নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি উদভ্রান্ত নাবিক। পাটাতনে মোর অগ্নিকুন্ড.......

সুদীপ্ত সরদার

সুদীপ্ত সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ট্রাইবুনালের গতি কতটা শ্লথ সেটি আসলে সকলেই বুঝতে পারছেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২১

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত

ট্রাইবুনালের গতি কতটা শ্লথ

সেটি আসলে সকলেই বুঝতে পারছেন। নতুন

করে কাউকে কিছু বলবার নেই। নিজামীর

মামলা রায়ের জন্য সাড়ে তিনমাস

অপেক্ষমান থাকবার পর খোদ

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি-ই আবার

মামলার চূড়ান্ত যুক্তি তর্কের পুনঃতারিখ

নির্ধারনের জন্য আবেদন করেন

এবং সাঈদীর আইনজীবি তাজুল ইসলামের

নতুন করে আর কিছুই বলতে হয় নি। যাক

সেসব দুঃখের কথা।

আমরা অনেকেই আশা করে বসে ছিলাম

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান যে ৭১

সালে চট্রগ্রামে ছাত্র সঙ্ঘের প্রধান

এবং সেখানকার বুদ্ধিজীবি হত্যার নায়ক

বলে বিভিন্ন রিপোর্ট, বইয়ে প্রকাশিত

তার ব্যাপারে তদন্ত হবে,

আমরা আশা করে বসে ছিলাম পিরোজপুরের

প্রাক্তন আওয়ামীলীগের এম

পি ডাঃ আনোয়ার হোসেনের

ব্যাপারে তদন্ত হবে, শেখ সেলিম

সাহেবের বেয়াই মুসা বিন শমশেরের

ব্যাপারে তদন্ত হবে। এসব তদন্ত দূরের

কথা, বর্তমানে চলা মামলার

যা অবস্থা তাতে করে ভিক্ষা চাইনা মা কুত্তা সামলা অবস্থা।

মানে, যেগুলোকে ধরেছেন সেগুলোর

বিচার করেন আগে এমনই বলতে বাধ্য হই।

যদিও আমার যে শংকা এই বিচারের

ব্যাপারে তা এখন-ই বলে কাউকে হতাশ

করতে চাইনা। হয়ত পরিস্থিতি পাল্টাবে,

সে আশাই মনের ভেতর রাখি আপাতত।

কিন্তু আমার হঠাৎ করে চোখ

পড়ে গেলো এই ট্রাইবুনালের

যে আইনটি রয়েছে সেটির রুলস এন্ড

রেগুলেশনের দিকে। এই রেগুলেশনের ৬

নাম্বার অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-

If the Investigation Officer has

reason to believe that any

offence has been committed, he

shall proceed in person to the

spot, investigate the facts and

circumstances of the case and if

necessary, take steps for the

discovery and arrest of the

accused

মানে হচ্ছে তদন্ত কর্মকর্তার উপর

আসলে একটা এত বড় ট্রাইবুনালের এমন

দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে যেটা খুব

সহজেই মিস ইউজ করা যায়। মানে, তদন্ত

কর্মকর্তার বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের উপর

এখন অপরাধীদের ব্যাপারে তদন্ত হবে।

আবার অনুচ্ছেদ ৭- এ বলা রয়েছে তদন্ত

হলেও তদন্ত কর্মকর্তার সন্তুষ্টির উপর

অনেক কিছুই নির্ভর করবে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে এই তদন্ত

কর্মকর্তা নিয়োগকৃত সরকারের মাধ্যমে,

সুতরাং মূল চাবি কোন দিক

থেকে ঘুরতে পারে এটা বুদ্ধিমান পাঠক

বুঝে নিতে পারেন। এই তদন্ত

কর্মকর্তাকে মনিটর করবার জন্য

কোনো সংস্থা নেই, কোনো প্যানেল নেই,

সে সঠিকভাবে তদন্ত করছে কিনা তার

কোনো জবাবদিহিতার প্রশ্ন কিংবা তার

কর্তব্যে গাফিলতি হয়েছে কিনা বা হচ্ছে কিনা সেটি কে দেখবে তা বলা নেই।

মানে পুরো ব্যাপারটা একেবারে আল্লাহর

হাওলা করে তদন্ত কর্মকর্তার "বিশ্বাস"

এর উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দুঃখ জনক

হলেও সত্য এই ট্রাইবুনালের

একেবারে শুরুর দিকে একজন তদন্ত

কর্মকর্তা ৭১ সালে ছাত্র সঙ্ঘের

নেতা ছিলো এবং পরে তাকে অপসারিত

করা হয়।

এমন একটা ট্রাইবুনাল, যে ট্রাইবুনাল ৪২

বছর আগে ঘটে যাওয়া অপরাধের বিচার

করছে, যে ট্রাইবুনাল সারা বাংলার

মানুষের স্বপ্নের ট্রাইবুনাল, আকাংখার

ট্রাইবুনাল, সেই

ট্রাইবুনালে অপরাধী কাঠগড়ায়

উঠবে কি উঠবে না তা এখন নির্ভর

করবে তদন্ত কর্মকর্তার বিশ্বাসের উপর।

হায়...

নুলা মুসা, ডাঃআনোয়ার

কিংবা ইসলামী ব্যাংকের

চেয়ারম্যানরা কেন বিচারে এখনও

আসেনি কিংবা ট্রাইবুনালের মামলায়

কেন এত ক্যাচাল হচ্ছে, এর গোড়ার গলদ

কোথায়, আশা করি এই ব্যাপারে আর কিছুই

বলতে হবে না...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.