নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুই রাজাকার

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই

আসল সাংবাদিক

প্রজন্ম চত্তরের মানুষ

আসল সাংবাদিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

“আসকর মাঝি”

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯





বৃদ্ধ বয়সের এমন রোগা শরীর নিয়েও যে কাজ করা যায়, না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। বৃদ্ধের শরীরে মোটেও বল নাই, যেটুকু বল অবশিষ্ট আছে তার ঐ ভাঙ্গা মনে। হয়ত এই মনের বলে সে আজো বেঁচে আছে কাজও করতে পারে। এর চেয়ে অনেক সবল দেহও অলসতায় অসার হয়ে নির্জীব তীর্থ যাত্রী সেজে বিছানায় পরে প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে মহাকালের যাত্রা দলের। কিন্তু কালের ধারার সাথে তার আজব অবাক বিদ্রোহ, দেখলে বিদ্রোহী মনেই হবেনা, তবুও সমস্ত প্রতিকুলতার মাঝে এখনো টিকে আছে। কি জানি কত দিন আর এভাবে টিকতে পারবে ! শরীরের প্রতি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তার দেহ রাজ্যের সাথে সমুদ্র ¯্রােতের মতো এলো মেলো বিদ্রোহ করেই চলছে। তাদেরকে সামাল দিয়ে কত দিন আর এ রাজ্য পরিচালনা করতে পারবে কেবা জানে। বয়সের ভারে ঘাড় সহ মাথাটিকে দাবিয়ে দিয়ে কাঁধ যেনো আকাশ ছুঁতে চাইছে। ধুসর ভীতু চোখ যুগল ভয়ে জড়সড় হয়ে কচ্ছপের মাথার মতো কুঠরির ভেতর লুকিয়ে আছে। নাকটি বিজীত রাজ্যের বিগত স্বাধীনতা স্তুম্ভের মতো এখনো দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু তার কিছুই আর অশিষ্ট নেই শুধু চামড়ার আবরণ ছাড়া। ঠোট যুগল মরা নদীর শুকনো তীরের মতো শুকিয়ে চৌচির। দাতগুলি বিদ্রোহ করে মাটির দলে ভীরেছে সেই অনেক আগেই। পুরো চেহারাটি হয়ে গেছে মায়াহীন মরুভুমি, অথবা যুদ্ধ বিধ্বস্ত কোনো দেশ। লোহার মতো শক্ত পেশী হয়ে গেছে তুলার দন্ড। মেরু দন্ড অনেকগুলি পেশীকে সাথে নিয়ে হয়ে গেছে জ্যান্ত ধনুক। রোদে পোড়া কুচকুচে কালো শরীরের চামড়া ইলাস্টিকের মতো এক সাথে জরো হয়ে আছে আলাদা একটি দলে। টান দিলে বড় হয় আবার ছেড়ে দিলে ঘুচিয়ে যায়। দেখলে মনে হয় মহাকালের অবোরোধ যেনো তার দেহ রাজ্যের চার পাশ ঘিরে রেখেছে, সেই যন্ত্রনা সইতে না পেরে তার যোদ্ধারা যে যার মতো অবস্থান নিতে শুরু করছে। দেহের সাথে পোষাকেরও একটা নিখাত মিল, ধুলোয় ধূসরিত ময়লা জামাটি ঠিক যেনো ঢেউ খেলা পেচানো স্প্রিং। জামাটির সঠিক রং কি ছিল হয়ত সে নিজেও বলতে পারবেনা। বর্তমানে দেখতে অনেকটা কুনো ব্যাঙয়ের ধুসর চামড়ার মতো মেটে। শীতের সময় একটি কোর্ট গায়ে চড়ায় যার অনেকাংশ সুভিয়েত ইউনিয়নের মূল মানচিত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া দেশের মতো, কোনো কোনো ফুটো দিয়ে গায়ের চামরা পর্যন্ত দেখা যায়। শরীরের মতো জামাটিও অর্ধমৃত অস্থায় সময়ের সাথে যুদ্ধ করে এখনো টিকে আছে। এই সমস্ত দিকে বৃদ্ধের মোটেও খেয়াল নেই, তার সমস্ত মন প্রাণ কেবল জীবন যুদ্ধের দিকে। এ যুদ্ধে তার একমাত্র হাতিয়ার খেয়া ঘাটের ঐ ডিঙ্গা নৌকাটি, যেটি দিয়ে বছরের পর বছর যুদ্ধ করে যাচ্ছে। সকাল থেকে রাত অবদি এই নৌকায়, সেটি যেন তার অভিন্ন আরেকটি দেহ। নৌকাটিকে সে তার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে, মায়া করে। এটি যে তার শেষ ও এক মাত্র হাতিয়ার, তাই কোনোভাবে এর অযতœ হোক, তার কল্পনায়ও আসেনা। নিজের শরীরের উপর ধুলো বালির স্তুপ পরে আছে, দেখলে মনে হয় এই মাত্র প্রলয়ঙ্কর সাইমুম বয়ে গেছে। অথচ নৌকার মাঝে ধুলো বালি দেখলেই ছেড়া গামছাটি দিয়ে ঝেড়ে পরিস্কার করে। তবুও যাত্রীরা তার ডিঙ্গায় চড়তে চায়না। এজন্য মাঝে মাঝে যাত্রীদের উপর বৃদ্ধের প্রচন্ড রাগ হয়, আবার কমে আসে। যাত্রীদের দোষ দিয়ে লাভ কি, একেতো ভাঙ্গা ডিঙ্গা তার উপর বিধ্বস্ত বৃদ্ধ মাঝি, চলার গতি কম, তাদের দোষ কোথায়। খুব কম লোকই তার ডিঙ্গায় চড়ে, যারা তার ডিঙ্গায় চড়ে বেশির ভাগই বৃদ্ধ বয়েসের। বৃদ্ধরাই বৃদ্ধদের বুঝতে পারে। এক সময় অন্য সময়কে বুঝতে পারেনা, যৌবন বুঝেনা বয়সের জালা আর বয়স বুঝতে চায়না সময়ের বাস্তবতা। বৃদ্ধের যত রাগ-খোভ, তার শরীরের উপর, বয়সের উপর, জীবনের উপর তার কোনো অভিযোগ নেই, অভিমান নেই। সে বাঁচতে চায়, টিকতে চায়, যে অবস্থাই হোক কেউতো আর মরতে চায়না। যারা অভিমানে আতœহত্যা করতে ফাঁসিতে ঝুলে তারাও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে চায়। শরীর আর বয়সের পিচ্ছিল রশিতে ঝুলন্ত বৃদ্ধ মাঝিও বাঁচতে চায়। যে জীবন তাকে আতিষ্ট করে তুলছে সে জীবন ছেড়েও সে যেতে চায়না। কোথায় যাবে কোন অনিশ্চিতের দেশে, পৃথিবীর প্রতি তার মায়া জন্মে গেছে, এত সুন্দর পৃথিবীতে সে মৃত্যুও আগ মূহুর্ত পর্যন্ত বাঁচতে চায়। কনকনে শীতের ভোরে ছেড়া কোর্টটি গায়ে জড়িয়ে এক হাতে লগি অন্য হাতে বৈঠা নিয়ে বৃদ্ধ বেড়িয়ে যায়। তার ছানি পড়া চোখ যোগল কুঠরির ভেতর থেকে আলো আধারীর মাঝে সঠিক পথ খুজে বের করে। সেই পথে কঙ্কাল সার মাংস শুণ্য পা দুটি ফেলে ধীর কদমে এগিয়ে চলে খেয়া ঘাটের দিকে। মাঘের বাঘ কাপানো শীত বৃদ্ধের সারা শরীরর বরফের মতো ঠান্ডা করে দেয়; তবুও চলার গতি রোধ করতে পারেনা। যেনো জীবন যুদ্ধে সে এক অভিজ্ঞ বিজয়ী বীর, কোনো বাধাই তার কাছে বাধা নয়। কদিন ধরেই শীত বাড়ছে, মনে হয় শৈত প্রবাহ পড়েছে। লোক জন তেমন একটা বাড়ির বাহির হচ্ছেনা, বাজারে আসবেতো দূরে থাক। প্রয়োজন সমস্ত বাধাকেই উপেক্ষা করে তাই কেউ কেউ এই প্রতিকুলতার মাঝে আসে, যারা আসে তার অধিকাংশই যুবক। যুবকদের প্রতি বৃদ্ধের আলাদা একটা ঘৃণা আছে তার ডিঙ্গায় চড়েনা বলে। আবার ভাবে ওদের দোষ দিমু কি? আমার ডিঙ্গা চলে ধীরে ধীরে, ঘাটে অন্য ডিঙ্গা থাকলে আমারটায় চড়বে কেনো? যুবকদের এত ধৈর্য্য কই? এই জন্য আসকর মাঝির বেশি অভিমান নুয়ে আসা শরীরের প্রতি। সে ভাবে শরীর বয়স কালে এত ভেঙ্গে যায় কেনো? মনে মনে ভাবে একই উনুনের পাক খাই, অথচ নাতনী ফুলভানুর শরীর ভালো হয় আর আমারটা ক্ষয়ে যায়। কি জানি বয়সের উপর ভিত্তি করে পুষ্টিগুণ বিপরীত কার্যক্রম করে কিনা, তাহলে না খাইলেইতো পারি। আবার ভাবে না খেয়ে বাঁচা যায় নাকি। নাতনীর কথা মনে হতেই আসকর মাঝির চোখ যুগল ছল ছল করে উঠে। ফুল ভানুর বাবা মাকে নিয়ে তার সুন্দর পরিপাটি সংসার ছিল; কিন্তু সেই সংসারটি বুঝি আল্লাহর সইলনা। আসকরের ধুসর চোখ হতে দুফোটা জল মুখের রুক্ষ চামড়ার উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ে। আকাশের দিকে তাকিয়ে আসকর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে। আর মনে মনে বলে হায়রে সময় তুই আমার সব কেড়ে নিলি, এখন বাকি আছি আমি আর ফুল। ফুল ভানুরও আজ কটা দিন ধরে শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা। শৈত্য প্রবাহ বাড়ার সাথে সাথে ফুলের শরীরটাও কেমন যেন জ্বর জ্বর মনে হচ্ছে। বৃদ্ধ আসকর ঠিক বুঝতে পারেনা; তার ঠান্ডা হাতে শীতের দিনে সব কিছুই গরম গরম মনে হয়। আসকরের মনে পরে আসার সময় কালা চানের মা বলেছিল, ফুল ভানুর অনেক জ্বর আসার সময় অষুধ আইন্য। আসকর শুধ মাথা নেড়ে বলেছিল হুম। ফুল ভানুর কথা মনে হতে বৃদ্ধের চোখে ভেসে উঠে অসহায় ফুলের মুখটি। শৈত্য প্রবাহ আরো তীব্র হয়েছে মনে হয়, বৃষ্টির ঝিড় ঝিড় ফোটার মতো কুয়াশা ঝড়ছে। আসকর ছেড়া গামছাটা মাথায় বাঁধে, এক জন যাত্রীর এগিয়ে আসা লক্ষ করে মনে মনে ভীষণ খুশি হয়। ঘাটে আর ডিঙ্গা নেই, আসকর মনে মনে ভাবে শৈত্য প্রবাহ ভাগ্যটাকে বুঝি খুলে দিল, ঘাটে অন্য ডিঙ্গা থাকলে হয়তো সেও আমারটিতে চড়তনা। লোকটি ডিঙ্গায় চড়ে, আসকর নৌকা ভাসিয়ে দেয়। ধীরে ধীরে তার ভাঙ্গা নৌকা চলতে থাকে। আসকরের মনে হয় ডিঙ্গাটি চলার সাথে সাথে তার জীবন তরীও ধীর পায়ে মৃত্যুও দিকে এগিয়ে চলে। মৃত্যুও কথা মনে হলে বৃদ্ধ আসকরের মনের ভেতর ছাই চাপা আগুনগুলি দাবানলের মতো বেড়িয়ে আসে। যত মৃত্যু সে দেখেছে এত মৃত্যু দেখার জন্য মনে হয় কেউ এতটা কাল বেঁচে থাকেনা, তবুও আসকর বেঁচে আছে। বৈঠা চালানোর শব্দের সাথে বৃদ্ধের হাড়ের কড়মড় নড়াচড়ার শব্দ বাতাসে মিলিয়ে যায়। ব্যথায় কুকড়ে যায় তবুও থামেনা, তার ব্যথা কাউকে বুঝতেও দেয়না। নৌকা ঘাটে ভীরে, যাত্রী বলে চাঁচা পাঁচশ ভাংতি অইব। আসকর বলে কি জানি বাপু ডিঙ্গা বাইয়া ভাতের টেকা অয়না ঠিক কইরা, পাঁচশ ভাংতি পামু কই ! ঠিক আছে তয় পরে নিও, অহন বাজারে যাই। আসকর কিছু বলেনা, তার ধুসর চোখ দুটি কুটরির ফাঁক দিয়ে যাত্রীর যাবার পথে ফ্যাল ফ্যাল অপলক নেত্রে তাকিয়ে থাকে। আর মনের অজান্তেই একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেড়িয়ে আসে, কপাল আমার। আসকর জানেনা এই টাকা সে পাবে কিনা, এমন অনেকেই বলে যায় কেউ দেয় আবার অনেকেই দেয়না, তাতে সে কিছুই মনে করেনা। কত রংয়ের মানুষ পৃথিবীতে আছে তা বৃদ্ধ আসকরের চেয়ে কে ভাল জানে। শৈত্য প্রবাহের ভেতর দিয়ে রোজকার মতোই নানা ভাবনার মধ্য দিয়ে সন্ধা এসে আসকরের জীবন সন্ধায় একাকার হয়ে যায়। বৃদ্ধ আজ একটু তারাতারি রওয়ানা দেয়। নাতনীর শরীর খারাপ দেখে এসেছে, কি জানি ওর শরীর এখন কেমন হইছে। বাড়ি ফিরে দেখে এই ভরা শীতে কালা চানের মায় ফুল ভানুর মাথায় পানি ঢালতেছে। ফুল ভানু চোখ বন্ধ রেখে আবোল তাবোল ভাবে বলতেছে বাবায় আর মায় আমারে নিতে আইছে, আমি চইলা যামু। এ দেখে বৃদ্ধের মন কেঁদে উঠে, সে বলে না ফুল তর কিছু অয় নাই তুই যাইতে পারবিনা, যাইতে পারবিনা ফুল, আমি তরে যাইতে দিমুনা। বৃদ্ধের চোখের জল ফুল বানুর গোলাপের মতো মুখের উপর পড়ে। আসকরকে দেখে কালা চানের মা জিজ্ঞেস করে অষুধ আনছ। না, আসকর জবাব দেয়। আনোনাই কেন? টাকা পামু কই ! যেই টাকা অইছে তা দিয়া অষুধ আনলে খামু কি? তা ছাড়া ফুলের তো তহন তেমন অসুখ দেহি নাই, মনে করছি বালা অইয়া যাইব এমনিতেই। বৃদ্ধ উচ্চ স্বরে চিৎকার করে কেঁদে উঠে। কেঁদে কেঁদে বলে, ঐ কালার মা আমার ফুল এমন করে ক্যা? এমনিতেই ফূর্তিতে ! কালার মা ব্যঙ্গ করে মনের জেদ মেটায়। সেও ফুল ভানুকে অনেক ভালবাসে। জ্বরে ফুল ভানুর শরীর কাঁপতে থাকে, চোখ মেলে তাকাতে পারেনা। ফুল ভানু জ্বরে ঘোরে বলেই চলছে, কত কথা যে বলছে তার ইয়াত্তা নাই। আস্তে আস্তে ফুলের কন্ঠস্বর ছোট হয়ে আসে, তুবুও বলা থামায়না, অস্ফুট স্বরে এলোমেলো বলেই চলছে। ফুলের কথা শোনার জন্য আসকর ও কালাচানের মা চুপ হয়ে যায়, অস্পস্ট হলেও কিছুটা বুঝা যায়। ফুল বলে চলছে, তার কন্ঠ আরো ক্ষীণতর হচ্ছে, আসকর নাতনীর অস্পস্ট কথা বুঝার জন্য মাথা নামিয়ে কানটি ফুলের মুখের কাছে ধরল, ফুল অস্ফুট স্বরে ধীরে ধীরে বলে চলছে বাবা মা আমি আইতাছি খাড়াও আমারে লইয়া যাও। আসকর মুখের কাছে কান লাগিয়ে রাখে আর কোনো শব্দ বের হয়না, ফুলের শরীরের কাঁপণ থেমে নীথর হয়ে আসে। বৃদ্ধ আসকর এ লক্ষণ ভালো মতোই বুঝে। সে অনেক মৃত্যু দেখেছে, এক এক করে তার সংসারের সবাই চলে গেছে, ছিল এই ফুল ভানু সেও এমন করে চলে যাবে বৃদ্ধ ভাবতেই পারেনী। বৃদ্ধ আসকর নাতনীর লাশের উপর আছড়ে পড়ে চিৎকার করে কেদে উঠে। এমন অনেক মৃত্যু ব্যথা তার মনে ছাই চাপা ছিল আজ যেনো সব এক সাথে বেড়িয়ে এলো। চিৎকারের তান্ডবে তার কঙ্কালসার দেহ থেকে আতœা বেড়িয়ে আসতে চায় কিন্তু পারেনা। বৃদ্ধ নাতনীর লাশ আকরে ধরে অঝোরে কেঁদেই চলছে। সম্ভবত রাতের শেষ প্রহরে আসকরকে সমবেদনা জানাতে সমস্ত সৃষ্টি জগৎ কেঁদে বুক ভাসাইছে। এখনো বৃদ্ধের বুক ফাটা বোবা কান্নার সাথে তাল মিলিয়ে নয়নের জল ঝড়াচ্ছে। নয়ত এমন ভরা মাঘে কি আর এভাবে বৃষ্টি হয়। ঠিক বলতে পারবনা নাতনী মরাতে বৃদ্ধ আসকর পাগল হয়েছে কিনা, নাকি জীবনের কঠিন বাস্তবতা দুঃখের হিমালয়কে আবৃত করে রাখে। শুধু মনে পরে সেই আলো আধারীর মাঝে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বৃদ্ধ আসকর ধীর পায়ে খেয়া ঘাটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর তার চেহায় ফুটে উঠছিল তবুও বাচার প্রত্যয়, মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত আমি বাচতে চাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.