![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই দেশের প্রথম যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) ‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে উৎক্ষপণ করা হবে। বিজয় দিবসে এটি উেক্ষপণের পরিকল্পনা থাকলেও ওই দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি থাকায় তার আগেই এর উৎক্ষেপণ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করবেন। সেখান থেকে বাংলাদেশেও ওই উৎক্ষেপণ ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগেই সম্ভাব্য চারটি তারিখ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী যে তারিখ নির্ধারণ করে দেবেন সেই তারিখেই ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে। পদ্মা সেতুর পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হবে দেশবাসীর জন্য দ্বিতীয় গর্বের বিষয়। বঙ্গবন্ধুর নামে যে স্যাটেলাইট তা তাঁর কন্যা উদ্বোধন করবেন—এটাও দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি পরিচালনার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড’ নামের একটি কম্পানি গঠনের কাজ শেষ পর্যায়ে। এই কম্পানির মাধ্যমেই ‘বঙ্গবন্ধু-১’-এর পর ‘বঙ্গবন্ধু-২’ ও ‘বঙ্গবন্ধু-৩’ নামের আরো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। এ কম্পানির মাধ্যমে স্যাটেলাইট বিষয়ে আরো দক্ষ জনবল প্রস্তুত করা হবে। স্যাটেলাইট নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস ইতিমধ্যে তাদের ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে। স্যাটলোইট নির্মাণ, পরীক্ষা ও পর্যালোচনা শেষে এটি বিশেষ কার্গো বিমানে যুক্তরাষ্ট্রের লঞ্চ সাইট কেপ কার্নিভালে পাঠানো হবে। উৎক্ষেপণের এক মাস আগে থেকে স্পেসএক্সের লঞ্চ ফ্যাসিলিটিতে লঞ্চ ভেহিকল ফ্যালকন ৯-এর ইন্ট্রিগ্রেশনসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শুরু হবে। ইতিমধ্যে স্যাটেলাইট সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট রিভিউ এবং প্রিলিমিনারি ডিজাইন রিভিউ সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি থেকে উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কম্পানি লিমিটেডের নিজস্ব জমিতে দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ নির্মাণকাজও ৬৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এন্টেনার যন্ত্রপাতি সাইটে পৌঁছে গেছে। অন্যান্য যন্ত্রপাতিও দেশে চলে এসেছে। উৎক্ষেপণের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে এ স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হওয়ার পর সরকারের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে সম্প্রচারভিত্তিক সেবা প্রসার সহজতর হবে, বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতার অবসান হবে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রযুক্তির দিক দিয়ে বিশ্বের অভিজাত দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.