নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার ইমিগ্রেশনের ওপর ফেডারেল ইলেকশনের প্রভাব

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৯



সামনে কানাডার ফেডারেল ইলেকশন। বাংলাদেশি ইমিগ্রেশনপ্রত্যাশীদের জন্য শুভ কিছু বয়ে আনবে কি?

কানাডার ফেডারেল ইলেকশন মানেই হলো নতুন সরকার ক্ষমতায় আসবেন। অক্টোবর ১৯, ২০১৫ সালে কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো কানাডার ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হন। শুরু থেকেই জাস্টিন ট্রুডো এবং তার দল লিবারেল পার্টি পিয়েরে ট্রুডোর মতোই ইমিগ্র্যান্টদের জন্যে আশীর্বাদ হয়ে ছিলেন এবং আছেন। আমি নিজেও জাস্টিন ট্রুডোর আমলেই কানাডার পারমানেন্ট রেসিডেন্ট হই।

এ বছরের ২১ অক্টোবর (সোমবার) ৪৩তম কানাডিয়ান ফেডারেল ইলেকশন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ। (সূত্র: উইকিপিডিয়া) এই ইলেকশনে ট্রুডোর দল ক্ষমতায় আসতেও পারেন, নাও আসতে পারেন। যদি আসেন, তাহলে সেটি অবশ্যই ইমিগ্রেশনপ্রত্যাশীদের জন্য আনন্দের সংবাদ। আর যদি তিনি না আসেন? তাহলে কী সেটি ইমিগ্রেশনপ্রত্যাশীদের জন্যে অশনিসংকেত?

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইমিগ্রেশন এবং সিটিজেনশিপের নিয়মকানুনেরও পরিবর্তন আসে। যেমন কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির হারপার সরকারও ক্ষমতায় থাকাকালীন ইমিগ্রেশন এবং সিটিজেনশিপের কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন।


কিন্তু তা সত্ত্বেও হারপার সরকারের আমলে বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন হয়েছে। অর্থাৎ, কানাডায় অতীতেও ইমিগ্র্যান্ট এসেছিল, ভবিষ্যতেও আসবে। যারা ইমিগ্রেশনের ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করেন অর্থাৎ, ইমিগ্রেশনের জন্যে যোগ্য বা এলিজিবল, তাদের প্রসেসিং হবে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, ইমিগ্রেশনের নিয়মের কী ধরনের পরিবর্তন আসবে? আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, যে কোনো সিস্টেমের পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ। ইমিগ্রেশনের নিয়মের পরিবর্তন আসলেও সেগুলো হঠাৎ রাতারাতি হবে না বলেই আমি মনে করি।

বরং আমি বিষয়টাকে এভাবে দেখি যে, কানাডার ইমিগ্রেশন প্রসেসের নিয়মে সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তন এসেছে। সামনেও আসবে। কিন্তু সেটিকে কঠিন ভেবে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখছি না। বরং কানাডার যে কোনো সরকারের ইমিগ্রেশনসংক্রান্ত যে কোনো সিস্টেমকে সম্মান করে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

কানাডার ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্যে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে অন্যতম হলো IELTS স্কোর। কাজেই ইমিগ্রেশনের কাজ শুরু করার আগেই IELTS General Training Module স্কোর হাতে থাকাটা অত্যাবশ্যক। এর পরেই বলতে হয় ECA (Educational Credential Assessments)-এর কথা। এছাড়াও সেটেলমেন্ট ফান্ড, ওয়ার্ক রেফারেন্স লেটার ইত্যাদিও গুরুত্বপূর্ণ।

কানাডার ইমিগ্রেশনের জন্যে IELTS প্রস্তুতি, ECA এবং আনুষঙ্গিক কাগজাদি ও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তথ্যের জন্যে 'ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সেটেলমেন্ট' এর ভলান্টিয়াররা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। তাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপ থেকে কানাডার ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত সঠিক এবং প্রয়োজনীয় তথ্যটি খুঁজে নিতে পারেন।

সূত্র: Click

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিরাট চিন্তার বিষয়।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫

কেএসরথি বলেছেন: কনজারভেটিভরা আসবে বলেই মনে হচ্ছে। ট্রুডো ইমিগ্রান্টদের কাছে নিলেও সাদা কানাডিয়ানদের থেকে দুরে চলে গেছে। ডাগ ফোর্ডের মতো একজন ৩য় শ্রেনীর পলিটিশিয়ান যখন ওন্টারিও জিতে গেল - আমার মনে হয় না লিবারালরা ভাল করতে পারবে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

পয়গম্বর বলেছেন: ওন্টারিও প্রিমিয়ার ডগফোর্ড এখন একজন পরিণত রাজনীতিবীদ। তার ভাই রব ফোর্ড কিন্তু টরন্টোর জন্যে কম করেননি। আমার মনেও শঙ্কা তৈরি হচ্ছে যে, লিবারেল সামনের নির্বাচনে আসলে কী আবার আসতে পারবে?

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

জাতির বোঝা বলেছেন:
তাহলে তো চিন্তার কারণ আছে।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

কেএসরথি বলেছেন: সত্যি বলতে কি লিবারাল পার্টি আর জাস্টিন ট্রুডো কে আলাদা করে দেখতে হবে। লিবারাল পার্টি ইমিগ্রান্টদের জন্য শুধু নয়, কানাডার মানুষের জন্য অনেক করেছে। কিন্তু আমার কাছে মনে ট্রুডোর অনেক কাজে মানুষ খেপে আছে (এই যেমন ভারত ভ্রমনে গিয়ে একবারে ভারতীয় হয়ে নাচানাচি করা) - এখানকার সিটিজেনরা অনেকরাই ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ নিয়ে আছে। আমি এদের ঠিক রেসিস্ট বলবো না। তবে এত ভারত প্রেম আর রেফিউজি নেয়াটা - লিবারাল পার্টির জন্য শেষ পর্যন্ত শুভ ফল আনবে বলে মনে হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.