নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় আমি।

Md Ashraful Alam Sourov

Md Ashraful Alam Sourov › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কেন আওয়ামীলীগকে সমর্থন করবেন? পর্ব-১

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১


উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২৩ ও ২৪ জুন পুরান ঢাকার স্বামীবাগের রোজ গার্ডেনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট পাকিস্তানের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছিল।
পরবর্তীতে পরিবেশ বিবেচনায় সংগঠনের নাম পাল্টে যায়। ১৯৫৫ সালে সব শ্রেণি, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সবার দল হয়ে নাম পাল্টে হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ’৬২ সালে গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬৬ সালের ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ, ’৬২-এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে বাংলার মানুষকে মহান জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
৬২তে বাঙ্গালির শ্লোগান ছিল ‘জাগো জাগো বাঙালী জাগো; ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। ’৬৬তে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছিলেন লাহোরে। তখন বঙ্গবন্ধু ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে ৬ দফা দিলেন। বিমান বন্দরে জাতির সামনে ৬ দফা পেশ করলেন। এবং ১৮, ১৯ ও ২০ মার্চ ১৯৬৬ সেন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জাতির জনক আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেন এবং শহীদ জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক হলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানেই ‘স্বাধীনতার স্বপ্নদেখা’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি, পঞ্চান্ন হাজার বর্গ মাইল ভূখন্ডের একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি। ইতিহাস বিনির্মানেই থেমে থাকেনি দেশের ঐতিহ্যবাহী এ দলটি, অদম্য বাসনা আর বিসর্জনের ক্যানভাসে নিজ জাতির মুক্তির মানচিত্র এঁকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্রমেই সমৃদ্ধ করে চলেছে আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় জন্মভূমিকে।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, আর মুদ্রাটি হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একের পর এক বিপর্যয় সামাল দিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের পতাকাবাহী নৌকা তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে- প্রান্তিক মানুষের অন্ন-কর্ম-স্বাস্থ্য-শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে যে নতুন অভিযান শুরু হয়েছিল তা এখন আধুনিক সুখী সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে এক নতুন অধ্যায়ের রচনা করেছে। হ্যা, এটাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ- জাতির আকাঙ্খা ও স্বপ্ন পূরণের আনন্দ-বেদনার চিরন্তর সঙ্গী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জন্মভূমি বাংলাদেশ:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মলাভের পর ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে '৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, '৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয়দফা, '৬৯ সালের গণঅভূস্থান এবং '৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে এই দলের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্রমশ এগিয়ে যায় স্বাধীনতার দিকে। এই দলের নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ নিজেদের স্থান দখল করে। আর এসব আন্দোলনের পুরোধা ও একচ্ছত্র নায়ক ছিলেন ইতিহাসের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ঘটে। দীর্ঘ ২১ বছর বিরোধী দলে অবস্থান করে আওয়ামী লীগ। এরপর ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করে। এর আগে এই দলের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামেই দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় সংসদীয় গণতন্ত্র।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি আসনে দেশের জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে আওয়ামী লীগকে। পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আবারো টানা দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়ে, উন্নয়নের রাজনীতিকে নতুন উচ্চতায় তুলে, এখনো জনগনের সেবা করে যাচ্ছে ঐতিহাসিক এ দলটি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.