নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাকতাড়ুয়া

স্পাউট রক

প্রতিটি জিনিসের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই ,যদি কোনো মানুষের থেকে থাকে তবে সে মহামানব নয়ত মহাবেকুব ।

স্পাউট রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টুয়ার্ট ব্রড নাকি ফ্রড ?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

ঘটনার শুরু গত অ্যাশেজের ট্রেন্টব্রিজ

টেস্ট থেকেই । ওই টেস্টে ব্যাটের কোণ

ছুঁয়ে ক্যাচ হওয়ার পরও স্বেচ্ছায় মাঠ

ছেড়ে বের হননি স্টুয়ার্ট ব্রড ।

এটিকে ‘বড় ধরনের প্রতারণা’

আখ্যা দিয়ে অস্ট্রেলীয় কোচ ড্যারেন

লেম্যান বলেছিলেন ,

ফিরতি অ্যাশেজে ব্রডের জীবন দুর্বিষহ

করে তুলবে অস্ট্রেলিয়ার দর্শকেরা ।

ঘটনাটি যে বিন্দু

থেকে সিন্ধুতে পরিণত হবে—অনুমিতই

ছিল । হলোও তা-ই । ব্রিসবেন টেস্টের

প্রথম দিন থেকেই ব্রডের পিছু

নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দর্শকেরা ।

দুয়োধ্বনি তো আছেই ,

মাঠে শোভা পাচ্ছে তাঁকে খোঁচা দেওয়া বিভিন্ন

ব্যানার । ব্রডকে ‘স্টুয়ার্ট ফ্রড’

বলা হচ্ছে । একজনের

ব্যানারে শোভা পাচ্ছে এই লেখা: ‘গত

গ্রীষ্মে তুমি কী করেছো আমি জানি !’



ঘটনা এখানেই শেষ নয় । ‘১০০,০০০

লাইকস অ্যান্ড আই উইল ট্যাকল স্টুয়ার্ট

ব্রড অন বক্সিং ডে’

শিরোনামে খোলা হয়েছিল ফেসবুক পেজ ।

পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটকও

করেছে মাঠে শূকর ছেড়ে দেওয়ার

চেষ্টা করার অপরাধে । সেই শূকরটির

গায়ে নাকি লেখা ব্রডের নাম ! ৩১ বছর

আগে এই মাঠেই

একটি ওয়ানডে ম্যাচে শূকরছানা ছেড়ে দেওয়ার

ঘটনা ঘটেছিল । যেটার গায়ে লেখা ছিল

দুই ইংলিশ খেলোয়াড়ের নাম

—‘বোথাম’ (ইয়ান বোথাম)

এবং ‘এডি’ (এডি হেমিংস) !



লেবু বেশি কচলালে তেতো হতে বাধ্য—

এ ভাবনা থেকেই কিনা এ আগুনে জল

ঢালতে চাইছে ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়া (সিএ) । ফেসবুকের

পৃষ্ঠাটি সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ

নিয়েছে সিএ । ওই ফেসবুক পেজের

স্বত্বাধিকারীকে সতর্কও

করে দেওয়া হয়েছে ।

অন্যদিকে মাঠে শূকরছানা আনার জন্য

নাম না প্রকাশ করা আরেক সমর্থকের

বিরুদ্ধে ‘পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা’র

অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ ।



ব্রডকে ‘ভয়ানক প্রতারক’ আখ্যা দেওয়া,

অস্ট্রেলিয়ার দর্শকদের

তাঁকে নাজেহাল করার উসকানি দেওয়ার

সময় কিন্তু নীরবই ছিল সিএ ।

আইসিসি তখন লেম্যানকে তিন হাজার

ডলার জরিমানা করলেও এ

ব্যাপারে কিছু বলেনি ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়া । তবে পরিস্থিতি লাগামের

বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই

নেওয়া হয়েছে । সিএ সাফ জানিয়েছে ,

কোনো ‘অসামাজিক আচরণ’ কিছুতেই সহ্য

করা হবে না । কোন ক্রিকেট ম্যাচেই

তা করতে দেওয়া হবে না ।

সিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ওই

পেজটি সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ

করা হয়েছে । এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট

কর্তৃপক্ষকে এ-সংক্রান্ত সকল তথ্য

দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে ।’

সংস্থাটিও এ-ও বলেছে, ‘ক্রিকেটে এ

ধরনের কর্মকাণ্ড কিছুতেই

মেনে নেয়া হবে না । অপরাধী অবশ্যই

ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হবেন ।

জরিমানার ক্ষেত্রে হয়তো ভেন্যু

ভেদে তারতম্য ঘটবে ।

তবে প্রতি অপরাধের ক্ষেত্রে এর

জরিমানার ব্যাপ্তি কয়েক হাজার ডলার

হতে পারে ।’



অন্যদিকে ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বোর্ড

(ইসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ,

‘খেলোয়াড়ের প্রতি এ ধরনের হুমকির

বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে ইসিবি ।

সঙ্গে এ-ও দাবি জানাচ্ছে , ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়ার

অনুরোধে সাড়া দিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ

যেন এ ধরনের পীড়াদায়ক ও

আক্রমণাত্মক পেজ সরিয়ে নেয় ।



সহিংসতার প্ররোচনাদায়ীর

কোনো জায়গা নেই ক্রিকেটে ।’

ব্রডকে এমন নাজেহাল হতে দেখে শেন

ওয়ার্নও ক্ষোভ ঝেড়েছেন ব্রিসবেনের

‘কুরিয়ার মেইল’-এর ওপর । ওয়ার্ন

বলেছেন, সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল

আচরণ করতে হবে , ‘পত্রিকাটি যে কাণ্ড

করেছে , সেটি শিশুতোষ বৈ কিছু নয় ।’

চ্যানেল নাইনকে ওয়ার্ন বলেছেন , ‘এসব

ঘটতে পারে কেবল প্রাথমিক

বিদ্যালয়ে । আমাদের মিডিয়া যেন

সবচেয়ে বাজে । বহু আগ থেকেই

অস্ট্রেলীয় পত্রপত্রিকাগুলো

সবচেয়ে বাজে প্রিন্ট

মিডিয়া হিসেবে পরিচিত ।

সত্যি তারা ভয়ংকর । আমি তাদের

বলতে চাই , এসব কিন্তু শেষ পর্যন্ত

ব্রডের উপকারেই আসছে ,

এটা সরাসরিভাবে আমাদের ওপর

পাল্টা আঘাত হয়ে আসছে ।’

মিডিয়ার আক্রমণ জীবনে কম

সইতে হয়নি ওয়ার্নকে । ফলে ব্রডের

জ্বালা তার চেয়ে কে বেশি বুঝবে !



সূত্রঃ প্রথম আলো

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.