![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যখন আওয়ামী লীগারদের সাথে তাদের "৭১ ব্যবসা" নিয়ে তর্কে লিপ্ত হই তারা আমাকে বলে আমি জামাতি! জামাতিদের সাথে ওদের "আদর্শচ্যুতি" নিয়ে তর্কে লিপ্ত হলে ওরা আমাকে বলে সেকুলার!! নাস্তিকদের সাথে ধর্ম নিয়া তর্কে গেলে ওরা আমাকে বলে সাম্প্রদায়ীক মৌলবাদি!!!ইন্ডিয়ান কলিগকে আমাদের প্রতি ভারতের জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলাতে সে ধরে নিয়েছে আমি প্রচন্ড জাতীয়তাবাদী!!!! আদর্শবিহীন দেশে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দেখে আমি "বাকরুদ্ধ"
বিদেশে বাংলাদেশীদের কাজের অনেক সুনাম রয়েছে বলে জানি।বৃটেনেও দেখেছি কোন বাংলাদেশি একবার কোন জবে ঢুকলে সহজে ছাড়েনা,কারন হিসেবে আমার অভজারবেশন হল,আমরা কলুর বলদের মত খাটতে পারি,সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করার আশ্চার্য ক্ষমতা রয়েছে আমাদের ভিতর।মাস শেষে টাকা পেলেই খুশি, ভুলে যাই সব নিগ্রহের কথা।যার কারনে ম্যানাজারের খুবই পছন্দ বাংলাদেশি সহ উপমহাদেশীয় কামলা।
আমি আমার একটা উদাহরন দেই, আমি কাজ করি একটা কেয়ার হোমে, আমার ম্যানাজার একজন মরিশান ভ্দ্র লোক।আমার প্রবলেমটা হল আমি যখনি ম্যানেজারকে দেখি তখন কেন যেন অজানা ভয় কাজ করে, মনে হয় এই বুযি আমার কোন ভূল হবে এবং আমার চাকুরিটা চলে যাবে।কিন্তু পাশেই মরিশান, ব্রিটিশ কলিগ যারা আছে তারা দিব্যি ম্যানেজারের সাথে মজা করছে, ঠাট্টা করছে সময়ে সময়ে....প্রথম দিকে খুব অবাক হতাম ম্যানাজারের সাথে কলিগদের আচরন দেখে কিন্ত আমি আজও ওর সাথে ইজি হয়ে কথা বলতে পারিনা ...just hi...hello...official discussion. যদিও আমি জানি যে সে চাইলেই আমাকে চাকুরিচ্যুত করতে পারবেনা কারন এখানে employment law রয়েছে।
এর কোন মনস্তাত্তিক ব্যখ্যা হয়ত আছে। সাধারন ভাবে যেটা আমার উপলব্দি,আমাদের সমাজে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ চরম।টাকা-পয়সায় যারা ধনী তারা গরিবদেরকে ট্রিট করে নিচু হিসেবে, জবের ক্ষেত্রে ম্যানাজারকে এমনভাবে সমীহ করি যেন আমার শ্রমের কোন মুল্যই নাই বরং উনি জব দিয়ে আমাকে দয়া করেছেন। পেশায় যারা ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার বা ব্যরিষ্টার তাদের প্রতি মনস্তাত্তিক একটা আনুগত্য সেই ছোট বেলা থেকে জীবনের অংশ হয়ে গেছে। যার কারনে সব বাবা-মায়েরাই তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার বানাতে চায়।
মজার ব্যপার হল আমরা যখন কাউকে গালি দেই সেখানেও রয়েছে শ্রেণীপ্রথা যেমন: গালির ভাষা হচ্ছে, তুমিতো একটা ছোট লোক, তোমার কথাতো রিক্সা বা টেক্সি ড্রাইবারের মত আরো কত কি, ভাবটা এমন যে ওরাতো মানুষই না অথচ আমি দেখেছি অনেক টেক্সি ড্রাইবার আছে শিক্ষিত! আপনি যদি তুই, তুমি এবং আপনি শব্দগুলোর ব্যবহার ভাল ভাবে খেয়াল করেন তখন বুযে যাবেন কাকে কিভাবে ট্রিট করছেন।
অনেক মানুষ বেকার হওয়ার ফলে টাকা দিয়ে মানুষ কেনা যায় আমাদের দেশে,ঐ কেনা মানুষকে কৃতদাসের মত ইচ্ছামত খাটানো যায়।
কৃতদাস প্রথা নিষিদ্ধ হলেও আমাদের অন্তরে তা আজও প্রবলভাবে বৃদ্যমান।প্রচলিত জি হুজুর মার্কা রাজনীতির দিকে তাকালে এটা আরো পরিষ্কার।নেতারা কর্মীদেরকে যথেচ্ছা ব্যবহার করছে,যে যত বেশি জি নেত্রী হুকুম করুন বলতে পারবে সে তত বড় নেতা! পরিহাসের বিষয় হচ্ছে অনেকে আবার পাশ্চাত্য থেকে উচ্ছ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গেলেও জন্মলব্দ যে মানসিকতা গড়ে উঠেছে তা থেকে বেরুতে পারেনা।
এসবের কারন কি?
একটা কারন হল বৃটিশদের ফেলে আসা শিক্ষা ব্যবস্থা যা আমাদেরকে কেরানী হওয়ার শিক্ষাই দিত, সেই শিক্ষা ব্যবস্থা এখনোও বর্তমান, যা আমাদেরকে শুধু শোষণ করাই শিখায়।কিন্তু বৃটিশরা শেখে কিভাবে শাসন করতে হয়।আমি এখানে না পড়লে হয়ত বুযতামইনা দুই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আকাশ-পাতাল ব্যবধান।
পুথিগত শিক্ষা দিয়ে আর যাই হউক কোন জাতি নিজ পায়ে দাড়াতে পারেনা।
স্বাধীন ভাবে চিন্তা করার জন্য প্রয়োজন মানসিকতার পরিপূর্ন বিকাশ এবং তা আসবে সত্যিকারের সুশিক্ষা থেকে।
সাথে সাথে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারলেই সকল শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে মাথা উচুঁ করে বেচেঁ থাকা সম্ভব।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৫৭
বাকরুদ্ব বলেছেন: আমার মনে আছে, আমার ক্লাসে উগান্ডার এক টিচার পেয়েছিলাম, সে তার প্রথম ক্লাসটা শুরু করার আগে বলেছিল...
dont call me as sir, call me MO(তার নিক নেইম)...সে আরো বলল, u indians are too much.....বুযতেই পারছেন!
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২০
পুলিচিয়া ল্যাটিনো ০৬৯ বলেছেন: ১. হ্যাঁ কামলা হিসাবে বাংলাদেশীদের সুনাম আছে এটার সাথে আরও একটু যোগ করে বলতে পারি বেশীরভাগই বিশ্বাসী চোর না।
২. ভয়ের কারন আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে ভাষাগত আপনি ভাষায় দক্ষ হলে কাজ একটা গেলে আরেকটা পেতে সমস্যা হয় না তবে পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে।
৩.ট্রিট হ্যাঁ আমাদের দেশে এটা ভাল মতই আছে তবে এখানে ট্রিট দেখেছি অন্যরকমভাবে আমাদের দেশের চেয়েও বেশী অনেক ক্ষেত্রে যেমন কাল এবং কুৎসিৎ চেহারা হলে ওরা নিজেরাও একে অন্যকে ট্রিট করে, ধর্মীয় বর্ণবাদ, ইমিগ্র্যান্ট হলে কিছু পুলিশ কনস্টেবল নিজেকে ওদের দেশের রাজা মনে করে।
৫. শ্রেনী প্রথা সব জায়গায় আছে থাকবে রেস্টুরেন্টের ওয়েটার অথবা সেলসম্যান বা ঝাড়ুদারের সাথে একটা ব্যাংক বা অফিসিয়াল জব যারা করে ওদের মেলাতে পারবেন না এইজন্য ওয়েটারকে বলতে পারে এই এক কাপ কফি নিয়ে আয় অফিসিয়াল জবে এভাবে কখনোই কোন জায়গায়ই বলতে পারে না। গালি এখানেও জনপ্রিয়।
৪. ক্রীতদাসের কথা যদি বলেন প্রথমে আমি দেখেছি ল্যাটিন মেয়েদের যারা ঘরে কাজ করে বা বৃদ্ধ বৃদ্ধার কাজ করে বুঝতেই পারছেন ওদের অনেকের শরীরটাও দিতে হয় আর ঐসব মেয়েরা যদি ইলিগাল হয় তাহলেতো ক্রীতদাসের ক্রীতদাস।
ইউরোপে মরক্কো কিছ ল্যাটিন কিছু পূর্ব ইউরোপে কিছু আফ্রিকার দেশের মানুষের ভাবমূর্তি চোর হিসাবে কারন যা পায় চুরি করে তাছাড়া পতিতা এবং ড্রাগ ব্যবসা এরকম আরো অনেক কিছু আছে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৪২
বাকরুদ্ব বলেছেন: ধন্যবাদ কিছু নতুন তথ্য দেয়ার জন্য...
বর্নবাদ আর শ্রেণী প্রথা কিন্তু এক না...আমাদের দেশে শ্রেনীবিভাজন রয়েছে তবে বর্নবাদ খুবই কম।আর এখানে বর্নবাদীদের সংখ্যা কমে আসছে দিন দিন।আমাদের দেশে কিন্তু মনস্তাত্তিক নত হয়ে থাকার মানসিকতা কম বেশি সবার।পজিশন ভেদে পার্থক্য আছে...যেমন আমি আপনাকে, আপনি ওনাকে, উনি এমপিকে,এমপি মন্ত্রিকে ...আর মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে....এভাবে চলছে...হয়ত চলবে।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৫৪
ভুডুল বলেছেন: +
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৫৯
পুলিচিয়া ল্যাটিনো ০৬৯ বলেছেন: আমি সামগ্রিক অবস্হাটা বলতে চেয়েছি।
আমি আমাদের দেশের যে জিনিসটা খুব অপছন্দ করি সেটা রাজনীতি। বেশী দুরে নয় পাশের দেশ ভারতের রাজনীতির দিকে দেখুন। আমি মনে করি আমাদের চীন অথবা ভারতের মত রাজনৈতিক সিস্টেম প্রয়োজন কারন আমরা ওদের মত ঘনবসতিপূর্ন দেশ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:২১
বাকরুদ্ব বলেছেন: একমত।
ভারতে হোটেলে হামলা হয় আর সরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করে,কিছু দিন আগে মাওবাদী হামলায় পুলিশ মারা যায় আবার সরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের খবর শুনলাম...মগার আমার দেশে ৬০-৭০ জন আর্মির অফিসার মারা যায় কিন্তু সরাষ্ট্রমন্ত্রী তার চেয়ার ছাড়েনা..........যাই হউক ইরিলিবেন্ট কিন্তু আপনি রাজনীতির কথা বলাতে বললাম।
৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৪:৫৫
মরণজয়ী বলেছেন: সহমত!
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৫:০১
ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: +
৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:৫৮
সততার আলো বলেছেন: আমাদের দেশে কাজের ক্ষেত্রগুলোতে এমন একটা পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে যে, এখানে শুধুমাত্র কাজ করার যোগ্যতা দিয়ে চাকরীতে টিকে থাকা যায়না, এর সাথে সাথে উপরওয়ালাদের খুশি করার যোগ্যতাও থাকা লাগে।
দারুন পোস্ট। ধন্যবাদ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫৩
বাকরুদ্ব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ...।
৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৩২
নুরুন নেসা বেগম বলেছেন: শুধু কাজে চাকরী চলতে পারে, বেশী উন্নতি নয়।লেখার জন্য ধন্যবাদ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫৪
বাকরুদ্ব বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ...
৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২৭
রাজীব বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫৫
বাকরুদ্ব বলেছেন: উৎসাহিত হলাম,ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪৬
হু-কেয়ারস বলেছেন: আপনি যদি তুই, তুমি এবং আপনি শব্দগুলোর ব্যবহার ভাল ভাবে খেয়াল করেন তখন বুযে যাবেন কাকে কিভাবে ট্রিট করছেন।
আসলে ওটাই আমাদের মধ্যে শ্রেণী বিন্যাসের বীজ বপন করে দেয়।
আমি বিশ্বাস করি বিশ্বের সবচাইতে বর্ণবাদী সমাজ আমাদের বাংলাদেশে।
আমি যখন বিদেশে আমার শিক্ষকের সাথে সিগারেট খাই তখন মনে মনে চিন্তা করি কত পার্থক্য আমাদের আর ওদের শিক্ষকের।
আমরা সবক্ষেএে ভয়ের মাধ্যমে সম্মান আদায় করি। আসলে কী ওটা সম্মান ???