নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত শাহজালাল রা এর ইসলাম প্রচার ও আধ্যাতিক চেতনা ।।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

হজরত শাহজালাল রা এর ইসলাম প্রচার এবং শানে বেলায়েত

*************



এখন থেকে প্রায় ৮০০ বছর পূর্বে আরবের বিখ্যাত ইয়েমেন প্রদেশে

তিনি জন্ম গ্রহন করেন । মহিউদ্দিন সালামাত তার পিতা এবং উম্মে

সালতা বিন ফাতেমা নাম্নি তার আম্মা ।

পিতার বংশ আবুবকর রা এর সিলসিলা এবং মাতার বংশ ইমাম

হুসাইন রা এর শেষ ছইয়দ প্রদীপ কারবালা প্রান্তর হইতে একমাত্র

বেচে যাওয়া পুত্র জয়নাল আবেদিন রা এর বংশধর ।



শাহ জালাল রা এর মামা সায়েক বাহাউদ্দিন রা তখন খার সময়ে একজন দরবেশ বুজুর্গ ছিলেন । অল্প বয়স থেকে তিনি তার মামার নিকট ইসলামী এবং আত্তাধিক শিক্ষায় সিদ্ধ লাভ করেন ।



শিক্ষা কত টুকু সিদ্ধ হল পরীক্ষা করার জন্য মামা শাহ জ্বালাল রা

কে ডেকে পাশের জঙ্গলে অবস্থান করার জন্য তাগিদ দেন ।

শাহ জালাল রা নির্দেশিত স্থানে গমন করেন । একটি হরিন কান্না জড়িত কণ্ঠে মানুষের ভাষায় ফরিয়াদ করতে লাগলেন ।

হুজুর বিচার করুন , আমার সদ্য প্রসব দুই টি বাচ্ছা কে বনের

লোভী বাঘ খেয়ে ফেলল ।

শাহ জালাল রা হুংকার ছেড়ে বনের বাঘ কে ডাক দিলেন ।

ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাঘ এসে তার পায়ে হাজির ।

এই নির্দয় সদ্য জাত হরিণের বাচ্ছাকে গ্রাস করতে তোর হৃদয় কি

একটু বিগলিত হলনা , জংগলে কি খাবারের অভাব ছিল ।



মাথা নিচু করে বলল হুজুর আমার এহেন বেয়াদবি মাফ দিন ,

আমি আজ থেকে মাসেক ক্ষন পর্যন্ত অসুস্থতায় ভুগছিলাম , পেটে

ছিল ধারুন ক্ষুধার তাড়না , তাই সম্মুখে এদের পেয়ে গিলে ফেলেছি , রাগে শাহ জালাল রা বাঘের গালে কষে থাপ্পর লাগালেন ,

সাথে সাথে ভুমি করে হরিনের শাবক দুটি কে উগ্রে দিল এবং জংগলে চলে গেল ।

শাহ জালাল রা আল্লাহর নিকট মুনাজাত করলে হরিন দুটি জিবন্ত

হয়ে গেল , মা হরিনি খুব খুশি হল ।



আর তার মামা আড়াল থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বুঝলেন শাহ জালাল রা একজন কামেল আত্তাধিকতায় সিদ্ধ হয়েছেন , তখন তার বয়স মাত্র ১২ বছর ।



তার আশ্চয্য খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল সারা আরব ভুখণ্ডে ।

মামা একদিন তাকে ডেকে বললেন বাবা এবার তোমাকে অন্ধকার

থেকে ইসলাম কে জিন্দা করার জন্য মানুষের মুক্তির হেদায়েতের

বার্তা লয়ে দূর দেশ ভ্রমন কর । ইনশাল্লাহ আল্লাহই তোমার

সাহায্যকারী ।



শাহ জালাল রা প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে উল্ল্যখ সংখ্যক লোক জুটায়ে

আল্লাহর নামে বেড়িয়ে পড়লেন ।

মামা তার নিকট এক মুষ্টি মাটি দিয়ে বললেন পৃথিবী পরিভ্রমণ করে যেখানে এই মাটির সহিত মিল পাবে সেখানেই যেন হয়

তোমার আস্তানা ।



শাহজালাল রা ধিরে ধিরে বহু দেশ পরিভ্রমণ করে বহু জমিদার এবং রাজা বাদশাহের সমাদর লাভ করেন , এবং তার আশ্চয্য

কোরআন পাঠে , আল্লাহর মহত্তে হেদায়েতের বারি দ্বারায় সিক্ত হয়ে ইসলাম গ্রহন করেন , এবং কেউ কেউ ইসলামের জন্য , আল্লাহর রাজি খুশি এবং শাহ জালাল রা এর সাথে আসার ইচ্ছা

ব্যক্ত করলে তিনি শেষ তক অনুমতি দেন ।

ক্রমান্বয়ে তার সাথি বাড়তে বাড়তে ৩৬০ জন হয় , উল্লেখ্য এদের

মধ্য ভারতের বাদশা নাসির উদ্দিন , চিনের গভর্নর ফতেহ লহানি

মিসরের জমিদার শাহ মখদুম রা ও সঙ্গি হয়েছিলেন ।



তখন বাংলা ভারতের কিছু অঞ্চলের প্রতাব শালি হিন্দু রাজা গউরগবিন্দের রাজধানী ছিল শ্রিহট্রয় বা বর্তমান সিলেট ।



এখানে একঘর খাটি মুসলমান বাস করত , তারা সম্ভবত আরব হতে এসে অনেক আগেই বসতি স্থাপন করেছিল ।

তার নাম ছিল বুরহান উদ্দিন , তিনি বার বছর যাবত সন্তান লাভের

আশায় আল্লাহর নিকট কানা কাটি করলে তার সুন্দর একটি ফুট ফুটে সন্তান লাভ করে ।

আনন্দে আত্তহারা হয়ে ছেলের ৭ দিনের দিন লুকিয়ে আকিকা

দেয় গরু কুরবানি , কিছু মাংস রেখে বাদ বাকি মাংস মাটিতে পুতে

রাখলে । এক টুকরা মাংস পাখি কর্তৃক হিন্দু রাজার মন্দিরে চলে

যায় ।

রাজা সংবাদ পেয়ে বুরহান উদ্দিনের পরিবার কে ধরে নিয়ে যায় এবং মা বাবার সামনেই কচি সদ্য জাত সন্তান কে হত্তা করে , এবং

বুরহানুদ্দিন কে অত্যাচার করে শিকল দেন ।

বুরহান উদ্দিন সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং সেই সময়ে ভারতের নদিয়ায় শাহ জালাল রা এর নিকট সাক্ষাৎ সমস্ত জানিয়ে

বিচার দেন ।



আউলিয়া সর্দার সঙ্গী সাথি সহ দ্রুত বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ।

এবং সুরমা নদীর দক্ষিন সিমান্তে আস্তানা নেয় ।

খবর পেয়ে রাজা বহু গুপ্তচর নিয়োগ করে , এবং নদী যেন না পাড়ি

দিতে পারে সব নৌকা যান চলাচল বন্ধ করে দেন ।

আল্লাহর সাহায্য কামনা চাইলে আল্লাহর ক্ষুত্রতে জায়নামাজ

বিচিয়ে তার মধ্য ভেসে সুরমা নদী পাড়ি জমান ।



অপর প্রান্ত থেকে তির ছুঁড়তে থাকে রাজার লোকেরা , আল্লাহর

ক্ষুত্রতে যারা বিষের তীর ছুঁড়েছিল তাদের বুকেই উলটো বিধতে

লাগল ।

পাড়ে ভিড়বে পাহাড়ের উপর থেকে ভারি পাথর নিক্ষেপ করতে

থাকে , শিল হট উচ্ছারন করেন শাহ জালাল রা শিল অর্থ পাথর

হট অর্থ উপরে যাও । আল্লাহর ক্ষুত্রতে তাও উলটু ভাবে গড়াল ।



রাজা সন্য সামন্ত হারিয়ে প্রাসাদে লুকালেন ।

আল্লাহর প্রতিনিধিরা প্রাসাদ অভিমুখে রওয়ানা দিলেন । রাজা সন্ধি প্রস্তাব দিল , আমার প্রাসাদে ২৮ মন ওজন একটা ধনুক

আছে তোমাদের মধ্য যদি কেহ এই ধনুকে তির যোজনা করতে

পার তাহলে আমি রাজা ইসলাম গ্রহন করব ।



শাহ জ্বালাল রা সঙ্গিদের মধ্য বললেন কেহ এমন আছ কি যে

কোন সময় তার আছরের নামায কাযা হয়নাই ।

নাসির উদ্দিন বললেন , সেই লোক সম্ভবত আমি ।

বেশ তাহলে যাও আল্লাহর নামে প্রাসাদে গিয়ে ধনুকে তীর যোজনা

কর ।

নাসির উদ্দিন একটানে তা করে বসলেন ।

রাজা তাদের ঐশী শক্তি প্রত্যক্ষ করে গুপ্ত পথে পালিয়ে গেল ।



মাটির সাথে মাটি মিলিয়ে শাহ জালাল রা সেথা আস্তানা বা

বসতি গড়ে তুললেন ।

এবং প্রকাশ্য আযান দিলেন ।

সাথে সাথে গৌড় গোবিন্দের সাত তালা মনোরম প্রাসাদ ভেঙ্গে

ধুলিস্যাত হয়ে গিয়েছিল ।

রাজার বোন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিল । এবং সারা ভারত

বাংলায় আল্লাহর অলিগন ছড়িয়ে পড়েন এবং ইসলামের নিশান

উড়িয়ে দেন । সেই হেদায়েতে বর্তমান মুসলিম সংখ্যা

হবে সারা দক্ষিন এশিয়ায় ৭০ কোটির উপরে ।



চলবে

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: হযরত শাহজালাল (রা) এর এই ঘটনা টা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঘটনাটা গুলু নয় , ঘটনাটা রহমতের ধন্যবাদ

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০০

নিয়েল হিমু বলেছেন: শাহ জালাল রহমতুল্লাহ আলাই ইন শর্ট রহ: হবে । রা: তো হয় সাহাবিদের নামের শেষে ?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: যারা আল্লাহর অলি আউলিয়া , দরবেশ পীর বুজুর্গ তাদের নাম এর
সাথে রাহমাতুল্লা বা আল্লাহর রহমতের অধিকারী , আর যারা
নবীজীর আসহাবায়ে কেরাম তাদের নামের সঙ্গে রাদিয়াল্লাহু আনহুম বা আল্লাহর নিকটতম প্রিয় বন্ধুর সাথি ।
ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১১

পথহারা নাবিক বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা !!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

গ্রীনলাভার বলেছেন: ওয়াও। চমৎকার লেখা কবি। বানান ভুল কয়েকটা শুদ্ধ করলে আরো চমৎকার হবে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০২

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ভালো লেগেছে! ধন্যবাদ!!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ বন্ধু

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক বিষয় জানলাম,,,,,,,,,শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খুশ নছিব , কমেন্ট এ ধন্যবাদ
অনেক দিন হল
ভাল থাকেন সব সময় ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.