নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বাস রাখি - মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে। চাই - প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ পেশাজীবী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ। এবং সেই দিন বদলের সংগ্রামের সাথে থাকতে। কাজ - পলিসি, আইসিটি, উদ্যোক্তা, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে। করি - পথ দেখা-দেখানো। ধাক্কা দিয়ে শুরু করানো। সরকারি ও বেসরকারি - অবকাঠামো ও নীতিমালা নিয়ে ঠেলাঠেলি। হাতিয়ার - লেখালেখি, প্রশিক্ষণ, বক্তৃতা, রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠান, পেশাজীবী ও গন-সংগঠন, বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি এবং যখন যা লাগে।
আমার গত ৬ মাস আন্দোলনের মৌসুমের মধ্য দিয়ে চলছি।
প্রায় সবগুলোই - লক্ষ্যহীন, লক্ষ্যভ্রষ্ট বা ব্যর্থ আন্দোলন।
সেক্ষেত্রে ব্যর্থ আন্দোলনের মৌসুমও বলা যায়।
এই মৌসুমে - ইন্টারনেট/ব্রডব্যান্ড নিয়ে আরেকটি আন্দোলন গড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছি !!!
যদিও প্রতিবার বাজেটের সিজনে এ আলোচনা এমনিতেই আসে।
এসময় সচরাচর - এই খাতের দরদিরা এবিষয়ে নিয়ে দু চারটা বাক্যবাণ ছুড়ে, জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন (যদিও তাদের অনেকের আয়-ব্যয় জীবনযাপন ইন্টারনেট নির্ভর নয়)।
ইন্টারনেট নিয়ে - ভেগ, দিকনির্দেশনা-হীন, অর্থহীন, ইমোশনাল ও জনপ্রিয় স্টাইলে লেখালেখি করেন।
ব্রডব্যান্ড চাই, দিতে হবে, সবার আগে ব্রডব্যান্ড, সবার জন্য ব্রডব্যান্ড - টাইপ অনেক ইউটোপিয় বক্তব্য দেন।
আমরাও লিখি, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই, ব্লগ লিখি। মানববন্ধন করি।
সেই ছবি ফেসবুকে দেই, পত্রিকায় ছাপা হয় (লিংক শেয়ার দেই)।
ট্রেড-বডির প্রতিনিধিরা তাদের এজেন্ডাতে আমাদের এজেন্ডা যুক্ত করেন।
আমলাদের সামনে কাঁচুমাচু করে দাড়িয়ে থাকা নেতা নামের দালালরা আমাদেরকে আশার বানী শোনান।
শেষ পর্যন্ত ফলাফল আসে - তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম।
জনপ্রিয়দের জনপ্রিয়তা ঠিক থাকে। ইস্যুও যেখানে থাকার, ঠিক সেখানেই থাকে। অথবা ভেজিটেবল চেম্বার থেকে, ডিপ ফ্রিজের মিট চেম্বারে চলে যায় বছর খানেকের জন্য।
তবে এ বছর ইস্যুর ডাইমেনশন একটু আলাদা।
ইন্টারনেটের মূল্যকে কেন্দ্র করে - শব্দ বাড়ছে। ইন্টারনেটের আপলিঙ্ক কমানো পালে হাওয়া দিয়েছে।
হৈচৈও অপেক্ষাকৃত আগের চেয়ে বেশি।
তবে পৌনঃপুনিক ভাবে - প্রভাবক, প্রস্তুতি, আগ্রহী নেতৃত্ব এবং কর্মকৌশল মোটামুটি গতানুগতিক।
তাই আমি ভয় পাচ্ছি - ব্যর্থ তালিকায় হয়ত আরেকটি নম্বর যুক্ত হবার।
দাবী আদায়ের নামে এই গতানুগতিক ফাজলামি আর চাই না।
আন্দোলন যদি করতেই হয়, তবে সুনির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে করতে হবে।
ইন্টারনেট ব্যাকবোন, ব্যাকহোল, ডিস্ট্রিবিউশন এবং সর্বোপরি খরচ নিয়ে সুস্পষ্ট ও যৌক্তিক এজেন্ডা তৈরি করতে হবে।
দীর্ঘ মেয়াদের সমস্যা সমাধানে - ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড স্ট্রটিজি নিয়ে স্পষ্ট এজেন্ডা যুক্ত করতে হবে।
এই সরকার ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ফাইবার পৌঁছে দেবার মত প্রকল্প নিয়েছিল।
অথচ হতাশার সাথে লক্ষ্য করছি - আজ কুষ্টিয়াতে আমাদের ব্যান্ডউইথ কিনতে হচ্ছে ঢাকার থেকে প্রায় ৪ গুন দামে।
তাই তৃণমূলে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের যে ব্যর্থতা রয়েছে, তার জন্য দায়ী লোকদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ আনতে হবে।
এই আন্দোলনের নেতৃত্বে আসুক সাধারণ গ্রাহক।
গ্রাহকের আন্দোলনের নেতৃত্বে কোন সরকারের আমলা বা সরাসরি সুবিধাভোগী লোক থাকতে পারে না। কোন ট্রেড বডির লোককে এই আন্দোলনের নেতৃত্বে আসতে পারেন না।
তাই ইন্টারেস্টে কনফ্লিক্ট আছে এ ধরনের লোকদের নেতৃত্বে আসার সুযোগ বন্ধ করতে হবে।
যদি সেটা হয়। তবে :
জড়ো হোক পেশাজীবী, জড়ো হোক তৃনমূল ভোক্তা-গ্রাহক।
জড়ো হোক ছাত্র-শিক্ষক, জড়ো হোক প্রতিটি মানুষ - যাদের ইন্টারনেটে কিছু যায় আসে।
সেখানে আমাদের যোক্তিক দাবী সঠিকভাবে উপস্থাপিত হোক।
অহিংস আন্দোলন হয়ে বেঁচে থাকুক দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত।
©somewhere in net ltd.