নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিনিলাম আপনারেআঘাতে আঘাতেবেদনায় বেদনায়;সত্য যে কঠিন,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,সে কখনো করে না বঞ্চনা।

সত্যের সারথি সাদেক

সত্য যে বড় কঠিন, কঠিনেরে বাসিলাম ভালো, যে কখনো করেনা বঞ্চনা !

সত্যের সারথি সাদেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'\'টাইগার জিন্দা হায়": "দেশ প্রেম মানবতার আর ঐক্যের জয়গা‌নের গল্প\'

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

'টাইগার জিন্দা হায়' সি‌নেমায় যেভ‌াবে একই সমান্তরা‌লে দেশ‌প্রেম, মানবতা অার ঐ‌ক্যের গল্প তু‌লে ধরা হ‌য়ে‌ছে তা এক কথায় অসাধারণ।

গল্পের পর‌তে পর‌তে এ্যাকশন থাক‌লেও প‌রিচাল‌কের বক্তব্য স্পষ্ট । মানবতার প্র‌য়োজ‌নে কি 'অাইএসঅাই' কি 'র' সবাই‌কে কা‌ধে কাধ মি‌লি‌য়ে কাজ কর‌তে হ‌বে। যেখা‌নে বাচাঁর লড়াই সেখা‌নে ইন্ড‌িয়া~পা‌কিস্তান একসা‌থে কাজ করতে হ‌বে।
বাসভর্তি নার্সদের অপহরণ করেছে ইরাকী জঙ্গী সংগঠন আইএসসি। যেভাবেই হোক, যে কোন মূল্যে ওদের জীবিত উদ্ধার করতে হবে। তখনই টাইগা‌রেরে কাছে খবর আসে, দেশের ডাকে ছুটতে হবে তাকে। কাগজে কলমে আপাত অসম্ভব একটা মিশনকে সম্ভব করে তুলতেই টাইগারের যাত্রা শুরু হলো এবার। নিজের একটা টিম বানালো সে, যেখানে আছে একজন স্নাইপার, একজন টেকি, আর একজন বম্ব ডিফিউজার। ?
গল্পটা আকর্ষণীয় তাতে কোন সন্দেহ নেই, আলী আব্বাস জাফর যত্ন নিয়েই বানিয়েছেন সিনেমাটা। হয়তো দুয়েকটা জায়গা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল তার, নইলে কোন প্রশ্নই মনে উদয় হতো না পুরোটা সময়ে। আর যে লুপহোলগুলোর কথা বলা হলো, সিনেমা হল বা থিয়েটারে বসে সেগুলোকে বিশাল কোন ইস্যু বলে মনেও হবে না দর্শকের কাছে। সবচেয়ে বড় ব্যপার, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ কে শুধু সালমান খানের সিনেমা হিসেবে আবদ্ধ রাখেননি পরিচালক, বৃহৎ একটা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাজনৈতিক কিছু প্রেক্ষাপট আর জঙ্গীবাদকে নিজের ভাষায় ব্যখ্যাও করেছেন তিনি।
সালমান খানের সিনেমায় হিরোইজম থাকবে না, এটা তো হয় না। তবে বিস্ময় উপহার দিয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ। অভিনয় কিংবা হিন্দি উচ্চারণের জন্য কম সমালোচনা সইতে হয়নি তাকে, অনেক ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করা হতো তাকে নিয়ে। ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-তে সেগুলোতে প্রলেপ দেয়ার খানিকটা চেষ্টা করেছেন এই সুন্দরী। আগের ক্যাটরিনার তুলনায় এই ক্যাটরিনার অভিনয় তাই খানিকটা বিন্ট করতে দেখা গেছে এই সিনেমায়, বাস্তবেও নাকি অ্যাকশন স্ট্যান্টগুলো নিজেই করেছিলেন ক্যাটরিনা। পার্শ্বচরিত্রে যারা ছিলেন তারাও ভালো করেছেন, অঙ্গদ বেদী বা কুমুদ মিশ্রের মতো যারা ছোটখাটো চরিত্রে ছিলেন, নিজেদের স্বাভাবিক অভিনয়টাই দিয়েছেন পর্দায়। পরেশ রাওয়াল নিজের জাত চিনিয়েছেন আরো একবার, থমথমে পরিস্থিতেও দর্শককে হাসতে বাধ্য করবেন এই মানুষটা।‌
শেষে একটি কথাই বলতে চাই "শিকার তো ছব করতে হায় লেকিন টাইগারছে বেহতার শিকার কোই নেহি করতা"


লেখক: শিক্ষার্থী ও সাংবা‌দিক, জগন্নাথ বিশ্ব‌বিদ্যালয়, ঢাকা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.