নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন নয়, বাস্তব

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

‘সুজলা-সুফলা, সবুজ-শ্যামল’ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে নতুন একটি দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। দৃঢ় হাতে হাল ধরে তিনি নৌকা ভাসিয়েছিলেন স্বপ্ন পূরণের পথে। সেদিন তার ডাকে বাঙ্গালী জাতি সাড়া দিয়েছিল বটে কিন্তু বেশি দূর এগোতে পারেনি সেই ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন। একটি কুচক্রিমহল দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিলনা। তারা ওত পেতে ছিল, সুযোগ বুঝে বুলেটে বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয় জাতির জনকের বুক, ছিন্নভিন্ন করে দেয় সেই স্বপ্নের মানচিত্র। তারপর চলে অন্ধকারের রাজত্ব। তবে দিন আজ বদলেছে। অন্ধকার ফুঁড়ে আবার আলো ফুটে উঠেছে পূর্ব দিগন্তে। সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ আর কেবল কল্পনা নয়, বাস্তব। অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৪৫ বছর আগের সমৃদ্ধ পাকিস্তানকেও পেছনে ফেলে এগিয়েছে বাংলাদেশ। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) বাস্তবায়নে বড় সফলতা দেখানো বাংলাদেশ আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার নামছে দ্রুত হারে, বাড়ছে মাথাপিছু আয়। ৭ শতাংশের ঊর্ধ্বে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বিশ্বের গুটিকয়েক দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ১৭৫ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ এখন এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো উন্নয়নে আগ্রহী অন্য দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশের উদাহরণ তুলে ধরে তা অনুসরণের পরামর্শ দিচ্ছে। শুধু অর্থ খরচ করার সামর্থ্যই নয়, সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ শ্রমিক, কৃষক-সর্বস্তরে উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতার উন্নতি ঘটছে। এসবের মধ্য দিয়েই কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে এগুচ্ছে আজকের বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা বলতে এমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, যেখানে থাকবে না দারিদ্র্য, থাকবে না বঞ্চনা, শোষণ, নির্যাতন কিংবা অনিয়ম-দুর্নীতি। অগ্রসরমান একটি দেশ হিসেবে অভ্যুদয় ঘটবে বাংলাদেশের। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতেই প্রণীত হয় বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা। সেই স্বপ্ন সামনে রেখে বর্তমানে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজ করছে সরকার। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সরকার নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। দৃশ্যমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক নানা সূচকের অগ্রগতির সঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বেকারত্ব দূর করা, দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলা এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি সর্বস্তরে ন্যায়বিচার ও ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলেই সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব। টানা আট বছর সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশের চিত্র বদলে যাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশের তুলনায় সামাজিক অনেক সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। এখন বাংলাদেশ আর ক্ষুধার্তের দেশ নয়। ৪৫ বছর আগে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৭০ শতাংশ, যা এখন ২২ শতাংশের একটু বেশি। সমস্যাসংকুল বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের পণ্য ও জনশক্তি রপ্তানি প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব এখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। তাঁর নির্দেশনায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বই গড়ব।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.