নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বাস রাখি - মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে। চাই - প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ পেশাজীবী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ। এবং সেই দিন বদলের সংগ্রামের সাথে থাকতে। কাজ - পলিসি, আইসিটি, উদ্যোক্তা, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে। করি - পথ দেখা-দেখানো। ধাক্কা দিয়ে শুরু করানো। সরকারি ও বেসরকারি - অবকাঠামো ও নীতিমালা নিয়ে ঠেলাঠেলি। হাতিয়ার - লেখালেখি, প্রশিক্ষণ, বক্তৃতা, রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠান, পেশাজীবী ও গন-সংগঠন, বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি এবং যখন যা লাগে।
তখন কুষ্টিয়ার সীমান্তে (ভারত-পাকিস্তান) ভোর হয়ে আসছে।
পায়ে হেটে বর্ডার পার হচ্ছেন তাজউদ্দীন আহমেদ। সাথে ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম সহ কেউ একজন।
সারা রাতের ক্লান্তিতে আর পা চলছে না। একটা ছোট্ট কালভার্টের উপর কিছুক্ষণ বিশ্রামের সিদ্ধান্ত হল।
নিজেদের মধ্যে টুকটাক আলোচনা হচ্ছে - কিভাবে ভারত সরকারের সাথে যোগাযোগ করা যায়?
এর মধ্যেই ভারতের বর্ডার গার্ডদের একটি প্লাটুন তাদের ঘিরে ফেলল।
আগমনের খবর আগে ভারত সরকারকে জানানো সম্ভব হয়নি। তাই অভ্যর্থনার প্রস্তুতি তো দুরে থাক, কেউ তাদের চেনেই না।
অভ্যাগতদের বাহ্যিক অবস্থাও তথৈবচ।
স্থান, কাল, হাল, কোন কিছুই - তাদের উপযুক্ত পরিচয়ের সাথে মেলে না।
এরা আবার নাকি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে কথা বলতে চান !!!
গার্ডরা তো হেসেই অস্থির। রীতিমতো অসহায় অবস্থা।
অনেকক্ষণ আলাপ আলোচনা বাক বিতণ্ডা চলছে। তাজউদ্দীন চুপ করে বসে কৌতুক দেখছিলেন।
এসময় তিনি মুখ খুললেন। কোন অনুরোধ করলেন না। ওদের কমান্ডিং অফিসারের সাথে তাকে কথা বলিয়ে দেবার আদেশ দিলেন।
ওদেরও কি যেন হল। কোন বিতর্ক না করে, মন্ত্রমুগ্ধের মত ওয়ারলেসে কানেক্ট করে দিল।
ওয়ারলেসে কথা বলার পর মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলে গেল।
একজন অফিসার এসে সসম্মানে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাল।
(বঙ্গতাজের কোন এক জন্মদিনের স্মৃতিচারণে এই গল্প শুনেছিলাম)
আজ নেতার জন্মদিন।
এই দেশের জন্মের জন্য তাকে কৃতচিত্তে স্মরণ করি।
শুভ জন্মদিন নেতা !!!
আপনার মত মানুষগুলো অভিমানে সরে না গেলে হয়ত আজকের বাংলাদেশের চেহারা অন্যরকম হতো
©somewhere in net ltd.