নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির প্রত্যাশা – সমৃদ্ধ আগামী

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০২


কোনো দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে তার রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি ও উন্নয়নের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সংস্কৃতিই দেশের মানুষের চিন্তাধারা ও সৃজনশীলতাকে বিকশিত করে। উন্নত চিন্তাধারার মাধ্যমেই আধুনিক মানসিকতার মানুষ তৈরি হয়, তার ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠে। আর আধুনিক মানসিকতার মানুষের মাধ্যমেই দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদার দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারণার তৈরি হয়। তাই আমাদেরকেও দেশের সাংস্কৃতিক চেতনাকে অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। শিল্পের যে নিজস্ব মূল্য রয়েছে তার মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তবে ধর্ম যার যার সংস্কৃতি সবার এই উপলব্ধি এখনও পর্যন্ত আমাদের দেশে শতভাগ মানুষের মধ্যে গড়ে উঠেনি। এদেশে যে কোনো ধর্মের মানুষ তার নিজস্ব সংস্কৃতিকে নিঃশঙ্কচিত্তে লালন আর পালন করতে পারলেই বদলে যাবে বাংলাদেশ। শিক্ষা, গবেষণা ও ইতিহাসের সঙ্গেও উন্নয়নের যোগসূত্র রয়েছে। পশ্চাৎমুখী শিক্ষা মানুষের মধ্যে অনগ্রসরতা তৈরি করে। জাতির প্রকৃত ইতিহাসকে যদি শিক্ষার অংশ হিসেবে গ্রহণ না করা হয় তবে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। কোনো রক্ষণশীল গোষ্ঠীর চাপে পড়ে আধুনিক শিক্ষা থেকে সরে দাঁড়ালে আগামী প্রজন্ম তার নিজের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সমন্বয় ঘটাতে পারবে না। তাই আধুনিক শিক্ষা, গবেষণা ও প্রকৃত ইতিহাসকে প্রাধান্য দেয়ার ক্ষেত্রে নীতি ও আদর্শের সঙ্গে আপোস করা যাবে না। তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সমানভাবে এগিয়ে যাবার জন্য নতুন নতুন শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমানে যে শিল্প-কারখানাগুলো বিদ্যমান রয়েছে তার বাইরে বর্তমান ও আগামীর সম্ভাবনাময় শিল্পের দিকে চিন্তাধারার প্রসার ঘটাতে হবে। রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে শিল্প-কারখানার পরিধি বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে তৎপর হতে হবে। আগামীতে পৃথিবীর উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়াল মুখ্য ভূমিকা রাখবে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়াল নিয়ে গবেষণার কাজ এগিয়ে চলেছে। যেমন-পরিবেশবান্ধব ম্যাটেরিয়াল এনার্জি উৎপাদনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হতে পারে কিনা, মানুষের প্রয়োজনীয় অঙ্গ-প্রতঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে কোন্ ধরনের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা যায়, বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো চিপ্স তৈরির ক্ষেত্রে কোন্ ধরনের ম্যাটেরিয়াল সর্বোত্তম হবে এমনই বিভিন্ন ধরনের কাজ পৃথিবীব্যাপী চলছে। বাংলাদেশেও এ ধরণের বিভিন্ন এ্যাডভান্স ম্যাটেরিয়াল উৎপাদনের শিল্প-কারখানার বিস্তার ঘটানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নাসার মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে কার্যকর কর্মকৌশল গ্রহণ করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে আশার কথা, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে, এর সফল উৎক্ষেপণ হলে বাংলাদেশে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ঘটনার সূচনা হবে। বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকায় বাংলাদেশের মালিকানা লাভের ঐতিহাসিক সমুদ্র বিজয় আগামীতে বাংলাদেশকে বদলে দিতে পারে। কেননা এর মধ্যে ছিল আঞ্চলিক জলসীমা, অর্থনৈতিক অঞ্চল, সম্প্রসারিত মহীসোপানের অবাধ অধিকার ও ১১টি গ্যাস ব্লক। এই বিশাল সমুদ্র অঞ্চলের স্রোতকে ব্যবহার করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে পারে। এছাড়া সী মাইনিং অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশে যে অসীম সম্পদের ভান্ডার রয়েছে তা উত্তোলনের মাধ্যমেও দেশ তার উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে। বদলে যাচ্ছে সময়। দিন বদলের পালায় প্রতিদিনই পরিবর্তন ঘটছে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার কর্মকৌশল। আগামী দিনে বাস্তবমুখী কর্মকৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। সেই প্রত্যাশাতেই জাতি আজ অপেক্ষার প্রহর গুণছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: বাস্তবমুখী কর্মকৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.