![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হালকা ধরনের বই পড়তে ভালো লাগছে ।
পড়ছিলাম জাফর ইকবালের ‘রঙিন চশমা’ ।
ব্যক্তিগত কথকতা । নিজের
মুখে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পিতার মৃত্যু
সংবাদটি দিয়েছেন মাকে । পৃথিবীর
নিষ্ঠুর এই কাজটি করেছেন । ছোট
বোনটি কথা বলতে পারে না ।
কথা বলতে না পারা ছোট
বোনকে কীভাবে দেবেন এই খবর !
“সদরঘাটের সেই ভিড়ে আমি আমার ছোট
বোনটির হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছি, এক
সময় আমি তাকে কোলে তুলে নিলাম,
সে একটু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকাল ।
কথা বলতে পারে না বলে কাজ চালানোর
জন্য তাকে কিছু কিছু শব্দ
শেখানো হয়েছে । মুখের
দিকে তাকিয়ে সে সেই
শব্দগুলো বুঝতে পারে । সে আমার মুখের
দিকে তাকিয়ে রইল এবং আমি তার
জানা শব্দগুলো ব্যবহার
করে তাকে বাবার
মৃত্যুসংবাদটি জানালাম । আমার ছোট
বোনটি চিৎকার
করে কেঁদে উঠে আমাকে ঝাপটে ধরল ।
পরমুহূর্তে সে আবার আমার
মুখে দিকে তাকাল, ভয়ংকর ব্যকুল সেই
দৃষ্টি, একেবারে কাঙ্গালিনীর মতন ।“
.....
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারটিকে সরকার
একটি বাড়ি দিয়েছিল । অপমানজক
কায়দায় রক্ষীবাহিনী তা দখল করেছে ।
“আমরা ঘরের ভেতর বসে আছি । দরজায় দুম
দুম বুটের লাথির আওয়াজ ।
রক্ষীবাহিনী এসেছে আমাদের
বাসা থেকে উৎখাত করতে । কী করব
আমরা বুঝতে পারছি না, এক ধরনের আতংক
নিজে দরজার দিকে তাকিয়ে আছি ।
কাঠের দরজায় এখন বেয়নেট দিয়ে আঘাত
করছে-আমরা দেখতে পাচ্ছি বেয়নেটের
ফলা দরজা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসছে ।
দেখতে দেখতে দরজা ভেঙ্গে গেল,
লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকল
অনেকগুলো রক্ষীবাহিনীর সিপাই ।....
আমরা বের হওয়া মাত্রই রক্ষীবাহিনীর
এক ধরনের উল্লাসের শব্দ শোনা গেল ।
তারা টেনে টেনে আমাদের ঘরের
আসবাবপত্র, চেয়ার, টেবিল বাসনকোসন
জামাকাপড় বইপত্র রাস্তায়
ছুঁড়ে ফেলতে লাগল । কিছুক্ষণের মাঝেই
আমাদের বাসার সব জিনিসপত্র রাস্তার
মাঝে স্তুপ হয়ে গেল ।“
©somewhere in net ltd.