নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিনিলাম আপনারেআঘাতে আঘাতেবেদনায় বেদনায়;সত্য যে কঠিন,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,সে কখনো করে না বঞ্চনা।

সত্যের সারথি সাদেক

সত্য যে বড় কঠিন, কঠিনেরে বাসিলাম ভালো, যে কখনো করেনা বঞ্চনা !

সত্যের সারথি সাদেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিক সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৭

নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে এ দেশে আধুনিক ধারার সংবাদপত্রের বিকাশ শুরু হয়েছে। পত্রিকার বিষয়বস্তুতে বৈচিত্র্য এসেছে, নানা ধরনের নিরীক্ষা যোগ হয়েছে। সব শ্রেণির মানুষ আরো বেশি খবরের কাগজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। সাংবাদিকতার মানও বেড়েছে। এর পরও সংবাদপত্রশিল্প নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে চলেছে ।
দীর্ঘকাল পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির উত্তরণের ফলে নব্বইয়ের দশকে অনেক গণমাধ্যমের আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেই উন্মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশই এ দেশে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার অবস্থান তৈরি করে দেয়। এ ছাড়া প্রযুক্তির যে ছোঁয়া আমাদের গণমাধ্যমে লেগেছে, সেটির সূত্রপাতও নব্বইয়ে। কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় এবং রিপোর্টিং থেকে শুরু করে মতামত বিশ্লেষণ, সাংবাদিকতার বিষয়বস্তুর পরিবর্তনও এ সময় লক্ষ করা যায়। এসব কারণে একে একে সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে দেখা গেছে।

আশির দশকেও সংবাদপত্রের পরিসর খুব ছোট ছিল। আট, বড়জোর ১২ পাতার পত্রিকা প্রকাশিত হতো। এই দশকে কাগজের পরিসর বাড়ল, সেই সঙ্গে কনটেন্ট। অনেকটাই উন্মুক্ত পরিবেশে বুদ্ধিজীবী বা ফ্রিল্যান্স রাইটার, যাঁরা নিজেরা কোনো বিষয়বস্তু নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন, ব্যাপকভাবে তাঁরা খবরের কাগজে লিখতে শুরু করলেন। নানা ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী, সুধীসমাজের অনেকেও সংবাদপত্রে লেখালেখিতে আগ্রহী হলেন। ফলে সাংবাদিকতা বহুমাত্রিকতা পেল। সংবাদপত্রে সেসবের রিফ্লেকশনও পাওয়া গেল। সম্পাদকীয়সহ অন্যান্য পাতায় মন্তব্যধর্মী কলামের পরিসর বাড়ল। মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তার স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকতার বিষয়বস্তু নিত্যনতুন পরীক্ষণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেল।

নব্বইয়ের দশকে গণমাধ্যমের পরিসর বাড়ার আরেকটি বড় কারণ শিল্পায়ন। এই সময়েই আমাদের দেশে শিল্পায়নের প্রসার ঘটে। এতে ধীরে ধীরে বিজ্ঞাপন বাজার বাড়তে লাগল। প্রাইভেট সেক্টরের বিজ্ঞাপন আগের চেয়ে বেশি আসায় এই শিল্পে মানি জেনারেট করতে লাগল। ফলে কাগজের মান বাড়ল। আশির দশকেও কাগজগুলো আমদানিনির্ভর নিউজপ্রিন্টের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কাগজের মান ভালো ছিল না। এখনো মনে আছে, অনেক সময় ভেতরের পাতা খুলে পড়া যেত না। কোনো কোনো পাতায় কালি লেপ্টে যেত। হলদে রঙের নিউজপ্রিন্ট পানি লাগলে মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে যেত। যদিও এখনো ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস হলদে কাগজে প্রকাশিত হয়। তবে এই নিউজপ্রিন্টেরও মান অনেক ভালো। এখন তো দেশেই ভালো মানের নিউজপ্রিন্ট উৎপাদিত হয়। প্রেসে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহূত হওয়ায় দ্রুত ভালো মানের পত্রিকা প্রকাশ সম্ভব হচ্ছে। নব্বইয়ের দশকে এসে সংবাদপত্রগুলোর খবরের জোগানও বাড়ল।

এনজিওগুলোর ব্যাপকতার শুরু নব্বইয়ের দশকে। তারা মানবাধিকার, নারী উন্নয়ন, স্যানিটেশন, শিশু স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করল। ফলে এসংক্রান্ত অন্যায়-দুর্নীতি, সমস্যা কাগজে ছাপা হতে লাগল। আগে যেমন সরকারি অফিসগুলোয় গেলে কিছু একটা পাওয়া যাবে—এ বিষয়ের ওপরই রিপোর্টারদের নির্ভরশীল থাকতে হতো, বেসরকারি খাতের ব্যাপক বিস্তার ও সরকারি কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি বদলে গেল। ফলে কনটেন্টের বৈচিত্র্য ও সংখ্যা বাড়তে শুরু করল। এসব কারণে এই দশকের শুরুকে আমরা সংবাদপত্রশিল্প ও সাংবাদিকতার জন্য বিশেষ সময় বলে মনে করি। এর প্রথম পদক্ষেপ হলো দৈনিক ‘আজকের কাগজ’। তরুণদের দ্বারা পরিচালিত ও প্রকাশিত এটিই প্রথম পত্রিকা। কিছু সমমনা তরুণের এই সম্মিলিত উদ্যোগটি ছিল সেই সময়ের প্রয়োজনীয়তা। সেই উন্মুক্ত সময়ের সুযোগগুলোকে তারা কাজে লাগাতে পেরেছে। পত্রিকায় নতুন কনটেন্ট যোগ করেছে। এই তরুণ মনের লেখার আকাঙ্ক্ষা, নতুন বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে ফিচার, নানা মাত্রার সম্পাদকীয় প্রকাশের চল শুরু হলো। আগের যুগের সংবাদপত্রে তো এগুলো ছিল না। ফলে পত্রিকাটি আধুনিক ধারার পত্রিকা হিসেবে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। আজকের কাগজের হাত ধরেই ‘ভোরের কাগজ’ এবং পরে ‘প্রথম আলো’র ধারাবাহিক অভিযাত্রা ঘটেছে। প্রথম আলো বাজারে না আসা পর্যন্ত ভোরের কাগজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিল।

এই নবযাত্রার সাংবাদিকতার আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য মেকআপ-গেটআপে নান্দনিকতা। আগে কাগজে এটি তেমনভাবে ছিল না। কিন্তু এখন প্রথম সারির বেশির ভাগ পত্রিকাই মেকআপ, নান্দনিকতায় অনেক উন্নতি করেছে। প্রথম আলোর প্রথম পাতার মেকআপ সামনে রেখে আজকের কাগজের প্রথম পাতার কথা মনে করলে দেখব ধারাবাহিক উন্নতির একটি যোগসূত্র আছে। ‘কালের কণ্ঠ’সহ কোনো কোনো পত্রিকায় তো আলাদা গ্রাফিকস টিমই আছে।
আজকের কাগজের পরের উল্লেখযোগ্য পত্রিকা ‘জনকণ্ঠ’। জনকণ্ঠের মাধ্যমে সংবাদপত্রে প্রাযুক্তিক উন্নয়নের জোয়ার লেগেছে। সে ধারাবাহিকতায় প্রতিটি প্রিন্ট মিডিয়ার অনলাইন সংস্করণ প্রকাশিত হয়। জনকণ্ঠ পাঁচটি বিভাগ থেকে প্রকাশিত হতো। সে সময় যোগাযোগব্যবস্থা তেমন ভালো ছিল না। সহজপ্রাপ্য বলে গ্রামগঞ্জ, বিভাগীয় শহরে পত্রিকাটির পাঠক বাড়ে। দীর্ঘকাল ধরে আট কলামের চলকে ভেঙে দিয়ে তারা ছয় কলামে নিয়ে আসে। এসব আইটেমের কিছু পরবর্তী সময়ের পত্রিকাগুলো গ্রহণ করেছে। সে বিবেচনায় জনকণ্ঠের আলাদা স্থান আছে। পত্রিকাটির প্রথম দিকে খুব প্রবণতা ছিল, এখনো আছে—ঠিক খবর নয়, তথ্য হিসেবে তারা ছোট ছোট মাইক্রোপিস ছাপায়। এখন প্রতিটি পত্রিকাই এগুলো ছাপায়।

মূল পত্রিকার শীর্ষ সংবাদে রঙের ব্যবহারের চলও কিন্তু নব্বইয়ে শুরু হয়। সম্পাদকীয় লেখাগুলোকে স্মার্ট করার প্রচেষ্টারও শুরু হয়। তার আগে সংবাদপত্রের ভাষা ছিল সাধু। আগে শিরোনাম সব কালো কালির ছিল। ফন্টের সাইজ দিয়ে নিউজ ট্রিটমেন্ট করা হতো। লাল কালির প্রধান শিরোনাম সবচেয়ে বেশি দিয়েছে জনকণ্ঠ। এরপর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সমকাল, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠসহ বেশির ভাগ পত্রিকাই লাল কালির শিরোনাম ব্যবহার করেছে। মাঝে বেশি ব্যবহার করলেও এখন এই প্রবণতা কমে এসেছে। তবে বৈশ্বিকভাবে সংবাদপত্রের শিরোনামে রঙের ব্যবহার খুব একটা হয় না, এমনকি ব্রিটেনেও নয়।
কেবল বাংলা নয়, আমাদের ইংরেজি পত্রিকার আধুনিকায়নও নব্বইয়ের দশকে শুরু হয়। ‘অবজারভার’ ও সরকারি ‘মর্নিং নিউজ’-এর পর ‘ডেইলি স্টার’-এর যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘদিন পর নতুন আঙ্গিকে প্রকাশিত এই নতুন পত্রিকা ইংরেজি কাগজ পড়তে অভ্যস্ত ও সে ভাষার লেখকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছিল। আজও পত্রিকাটি সেই মান ধরে রেখেছে। ডেইলি স্টার চালুর কয়েক বছর পর একই মালিকানায় প্রকাশিত হয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো। আজকাল পত্রিকা দুটি কনটেন্ট শেয়ার করে। যাকে ‘ক্রস কাটিং মেথড’ বলা হয়। ‘এক্সট্রা জার্নালিজম অ্যাকটিভিটিজ’, যেগুলোকে সোশ্যাল অ্যাকটিভিটিজ বলা হয়, মূলত এনজিওগুলো যেসব কাজ করে, সেই কাজগুলো যে সংবাদপত্রগুলো গ্রহণ করেছে, তার মধ্যে প্রথম আলো অন্যতম। আজকের কাগজ যে গোলটেবিল বৈঠকের ট্রেন্ড তৈরি করে, পরে ডেইলি স্টার, প্রথম আলোসহ অন্য সংবাদপত্রগুলো তাকে আরো বিকশিত করে।

আগে সংবাদপত্রে বিশ্বসাহিত্য ছিল না। আশির দশকে ক্রীড়া সাংবাদিকতাই তেমন স্পষ্ট ছিল না। ভেতরের পাতায় একটি কি দুটি অর্থনীতি, বাণিজ্যের সংবাদ ছাপা হতো। এখন কালের কণ্ঠসহ প্রায় সব দৈনিকের আলাদা ব্যবসা পাতা আছে। খেলাও এখন খুব গুরুত্ব পায়। কালের কণ্ঠ প্রতিদিন দুই পাতা ও সাপ্তাহিক বিশেষ আয়োজন করে। আমাদের ক্রীড়া বিশেষ করে ক্রিকেটের সাফল্য সব দৈনিকের প্রধান শিরোনাম হয়।

নব্বইয়ের দশকের সাংবাদিকতার বিস্তারের মাধ্যমে আমাদের সাংবাদিকতা শিক্ষাও বিকশিত হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগটি চালু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ‘স্পোর্টস জার্নালিজম’ নামে আলাদা কোর্স চালু করেছি। ফিন্যানশিয়াল ইকোনমির ওপর আগে কোনো কোর্স ছিল না। এখন এখানে এ বিষয়ে কয়েকটি কোর্স আছে। ‘আর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ কোর্স আছে। এসব কোর্স আমাদের সাংবাদিকতার বহুমাত্রিকতাকে ধারণ করে আছে।

এই সময়ের সংবাদপত্রের আরেকটি উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য ফিচার। প্রথম আলো থেকে শুরু করে কালের কণ্ঠ প্রতিটি বড় ও মাঝারি কাগজই ফিচারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে। আজকের কাগজে আলাদা ফিচার বিভাগ ছিল। ভোরের কাগজে মেলা, অবসর, ইষ্টিকুটুম ইত্যাদি নামের আলাদা ফিচার পাতা ছিল। একসময় ফিচার বলতে কেবল বিনোদনকেই বোঝানো হতো। এখন রান্না থেকে শুরু করে বেড়ানো, স্বাস্থ্য—সবই ফিচার সাংবাদিকতার অংশ। নতুন নতুন ফিচার পাতা প্রকাশ করে পত্রিকাগুলো পাঠককে আকৃষ্ট করতে চাইছে। এমনকি মূল পত্রিকায়ও নানা ধরনের ফিচার প্রকাশিত হচ্ছে। প্রধান দৈনিকগুলোর মধ্যে কালের কণ্ঠ’র অনেক ফিচার পাতা আছে। তারা নিত্যনতুন ফিচার পাতা প্রকাশ করে চলেছে।

আগে কাগজের দাম ছিল আট টাকা। এখন ১০ টাকা। পাঁচ টাকায় ১২ পাতার পত্রিকাও বাজারে বেশ কয়েকটি আছে। এই বাজার এখন ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর দখলে। এই কাগজটির গেটআপ-মেকআপেও সামান্য ভিন্নতা আছে।

সময়ের দাবিতে প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে এখন পত্রিকাগুলো অনলাইন ভার্সন করছে। অনেক কাগজের আলাদা অনলাইন বিভাগ আছে। পত্রিকাগুলো তাদের খবর ফেসবুকে শেয়ার করে। মুহূর্তেই খবরটি কোটি পাঠকের কাছে পৌঁছে যায়, তাদের মতামত আসে। সেসবে শিক্ষণীয় কিছুও থাকে।

আলোকচিত্রের প্রতি গুরুত্বদান—এখনকার পত্রিকাগুলোর আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। চীনে প্রবাদ আছে, এক হাজার শব্দের চেয়েও একটি ছবি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একসময় আলোকচিত্রীদের সাংবাদিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হতো না। রিপোর্টারের হ্যান্ডস হিসেবে তাঁরা কাজ করতেন। এখন তাঁরা সাংবাদপত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। আলোকচিত্রীদের ছবি বাছাই ও কাগজে ভালো ছবি প্রকাশের জন্য ফটো এডিটর পদ হয়েছে।

নানাভাবে সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রশিল্পের বিকাশ হওয়ায় এই পেশারও উন্নতি হয়েছে। এখন সাংবাদিকরা অফিস থেকে গাড়ি পান। আগে এটি কল্পনাও করা যেত না। আগে দিনেরবেলায় রাজনীতি বা অন্য কোনো কাজ সেরে রাতে তাঁরা কাগজ অফিসে কাজ করতেন। এখন এটি পেশাদার হয়েছে। প্রধান দৈনিকগুলো ওয়েজ বোর্ড দিচ্ছে। তবে সব পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড দেয় না। এ জন্য সাংবাদিকদের বিভক্তিই দায়ী। ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। ফলে তাঁদের সমস্যাগুলোকে মালিকপক্ষ ও সরকার ভালোভাবে গ্রহণ করে না। এই সময়ের সাংবাদিকতার আরেকটি প্রধান দুর্বলতা করপোরেট মার্কেটিং, বিজ্ঞাপনদাতা, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে সাংবাদিকতা বন্দি হয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনের স্বার্থে লেখা যায় না। মার্কেটিংয়ে এই আধিপত্য নব্বইয়ের পর শুরু হয়েছে। সাংবাদিকদের মালিকপক্ষের চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তার পরও টেলিভিশন, রেডিও বা অনলাইনের সঙ্গে তুলনা করলে এখনো সংবাদপত্রেই কিছুটা সাংবাদিকতা হয়। কোনো পত্রিকায় হয়তো ২০ শতাংশ, কোনোটিতে ৪০ শতাংশ। বিজ্ঞাপন বাজার যেভাবে টিভিকে গ্রাস করেছে, তাতে সংবাদপত্রই আমাদের ভরসাস্থল।

লেখক : মফিজুর রহমান, অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.