলতে হয়। অনেক সময় বিপদের মুহূর্তে তথ্য দেয়ার সময় অসংলগ্নতা পেয়ে বসে। এ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য না জানালে সংযোগ ঘটিয়ে দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যিনি কল করছেন তার পরিচিতিসহ কোন লোকেশনে কি ধরনের ঘটনা তার বৃত্তান্ত তুলে ধরতে হয়। অনেক সময় যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে দেয়া হচ্ছে তারাও পরিচিতি ও তথ্য চাইতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিরক্ত না হয়ে সহযোগিতা পেতে পুনরায় কথা বলতে হয়। পুলিশের কাছে সহযোগিতা পেতে পূর্ণ বর্ণনা সঠিকভাবে দেয়া দরকার। ফায়ার সার্ভিস শুধু আগুন নেভায় না। সড়ক দুর্ঘটনা নৌ দুর্ঘটনা আটকে পড়া মানুষ ও পশু পাখি উদ্ধার করে। সহযোগিতা দিতে ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নিতে এই তথ্যগুলোর প্রয়োজন হয়। এই সার্ভিসগুলো আরও আধুনিকায়ন ও আপগ্রেড করতে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আগামীতে ফোন করার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নম্বরের সঙ্গে লোকেশন ও ঘটনাস্থলে পৌঁছার আশপাশের সড়কের অবস্থানও কম্পিউটারে ভেসে উঠবে। ওয়েবসাইটে গিয়েও ৯৯৯ এ যোগাযোগ করা যাবে। সহযোগিতা পেতে ৯৯৯ ওয়েবসাইটে গিয়ে ইনবক্সে তথ্য দেয়া যাবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: জানিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.