কবিতা

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২২

বিস্ফোরিত বাসনা
সুজন শান্তনু
.......................................
যদি নাইবা ভালোবাসলে,
তবে কেন দিলে একমুঠো রৌদ্দুর স্বপ্ন?
ধোঁয়াশার কুয়াশা ভেদ করে কেন দেখালে শিশিরের সহস্র মুক্তো?
কেন শুনালে নেপথ্যের হাজারো তীর্থের জয়যাত্রার স্লোগান?
শিহরণ জাগায় এমন অবোধের আস্তাকুড় বিবেক।
যদি নাইবা কাছে এলে,
তবে কেন দূরের ইশারায় জাগিয়ে তুললে ইদ্রীয়ের পঞ্চকানন?
কেন তুমি তাপ দিলে?
দ্যাখো এই তনুমন গলে বরফের মতন!
কেন দিলে বিষুবরেখার খোঁজ?
আমি তোমায় খুঁজে মরি উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু,
সারা ভূমন্ডল, বোরাকের পিঠে সাত আসমন ব্যাপী-
কোথাও পাইনি তোমায়।
যদি নাইবা জানো লুকোচুরি খেলা,
তবে লুকালে কোথায় চিরতরে?
ওগো ঝলকের পলকের আলেয়া আমার!
যদি নাইবা বুঝলে হৃদয়ের কথা,
হৃদয়ে কেন দিলে অতলের ঠাঁই?
শুভ্রতার আলোকভেদি হাস্যোজ্জ্বল মুখাবয়ব তোমার;
এত হাসি হাসতে পারো, তবে কেন বুঝতে পারোনি
আমার কান্নার কীর্তন সঙ্গীত?
বিলুপ্ত ডাইনোসরের অস্থি-কঙ্কালে হাতড়ে বেড়ায়
আমার হাপরের হাত আর ড্যাফোডিল ডানায় উড়ে বেড়ায়
আমার অবিনশ্বর ফিনিক্স-পরাণ; তোমার ছ্যাঁকার আগুনে পুড়ে পুড়ে
ছাই হয়ে আবার পুণর্জন্ম নেয় মিলনের মোক্ষম প্রতীক্ষায়।
বারেবারে ফিরে আসি তুমি ছাড়া পৃথিবীর পাঁজরে
আর হতাশায় শূন্য মন লুটিয়ে পড়ে তোমার লুন্ঠিত ধুলোয়।
যদি নাইবা রবে চিরদিন পাশে,
তবে কেন রেখে গেলে ক্ষণিকের চিহ্ন-
আমৃত্যু কামনার ডোরাদাগ?
যদি নাই হয়ে যাবে,
নশ্বরের এই ঈশ্বর-ফুসফুসে কেন নিলে শ্বাস?
দ্যাখো তুমিহীন দম আটকে আমি মরে যাই।
যদি নাইবা হলে শ্রাবণের মেঘমল্লার প্রেম,
ঝরঝর হৃদয়ে কেন দিলে তবে বিরহের বিদ্যুৎচমক?
যদি নাইবা বুঝলে অবুঝের মন,
মরণোত্তর কেন দিলে আত্মার শরীর ঘিরে নরকী ছায়া?
না বোঝো প্রেম, না বোঝো মন, না বোঝো দেহের ক্ষুধা,
কেন দিলে শিরায় শিরায় রক্তের উত্তাপ-
যদি নাইবা পেলাম তোমার তোমাকে আমার হয়ে...।

১ টি +০/-০