![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিটি জিনিসের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই ,যদি কোনো মানুষের থেকে থাকে তবে সে মহামানব নয়ত মহাবেকুব ।
কিছু তথ্য প্রয়োজন । সাহায্য করলে ভালো হত ।
কেউ কি আছেন যিনি জার্মান শেফার্ড পোষেন ? দেখভাল করার বা পোষার সহজ কিন্তু দরকারি কিছু টিপস দরকার । যেমন কিভাবে যত্ন করতে হয় , কয়বার খাওয়াতে হয় , কি কি খাওয়াতে হয় ইত্যাদি আর কি !! আছেন এমন কেউ ? অগ্রিম ধন্যবাদ ।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
স্পাউট রক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১
পারভেজ উদ্দিন হৃদয় বলেছেন: কুকুরপ্রেমীদের মধ্যে অনেকেই পোষ্য
হিসেবে রাখতে চান জার্মান
শেফার্ড৷ জার্মান শেফার্ড -এর
ভারিক্কি নামের মতোই এর চালচলনও
বেশ রাজকীয়৷ সব থেকে বড় ব্যাপার
হল একে আপনার বাড়ির সদস্য করতে
হলে বাড়িতে যথেষ্ট জায়গারও
প্রয়োজন৷ কারণ জার্মান শেফার্ড
ছোট বয়সেই আকারে বেশ বড় হয় , বয়স
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বাড়ে৷
গোড়ার কথা
জার্মান শেফার্ড ব্রিড তৈরি করা
হয় নেকড়ে প্রজাতি থেকে৷ এই
ব্রিডটাকে আগে জার্মান শিপ ডগ
বলা হতো৷ এর থেকেই মূলত জার্মান
শেফার্ড কথাটা এসেছে৷ ১৮০০
শতাব্দীর শেষের দিকে একটা
অর্গানাইজেশনের দ্বারা 'বেস্ট অফ
দ্য শিপ ডগ' থেকে জার্মান শেপার্ড
তৈরি করা হয়৷ এই ব্রিডটা তৈরি
করার মূল উদ্দেশ্য ছিল মেষ পালকদের
সহকারী হিসেবে ব্যবহার করা৷
জার্মান শেফার্ড -এর চরিত্র
জার্মান শেফার্ড শান্ত , বুদ্ধিদীপ্ত ,
আত্মবিশ্বাসী আর অত্যন্ত ভালো
স্বভাবের৷ কিন্ত্ত সদাসতর্ক এবং
কর্মঠ৷ সে জন্য জার্মান শেফার্ড
সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় কুকুরগুলির
মধ্যে অন্যতম৷
জার্মান শেফার্ড রাখলে
পূর্ণবয়স্ক একটা জার্মান শেফার্ড -এর
ওজন ৩৫- ৪৫ কেজির মধ্যে৷ সমস্ত রকম
পরিস্থিতিতে এই ব্রিডটা নিজেকে
মানিয়ে নিতে পারে৷ এর শরীর
যথেষ্ট শক্ত সমর্থ আর মানসিক দৃঢ়তাও
লক্ষ্যণীয়৷ এদের পরিণত হতে একটু
বেশি সময় লাগে৷ সঠিকভাবে
নিয়মানুবর্তিতা শেখালে এরা
সহজেই তা রপ্ত করতে পারে৷ এরা
যেহেতু অত্যন্ত কর্মক্ষম কুকুর সে জন্য
একে বাড়িতে সারাক্ষণ বেঁধে না
রাখাই ভালো৷ এদের নিয়মিত
এক্সারসাইজ প্রয়োজন৷ এই ব্রিডটা খুব
সহজেই বাড়ির সবার সঙ্গে মিশে
যেতে পারে৷ এরা বাচ্চাদের সঙ্গে
খেলতে খুব ভালোবাসে৷ এদের সহ্য
শক্তি খুব বেশি হওয়ায় বাচ্চাদের
ছেলেমানুষী দুষ্টুমিতেও এরা বিরক্ত
বোধ করে না তাই সহজেই বাচ্চাদের
সঙ্গে মিশতে পারে৷
এবার দেখুন
জার্মান শেফার্ড -এর যত্ন
এদের রোজ স্নান না করিয়ে মাঝে
মধ্যে স্নান করানো প্রয়োজন৷ প্রায়
রোজই অন্তত একবার করে এদের লোম
আঁচড়ে দিলে ভালো হয়৷ পরিণত
জার্মান শেপার্ডকে দিনে দু ' বার
ভাতের সঙ্গে সেদ্ধ মাংস আর
ড্রাইফুড মিশিয়ে খেতে দিন৷ কুকুরের
আকার , বয়স এবং তার সারাদিনের
অ্যাক্টিভিটির ওপর নির্ভর করে তার
খাবারের পরিমাণ নির্ধারণ করলেই
ভালো হয়৷
মনে রাখুন
১ ) যদি আপনি বেশিরভাগ সময়ে
বাইরে থাকেন তাহলে জার্মান
শেপার্ড না রাখাই ভালো৷ কারণ
এরা একা থাকার ফলে মিটমিটে
প্রকৃতির হয়ে যায়৷
২ ) জার্মান শেপার্ডকে সারাক্ষণই
ব্যস্ত রাখলে ভালো হয়৷ এই ব্রিডটার
শারীরিক এবং মানসিকভাবে সক্রিয়
থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷
৩ ) অনেক সময় বেশি বয়সে এদের এক
ধরনের অসুস্থ দেখা যায় , যাকে বলা
হয় 'হিপডিসপ্লেসিয়া '৷ এক্ষেত্রে
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার৷
এছাড়াও নানা ধরনের অসুখ দেখা
দিতেই পারে৷ কোনও রকম
অস্বাভাবিকতা হলেই সঙ্গে সঙ্গে
ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা
আবশ্যক৷
৪ ) এদের খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত
পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আর
ভিটামিন দেওয়া প্রয়োজন৷ কোনটা
কত পরিমাণে দেবেন তা ডাক্তারের
থেকে জেনে নিয়ে খাবারের সঙ্গে
নিয়ম করে দেওয়া দরকার৷ আর
জার্মান শেপার্ড কেনার আগে সব
কিছু ভালো করে জেনে তবেই কেনার
সিদ্ধান্ত নেবেন৷
ধন্যবাদ