![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল রাতে ওয়াজ শুনছিলাম। শীতকালে দুইটা জিনিস বারে, একটা বিবাহ অপরটা ওয়াজ। ইদানিং ওয়াজ যাতে বেশি মানুষ শুনতে পারে তাই গোলিতে গোলিতে আয়োজকরা মাইক বসায়া দেয়। ওয়াজ শুনবিনা মানে, শুনতে হবেই, এই পন করেই তারা ওয়াজ আয়োজন করছেন বলে মনে হয়। কিছুদিন আগে এক ওয়াজ শোনার অভিজ্ঞতা থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিছিলাম। সেদিন জনৈক মোল্লা বিবর্তনবাদ, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। গতকাল এক মোল্লা করলেন বুদ্ধিজীবী বিষয়ক আলোচনা। উনি দাবি করলেন যে বুদ্ধিজীবী যাদের বলা হয় তাদের যেহেতু কোরান সুন্নাহর জ্ঞান নাই সুতরাং ওনারা হলেন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, আসল না। উনি দাবি করলেন যে শুধু কোরানের জ্ঞান থাকলেই চলবে, জগতে আমাদের আর কোন জ্ঞানের দরকার নাই। যেই মাইকে পুরা এলাকা কাপিয়ে তিনি এই ঘোষনা দিচ্ছিলেন সেই মাইকটাকি কোরানের জ্ঞান দিয়েই বানানো হইছিলোকিনা সেই প্রশ্ন আমার মনে আসলেও তা প্রকাশ করার উপায় পাইনাই তখন। এখন করছি, ব্লগে।
কিন্তু ব্লগে কাদের কাছে করছি। অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত, প্রগতিশীল, আধুনিক মধ্যবিত্ত্ব অথবা উচ্চবিত্ত্ব একটা জনগোষ্ঠি আমার ব্লগ, ফেসবুকের বন্ধু এবং ফলোয়ার। ঐ মোল্লা যাদের কাছে মাইক লাগিয়ে ওয়াজ করেছেন তারা এই শ্রেণীতে পরেন না। আমি যাদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দিচ্ছি, যাদের উদ্দেশ্যে ব্লগে লিখছি, তাদের সাথে ঐ মোল্লার মাইকে ঘোষিত ওয়াজ যারা শুনছেন তাদের একট শ্রেণীগত দ্বন্দ এভাবে তৈরি হচ্ছে। এইসব দ্বন্দের একটা চুড়ান্ত উদাহরণ হতে পারে আসিফ মহিউদ্দীনের উপর হামলা। কিন্তু এটা আনন্দের কথা না। কারন ফেসবুকের এই শ্রেণী সংখ্যায় ওয়াজ শোনা শ্রেণীর হিসাবে অত্যন্ত নগন্য। বাংলাদেশে যারা নিজেদের মুক্তমনা দাবি করে তারা সংখ্যায় খুব বেশিনা। বাংলাদেশে তারা টিকে আছে, টিকে গেছে কারন এদেশের মানুষের দীর্ঘকালের মুক্তমত ও মানবতাবাদের ইতিহাস আছে বলে। বাংলাদেশের এই ইতিহাস আছে বলেই বাংলাদেশ পাকিস্তান অথবা আফগানিস্তান হয়ে যায়নাই। কিন্তু এই যে ১৫/১৬ কোটি জনতা, তার কাছে মোল্লার ওয়াজ কতো দ্রুত পৌছে, তার চিন্তা ভাবনায় সাম্প্রদায়িকতা ও অজ্ঞতার মৌলবাদ কতো দ্রুত নিজের জায়গা করে নিয়েছে, নিচ্ছে। এদেশের চিরাচরিত প্রগতিশীলতার যে ইতিহাস তার সাথে ব্রিটিশ আমলে জন্ম নেয়া আধুনিকদের প্রগিতশীলতার যে আমূল শ্রেণীগত দুরত্ব তৈরি হয়েছে তার ফাক দিয়েই কিইন্তু ওয়াহিবীবাদ, দেওবন্দী প্রভাব, জামাতি ইসলামিস্ট রাজনীতি, হিজবুতি খেলাফতী স্বপ্নদোষ ইত্যাদি এই দেশে জায়গা করে নিয়েছে। এইসকল প্রভাব ও স্বপ্নদোষ সংশ্লিষ্ট মানুষের আয় রোজকার, ক্ষমতার স্বার্থে নিজের নিজের মতো ইসলাম প্রচার করেছে, তা দিয়ে জনগণকে প্রভাবিত করেছে, উত্তেজিত করেছে, বাধ্য করেছে গোটা দেশের রাজনীতিটাই বদলে দেয়ার। একাত্ত্বরের পর যখন ধর্ম রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় তখন থেকেই ওয়াজ বেরেছে এই দেশে। এখন তার ফলাফল আমরা দেখি। এবং খুব অবাক করা কারনে আমরা আবার অবাকও হই। কিন্তু এই সহজ সত্যটার মুখোমুখি আমরা হতে পারিনা যে এদেশের মৌলবাদী, ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি নিজেদের স্বার্থ, নিরাপত্ত্বা এবং ক্ষমতার জন্যে অনেক বেশি পরিশ্রমী, আদর্শবাদী এবং উদ্দেশ্যের প্রতি বিশ্বস্ত। সাংগঠনিক কাজের প্রয়োজনে ফান্ড কালেকশনে তারা নির্লজ্জ। পুজিবাদী দুনিয়ায় ব্যাবসায়ীর মতোই তারা নেকি ক্রেডিটএর লোভ দেখিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মতো পরকালে বেহেশতের জমির মালিকানার নানান রকম প্রজেক্ট তারা তৈরি করে রেখেছে। ওয়াজে, মসজিদে, মাদ্রাসায়, ইসলামিস্ট রাজনৈতিক দলে বিভিন্ন কিস্তির ব্যাবস্থা আছে আজীবন যেসব কিস্তি দিয়ে যে কেউ পরকালে কয়েকটা পৃথিবীর সমান জমির মালিক হতে পারেন, মালিক হতে পারেন অগনিত হুরির।
আমাদের মুক্তমনারা এর বিপরীতে কি করেছে? তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ জ্ঞান বুদ্ধির গরিমা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছে। কে কার চেয়ে বড় মুক্তমনা, কে কারচেয়ে বড় মানবতাবাদী সেইটা প্রমান করার চেয়ে বড় কোন কাজ তাদের আছে বলে মনে হয়না। তবে তাদের কেউ যখন আক্রান্ত হয়, আহত হয়, খুন হয় তখন মাঝে মাঝে তাদের টনক নড়ে। টনক কিছুক্ষন পেন্ডুলামের মতো এদিক সেদিক নড়াচরা শেষ হলে আবার শুরু হয় তাদের ব্যক্তিগত কায়দায় নিজেকে মুক্তমনা প্রমানের দৌড় ঝাপ। অন্য কোন মুক্তমনার ভক্ত বারলে তারে বানায় নবী, কিন্তু নিজে আবার ঠিকই নিজের ভক্ত পরিবেষ্টিত হয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। আমাদের এদেশের মুক্তমনাদের কোন লক্ষ্য নাই, উদ্দেশ্য নাই, ব্যক্তি প্রচার ছাড়া। নিজেদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভক্ত গোষ্ঠি নিয়ে তারা এদেশের কোটি কোটি জনতার চেয়ে প্রতিদিন দূরে সরে যায়, যোজন যোজন দূরে। আর মহল্লায় মহল্লায় অলিতে গলিতে মাইক লাগিয়ে নিজেদের ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা প্রচার করে। সেগুলা প্রচারের বিনিময়ে তারা টাকা পায়, দেশের মানুষ থেকে চাদা তুলে পায়, বিদেশী পেট্রো ডলার থেকে পায়। নিজেদের শ্রেণী স্বার্থ বিষয়ে তারা অত্যন্ত সচেতন। যেটা এদেশের মুক্তমনাদের শিখতে আরো অনেকদিন লাগবে।
আমি নিজে এই ত্রুটিমুক্ত হওয়ার চেষ্টা করি। ফেসবুক বা ব্লগ আমার একমাত্র জায়গা না। এদেশের যে বিরাট জনগোষ্ঠি ইন্টারনেট, ব্লগ অথবা ফেসবুকের সাথে পরিচিত না, অথবা নিয়মিত অংশগ্রহণ করেনা তাদের জন্যেই আমি একটি পাঠাগারের সাথে যুক্ত, আরজ আলী মাতুব্বর পাঠাগার। আমি চাই পাড়ায় পাড়ায় পাঠাগার গড়ে উঠুক, যা হবে এই দেশের প্রতিটি এলাকার তরুন তরুনির ইবাদত খানা। যেখানে জ্ঞানার্জন সবচেয়ে বড় ইবাদত হবে, যেখানে মানুষের চেয়ে বড় কোন সেবার বস্তু অথবা আরাধ্য থাকবেনা। যেখানে সে মুক্তভাবে, মুক্তমনে পাঠ করবে। যেখানে নিয়মিত পাঠচক্র, কর্মশালার মতো খুতবার ব্যবস্থা থাকবে। খুতবায় মোল্লাকে কিছু জিজ্ঞাস করা যায়না। এসব পাঠচক্র, কর্মশালায় প্রশ্নে কোন বাধা থাকবেনা। ওয়াজ মাহফিলের বদলে লালন সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন হবে, আয়োজন হবে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদেশের হাজার বছরের প্রগতিশীল চর্চার সাথে সবার পরিচয় হবে, সারা দুনিয়ায় কি হচ্ছে, জ্ঞান বিজ্ঞান কোথায় যাচ্ছে তা সম্বন্ধে সবাই জানবে। ধর্ম নিয়া প্রশ্ন তোলা হবে, রাজনীতি নিয়া প্রশ্ন তোলা হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সাথে প্রতিটি তরুনের সম্পর্ক তৈরি হবে। এইরকম একটা স্বপ্ন থেকেই আমরা একটি পাঠাগার চালাই, আরজ আলী মাতুব্বর পাঠার। ঠিক এই কাজগুলাই এই পাঠাগারটি করে। আগামী ২৪ জানুয়ারি পাঠাগারটির প্রথম সম্মেলন। ছয় বছর আগে প্রতিষ্ঠা হলেও পাঠাগারের কোন সম্মেলন এর আগে হয়নাই। এই সম্মেলনে, এই মাহফিলে, এই জলশায় অনেকে উপস্থিত হবেন, অনেক নতুন প্রাণের অভিষেক হবে পাঠাগারের সদস্য পদে, অনেক তরুন সদস্যের খেলাফত হবে বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদে। আপনাকে এইখানে দাওয়াত। অবশ্যই উপস্থিত হবেন। এবং অবশ্যই আমাদেরকে বেশি বেশি করে চান্দা দিবেন। আমরা বাকির লোভ দেখাই না, আমরা নগদে বিশ্বাসী। আমাদের সাথে থাকুন, আমাদের সহযোদ্ধা হউন, আমাদের সহযোগি হউন এবং সেই সাথে এই দুনিয়াতেই, এই বাংলাদেশেই আপনার জন্যে, আপনার সন্তানের জন্যে সুন্দর, সুস্থ্য, আশাবাদী বেহেশত বিনির্মান করুন, যেখানে শুধুমাত্র মতপ্রকাশের জন্যে আপনার উপর কেউ ঝাপিয়ে পরবেনা অস্ত্র হাতে। আমরা শুধু ফেসবুকে না, শুধু ব্লগে না, আমরা রাজপথে, অলিতে, গলিতে, মহল্লায় লড়াই করছি। আমরা হেরে গেলে আপনি হেরে যাবেন, আমরা জিতে গেলে আমাদের পাঠাগারের মতো আরো হাজারো পাঠাগার হবে বাংলাদেশে, এবং বিশ্বাস করেন সেইটা একটা দেখার মতো বাংলাদেশ হবে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: দারুন পোষ্ট।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২১
নিলয় তৌহিদুল বলেছেন:
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ভালো লাগলো ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
এরকম পাঠাগার ঢাকার আরও বিভিন্ন জায়গায় করা দরকার
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩
পারভেজ আলম বলেছেন: অবশ্যই। তবে শুধু ঢাকাতেই না। সারাদেশেই করা দরকার। আমি বলি শুরুতে ৬৪ জেলায় ৬৪টি টা করতে হবে।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তবে উগ্রতা ঘৃণা পরিহার করে অন্যকে সম্মান করার মত মানসিকতা সবারই থাকতে হবে সবারই। মানুষ যদি আপনাকে পছন্দ করে তাহলে আপনার কথা যতটা শুনবে বা মানবে, অপছন্দ করলে তার চাইতে যত বেশী জ্ঞানের বা লজিক্যাল কথাই বলেন না কেন কোন কাজ হবেনা। যে উগ্রতা বা ঘৃণাবাদ বা নিজেকে খুব বেশী জ্ঞানী বিচক্ষণ হিসেবে জাহির করা অনলাইনে স্বঘোষিত মুক্তমনাদের অনেকের মধ্যেও উপস্থিত। মাস পিপলরে সম্মান দিয়ে কথা বলতে না পারলে আর যাই হোক তাকে মুক্তমনা দাবী করা যায়না কোন মতেই। তাদের কারণে দেশ শুধু ক্ষতিগ্রস্থই হবে এবং পশ্চিমা মিডিয়ার এই দেশের গোষ্ঠী উদ্ধারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর বেশী কিছুই না।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনি যেটা বললেন আমি সেটা শতভাগ সমর্থন করি। তবে উগ্রতা পরিহার করা একটি মহত গুন, সবাইকে সম্মান করা একটি অতি মহত গুন। এসব গুন চর্চা করে অর্জন করতে হয়। আপনি চাইলেই সবার কাছে পাবেন না। আমি এসব গুনে অর্জন করার চেষ্টা করি, সবসময় পারিনা। যতোটুকু পারি তাও পাঠাগার করতে গিয়েই শিখেছি। দেখেছি এদেশের সাধারণ মানুষের সাথে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তি চর্চাকারী এবং প্রগতিশীল শ্রেনির পার্থক্য কি কি কারনে তৈরি হয়। আমি কাজে বিশ্বাস করি, তাই কাজের প্রয়োজনে নিজেকে পরিবর্তন করেছি। করে এখন ভালো বোধ করি, কারন এই পরিবর্তনটা আমাকে মানুষ হিসাবে আগের চেয়ে অনেক পরিশিলিত, কর্মক্ষম, দায়িত্ববান ও সামাজিক বানিয়েছে। ভুলে গেলে চলবেনা যে এদেশে যারা অনলাইনে বেশি সময় দেন তারা কম বেশি কিছুটা হলেও সোস্যালি আইসোলেশনে থাকতে পছন্দ করেন বা থাকতে বাধ্য হন। তাই আস্তিক নাস্তিক নির্বিশেষে শ্রদ্ধা সম্মান ভদ্রতার চর্চা কম।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০
স্বাধীকার বলেছেন:
পারভেজ ভাই,
গতকাল আপনার এক বন্ধুর সাথে কথা হলো, তিনিও আপনার পাঠাগার সম্পর্কে আমাকে বলছিলেন। ব্লগ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, পারভেজ আলমকে চেনেন নাকি। হ্যা বললাম। আর যা বলেছি, এখানে বলা যাবেনা। আপনার বন্ধুটি রেডিও লিংকের কাজে দিনাজপুর আসলো। আমরা একই ট্রেনের একই বগীর যাত্রী ছিলাম। সব শেষে তিনি আমার ব্লগ নিকটির নাম জানতে চাইলেন, আমি জানালাম। অবশ্য ট্রেনেও একজন সাবেক শিবিরকর্মীকে পেয়ে সাইজ করা হলো। শেষে আপনার বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নিলাম। ধনিয়ায় থাকেন তিনি-আর বিশেষ কিছু এখানে বলা সমীচিন মনে করছিনা।
লাইব্রেরী গড়ে তোলা, পাঠক সৃষ্টি করা সত্যিই প্রশংসনীয় কাজ। এ ধরণের কাজে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবারই এগিয়ে আসা দরকার। সমাজের চিপায় চাপায় যেসব মৌলবাদী পরজীবী ফাংগাস জন্ম নিচ্ছে-সেগুলো প্রতিরোধে লাইব্রেরী ও মুক্তচিন্তা প্রসার খুবই প্রয়োজন। আপনার কাজে সমর্থন থাকলো। লামছড়ির মতো অন্ধকার গ্রামটি মাতুব্বরকে জন্ম দিতে পারলে, রাজধানীর আলোকিত সমাজ কেন পারবেনা, পারতেই হবে। শুভকামনা।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০
পারভেজ আলম বলেছেন: আমি বুঝতে পারছি কার কথা বলছেন। আমার এই বন্ধুটি অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সাংগঠনিক একটি ছেলে। পাঠাগার গড়ে তোলায় তার অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার সাথে আপনার দেখা হয়ে ভালো হয়েছে। আপনার সম্বন্ধে তার কাছে জানতে পারবো।
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনি বলেছেন : "আমাদের এদেশের মুক্তমনাদের কোন লক্ষ্য নাই, উদ্দেশ্য নাই, ব্যক্তি প্রচার ছাড়া। নিজেদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভক্ত গোষ্ঠি নিয়ে তারা এদেশের কোটি কোটি জনতার চেয়ে প্রতিদিন দূরে সরে যায়, যোজন যোজন দূরে।"
কঠিনভাবে সহমত।
আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান জানাচ্ছি, আপনার দারুন উদ্যোগএর সমর্থন জানাচ্ছি..........
৭ নং এ স্বাধীকার বলেছেন: "লামছড়ির মতো অন্ধকার গ্রামটি মাতুব্বরকে জন্ম দিতে পারলে, রাজধানীর আলোকিত সমাজ কেন পারবেনা, পারতেই হবে। "
ঠিক বলেছেন উনি
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২১
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৪
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ব্লগে লড়াই করে আমার মনে হয় না কোনো লাভ আছে। ওয়াজ যারা করছে তারাই আসল শ্রোতা বেছে নিয়েছে, যাদেরকে শোনালে কাজ হবে। আমার এটাই মনে হয়। এজন্যই পরিবর্তন খুব বেশি দেখা যায় না।
শুভকামনা।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২২
পারভেজ আলম বলেছেন: কোন লাভ নাই তা না। কোন লাভ না থাকলে আর এখানে লিখছি কেনো। কিন্তু আমি যেটা বলছি তা হলো যে শুধু ব্লগে লড়াই করলে ওয়াজ শ্রোতাদের সাথে আমাদের শ্রেণীগত পার্থক্য ও দ্বন্দ তৈরি হবে।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৬
নস্টালজিক বলেছেন: চমৎকার উদ্যোগ, পারভেজ!
অনেক, অনেক শুভকামনা থাকলো!
১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৮
বাঘ মামা বলেছেন: ওভার অল আপনার এই লেখাটি চমৎকার হয়েছে।
কিছু বিষয়ে একটু দ্বিমত রাখছি, সেই বিষয়ে আমি আগামিকাল লিখবো।
শুভ কামনা রইলো পারভেজ ভাই
১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৫
অক্টোপাস পল বলেছেন: শুভকামনা।
১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৮
যান্ত্রিক দৃক বলেছেন: চলো বহুদুর!
১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৪
নোমান নমি বলেছেন: অতি দরকারি উদ্যেগ।
১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৫
রাফা বলেছেন: ভালো উদ্যোগ,শুভ কামনা রইলো।
১৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: প্রথমেই শুভকামনা। আমার একটা প্রশ্ন আছে। আপনাদের পাঠাগারের বই নির্বাচনের জন্য নিশ্চয়ই কোন নীতিমালা আছে? আমি ছোটবেলায় রাঙ্গামাটিতে বড় হয়েছি। সেখানে চমতকার একটি পাঠাগার ছিল, সেখানে গিয়ে আরব্য উপন্যাস আর এদেশী রাক্ষস খোক্কস এর বই যেমন পড়তাম আবার সাইন্স ফিকশনও পড়তাম। কিন্তু পাড়ার মুরুব্বীরা প্রায়ই জিজ্ঞেস করতেন ওখানে ইসলামী বই আছে কিনা, থাকলে সেগুলোই বেশী করে পড়তে বলতেন। তাই ইসলামী বইও কম পড়িনি, একসময় এর প্রভাবে বেশ ধার্মিক হয়ে পড়ি, আবার হিন্দুদেরকেও ঘৃণা করা শুরু করি। কাছের প্রাণপ্রিয় হিন্দু বন্ধুদের ঘৃণা করতে না পারলেও অন্যরকম একটা অনুভূতি ঠিকই আসত। কিছু ইসলামিক বইতে গল্প উপন্যাস গান বাজনা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ ছিল, যদিও সেগুলো মানা আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনি। আমি আরজ আলী মাতুব্বরের কোন বই সেখানে পাইনি আর তখন তাকে চিনতামও না। যদি তেমন কোন বই পেতামও আমি নিশ্চিত অভিবাবকরা জানলে পাঠাগারে যাওয়াই নিষেধ করে দিতেন। আপনাদের লাইব্রেরীতে এই রকম কোন সমস্যার অভিজ্ঞতা কি হয়েছে? কি ধরনের বই আপনারা রাখেন? ইসলাম বিরোধী বই রাখলে অনেকের আক্রোশের শিকার হতে পারেন আবার নিরদিষ্ট ধরনের কিছু ইসলামী বই রাখলে সাম্প্রদায়িক পাঠক তৈরী হবার সম্ভাবনা থাকে। আমার নিজেরও একটি গ্রাম্য পাঠাগার করার ইচ্ছা আছে। আপনার অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ আমার কাজে আসতে পারে। ধন্যবাদ।
১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
সায়েম মুন বলেছেন: এই ধরনের উদ্যোগকে অভিনন্দন। চালিয়ে যান।
১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৩
মনে নাই বলেছেন: বই-ই খুলে দিতে পারে চিন্তা-চেতনার দরজা। লাইব্রেরী স্থাপনের সাথে সাথে স্কুলে গিয়ে ছেলেমেয়েদেরকে বই পড়ার জন্য উৎসাহিত করা যেতে পারে। লাইব্রেরীতে যারা যাবেন তাদের জন্য বইয়ের কালেকশান একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় হয়ে উঠবে। সরাসরি আদেশ-নির্দেশ না থেকে গল্পের মাধ্যমে আদর্শকে ফুটিয়ে তুলতে পারলে সেটার ইমপ্যাক্ট বেশী হবে। গুড লাক।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সাথে আছি।