![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনীতি আমার প্রথম প্রেম কবিতা আমার দ্বিতীয় প্রণয় নারী আমার তৃতীয় ভালবাসা
ক্লাস নাইনের সমাজ বইয়ে পড়েছিলাম,
সমাজ পরিবর্তনের কালকে ৪ টি যুগে ভাগ করা হয়েছে।
কৃষি যুগ,
সমাজতান্ত্রিক যুগ,
সাম্যবাদী যুগ,
শিল্প যুগ।
প্রকৃত অর্থে সমাজতন্ত্র আর সাম্যবাদের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা তা আমি আজও জানিনা।
পত্রিকা ঘেঁটে দেশের কিছু প্রবীণ কমরেডের কাছে মেইল করেও এ বিষয়ে জানতে চেয়েছি। কিন্তু ওনারা সম্ভবত মেইল চেক করেননা।
আমার নিজেরও মনে হয় এ দু'য়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। থাকলে সামুর কোন জ্ঞানতাপস ব্লগার কি আমার এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?
৩১ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩২
রাজনীতির কবি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৪
ডাইনোসর বলেছেন:
আমি খুব অল্প জানি।
সমাজতন্ত্র হল একটি পথ যার মাধ্যমে মানুষ সাম্যবাদে পৌঁছবে।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯
খোশনবীশ বলেছেন: যদি সিরিয়াসলি জানতে চান তবে সামান্য বলছি, সমাজতন্ত্র হলো রাষ্ট্রের এমন এক উৎপাদন তথা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যার মালিকানা থাকে সামষ্টিকভাবে শ্রমিক শ্রেণীর কাছে।
আর সাম্যবাদ হলো, একটি শ্রেণীবিহীন সমাজ ব্যবস্থা যেখানে সম্পদের মালিকানায় সাম্য আনয়নের মধ্যে দিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করা।
তবে সামাজতন্ত্র আর সাম্যবাদের মধ্যে খুবই গভীর সম্পর্ক বা মিলও আছে।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫২
শুভ রহমান বলেছেন: খুব মৌলিক একটা প্রশ্ন করেছেন। অনেককেই দেখবেন সমাজের এই দুইটি ধাপ সম্পর্কে না জেনে কথা বলতে। সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রথমত, সমাজতন্ত্র সমাজের শাসন করে শ্রমিকশ্রেণী। সাম্যবাদে কোন শ্রেণী থাকে না। দ্বিতীয়ত, সমাজতন্ত্রে আপনি যোগ্যতা এবং কাজ অনুসারে মজুরী বা বেতন নেবেন। সাম্যবাদে আপনি প্রয়োজন অনুসারে মজুরী বা বেতন নেবেন।
আর ক্লাস নাইনের সমাজ পরিবর্তনের ধাপের কথা বলা হলেও কোনটির পর কোনটি আসবে তা কি বলা হয়েছে? মানুষ যখন বর্বর, অসভ্য ছিল, তখন তাদের সমাজ কাঠামো ছিলো আদিম সাম্যবাদী। সবার মধ্যে তখন সমতা ছিলো। এখনো অনেক আদিম আদিবাসীদের মাঝে এই চিহ্ন দেখা যায়। তারপর এলো শ্রেণীভেদ, সেখান থেকে সামন্তবাদী সমাজ। আবার দাস ভিত্তিক সমাজও দেখা যায়। এই সমাজগুলোর ভেতর থেকে জন্ম নিল আধুনিক পুঁজিবাদী সমাজ। এই পরিবর্তন তো আর একদিনে বা এক বছরে আসে নি, শত শত বছর লেগেছে। এর পরের ধাপ হলো সমাজতান্ত্রিক সমাজ, যা এখন কোথাও আছে, কোথাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সবচাইতে বড় পুঁজিবাদী দেশে আমেরিকার নাকের ডগায় সমাজতান্ত্রিক দেশ কিউবা। সমাজতন্ত্রের পরের ধাপ হবে সাম্যবাদ, যা একটা স্বপ্ন। মূলত মানুষই স্বপ্ন দেখে।
৩১ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩৫
রাজনীতির কবি বলেছেন: প্রয়োজন অনুসারে মজুরী বা বেতন নেওয়াটা কি খামখেয়ালিপনার মধ্যে পড়েনা? আদৌ কি এটা সম্ভব।
সমাজ নিয়ে আপনার পরিচ্ছন্ন জ্ঞান প্রশংসাযোগ্য।
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৪১
এক্স বলেছেন: শুভ - আপনার দ্বিতীয় প্যারার কথাগুলি হাইপোথিসিস, এর সপক্ষে কোন প্রমান নেই. কারন ইতিহাসের সাথে ওই তথ্যের কোন মিল নেই. যেমন মিসরীয় সভ্যতা কি রাজতন্ত্রী-পুজিবাদী-সমাজবাদী ছিল নাকি ইসলামিক সভ্যতা (ইব্রাহিম) ছিল?
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৫
শুভ রহমান বলেছেন: @এক্স,
যা হোক, দ্বিতীয় প্যারার কথাগুলি আমি বানিয়ে লিখি নাই। এটার রেফারেন্স সমাজ সভ্যতার ক্রমবিকাশ, রেবুতী বর্মন। আপনার ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা নিশ্চয় একটা বইয়ের বক্তব্যকে হাইপোথিসিস বলে উড়িয়ে দেয়ার মত যথেষ্ট। সেক্ষেত্রে আপনার সাথে হয়েতা এখানে একটা আলোচনা হবে এই বিষয়ে।
আমি যতদূর জানি, পরিণত অবস্থায় মিসরীয় সভ্যতা শাসনতান্ত্রিক দিক দিয়ে রাজ-পুরোহিততন্ত্র ছিলো। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দাসকেন্দ্রীক বলেই আমার জানা।
ইসলামিক সভ্যতা বলে কোন কিছু আমার জানা নাই। একটা সভ্যতার সময় কাল এক-দুইশ বছর থেকে হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। এবং সভ্যতাটা একটা নির্দিষ্ট এলাকাতে গন্ডীবদ্ধ থাকবে। সভ্যতার একটা উপাদান হতে পারে ধর্ম। আমি যতদূর বুঝি ধর্ম কোন এলাকাতে গন্ডীবদ্ধ নয় কিংবা কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা এর থাকে না।
@রাজনীতির কবি,
সামন্তযুগে ইউরোপে কোন কৃষককে বাধ্যতামূলক ভাবে নিজের জমির পাশাপাশি সামন্তের জমিতে কাজ করতে হতো। সেই মজুরীবিহীন বেগার খাটুনী কোন পক্ষের কাছেই খামখেয়ালীপনা বলে মনে হতো না। এখন আমাদের সামনে এইধরনের বেগার খাটুনী অস্বাভাবিক মনে হবে। কারণ সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে চিন্তারও পরিবর্তন ঘটে। এখন সাম্যবাদী সমাজে কি ঘটবে, তা ইতিহাসই বলে দেবে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫
রাজনীতির কবি বলেছেন: ধৈর্যশীল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সমাজতন্ত্র আর আর সাম্যবাদ। অনেক পার্থক্য আছে।
আমি এখন একটি এয়ারপোর্টে আছি । পরে আমি জানাবো।
আামার মেইলে যোগাযোগ করুন।