নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডা\'র ক্যুবেক প্রভিন্সে যেতে আগ্রহী?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯


ছবি সূত্র: গুগল

কুইবেক ইমিগ্রেশন এর ARRIMA পদ্ধতি

সম্প্রতি ক্যুবেক প্রভিন্স তাদের ইমিগ্রেশন সিস্টেমে বেশ পজিটিভ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। এর ফলে ক্যুবেকে ইমিগ্রেশন নিয়ে এখন অনেকেই যাবার স্বপ্ন দেখছেন। ক্যুবেক ইমিগ্রেশনের নতুন ARRIMA পদ্ধতি বাংলাদেশীদের জন্যেও আশার আলো।

কুইবেক ইমিগ্রেশন এর এই ARRIMA পদ্ধতির ব্যাপারে যারা অনেক অনেক প্রশ্ন মাথায় নিয়ে ঘুরছেন, তাদের জন্য এই পোস্টটি লিখতে বসা।

এই মাস থেকেই এই পদ্ধতির এপ্লাই শুরু হয়েছে। এর আগের যে First come-first serve পদ্ধতি ছিল, যা আর কুইবেক ইমিগ্রেশনের জন্য ব্যবহৃত হবে না।

ARRIMA পদ্ধতিতে আবেদনকারী ভার্চুয়াল ওয়েটিং রুমে প্রবেশের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন এবং যখন তার টার্ন আসবে, তখন থেকে তিনি নব্বই মিনিট টাইম পাবেন তার অনলাইন পোর্টাল তৈরি করার জন্যে। নব্বই মিনিট পর উক্ত সেশন এক্সপায়ার হয়ে যাবে। তবে অসম্পূর্ণ এই রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করার জন্যে আবেদনকারী ত্রিশ দিন সময় পাবেন। এবং পূর্ণাঙ্গ এই অনলাইন পোর্টাল ভ্যালিড থাকবে এক বছরের জন্যে।

অনলাইন এই পোর্টাল তৈরি করার জন্যে বিশেষ কোন রিকোয়্যারমেন্টের ঘোষণা এখনও তারা দেননাই। অর্থাৎ, ধরে নেয়া যায় আগের মতোই ক্যুবেক পয়েন্টগ্রীড রিকোয়্যারমেন্ট ফলো করে যে কেউ তার অনলাইন পোর্টাল তৈরি করতে পারবেন। অত:পর সেই সকল অনলাইন পোর্টালের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীগণ ক্যুবেক সিলেকশন সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য আবেদন করার ইনভিটেশন পাবেন।

তবে কারা কারা এই ইনভাইটেশন পাবেন, সেই রিকোয়্যারমেন্টের ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট নীতিমালার কথা এখনও তারা উল্লেখ করেননি। তবে ধরে নেওয়া যায় যে, এক্সপ্রেস এন্ট্রির CRS পদ্ধতিকে তারা ফলো করতে পারে।

আর একটি কথা না বললেই নয়। যখন একজন আবেদনকারী EOI পুলে নিজের অনলাইন পোর্টাল তৈরি করবেন, তখন তাকে কিছুটা ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন কেননা সম্পূর্ণ পোর্টালটাই ফ্রেঞ্চ ভাষায়। তবে গুগল ট্রান্সলেটর থাকাতে এই চ্যালেঞ্জটি খুব একটা বড় সমস্যা নয়। যখন পোর্টাল তৈরি করতে থাকবেন, আপনার কম্পিউটারের অন্য একটি ট্যাবে গুগল ট্রান্সলেটর খুলে রাখবেন এবং কপি পেস্ট এর মাধ্যমে ফ্রেঞ্চ টু ইংলিশ সিলেক্ট করে সহজেই নিজের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। প্যানিক হবার কিছু নেই কেননা আপনার হাতে ত্রিশ দিন সময়তো রইলোই।

তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এই নতুন পদ্ধতিকে স্বাগত জানাই। কেননা পূর্বে যেহেতু এই পদ্ধতিটি First come first serve ছিল, তাই, এই ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে আবেদনকারীর যোগ্যতা তেমন কোন প্রাধান্য পেতোনা। কিন্তু এখন যেহেতু ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সিলেক্ট করবেন যে কারা কারা ইনভিটেশন পাবেন, তাই আশা করা যায়, যোগ্য প্রার্থীরা এই ইমিগ্রেশন পদ্ধতিতে সফলতা লাভ করবেন। পাশাপাশি ক্যুবেক ইমিগ্রেশন তার ধীর গতির জন্যে যতটা বদনাম কুড়িয়েছিল, সেই দুর্নামও ঘুঁচবে বলে আশা করা যায়।

সূত্র: Click This Link

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কানাডার জবমার্কেট কি অবস্থা? শুনছি আমেরিকানরা আইসা প্রফেশনাল জব মার্কেটে ধ্বস নামাই দিছে! জব সিকিউরিটিও নাকি নাই। আজকা আছে কালকা নাই এই অবস্থা নাকি?

ঘটনা কি সত্য? তারপর ইসলামোফোবিয়া এখন নাকি রেসিজমের পর্যায়ে। বেশ কিছু ইনসিডেন্টের খবর শুনছি। অনেকটা ইংল্যান্ডের মতো অবস্থা!! আপনি কৈ আছেন?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

পয়গম্বর বলেছেন: ছোটবেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। গ্র্যাজুয়েশনের সময়কার কথা। আমি যে ইন্সটিটিউশনে পড়তাম, সেখানে রমিজ নামের এক ছেলেও জুনিয়র ব্যাচে পড়তো। স্কলারশিপ নিয়ে ভারতের কাশ্মির থেকে বাংলাদেশে আমাদের সেই ইনস্টটি্উশনে সেও পড়তে এসেছিল। একবার রমিজ আমাকে জম্মু-কাশ্মির যাবার জন্যে আমন্ত্রণ জানালো। আমি আপত্তি জানিয়ে বললাম, "কাশ্মিরে মানুষ পাখির মতো মরছে। বোমা ফুটছে। খবরের কাগজে খবরে দেখেছি কাশ্মিরের অবস্থা ভালো নয়। আর সেই কাশ্মিরে তুমি আমাকে যেতে বলছো?" উত্তরে রমিজ মৃদু হেসে বললো, "যদি সেগুলোই সত্যি হতো, তাহলে কাশ্মিরেতো মানুষ নামের কোন প্রাণী থাকতোনা। কেন, তোমাদের এই ঢাকা শহরে প্রতিদিন ছিনতাই-রাহাজানি-ধর্ষণ-হত্যা - এগুলো হচ্ছেনা? তাই বলে কী ঢাকা মানুষশূন্য হয়ে গিয়েছে? খবরের কাগজের অনেক খবর সঠিক, আবার ইয়েলো জার্নালিজমের কারণে অনেক খবর এক্সজুরেটেড। মানুষ 'শুনেছি' শব্দটা দিয়ে অনেক কিছু এজামপশন করে, সব কিছুকে জেনারালাইজড করে যেগুলো সত্যির ধারেকাছেও থাকেনা। আশাকরি আপনার মন্তব্যের উত্তর পেয়েছেন। কানাডার টরন্টো শহরেই স্থায়ীভাবে আছি, ভালো আছি।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: উদাসী স্বপ্, দূর থেকে ওমনই মনে হবে। কোথায় কেনেডা আর কোথায় ইংল্যান্ড!

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই পর্তুগাল স্পেন সুইডেনে অনেক প্রফেশনাল সাদা চামড়াদের মুখে শুনেছি দেখেই বলছি।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই নিন লিংক

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

ওমেরা বলেছেন: না যেতে চাই না যেখানে আছি আল্লাহ খুব ভাল রেখেছে।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই বয়স হইছে। ইসলামোফোব বা রেসিজম ভয পাই না। আমি নিজেও ইসলামোফোব। ভয়টা হলো জব সিকিউরিটি। প্রফেশনাল লেভেলে জবের কি অবস্থা সেটা জানার ছিলো

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

নজসু বলেছেন: যে যেখানে থাকেন না কেন, সবাই ভালো থাকুন।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনলাই‌নে কানাডার কোন বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের কোর্স কর‌তে চাই। দয়া ক‌রে বল‌বেন, এ ই ধর‌নের কো‌র্সের সা‌র্টি‌ফি‌কে‌টের কোন মূল্যায়ন আ‌ছে কিনা।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৬

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: দিলেন তো কিছু উদাহরন ইউরোপের দেশের। তারা তো ওমনই হবে।

Quebec ইউরোপের মতই। ঐ French speaking মানুষগুলো frank, rude। ওরা racists। অন্য province, যেমন, Ontario, BC, ওমন না। Job security কোথাও পাবেন? ওসব বলে কি হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.