নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

িসজার

জীবনের আহ্বানে নিরন্তর ছুটে চলা এক মানুষ।

িসজার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাস জীবন - ০১

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪২

ছবি: পরিত্যাক্ত ব্রিজ

প্রবাস জীবনের স্মৃতিগুলো বেশ অম্লমধুর। সব সময় এটা বলা হয়ে থাকে মানুষ উন্নত জীবনের আশায় প্রবাস গমন করে। আজ নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু আলোকপাত করছি।

এই অভিজ্ঞতাটি একজন আফ্রিকান আমেরিকান পরিবার নিয়ে। পরিবারটি এসেছিল ঘানা থেকে। গৃহকর্তার বয়স ৪৫ বছর, চারটি বাচ্চা এবং মমতাময়ী একজন স্ত্রী। গল্পের খাতিরে ধরে নেই তার নাম স্যাম। পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। যখন সে আমেরিকায় এসেছিল তার আগে এসে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে একটা মাইনিং কোম্পানিতে কাজ করছিল। সে সে দেশের অর্থনৈতিক বিবেচনায় বেশ মোটা অংকের চাকরি করতো, তথাপি উন্নত জীবনের আশায় সে আমেরিকায় পাড়ি জমায়। এখানে এসে সে বেশ কিছুদিন গ্যাস স্টেশন, মুদিখানা এইসব জায়গায় কাজ করে। কিন্তু সে পড়াশোনাটা চালিয়ে যায় এবং আমেরিকাতে এসে সে তার মাস্টার্স ও এমবিএ সম্পন্ন করে। অবশেষে সে এক কর্পোরেট কোম্পানিতে বেশ বড় পদে আসীন হয় আর তখনই তার সাথে আমার পরিচয়। প্রফেশনাল সম্পর্ক ছাড়াও তার সাথে একটা অন্যরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার জীবনের অনেক গল্পও আমাকে শোনায়। কিভাবে সে বেড়ে ওঠে দরিদ্র পরিবারে। বাবা ছিলেন দিনমজুর আর মা দশটি সন্তানের লালন পালন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। সেখান থেকে সে বেড়ে ওঠে আর দেশের অন্যতম স্বনামধন্য এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করে।

যাহোক আমেরিকায় এসে সে অনেক সফল হয়, কিন্তু তার পরিবারকে সময় না দেয়ার কারণে তার পরিবার ভেঙে টুকরো হয়ে যায়। স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায় অন্য আরেকজনের সাথে আর ছেলে মেয়েরা যে যার মত প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। সে জীবনে অনেক সফল কিন্তু তার ভেতরের অব্যক্ত কষ্টগুলো কাউকে সে দেখাতে পারেনা। এই কষ্ট, ব্যথা আর যন্ত্রনা নিয়েই সে দিনগুলো অতিবাহিত করছে। নতুন করে কোনরকম কমিটমেন্ট বা রিলেশনে যেতে চায় না। যন্ত্রের মত সে শুধু কাজ করে যায় আর দিন শেষে বাড়ি ফিরে একরাশ হতাশা নিয়ে।

তো তার এই হতাশা পূর্ণ জীবন থেকে উত্তরণের জন্য আমি তাকে কিছু কমিউনিটি কার্যকলাপে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করি। কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতা থাকার কারণে সে আফ্রিকান আমেরিকান কমিউনিটিতে বিশেষ করে করে ধর্মীয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা মূলককাজকর্ম শুরু করে আর জীবনের এসব অপ্রাপ্তি থেকে কিছুটা হলেও বের হয়ে আসতে পারে। আমি মনে করি মানুষ হিসেবে এটাই আমাদের সার্থকতা যখন আমরা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ভালো কোন কিছুর জন্য উদ্যোগ নেই। সর্বশেষ তার সাথে আমার বছর খানেক আগে কথা হয়েছিল। সে এখন ব্যস্ত আছে কিভাবে আফ্রিকান শিশু-কিশোরদেরকে অপরাধ জগত থেকে বের করে আনা যায়।

এবার বলব এক বাংলাদেশী দম্পতির কথা। গৃহকর্তার বয়স ৫০, নাম ময়েজ। নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসে থাকেন। পরিচিত হয়েছিলাম এক আত্মীয়ের মাধ্যমে। দেশে কনট্রাক্টর হিসেবে কাজ করতেন আর স্ত্রী ছিলেন গৃহিণী। আমেরিকায় আসার পরে জীবনের বাস্তবতায় অনেক ধরনের কাজই তাকে করতে হয়েছে। দম্পতির একমাত্র সন্তান সে হাইস্কুলে পড়াশোনা করতো। দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রেমে পড়ে তার চেয়ে ২০ বছর বয়সে বড় এক মহিলার। পড়াশোনার ইতি টেনে সে চলে যায় তার নিজস্ব গন্তব্যে! একদিন গল্পচ্ছলে ভদ্রলোক খুব আফসোস করে বলতে থাকেন আমেরিকা তাকে অনেক কিছু দিয়েছে আবার অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। আমি কিছুটা অনুসন্ধান করলাম তার পরিবার সম্পর্কে। জানতে পারলাম ভদ্রলোক নিজেও তার স্ত্রীকে অন্য আরেকজনের কাছ থেকে সরিয়ে এনেছেন। আর বর্তমানে এই স্ত্রীও তাকে ছেড়ে অন্য কারো প্রতি মনোনিবেশ করছেন। এইসব থেকে মুক্তি পেতে তিনি এখন ধর্ম কর্মে নিয়োজিত করেছেন নিজেকে।

বিচিত্র মানুষ বিচিত্র তাদের চরিত্র। উপরোক্ত দুটি ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের পরিবারের উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় নিজেকে এতটাই ব্যস্ত করেছিলেন যে পরিবারের সদস্যদের কথাগুলো শোনার তাদের ফুসরত হয় নাই। এজন্য পরিবারকে উপযুক্ত সময় দেওয়াটা আমাদের প্রত্যেকের জন্যই শিক্ষনীয় বিষয়।

এই সিরিজটা শুরু করলাম, ইচ্ছে আছে নিজের আরও কিছু অভিজ্ঞতা বিনিময় করব ব্লগারদের সাথে।



মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৫

মামুinসামু বলেছেন: সুন্দর শিক্ষণীয় ঘটনার বর্ণনা করেছেন। আগামীতে আপনার আরও অভিজ্ঞতার কথা জানার অপেক্ষায়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:১৪

িসজার বলেছেন: জীবনে চলার পথে অনেক কিছুর সাথে পরিচিত হয়ে যায় মানুষ। সেগুলোর বহি:প্রকাশ ঘটে তার ব্যবহার আর শিষ্টাচার এ। আশা আছে আরও কিছু লিখার। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: যে কোন মানুষ আনন্দে থাকতে পারে আবার হতাশায় থাকতেে পারে।এটা নির্ভর করে তার চিন্তা ভাবনার ধরনের উপর।সে যদি বাস্তববাদী হয় তা হলে যে কোন বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আনন্দে থাকতে পারে।সে যদি কল্পনা প্রবন হয় তবে দঃখের কথা কল্পনা করে সে দঃখের সাগরে ভাসতে পারে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২৪

িসজার বলেছেন: সঠিক বলেছেন। আমাদের চিন্তা ভাবনার গতিপ্রকৃতি নির্ভর করে আমাদের বেড়ে উঠার উপরে। মানুষ আশাবাদী হয়ে উঠে ইতিবাচক পরিবেশে আবার নিরাশায় নিমজ্জিত হয় নেতিবাচক পরিবেশে। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজেকে অনেক আশাবাদী মানুষ বলে বিবেচনা করি। ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:১১

বিষন্ন পথিক বলেছেন: বাংলাদেশী দম্পতির ক্ষেত্রে কি আসল পরিচয় ব্যবহার করেছেন?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩২

িসজার বলেছেন: না, আমি আসল পরিচয় প্রকাশ করছি না। তবে এরকম ঘটনা বাঙালি সমাজে ঘটে চলেছে। যার কিছু প্রকাশ পায় আর কিছু অপ্রকাশিত থেকে যায়। ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কিছু কিছু মানুষ জীবনের মান শুধু অর্থনৈতিক মানদন্ডে পরিমাপ করে।এবং দিন শেষে তারাই হয়তো জীবনের কাছে হেরে যায়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১১

িসজার বলেছেন: অর্থই শুধু সফল হবার জন্যে যথেষ্ট নয়। এর সাথে আনুষঙ্গিক আরও বেশ কিছু বিষয়ের সফল সম্মিলন ঘটাতে পারলেই মানুষ সার্থকতা লাভ করে। ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শিক্ষনীয় গল্প। আসলেই কেবল টাকার পিছনে ছুটলে হবে না। পরিবারকে সময় দিতে হয়। এটা অনেক পুরুষই বুঝে না। টাকা টাকা করে একদিন জীবন থেকে সব সুন্দর স্বপ্ন হারিয়ে যায়। অল্পতে তুষ্টি থেকে যদি পরিবারকে নিয়ে থাকা যায় তাতেই একটা জীবন সফল বলে মনে করি

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাকে। প্রতিটি মানুষের স্বপ্নগুলোর গতিপ্রকৃতি ভিন্ন। সফল হতে পারে সেই যে জীবনকে ভারসাম্য বজায় রেখে সব কাজ সম্পন্ন করে।

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিদেশ মানুষকে টাকা দেয় কিন্তু কেড়ে নেয় সুখ

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২২

িসজার বলেছেন: অর্থ আসে সবার জীবনেই। কেউ সেটা আগে পায় অথবা কেউ পরে। প্রবাস জীবনে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য লাভের মোহে প্রবাসী গণ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান, কিন্তু কিছু প্রাপ্তি আর কিছু অপ্রাপ্তি থেকে যায়। হয়তো সুখটাকে আবদ্ধ করতে চান আর্থিক মানদণ্ড অনুযায়ী। কিন্তু সেটি যে কতটা ভ্রান্ত সময় সেটি কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দেয়। ধন্যবাদ

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবাই মনে করে ইউরোপ , আমেরিকা গেলেই মনে হয় জীবনের আর কোন দুঃখ, কষ্ট থাকবেনা। অথচ ওখানে গেলেও কর্ম করেই খেতে হবে, জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে হবে শ্রম দিয়ে...

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮

িসজার বলেছেন: কর্মই জীবন। বেচে থাকতে গেলে অর্থ থাকা আবশ্যকীয়। পরিমাণ ব্যাক্তি বিশেষে তারতম্য হয়। জীবনে টিকে থাকতে হলে পরিশ্রম করতেই হবে। আর পরিবারকে সময় দেয়াটা অনেক প্রবাসীর অর্থের সংস্থান করতে গিয়ে সংকট হয়ে দাঁড়ায়, যায় ফলে সৃষ্ট হয় ভাঙনের। ধন্যবাদ

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম জনের সাথে দ্বীতিয়জনেরটা মেলানো সম্ভবত ঠিক হবে না।
প্রথম ভদ্রলোকের চার সন্তান ছিল-পরের জনের মাত্র একটা।
দ্বীতিয়জনের স্ত্রী পরকীয়ায় বেশ অভিজ্ঞ! তার অন্য কারো সাথে সহজেই জড়িয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
প্রথমজন অতিমাত্রায় ক্যেরিয়ারস্টিক- দ্বীতিয়জন তেমন মনে হচ্ছে না।
যাই হোক ভাল লাগছে- লিখতে থাকুন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে বিশলেষণধর্মী মন্তব্যের জন্যে। দ্বিতীয়জনের ক্ষেত্রে আসলে আমি যেটা মনে করি নৈতিকতার অভাব ছিল পুরো পরিবারটিতে। আর তার ফলেই আজ সেই পরিবারে এমন ছন্দপতন।

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পরিবেশ/কালচার পরিবর্তিত হওয়াতে আচরণ পরিবর্তিত হয়ে গেছে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ। একটি শিশু বেড়ে ওঠে তার আশেপাশের সমাজ, সংস্কৃতি এইগুলো পর্যবেক্ষণ করে। তবে পরিবার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার সূতিকাগার। নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা মানুষ সেখানেই প্রথম দীক্ষা নেয়।

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: যাপিত বাস্তব জীবন থেকে উঠে আসা গল্পগুলো থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। যে ভুলগুলো অন্যরা করেছে সেগেুলো যেনো নিজের জীবনে না হয় সেই ব্যাপারে সচেতন থাকা যায়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ, সচেতন থাকাটা আমাদের সকলের জন্যই জরুরি নয়তো ভাঙন যেকোনো সময় এসে যেতে পারে।

১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "যা পাই তা ভুল করে পাই বা তা চাইনা,
যা চাই তা পাইনা"

- জীবনের এ এক জটিল হিসাব। অভাবের মাঝেও সুখ -শান্তি পাই ত অভাবকে বড়ই ভয়। আবার, অভাব দূর হয় তো সুখ -শান্তি উধাও। এ এক চরম জটিলতা। জীবন এক দু ধারী তলোয়ারের মত কোথাও সুখ কিংবা শান্তি নেই। না অভাবে না বিত্তে।

তবে,এটাও ঠিক জীবনে সব কিছুর জন্যই মূলই চোকাতে (দিতে) হয়। তা সে অর্থে কিংবা অন্য কোন ভাবে, তা সে যাই হোক না কেন। বিনা মূল্যে কিছুই মিলেনা।

আবার, সৃষ্টিকর্তা যদিও সব কিছুর বিনিময় দেন/দিবেন (তা সে যত ছোট ও সুক্ষই হোক না কেন) বলে ওয়াদা করেছেন তবে আমরা মানুষ নানা কারনে তাতে যথাযথ আস্থা বা শতভাগ বিশ্বাস রাখিনা । তা এ কারনে যে, সৃষ্টিকর্তার বিচার হয় ধীরে ধীরে যা সরাসরি নয় এবং মানুষ দেখেনা ( কিছু হবে ইহ জীবনে আর কিছু হবে পারলৌকিক জীবনে।যদিও বর্তমানে ভোগবাদী অনেক মানুষের পারলৌকিক জীবনের প্রতি আস্থা বা শতভাগ বিশ্বাস নেই)। আর তাইতো, সবাই নিজের ছেড়ে পরকীয়া কিংবা আরো নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে । এক সময় যখন নিজের দিকে ফিরে তাকায় তখন দেখতে পায় , তার নিজের জন্যও ভাল আর কিছু নেই। সবই হারিয়ে গেছে বিজ্ঞানের তত্ত্বানুসারে, " প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে"।

- আমরা আধুনিকতার দোহাই দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করি তা ঠিক আছে। আবার,আধুনিকতার অন্যতম অনুষংগ বিজ্ঞানের তত্ত্বও মনে রাখিনা। বেখেয়ালী,ভোগবাদী মানুষের জন্য এ এক বিস্ময়কর ব্যাপার।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে বেশ বড় এবং অর্থবহ মন্তব্যের জন্যে। আমরা আস্তিক বা নাস্তিক যেটাই হই না কেনো, ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া কে অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। মানুষ তার যাপিত জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে শুধু অর্থ উপার্জনের তাড়নায়। সে ভুলে যায় আশেপাশের সবকিছু। হাঁ, কিছু সুসময়ের মাছি জোট কিন্তু দুঃসময় এ কেউ তার পাশে থাকে না। আর যখন এটি সে বোঝে তখনই সব কিছু তার অর্থহীন মনে হয়। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি সম্পত্তি অর্জনের বিরোধী নই আর এটা অনস্বীকার্য যে আর্থিক সঙ্গতি না থাকলে মানুষের প্রতি তথাপি সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তবে সবকিছুই করা দরকার ভারসাম্য বজায় রেখে, নইলে অথৈ সাগরে নিমজ্জিত হয়ে যায় জীবনের তরী।

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ঘানার পরিবারটির জন্য মায়া হচ্ছে।
সিরিজটি অব্যহত রাখুন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ। সময় করে লিখাটা আসলে হয়ে উঠেনা জীবনের নানা ব্যস্ততায়। দেখা যাক কি হয়, আশা আছে সিরিজটা এগিয়ে নেয়ার।

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

কলাবাগান১ বলেছেন: নেওয়াজ আলী বলেছেন
"বিদেশ মানুষকে টাকা দেয় কিন্তু কেড়ে নেয় সুখ"

কিন্তু বিদেশ আমাকে টাকা দেয় নাই কিন্তু সুখ দিয়েছে

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ। অর্থ আর সুখ দুটো পরষ্পরের সাথে সম্পর্কিত খুব দুর্বল ভাবে। সুখ শুধু অর্থের বিনিময়ে আসে না, আরও পারিপার্শ্বিক অনুঘটকের প্রয়োজন হয়। আপনি সেগুলোকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করেছেন, যেজন্য আপনি সুখী।

১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রবাসী ব্লগাররা বিদেশ নিয়ে কমই লেখেন। আশা করি আপনার লেখা থেকে ভিন দেশের সমাজ সম্পর্কে জানতে পারবো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ, চেষ্টা করবো নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু লিখতে।

১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। শুভ কামনা।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্যস্ততার কারনে ব্লগে সময় দেয়া হয় না, তবে ইচ্ছে আছে পরবর্তী লিখা দ্রুত দিয়ে দেয়ার।

১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবারা এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

িসজার বলেছেন: আপনি বেশ সময় নিয়ে বিচরণ করেন ব্লগে!

১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

ইসিয়াক বলেছেন:







পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্টে ভালো লাগা রেখে গেলাম।
শুভকামনা।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৯

িসজার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আর অনেক শুভকামনা। সামুতে কয়েকজন গল্প লিখিয়ের মধ্যে আপনিও আমার পাঠের তালিকায় থাকেন।

১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১০

সোহানী বলেছেন: এরকম থিমের কিছু লিখা আমি লিখেছিলাম। আপনার লিখাটা চমৎকার হয়েছে। চলুক প্রবাস জীবনের গল্প।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৭

িসজার বলেছেন: ধন্যবাদ, সোহানী! আসলে সময় করে লিখা হয়ে উঠছে না। চেষ্টা করবো আরেকটা পর্ব তাড়াতাড়ি দিতে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.