![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিটি জিনিসের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই ,যদি কোনো মানুষের থেকে থাকে তবে সে মহামানব নয়ত মহাবেকুব ।
‘লালন’ – তিন অক্ষরের রূপক এক নাম ! ‘লা’ মানে ‘না’, The No, মহাশূন্য, আধ্যাত্মিকতার শেষস্তর ! ‘লা’ কে যিনি লন তিনিই লালন ; অর্থাৎ যে সাধক বস্তুবিশ্বের ভিড় ছাপিয়ে দেহমনে মহাশূন্যতাকে গ্রহণ করেন ! মানবীয় ক্ষুদ্র ‘আমিত্ত্ব’ অর্থাৎ ‘হ্যা’ কে যিনি সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়েছেন। তিনি জাগতিক নন , মহাজাগতিক ! ‘লালন’ যিনি স্বয়ং দেহমনে …মহাশূন্যের আকর কেতাব । লালন স্বয়ং মহাভাবসমুদ্র।
লালন ফকির ভারতীয় উপমহাদেশের
সবচেয়ে প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক
সাধকদের মধ্যে অন্যতম । গান্ধীরও ২৫
বছর আগে , ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ,
তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল ।
'জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজী
সবই দেখি তানা না না...।'
সময়ের কালপর্বে প্রায় দুইশত বছরেরও
অধিক পূর্বে নিতান্তই সাধারন এক অজঁ
পাড়াগাঁয়ের প্রিয়
কুটিরে বসে যে মানুষটি সৃষ্টি করেছেন
আত্মদর্শন ও মানবতাবাদী এরকম অসংখ্য
পদ আর উপহার দিয়েছেন নতুন এক
আধ্যাতিকতা ও আত্মদর্শনের জগত , তিনিই ফকির লালন শাহ্ । চরম অস্তিত্ত্ব ও পরম
তত্ত্বের সন্ধানী লালন সাঈঁজী ছেউড়িয়ার
আখড়াতেই প্রকাশ করেছিলেন তার
ঐশী জ্ঞানের দিব্যবানী।
সাঈঁজী লালনের সঙ্গীতগুলো চরম
জ্ঞানবাদের , দেহ তত্ত্বের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন ও সকল
অন্তর্মূখী অবস্থাকে লক্ষ্য করে বিস্তারিত
প্রসঙ্গমূলক সঙ্গীত ।
গত ১লা কার্তিক থেকে ৫ই কার্তিক অর্থাত্ ১৬ থেকে ২০ অক্টোবর ছিল লালন সাঈঁজীর ১২৩ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজন ও লালন মেলা । প্রতি বছরই দূর দুরান্ত থেকে আসা বহু লালন ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম হয়ে থাকে ।
সকল বাঙালি কে অনুরোধ করবো একটি বারের জন্য হলেও কুষ্টিয়া এসে ঘুরে যান , লালনের গান শুনে যান । রেডিও , টিভি তে লালনের গান শোনা আর সরাসরি লালন ফকিরদের একতারা হাতে উন্মুক্ত গলায় গান শোনায় অনেক পার্থক্য । তবে একটা কথা বলতে পারি নিরাশ হবেন না । এসে লালনের গান শুনে যদি আপনাদের ভাল লাগে তবে একজন লালনের দেশের সন্তান হয়ে সে গর্ব আমার , ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.