![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ফুটবল ক্যারিয়ার মন্ত্রী আবুল
হোসেনের মন্ত্রীত্ব ক্যারিয়ারের মতোই
উন্নয়নের জোয়ারে ভরপুর। দ্যার্থহীন
কন্ঠে ঘোষণা দিই, আমি জীবনে কখনও
গোল করি নাই।
শিশুকালে ৪০ ট্যাকা দিয়া আব্বু বল
কিনে দিছিলো, সেটা টেনিস বলের
চেয়ে এক সাইজ বড়। বলখানা দিয়ে কীরূপ
প্র্যাক্টিস করছিলাম মনে পরে না,
তবে ক্লাস ফাইভের কোচিং-ক্লাস পূর্বক
খেলায় অধিনায়ক বহু এক্সপেরিমেন্ট
কইরাও আমার পায়ের গুনাগুন বের
করতে পারে নাই, তাই হাতের
কাজে লাগায় দিছে, গোলকিপার!
কয়েক
জোড়া জুতা দিয়া নির্ধারিত সীমানার
সেই গোল-পোস্টে বল ঢুকলে বিতর্কের
সুযুগ থাকে, সাইড দিয়া গেলে কাল্পনিক
বারের বাইরে, উপর দিয়া গেলে বারের
উপ্রে, আবার যদি ঠিক জুতা বরাবর যায়
বল, তাইলে নিশ্চিতভাবেই
সেটা গোলপোস্টে ঢুকতো না, জ্যামিতিক
বিচারে নির্ধারণ করে দিতাম,
বলটা এইখানে বাড়ি খাইয়া ঐদিকে গমন
করতো!
পাড়ার ফুটবলে মাঝমাঠে খেইলা দেখছি,
কাটান দিয়া কেউ আমার কাছ থেকে বল
নিয়া গেলে মেজাজ চুরান্ত
বিলা হইয়া যায়,
ল্যাং মারা সামলাইতে পারি না।
পাড়ার খেলায় টেনিস সাইজের বল
চলে না, হেথায় ডিয়ার বল, বড়,
লাথি দিয়া আরাম, ভাবছিলাম হেড
দিয়াও আরাম হবে। আসমান
হইতে ভূমীগামী এক বলকে একবার হেড
দিয়া দেখছিলাম রে ভাই/ভইন!
মনে হইলো যেন মাথা ঘাড়ের
ভিত্রে ঢুকে গেছে! চোখে কিচ্ছু
দেখি না! চান্দিতে হাত
দিয়া বসে রইলাম দীর্ঘক্ষণ!
কলেজ ফুটবলের এক খেলায়
রেফারি ছিলো অতি নিম্নমানের ফুটবল
সামাঝদার Pinaki, হালায় এক খেলায়
আমারে ৩টা হলুদ কার্ড দিছিলো,
ফিফা ফুটবলে আমার অবদান এই একখান
বিরল রেকর্ড, যা জীবনে কেউ কখনও
ভাঙ্গে নাই, ভাঙ্গতে পারবেও না,
সেটা হইলো, সেই ৩ হলুদ কার্ড খাইয়াও
আমি জনদাবীকে উপেক্ষা করতে পারছিলাম,
মাঠ ছাড়ি নাই।
©somewhere in net ltd.