![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি আমার দেখা, শোনা আর অনুভবের গল্প। কল্পনা আর বাস্তবের মিলনে গড়ে তুলি নতুন এক জগত। কলমে আমি হলো আমার একান্ত লেখা, শুধু আমার নিজের শব্দের ভুবন।
“হুমায়ূন আহমেদ—নামটা একসময় মানেই ছিল একরকম জাদু। যে নামের সঙ্গে তর্ক মিশত না, সমালোচনা আসত না। বাংলাদেশের মানুষ—সে বই পড়ুক আর না পড়ুক—প্রায় সবার মুখে মুখে ঘুরত সেই নাম, ‘হুমায়ূন আহমেদ’।
তারপর একদিন সবকিছু বদলে গেল। ২০০৪ সাল। মানুষ ভাগ হয়ে গেল দুই দলে— একদল ভালোবাসল, আরেকদল অপছন্দ করল। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে যেন এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো। তাকে নিয়ে কথা বলা মানে, যেন এক অন্তহীন পথচলা। শেষ নেই, কোনো সিদ্ধান্তও নেই।
আমি ব্যক্তিগতভাবে লেখক হুমায়ূন আহমেদ-কে গভীর শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। ‘ব্যক্তি’ হুমায়ূন আহমেদকে ভালোবাসি কি না—সেটা এখানে বড় কথা নয়। কারণ আমি লিখছি লেখক হুমায়ূন আহমেদ-এর এক বই নিয়ে। বইটির নাম—
“দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই।”
প্রথমেই বইটি পড়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ জাগে — এটা আসলেই কি হুমায়ূন আহমেদের লেখা? যে ভাষা, যে বর্ণনা—কেমন যেন অচেনা, অস্বস্তিকর।
গল্পের মূল কাহিনি—একটা স্কুল পড়ুয়া মেয়ে, তার বাবার বন্ধুকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করে ফেলে। আর আশ্চর্যের ব্যাপার, সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং হুমায়ূন আহমেদ এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন। বিয়ের দিনে শাওন নিজ হাতে সাজিয়ে দেন সেই মেয়েটিকে।
বইটা শেষ করতে করতে মনে হলো, এটা আসলেই কি হুমায়ূন আহমেদের লেখা? আমি ভীষণভাবে হতাশ হয়েছি। মনটা খারাপ হয়ে গেল—ঠিক যেমন হয়, যখন খুব প্রিয় কোনো লেখকের লেখা হঠাৎ চিনে উঠতে পারা যায় না।
রকমারির বইটির সারসংক্ষেপে লেখা ছিল…
ফ্ল্যাপে লেখা কথা
কানন বালা দেবীর বিখ্যাত পাণ- ‘যদি লাগে তো দিও না মন।’ মানব প্রজাতির একটি সমস্যা হলো, ভালো না লাগলেও তারা মন দিয়ে বসে থাকে। এ রকম একটি সমস্যা নিয়ে উপন্যাস লিখতে বসে লিখে ফেললাম, ‘দাঁড়কাকের সংসার কিংবা মাঝে মাঝে তব দেখা পাই।’ এই প্রেমের উপন্যাস নাকি অপ্রেমের বুদবুদে পারিনি না। লেখকরাও সব সময় বুঝেশুনে লেখেন তা কিন্তু না।
বইটা পড়ে এমন একরকম বিরক্তি কাজ করল, যেটা ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। রাগ, হতাশা—সব মিলিয়ে যেন মনটা ঘোলাটে হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত কিছু না ভেবে রকমারিতে গিয়ে রিভিউটা লিখেই ফেললাম। তারিখটা ছিল ১৬ই জুন, ২০২৫। রেটিং দিয়েছিলাম ১।
" একটা ষোলো বছরের মেয়ে, তার বাবার বন্ধু—বয়স পঞ্চান্ন—তাকে চালাকি করে, কৌশলে বেকায়দায় ফেলে বিয়ে করে ফেলে। জানি না, হুমায়ূন আহমেদ এই বইটা লিখে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছিলেন।ভালোবাসা? নাকি বিভ্রান্তি?"
রিভিউটা লেখার পর ভাবলাম, দেখি অন্যরা কী বলেছে। কিছু রিভিউ পড়ে আমি থমকে গেলাম। মনে হলো, আমি কি আসলেই ঠিক লিখেছি? নাকি কোথাও আমি ভুল বুঝেছি? তারপরও, কিছু রিভিউ হুবহু তুলি নি— মূল লেখার বিষয়বস্তু না বদলে, সামান্য সম্পাদনা করে এখানে তুলে ধরলাম।
1. রেটিং দিয়েছেন ৫, ২০২১ সালের রিভিউ।
"লিপি মেয়েটাকে আমার ভালো লেগেছে, বয়স কম হলেও যেখান থেকে বুদ্ধি আছে সেখানে খুব কিছু জায়গাতে খুব ভালো মতো এই বুদ্ধি খরচ করে, কিন্তু আহসান সাহেবকে নিয়ে কিছু কিছু জায়গাতে বোকামি করলেও তার বয়সের ক্ষেত্রে এই বোকামি করাটা স্বাভাবিক।"
2. রেটিং দিয়েছেন ৫, ২০১৯ সালের রিভিউ।
আমার কাছে বইটি ভালো লেগেছে। বইয়ের মূল চরিত্র, গল্পের নায়িকার সাথে তার ভালোবাসার মানুষের বয়সের বিশাল ফারাক। কিন্তু মেয়েটা এসব কিছুই মানেনা। তাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসে। নানা রকম গোপনীয়তা করে। অভিমান করে।এই বইটি পড়ার পর কিছুদিন আমারও অমন বেশি বয়সের মানুষ ভালো লাগতে শুরু করেছিলো। সত্যিই হুমায়ূন স্যারের গল্প মানুষকে প্রভাবিত করে!
3. রেটিং দিয়েছেন ৫, ২০২৪ সালের কমেন্ট।
সাবলীল ভাষা ছাড়াও মাঝে মাঝে কিছু কিছু টুইস্ট থাকা প্রয়োজন। বইটিতে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে পরিপূর্ণ করা হয়েছে। অসাধারণ ভালো লেগেছে। উপন্যাসে সবসময় সাবলীল ভাষা আর দুঃখের কাহিনি থাকবে এমনটা নয়। হাস্যরসাত্মক এবং সাবলীল ভাষার কিছুটা বাইরে থেকেও বইকে নন্দনিক রূপ দেওয়া যায়। তারই উদাহরণ এই বইটি। অসাধারণ ভালো লেগেছে
মূল বই থেকে কিছু অংশ তুলে ধরলাম। দেখে বলবেন, এটা আসলেই তার লেখা কিনা। যে অংশটা তুলেছি, সেটা হলো—লিপি আর আহসান সাহেবের বিয়ের দিন।"
"মজার কথা কী জানেন? দাওয়াত না করার পরেও হুমায়ূন স্যার এবং শাঁওন ম্যাডাম দুজনই এসেছিলেন। মনে হয় মোস্তফা ভাইয়ের কাছে শুনে এসেছেন।
আমাকে কে সাজিয়ে দিয়েছে বলুন তো?
শাঁওন ম্যাডাম।
সাজ শেষ হওয়ার পর আমাকে দেখে হুমায়ূন স্যার বললেন, এই মেয়েটো ট্রু নাগরীর হেলেনের চেয়েও রূপবতী।
বাসর রাতে আহসান আমাকে কী বলল শুনতে চান? সে বলল, আমি তব মালঞ্চের হব মালাকার। "
আমি শুধু মাত্র রিভিউ তুলে ধরলাম, পড়া না পড়াটা আপনাদের ব্যাপার
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৩০
সুম১৪৩২ বলেছেন: জি আমি আপনার সাথে কিছু টা একমত। বিখ্যাত মানুষ দের কাছে অনেক কিছু শিখার আছে। কারণ বিখ্যাত মানুষ রাই আমাদের মতো সাধারণ মানুষ দেড় প্রভাবিত করে। যদি নাই করতো , তাহলে বিখ্যাত মানুষ দেড় জীবন নিয়ে কোনো বই আসত না বাজার এ কিংবা তারা নিজেরাই লিখতো না। ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন। ভালো থাকবেন।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩২
বিজন রয় বলেছেন: এই বই পড়ে আমার কোনো লাভ হয় নাই।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৩০
সুম১৪৩২ বলেছেন: আমার কোনো লাভ হয় নাই, শুধু শুধু সময় নষ্ট।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ বাদে আর কার কার লেখা আপনার পছন্দ?
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৩১
সুম১৪৩২ বলেছেন: অনেকের , তবে আমি বেশির ভাগ সময় অনুবাদ এর বই গুলো পড়ি , ভিন্ন লেখক এর। বাংলাদেশী কিংবা বাঙালি লেখক দের
মধ্যে , আহমেদ ছফা , জহির রায়হান উনাদের বই ও পড়েছি। শরৎ চন্দ্র এর লেখায় ভালো লাগে। আনিসুল হক এর লেখাও মোটামুটি ভালো লাগে। নুতুন প্রজন্মের মধ্যে নূর এ মোস্তাকিম আর লেখা ভালো লাগে। তবে এখন পযন্ত হুমায়ুন আহমেদ এই আমার প্রিয় লেখক।
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:০৭
বিজন রয় বলেছেন: @সৈয়দ কুতুব, আপনি হুমায়ুন আহমেদের লেখা পছন্দ করেন না কেন?
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৫৫
সুম১৪৩২ বলেছেন: এটার উত্তর উনি দিতে পারবেন , আমিও উত্তরের অপেক্ষায় আছি।
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিজন রয়@হুমায়ুন আহমেদের লেখা নিয়ে যে কেউ রিভিউ দিতে পারে। কমন লেখক তিনি। হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলী চরিত্রের বিগ ফ্যান আমি। তবে তিনি লেখকের তালিকায় প্রথম সারিতে নেই।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৩৩
সুম১৪৩২ বলেছেন: আপনার প্রথম পছন্দের তালিকায় কে আছেন ?
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: হুআর কেবল একটা বই বাদে আমার সব বই পড়া। একটা সময় ছিল তার বই আমি গোগ্রাসে গিলতাম বলা চলে। আমি কখনও এক বই দ্বিতীয়বার পড়ি না। একবার কোন ফিকশন বই পড়া হয়ে গেলেই সেই বই আমার কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়ে কেবল হুআর একাধিক বই আমি পড়েছি দুই তিনবার করে। বিশেষ করে হিমু সিরিজ।
ভাল লেখক হওয়ার জন্য ব্যক্তি জীবনে তাকে মহান বা ভাল মানুষ হওয়ার দরকার নেই। একজন মানুষ খারাপ হতে পারে কিন্তু তার লেখার হাত পারে দূর্দান্ত।
১০ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৩৮
সুম১৪৩২ বলেছেন: হিমু আমারও ভালো লাগে, তবে সেটা মিসির আলী থেকে কম। হিমু নিয়ে কিছু কথা লেখার ছিল , যদি কোনো দিন সময় করে উঠতে পারি হিমু নিয়ে লিখবো , ছোট খাটো একটা বই। কিন্তু এর আগে আমাকে কয়েকবার হিমু র সব বই গুলো পড়তে হবে।
আমি এইখানে যে বই এর রিভিউ দিলাম, ওই টা পড়া না থাকলে ignore করেন। যদি পড়েন , আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি , পড়ার পর বুজতে পারবেন সময় নষ্ট।
আপনাকে ধন্যবাদ কমেন্ট আর জন্য , আবারো ধন্যবাদ ব্লক করা তা শিখেয়ে দিবার জন্য। ভালো থাকবেন
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমার ফেভারিট লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাঙলাদেশের আধুনিক লেখকদেের মাঝে হুমায়ুন আহমেদ , জাফর ইকবাল , ইমদাদুল হক মিলন , সুমনতো আসলাম , মোহিত কামাল , এদের বই রেগুলার পড়তাম ।
ঝামেলাবাজ লেখকদের মাঝে তসলিমা নাসরিন ( ) , হুমায়ন আজাদের বই পড়েছি।
আমার চোখে সেরা ইংরেজি নভেল: Pearl S Buck (First American Woman to Win Both a Pulitzer and Nobel Prize) -The Mother ।
আমার চোখে বাংলা সেরা নভেল: অনিমেষ ট্রিলজি (উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ) -সমরেশ মজুমদার ।
অনুবাদ বই শতাধিক পড়েছি । ।
১০ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৪২
সুম১৪৩২ বলেছেন: তাসলিমার কিছু বই আমার কালেকশন এ আছে , লজ্জা বই তা পড়েছি , সত্যি বলতে , একটা লেখক এত ভুল information দিয়ে বই লিখতে পারে আমার জানা ছিল না। ওই বই টা পড়ার পর আমার মনে হয়েছে উনি যা দাবি করে , ( আমার সাথে ওই হয়েছে , ওই হয়েছে ) , এই গুলো ভুল হতে পারে , কারণ উনার কথা বার্তা এবং লেখা এক তরফা।
হুমায়ুন আজাদ এর ও কিছু বই কালেকশন এ আছে , সব গুলো পড়া হয় নাই, যত গুলো পড়েছি , তাতে আমার মন্তব্য হলো। উনার লেখা ভালো , ইনডিরেক্টলি অনেক কিছু বুঝাতে সক্ষম।
আমি নিজে কিছু জটিল বই অনুবাদ এ হাত দিয়েছি, আশা করি আগামী বছর এর মধ্যে ২ টা বই আর অনুবাদ শেষ করতে পারবো। একটা বই অলরেডি অনুমোদন আর জন্য এপলাই করেছে প্রকাশক , দেখি কি হয়।
যদি অনুমোদন না পাই , তাহলে সামু তে ছেড়ে দিবো । হাহা
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:২০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মানুষের যখন নীতি নৈতিকতার স্খলন ঘটে তখন তার প্রভাব তার কাজের মাঝেও পড়ে। হুমায়ুন আহমেদ তার জ্বলন্ত প্রমান। গুলতেকিন হয়ত প্রচন্ড আক্ষেপে এখন হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে লিখছেন । গুলতেকিনের প্রতি পুর্ন সম্মান রেখেই বলছি হুমায়ন আহমেদ নিশ্চই সারাটা জীবন চরিত্রহীন ছিলেন না। নিশ্চই হুমায়ন আহমেদের সাথে গুলতেকিনের সুন্দর স্মৃতিও রয়েছে। তা নাহলে তিনি ২৪ বছর হুমায়ুন আহমেদের সাথে সংসার করতে পারতেন না বা তার চারটি সন্তানের জন্মও দিতেন না । তিনিতো আর অবলা , অসহায়, দরিদ্র পরিবার থেকে আসা কোন নারী নন।
হুমায়ুন আহমেদ যতদিন পর্যন্ত তার পরিবারের প্রতি কমিটেড ছিলেন , সেটাই তার স্বর্নালী যুগ।কালজয়ী সব উপন্যাস তিনি বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিয়েছেন। চারিত্রিক স্খলনের পর তার লেখালেখি , ব্যক্তিগত জীবন ছিল কেবলই ধংসের দিকে ধাবিত হওয়া।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: বইটা আমি প্রথম পড়ি, কোনো এক ইদ সংখ্যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: লেখার সাথে তার ব্যক্তিগত জীবনকে না মেলানোই ভালো।তার জীবন তার ইচ্ছা।নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা সবার আছে অন্যের ক্ষতি না করে।