নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় আমি।

Md Ashraful Alam Sourov

Md Ashraful Alam Sourov › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু সর্বত্র আছেন, জিয়া কোথাও নেই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২


"জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের আন্দোলন সংগ্রামে সর্বত্র ছিলেন,
জিয়াউর রহমান কোথাও ছিলেন না।"

* ১৯৪০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদান করেন এবং এক বছরের জন্য বেঙ্গল মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তাকে গোপালগঞ্জ মুসলিম ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হয়।
জিয়াউর রহমান ছিলেন না।
* ১৯৪২ সালে বঙ্গবন্ধু এস.এস.সি পাস করেন। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে মানবিক বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে ভর্তি হন এবং বেকার হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা হয়। বঙ্গবন্ধু এই বছরেই পাকিস্তান আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন। জিয়া ঐ আন্দোলনে ছিলেন না।
*১৯৪৩ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
জিয়া নেই।
* ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদান এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কলকাতাস্থ ফরিদপুর বাসীদের একটি সংস্থা ‘ফরিদপুরস্থ’ ডিসট্রিক্ট এসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক নির্বাচিত হন।
জিয়াউর রহমান নেই।
* ১৯৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন।
জিয়াউর রহমান নেই।

* ১৯৪৭ সালে পাক-ভারত দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে কোলকাতায় দাঙ্গা প্রতিরোধ তৎপরতায় অগ্রণী ভূমিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন না।
*১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন না।
*১৯৫২- ২১শে ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলনে ভাষা সৈনিক শেখ মুজিব আছেন, জিয়া নেই।
* ১৯৫৩ সালের ৯ই জুলাই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিমলীগের কাউন্সিলে শেখ মুজিব ছিলেন সাধারণ সম্পাদক, জিয়ার নাম গন্দও ছিল না।
*১৯৫৪ সালের ১০ই মার্চ পাকিস্তান যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে গোপালগঞ্জ আসন থেকে শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচিত হন, ১৫ মে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক সরকারের বন ও কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন, জিয়া কোথাও নেই।
* ১৯৫৫ সালের ৫জুন বঙ্গবন্ধু গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন, জিয়া সমর্থকও নেই।
*১৯৫৫ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী মুসলিমলীগের কাউন্সিলে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, জিয়া সদস্যও ছিলেন না।
*১৯৫৬- পাকিস্তানের সংবিধান রচনায় জিয়া নেই।
*১৯৫৮- সালের আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের সময় জিয়া নেই।
* ১৯৫৮ সালের ১১ অক্টোবর পাকিস্তান সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেছিলেন, জিয়াকে করেননি।
*১৯৬২ সালে গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন, জিয়া ছিলেন না।
*১৯৬২ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন, জিয়া ছিলেন না।
* ১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পারিষদ ঘটন করা হয়, জিয়ার নেতৃত্বে হয়নি।
*১৯৬৫- পাক-ভারত যুদ্ধে জিয়া নেই।
*১৯৬৬- সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু লাহোরে ছয় দফা ঘোষণা করেন, সেদিন জিয়ার উপস্থিতি ছিল না।
*১৯৬৬ সালের ১ মার্চ আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান সদস্যও ছিলেন না।
*১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেছে, জিয়াকে গ্রেফতার করেনি।
* ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু ৬ দফাসহ ১১ দফা দাবী পেশ করেন, জিয়া নেই।
*১৯৬৯ সালের ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু রাওয়ালপিন্ডিতে আইয়ুবখান গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করেন, জিয়া করেননি।
*১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের সব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান ছিলেন না।
* ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 'পূর্ব বাংলা'কে বাংলাদেশ নামকরণ করেন।
জিয়াউর রহমান করেননি।
* ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করেন।
জিয়াউর রহমানকে করেননি।
* ১৯৬৯ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেকে 'জাতির জনক" বলে ঘোষনা করে আ স ম আব্দুর রব।
জিয়াউর রহমানকে করেননি।

* ১৯৭০ সালের ৬ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পুনরায় আওয়ামীলীগ সভাপতি নির্বাচিত হন, জিয়া সদস্যও হতে পারেননি।
*১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সাধারন প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব আওয়ামীলীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে,
সেখানে জিয়া নেই।
*১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ, পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান দেননি।
*১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ ইয়াহিয়ার এসেম্বলী কলে জিয়া নেই।
*১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কর্ত্ক অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙ্গালী হত্যার সেই প্রতিরোধেও জিয়া নেই।
*১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ বঙ্গবন্ধু রাত ১২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, জিয়াউর রহমান দেননি নেই।
* ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেবার অপরাধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১-১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির ৩২ নং বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যায় এবং ২৬ মার্চ তাকে বন্দি অবস্থায় পাকিস্তান নিয়ে যাওয়া হয়, জিয়াকে নেননি।
* ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন, সেখানে জিয়া ছিলেন না।
*১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ কালুরঘাটে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার আদেশটি বেলাল আহমেদ কর্তৃক পাঠের সময়ও জিয়াউর রহমান ছিলেন না।
*১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ সেই কালুর ঘাটে আওয়ামীলীগের কিছু নেতা আর মেজর জিয়ার সহযোগীরা একজন মেজর জিয়াকে ডেকে এনে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার আদেশটি পাঠ করালেন।
* ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়, জিয়া মুজিবনগর সরকারের কর্মচারীও নয়।
* ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে, ১০ জানুয়ারি স্বদেশের মাটিতে পা রাখেন। ১২ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
জিয়া বঙ্গবন্ধু সরকারের কর্মচারী।

* ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহন করেন,
জিয়া রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাহারাদার।
জিয়াউর রহমান দেশের আন্দোলন সংগ্রামের কোথাও উপস্থিতি না থাকলেও তিনটি জায়গায় ঠিকই আছেন।
১। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে জড়িত।
২। শেখ মুজিবুর রহমানের নামের শেষাংশ 'রহমান' এর সাথে জিয়াউর রহমানের মিল আছে।
৩। বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।

সুদীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম ও ৯(নয়) মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ অর্জন এই স্বাধীনতা। শুধুমাত্র পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের নয়। হাজার বছরের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল এই স্বাধীন বাংলাদেশ। শত বছর আগে মাস্টার দা সূর্যসেন, প্রীতিলতা, ক্ষুদিরাম সহ জানা অজানা শত সহস্র মানুষ আত্মহুতি দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন। বাঙ্গালির জন্য এই স্বাধীন ভূখন্ড প্রতিষ্ঠার জন্য শের-ই- বাংলা একে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী সহ আরো অনেক নেতা শত শত বছরের মুক্তি সংগ্রামে বিভিন্ন ভাবে তাদের অবদান রেখেছেন। সর্বশেষে বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতা, ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু ৪ হাজার ৬৭৫ দিন কারাভোগ করেছিলেন, জিয়াউর রহমান একদিনও করেননি।
কিন্তু যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন সংগ্রামে জিয়াউর রহমানের ছিলনা কোন অবদান,
সেখানে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট স্বপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান হয়ে গেছেন স্বাধীনতার ঘোষক।
স্বাধীনতার ২২ বছর পর বিএনপি হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.