নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় আমি।

Md Ashraful Alam Sourov

Md Ashraful Alam Sourov › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কেন আওয়ামীলীগকে সমর্থন করবেন? পর্ব-২

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭


আওয়ামীলীগ সরকারসমূহের গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য, অর্জন ও উন্নয়নসমূহ-
বাংলাদেশের প্রথম সরকার-মুজিবনগর সরকারের সাফল্য, অর্জন ও অবদানঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সরকার বা মুজিবনগর সরকার ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। বাঙালির মুক্তির বাসনাকে সঠিক ও অর্থবহ খাতে প্রবাহিত করে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সমর্থন আদায় করা ছিল মুজিবনগর সরকারের সাফল্য ও কৃতিত্ব। একাত্তরের গণহত্যার রক্তের জমিন থেকে আমাদের বিজয়ের লাল-সবুজের পতাকা। বাঙালির মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা ২৬ মার্চ ১৯৭১ এবং গণহত্যা, প্রতিরোধ যুদ্ধ, বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের দিন একাত্তরের ১৭ এপ্রিল যেন একসূত্রে গাথা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক দিক থেকে দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সরকার গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাস সকল প্রকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পরিচালনা করেছে দীর্ঘ নয় মাসের বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। নিয়েছে দেশ গঠন ও উন্নয়নের জন্য বিশেষ ভূমিকা। বিপুল অস্ত্রসম্ভারে সজ্জিত দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র প্রশিক্ষণদান, অস্ত্র সংগ্রহ, কূটনৈতিক তৎপরতা বিষয়ক কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে পালন করেছে। ইতিহাস তার সাক্ষী। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজ উদ্দৌলার পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলা, বিহার উড়িষ্যার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল সেই পলাশীর আম্রকাননের মাত্র ২৩ মাইল দূরে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলার আরেক আম্রকাননে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার স্বাধীনতার সেই অস্তমিত সূর্য আবার উদিত হলো। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর বৈদ্যনাথতলায় রচিত হয়েছিল আরেকটি ইতিহাস। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিমূল রচিত হয়। সেই সঙ্গে রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন এক উজ্জ্বল ইতিহাস। নয় মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
(১) পাক বাহিনী যখন দেশের অভ্যন্তরে ছাত্র যুবকদের উপর পাশবিক অত্যাচার চালাচ্ছিল তখন 'মুজিবনগর সরকার' গঠিত হওয়ায় তারা আশান্বিত হয়ে উঠে এবং দলে দলে তারা ভারত এবং বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চলে চলে যায়।
(২) মুজিবনগর সরকার মুক্তাঞ্চলে এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে। এখানে তাদেরকে সামরিক ট্রেনিং দেয়া হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ভারতীয় বাহিনী এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
(৩) মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেয়। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালিত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ঠিক রাখা এবং বিভিন্ন সেক্টর ও গেরিলা বাহিনীর সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব মুজিবনগর সরকার নিষ্ঠার সাথে পালন করেছিল।
(৪) স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনাকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য মুজিবনগর সরকার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালায়। স্বাধীন বাংলা দেশাত্মবোধক গানগুলো এবং চরমপত্র অনুষ্ঠানটি মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণকে উদীপ্ত করে তুলেছিল।
(৫) মুজিবনগর সরকার নানা প্রতিকুল অবস্থা সত্ত্বেও একটি বেসামরিক প্রশাসন গড়ে তুলেছিল। বেসামরিক প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ভূমিকা পালন করে।
(৬) স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা, লক্ষ্য, পাক বাহিনীর হিংস্রতা ও গণহত্যা, মুক্তিবাহিনীর সাফল্য ইত্যাদি বহির্বিশ্বে প্রচার করে জনমত সৃষ্টিতে মুজিবনগর সরকার প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছিল।
(৭) মুজিবনগর সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যভার গ্রহন করার পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সর্বাত্মক রূপ দেওয়ার মানসে ভারত ও রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.