নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অশ্র ছাড়াই বাঘ শিকার / এবং কারামুক্তি

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

খালি হাতে বাঘ শিকার করতেন জমিদার তুতা মিয়া





সময়টা ১৮ শ শতকের মাঝামাঝি । ভুমি অবমুক্ত ও রায়তের খাজনা আদায় এবং নানা অত্যাচার অনাচারের বিরুদ্ধে সাধারন

প্রজারা বিদ্রোহ করেছিল । পরগনা সাতলাখি সেলবরস । কথিত

রয় বাংলা ভুমির মধ্য সবচাইতে বড় জমিদারি ষ্টেট । তখনকার

সময় ৭লক্ষ টাকা ভুমি খাজনা প্রতি পলান আদায় হত ।



জমিদার তুতা মিয়া , হাতি শালে হাতি ঘোড়া শালে ঘোড়া / ছিল খানদানী ঝাকজমক পূর্ণ এক অতি শৌখিন তেজস্বী প্রবাদ পুরুষ ।একদিকে সুনামগঞ্জের উত্তর পূর্ব অঞ্চল অন্যদিকে কংসের ঘের

মোহনগঞ্জ নেত্রকোনার কিছুঅংশ এবং হিমালয় পাহাড়ের পাদদেশ

পর্যন্ত বিশ্রিত ছিল তার জমিদারি ।



প্রজা বিদ্রোহ দমন করতে তার লাটিয়াল ও রক্ষি বাহিনির খড়গ হস্ত ছিল খুবই সিদ্ধ ।

প্রজা বিদ্রোহের মুল হোতা আনিক /মানিক দুই ভাই প্রথমে জমিদার এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় । তাদের গাঁয়ে এত টুকু শক্তি

ছিল যে কুটার ছাড়াই বড় বড় গাছের ডাল ছিড়ে লাকড়ি বানিয়ে

ফেলতেন ।

কোনের কুঁড়া যা দিয়ে পানি সেচের কাজে লাগে । এই কোনের কুঁড়া কে লাটি বানিয়ে হাজার খানেক পাইক পেয়াদা কে সামাল

দিয়েছিলেন ।

জমিদার লোক লাগিয়ে রাতের অন্ধকারে দুই ভাইকে গুলি করে

হত্তা করে এবং লাছ মনাই নদীতে ফেলে দেয় । আনিক মানিকের মা ফৌজ রানি লোক লস্কর লয়ে লাছ উদ্ধার করে

সিলেট আদালতে সরাসরি হাজির হয় । এবং হাকিমের নিকট

সবিস্তার বর্ণনা দেন এবং অনেক টাকাও দেন ।

বিচারক কারন জানতে চাইলে উত্তর আসে জমিদার মানুষ মেরে

আপনাদের বস্তার বস্তা টাকা দিতে পারে । আর আমি মা হয়ে

সন্তানের লাছ লয়ে উপযুক্ত বিচারের দাবিতে টাকা দিলে সেটা

অবেধ্য হবে কেন ।

হাকিম সেদিন লজ্জাবনত হয়ে উপযুক্ত বিচারের কাট গড়ায় দাড়

করাতে তুতা মিয়া ও তার ভাই লাল মিয়া কে গ্রেফতার করে ।



বিচারে জমিদার দের যাবত জীবন দণ্ডাদেশ দেয়া হয় ।

বহুদিন পর জেল থেকে তুতা মিয়ার কানে আসে একটি আচানক সংবাদ । বাঘের কবলে এলাকাবাসি জিম্মি যারা এই

বাঘের কবল থেকে এলাকা বাসিকে মুক্ত করতে পারবে তাকে

ইচ্ছামাফিক পুরস্কার প্রধান করা হবে ।

তুতা মিয়া হাকিম কে তার বাঘ শিকারের ইচ্ছার কথা ব্যক্ত

করেন এবং তাও খালি হাতে ।

তুতা মিয়া বাঘের সাঝ পড়ে বাঘের সামনে গিয়ে হাজির হয় এবং

বাঘের নকল ডাক ছাড়ে । বাঘ তুতা মিয়ায় দিকে হা করে লাফ

দেয় । তুতা মিয়া সুযোগ মত তার হাত বাঘের গলায় ডুকিয়ে বাঘের

জিব্বা ছিড়ে বাঘটিকে শায়েস্তা করে এবং জেল থেকে মুক্তি লাভ

করে ।

বাঘের চামড়াটি দিয়ে স্থানীয় এক লোক তার ঘর ছাউনি দিয়েছিল ।কথিত আছে তুতা মিয়া অনেক বাঘ সিংহ ও হরিণ

কৌশলে যন্ত্র ছাড়াই শিকার করেছেন ।

কালের গর্বে হারিয়ে গেছে তাদের আদি ঐতিহ্য জৌলুষ ।

বর্তমানে ১৪ গুম্ভুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ তাদের স্মৃতির মিনার

হয়ে দারিয়ে আছে , জুড়া পুকুর পাড়ে ।







: কম কথা কন আমিও সেই দেশের মানুষ :> :#) বাঘ দেখলে

আমারে কইয়েন :-& :|

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিছু বুঝিনাই এটা কি কোন সত্য কাহিনী

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তখনকার সময়ের সত্য কাহিনী

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

মোহাম্মেদ তারেক হোসাইন বলেছেন: ডরাইছি

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হা হা হা বাঘ ডাকলেই খবর দিয়েন ।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

যাযাবরমন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল দিয়া গেলেন!!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল ধন্যবাদ

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৪

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক!!!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাই ভয় পেয়েছ ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.