নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিশ দ্বীপে দু'দিন...

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

ইরানে এসেছি গত ২১ জুন, একটা চুক্তিভিত্তিক চাকরি নিয়ে। এক মাসের ভিসা দিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। ভিসার মেয়াদ শেষ, তাই এখন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। মজার ব্যাপার হল, এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সরাসরি তেহরান থেকে নেয়া যাবে না। আমাকে ইরানের বাইরে যেতে হবে, হতে পারে সেটা ঢাকা থেকেও।



কিন্তু, ইরান এজন্য একটা মজার ব্যবস্থা করে রেখেছে যাতে বেশী দূর যেতে না হয়। বলতে পারেন, টাকা কামাই করার একটা ব্যবস্থা। ইরানের দক্ষিণ উপকূল থেকে একটু দূরে পারস্য উপ সাগরে কিশ নামে একটা দ্বীপ আছে, ইরানের অনর্ভূক্ত। এই দ্বীপটিকে ওরা ফ্রি ট্রেড যোন হিসেবে ঘোষনা করে রেখেছে। এখানে আপনি বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে বিনা ভিসায় চলে আসতে পারবেন।







ইন্টারনেট ঘেটে দেখলাম, এটাকে ওরা দুবাই বা দোহা’র সমকক্ষ হিসেবে তৈরী করতে চাচ্ছে। প্রচুর শপিং মল আছে, আরো তৈরী হচ্ছে। অনেক বড় বড় বিল্ডিং তৈরী হচ্ছে, সড়ক দ্বীপগুলোতে গাছ লাগানো হয়েছে। শপিং মলগুলোতে ছোট ছোট কাউন্টারে রিয়েল এসটেট এর তথ্য কেন্দ্র, সামনে কোন টুইন টাওয়ারের মডেল। যেমনটা দেখা যায় দুবাই এয়ারপোর্টে। আপনিও চাইলে এখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন। দামী দামী গাড়ী চলছে। তেহরানে যেমন প্রচুর সাধারণ গাড়ী দেখা যায়, এখানে তা না। ব্যক্তিগত গাড়ীগুলোও বেশ দামী। টয়োটা ক্যামরী আর করোল্লা গাড়ী দিয়ে ট্যাক্সি সার্ভিস চলছে।









দ্বীপে ডলফিনের খেলা, সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং থেকে শুরু করে সব ধরণের ওয়াটার রাইডসের ব্যবস্থা আছে। আমি অবশ্য ঐদিকটায় যাইনি। কারণ, বাইরে বেরুনো আর চুলার মধ্যে গিয়ে পড়া, একই ব্যাপার। প্রচন্ড রৌদ্রের তাপ সাথে আর্দ্রতা। Feel temperature টাকে বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক গুন। রোজা রেখে বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা ! শরীর ঘেমে নেয়ে একাকার, একটু রাস্তায় হাটলেই। তেহরানে ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাও থাকে বিকেলে। কিন্তু, আর্দ্রতা না থাকায় তেমন কষ্ট হয় না, তেষ্টাও পায় না।

অফিস থেকে কিশ এয়ারে টিকেট কেটে দিয়েছিল। বহু পুরনো বিমান, যদিও চলল ভালই। দেড় ঘন্টায় কিশ পৌছে গেলাম। উঠেছিলাম পারমিশ হোটেলে। ইন্টারনেটে লিখে রেখেছে ৫ স্টার হোটেল, আসলে ৩ স্টারের বেশী মনে হয় নি। নেটে দেখলাম লোকজন ব্যাপক ক্ষ্যাপা, ভাল কোন মন্তব্য নেই। যাহোক, এসিটা ভাল ছিল, এই দিক দিয়ে শান্তিতে ছিলাম।





পারমিশ হোটেল...



রিসেপশন



লবি



হোটেল থেকে সমুদ্রের ভিউ



২০ জুলাই সকালে দ্বীপে নেমে হোটেলে চেক ইন করেই চলে যাই সাদাফ টাওয়ারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অফিসে। সেখান থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথে সাক্ষাৎ করে ব্যাংকে ৯০ ইউরো জমা দিয়ে সেই কাগজ আবার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে জমা দিয়ে দুপুর বারটার আগেই কাজ শেষ। বাকী হল, পরদিন সকালে গিয়ে ভিসা লাগিয়ে আসা, আর ইমিগ্রেশন পুলিশের সিল নেয়া।









কিশ দ্বীপের পথে পথে



হোটেলে বসে কিছুক্ষণ এসির বাতাস খেয়ে ভাবলাম, যাই সামনের প্যারাডাইস মল এ ঘুরে আসি। আমি আবার বিকেলে ৪ টা থেকে একটা সিটি ট্যুর নিয়েছি। দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত দুই ঘন্টা শপিং মল এ ঘোরা যায়। গিয়ে দেখি, মার্কেটের প্রবেশ পথ বন্ধ। অন্য পথে যাই, সেখানেও বন্ধ। ঘটনা হল দুপুর ২ ~ ৫ টা পর্যন্ত সব শপিং মল বন্ধ থাকে ! আজব, এমন আর কোথাও দেখিনি!



বিকেলে ঘুরতে বেরুলাম, বাসে করে আরো অনেক ইরানী লোকজনের সাথে। আমিই একমাত্র বিদেশী। ব্যাটা যা বলে ফারসিতে বলে, আমি কিছুই বুঝি না। এক ইরানি মেয়ে, ভার্সিটিতে পড়ে, পাওয়া গেল একমাত্র সে ই ইংরেজি জানে ওখানে। প্রত্যেক স্টপেজে গেলে আমাকে সে বলে দেয় কয়টার মধ্যে ফিরে আসতে হবে !



প্রথমে নিয়ে গেল কিশ আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি। মাটির নীচে খুড়ে বেচারারা সুড়ংগমত বানিয়েছে, কিছু কারুকার্য করেছে। ঢোকার মুখে ট্র্যাডিশনাল গান বাজনা চলছে। সব মিলিয়ে প্রাচীন কোন শহরের আবহ। কিছু ছবি তুলেছি, দেখুন।



































পরের গন্তব্য, গ্রিণ ট্রি পার্ক ! পার্কে ঢোকার মুখে এক বিশাল বটবৃক্ষ জাতীয় কিছু, সবাই ওটার গোড়ায় গিয়ে ছবি তুলছে।









পার্কের অন্যান্য গাছ দেখে আর খুব বেশী দূর এগুতে ইচ্ছে করল না। চুলা টাইপের গরম, বুঝতেই পারছেন, বাসের এসিতে বসে থাকা উত্তম।







এরপর নিয়ে গেল সাগর পারে। আমাদের দেশের মত সুন্দর সৈকত না, ভাংগা চুরা সৈকত। হয়ত অন্য দিকে slope ওয়ালা সৈকত আছে। সেদিকটায় যাই নি। বিকেল সোয়া ছয়টা। রোদ এবার তীর্যক। সাগর পাড়ে এসি করা হোটেল, ঢুকে দেখি লোকজন সমানে সীসা আর পানীয় পানে ব্যস্ত।







রমযান মাস তাতে কি হয়েছে, কারো পরোয়া নেই। বাইরে সমুদ্রের ধার ধরে বেশ কিছু খাটিয়া বিছানো। এগুলোতে বসে এরা খাওয়া দাওয়া করে। সময় নষ্টা না করে ঐ খাটিয়ার উপরেই আসরের নামাযটা পড়ে নিলাম।

একটু এগিয়েই আরেক দর্শনীয় স্থান, গ্রিক জাহাজ। বহু বছর আগে এখানকার অধিবাসীরা আবিষ্কার করল, তীরে এক জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে। জানতে পারল, এটা একটা গ্রিক জাহাজ। সেই থেকে এই জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে। ছবিতেই দেখুন।









আমাদের ঘোরাঘুরি শেষ প্রায়। একটা শপিং মল এ এসে থামল গাড়ী। আমি ভেতরে গিয়ে কয়েক বোতল পানি কিনে নিলাম। বাজে সন্ধ্যা ৭ টা। ৮ টায় ইফতার এর সময় হবে। সারা দিন রোদে যে পরিমাণ ঘাম ঝরেছে, কয়েক লিটার পানি মনে হচ্ছে খেয়ে ফেলতে পারব। হোটেলে পৌছে গেলাম পোনে আটটা নাগাদ। আগেই বলা ছিল, লাঞ্চের পরিবর্তে আমাকে তোমরা ইফতার দিও। আটটার কিছু আগে ইফতার পাঠিয়ে দিল। ইফতারের আইটেম হল একপিস জুলবিয়া (জিলাপী), আরো একটা মিষ্টি আইটেম, কিছু ঘাস পাতা, পুদিনা পাতা, পনির, রুটি, পায়েস জাতীয় কিছু একটা, চা এবং আগে থেকেই রুমে থাকা আপেল, মালটা। সকালে প্লেনের খাবারগুলো রেখে দিয়েছিলাম, সেখানে জুস ছিল। সব মিলিয়ে ইফতারটা খারাপ হল না।



আজ যখন এই পোস্ট লিখছি, ২১ জুলাই, এয়ারপোর্টে বসে আছি। ২ ঘন্টা পর ফিরতি ফ্লাইট। সকালে আবার চলে গিয়েছিলাম সাদাফ টাওয়ারে, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অফিসে। পাসপোর্টে ভিসা লাগিয়ে দিল। সেটা নিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে সিল লাগিয়ে আবার হোটেলে চলে এলাম। অবশ্য সকালেই চেক আউট করে বের হয়েছিলাম। তাই সরারসি হোটেলের উলটো দিকের প্যারাডাইজ শপিং মলএ ঢুকে পড়লাম। দামী দামী ব্র্যান্ডের দোকান। কেনার খুব একটা প্রয়োজন ছিল না, তাই ঘুরে ঘুরেই দেখলাম।









বড় ছেলের জন্য একটা স্কুটি কিনে ফেললাম। ক’দিন ধরেই ওর মা বলছিল, দেশে কিনবে কি না। আমিই কিনে ফেলালাম এখানে, দামেও দেশের চেয়ে অনেক কম।



উঠছি, জোহর নামাজটা পড়ে নেব এখন। তারপর ইনশাল্লাহ তেহরানের পথে উড়াল... পোস্ট কিন্তু এখন দেব না, তেহরানে গিয়ে, কারণ, এয়ারপোর্টে ফ্রি ইন্টারনেট নেই, আর মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিড ভাল না, ছবি দিতে খুব সমস্যা হয়। সে পর্যন্ত ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফিয।



কিশ আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট, ইরান, ২১ জুলাই ২০১৩ দুপুর ২:২৫

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২০

শেরশাহ০০৭ বলেছেন: ভাল

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

পথহারা নাবিক বলেছেন: কয়দিন আগে ইরান গিয়েছিলাম !! ইরান সেলের সিম কিনেছিলাম ওটা থেকে বাংলাদেশে কল যায় না! এইটাই জঘন্য বাকি সব অসাধারন ছিল! বিশেষ করে বন্দর আব্বাস সিটি!!

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আচ্ছা, আমি অবশ্য তেহরানের বাইরে কিশ দ্বীপ ছাড়া আর কোথাও যাইনি। দেখি, যদি আল্লাহ কপালে রাখে ভবিষ্যতে ঘোরাঘোরির চেষ্টা থাকবে। :)

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্টে একরাশ মুগ্ধতা।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী... :)

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৬

নীরব দর্শক বলেছেন: ইরান যাবে শুনছিলাম কিন্তু চলে গেছ জানতাম না। শুভ কামনা রইল :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র রুমন ভাই... :)

দোয়া করবেন।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯

আরজু পনি বলেছেন:

খুব ভাল লাগলো, ছবি আর বর্ণনা।

পারমিশ হোটেলের ছবি আর কিশ আন্ডার গ্রাউন্ডের প্রথম ছবিটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।

একটা বিষয় , বললেন ওখানে দিনের বেলা পানাহার চলছিল...ওরা কি মুসলমান ছিল ?!

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আরজু পনি।

হুমম, ওরা সবাই মুসলমান ছিল। খুবই পরিতাপের বিষয়, ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান, ইসলাম শুধু ঐ নামেই বর্তমান। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত নসিব করুন, আমিন।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

জুন বলেছেন: হু আমেরিকা থেকে লোকজন যেমন মেক্সিকো যায় তেমনি আরকি কিশ দ্বীপে যাওয়া। ঐ দুপুরে দিবানিদ্রার জন্য দোকান বন্ধ করতে দেখেছিলাম আমি রোমে। নতুন একটি জায়গার বিবরন দক্ষতার সাথে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জহির।
ইরানের গল্প শোনার অপেক্ষায় :)
+

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, সমস্যা হল চাকরি নিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়। যার কারণে গল্প লেখার মুড পাই না... তবে চেষ্টা থাকবে... সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আবারো... :)

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

শ।মসীর বলেছেন: ঐ দেশি পুলিশ মামুরা কেমন, এত সিল দিল পয়সা টয়সা কিছু চায় নাই ;)

ইরানিরা রোযা না রাইখা মাস্তি কইরা বেড়াচ্ছে !!! আশায় থাকলাম শিয়া মুসলীমদের নিয়ে বিষদ লিখবেন !!


ভাল থাকেন, শেয়ার করেন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: শেষ পর্যন্ত গরিবের ঘরে হাতির পা ! সেলিব্রেটি ব্লগার শামসীর এর দেখা পাওয়া গেল শেষ পর্যন্ত !!

আসলে কিশ দ্বীপে এইটা ইরানি সরকারের একটা ব্যবসা। সুতরাং এইখানের পুলিশ, মন্ত্রণালয়ের মামুরা খুব ভাল, সৎ এবং সদ্বব্যবহারকারী। আচরণ বন্ধুর মত। খুবই সাহায্যপরায়ন।

তবে তেহরানের পুলিশ শুনেছি ঝামেলা করে, একবার এক বাংলাদেশীকে ধরে ২০০ কি.মি. দূরে নিয়ে চলে গিয়েছিল। সাথে পাসপোর্ট নাই, সুতরাং কোন কথা বলার সুযোগ দেয় নি। পরে অফিস তাকে উদ্ধার করেছে কয়েক দিন পর। যাহোক, দোয়া করো যাতে সেরকম কোন অবস্থায় না পড়তে হয়।

আসলে এত ব্যস্ত থাকি, যে শিয়া মুসলিমদের নিয়ে গবেষনা করার সুযোগই পাই না। দেখি যদি কখনো সেভাবে সময় দিতে পারি তবে লিখব। ভাল থেকো। আল্লাহ হাফিয।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: valoi to posh lyf style dekhi!!! B:-/ B:-/

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... এটা ফ্রি ট্রেড জোন, ইরান চাইছে এটাকে দুবাই/দোহা'র প্রতিদ্বন্দী হিসেবে গড়ে তুলতে। তুমিও চাইলে এখানে ব্যবসা শুরু করে দিতে পার। চলে আস... ;) ;)

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: সুন্দর ছবি। বিনে পয়সায় কিছুটা ইরান ভ্রমন হয়ে গেলো 8-|

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... বিনে পয়সায় যেহেতু ইরান ভ্রমন হয়ে গেল, আমি যখন দেশে ফিরে যাবো, একদিন দাওয়াত করে খাওয়ায় দিয়েন, আপনি তো আবার রান্না বান্না স্পেশালিস্ট !!! :)

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

নিমচাঁদ বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে দুপুর দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত বেশীরভাগ দোকান এবং শপিং মল বন্ধ থাকে ।এই সময়টায় গরম খুব বেশী থাকে এবং মাক্সিমাম লোকজন এই সময় দুপুরে ঘুমায়।দুবাই সহ বেশ কিছু শহরে আমি এই রকম দেখেছি।
বর্ণনা ভাল লাগলো , আপনার ইরানের জীবন ভালো কাটুক, আমিন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: যাক, আপনার কাছ থেকে আসল ঘটনা জানা গেল, ধন্যবাদ।

আসলেই ভাই, যেই গরম, প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে গিয়েছিল !!!

জাজাকাল্লাহ খায়র... :)

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

আরমিন বলেছেন: বাহ বাহ ! চমৎকার ভাইজান!
পারমিশ হোটেলটা দেখতে কেমন জাহাজ জাহাজ, ভাল্লাগছে।
কিশ আন্ডারগ্রাউন্ড সিটিটাও ভাল লাগছে। বীচের অবস্থা অবশ্য তেমন ভাল না।

ভাইয়া, আপনার পায়ের তলায় কয়টা তিল আছে? :-* এত মজা করে ঘুরে বেড়ান! হিংসা মিশ্রিত প্লাস!

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাহ, নতুন তত্ত্ব জানা গেল ! তিল তত্ত্ব !! দাঁড়াও, বাসায় গিয়ে দেখতে হবে। :)

তুমিওতো মাশাল্লাহ কম ঘোরাঘুরি কর না, তোমার পায়ের তলায়ওতো তাহলে অনেক তিল ! B-) B-)

আর যে গরম ছিলরে ভাই, মজা না, আযাবে ছিলাম বলতে পার!! আর গেছিতো অফিসিয়াল কাজে, ঘুরতে না... ;) :P

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: হুঊঊঊউম...ফ্রী ফ্রী দাওয়াত খাওয়াবোনে আমি যেমন ফ্রী ফ্রী ঘুরে এলাম ;)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনে আসলেই ব্যাপক বুদ্ধিমতী, ছাই দিয়াও ধরা যায় না... :P :P

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আপনার পোষ্টে আসা মানেই ফ্রি ফ্রি ঘুরে বেড়ান!! চমৎকার বর্ননা এবং ছবি সব মিলিয়ে দারুন একটা ভ্রমন ব্লগ। অনেক ভালো লাগল।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র কাল্পনিক ভাই... :)

দোয়া করবেন যেন আরো ঘুরে বেড়াতে পারি...

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

সাদী, ফেরদৌসীর দেশের বর্ণনা শুনে ভাল লাগল।ভাল লাগল ছবি।

ধন্যবাদ জহির ভাই...

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র... :)

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০১

অথৈ সাগর বলেছেন:

অনেক দিন পর তোমার লেখা পড়লাম । ভাল লাগল। কাউকে না জানিয়ে ইরানে পারি দিলা। লেখা চালিয়ে যেও। ভাল থেক।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কে বলল কাউকে জানাইনি ভাইয়া, ফেইসবুকে জানিয়েছিতো... :)

ভাল থাকবেন।

১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৪

ফারিয়া বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার ভ্রমনকাহিনি! আশা করি সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসছেন! :)

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ফারিয়া, দোয়া করবেন যাতে সুস্থভাবে মিশন ইরান শেষ করে দেশে ফিরে যেতে পারি... :)

১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

ম্যানিলা নিশি বলেছেন: ভাল লাগল ধারা বর্ণনা

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ম্যানিলা... :)

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

সুজন দেহলভী বলেছেন: জহির ভাই। আমি আপনার এক্স কলিগ। ফিনান্সে ছিলাম, নামাজের রুমে অনেক দেখা হয়েছে কিন্তু কথা হয়নি। আপনার লেখা অনেক ভালো লাগে। আশার করি আপনার লেখায় ইরান দেখতে পাবো। ভালো থাকবেন।

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমি জানতাম সুজন ভাই, আপনি যে আমার সহকর্মী... :)

তবে নামায রুমে খেয়াল করি নি। দোয়া করবেন আমার জন্য। যাতে আপনাদের ইরান দেখাতে পারি...

১৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

আমিভূত বলেছেন: আগেই পড়ে গিয়েছি , আজ আবার পড়লাম খুব সাবলীল বর্ণনা করেন বলেই আপনার ভ্রমণ লেখা গুলো আগ্রহ নিয়ে পড়ি , বিদেশ ঘোরার শখ পূরণ হয় আরকি :)

আল্লাহ্‌ আপনাকে আরও দেশ ঘোরার এবং আল্লাহর নিয়ামত দেখার সুযোগ দিন ।

অটঃ আপনি কি আগের জব ছেড়ে গিয়েছেন ? :(

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জেনে ভাল লাগল আমার লেখা তোমার ভাল লাগে। আল্লাহ তোমার দোয়া কবুল করে নিন, আমিন। :)

হুমম, বাংলাদেশের চাকরি ছেড়ে তবেই এখানে এসেছি...

২০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

তুষার কাব্য বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার ভ্রমনকাহিনি!
ফ্রী ফ্রী ঘুরে বেরাচ্ছেন।আফসোস :P

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দোয়া থাকল আপনার জন্য, আপনিও যাতে ফ্রি ফ্রি ঘুরে বেড়াতে পারেন... :)

২১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

শোভন শামস বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার ভ্রমনকাহিনি

খুব সাবলীল বর্ণনা
আপনার ইরানের জীবন ভালো কাটুক

ধন্যবাদ ++++++++++

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ শোভন ভাই। :)

২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

শ।মসীর বলেছেন: নতুন ভ্রমন গল্প কই....

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: টাইম পাচ্ছি না ভাই, আপাততঃ ফেইসবুকে ছবি দেখে নাও... :)

২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বাহ, আপনি তো ভ্রমণ কাহিনী দারুণ লেখেন। প্রাঞ্জল বর্ণনা। বেশ লাগল।

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: তাই নাকি? হুমম, আসলে ঘুরতে খুব ভালবাসি... :)

আমার ব্লগে স্বাগতম... সময় থাকলে অন্যান্য ভ্রমন কাহিনীগুলো পড়ে দেখতে পারেন।

Click This Link

২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

অ্যামাটার বলেছেন: শান্তিতে আছেন ভাই। ভ্রমন আর ভ্রমন:)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, দুনিয়া শান্তির জায়গা না, এর মধ্যেও যতদূর পারা যায়... :)

২৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

সুবিদ্ বলেছেন: টয়োটা ক্যামরী আর করোল্লা গাড়ী দিয়ে ট্যাক্সি সার্ভিস চলছে।

ভালো তো...

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম... ওরা এটাকে দুবাই বা কাতারের সমকক্ষ করতে চায়...

২৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

আলোর পরী বলেছেন: কোন জায়গা কে চিনিয়ে দিতে আপনার জুড়ি নাই , সাবলীল লেখায় মনে হয় নিজেরাও ঘুরে এলাম ।
আমার ইরান ভ্রমনের খুব শখ । ইরান বিষয়ে আপনার একটি পোস্ট আশা করছি ।
ভাল থাকবেন । অনেক শুভকামনা রইল ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, দারুণ বলেছেন, একেবারে ফুলে ফেপে উঠলাম !! :#) :#)

আপু, ইরানে যেসব জায়গায় ঘুরেছি সেসব জায়গা নিয়ে কিন্তু পোস্ট দিয়েছি, একটা ছবি ব্লগও আছে, দেখেছেন কি? এছাড়া আর কি ধরণের তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট আশা করছেন?

তবে সত্য হল, এখানে চাকরিতে খুব বেশী ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই ইরান নিয়ে গবেষনা/পড়াশোনা করে কোন পোস্ট দেয়ার মত এনার্জি আর থাকে না সপ্তাহান্তে। আর ইনশাল্লাহ কিছু দিনের মধ্যেই বউ বাচ্চারা আমার সাথে ইরানে চলে আসবে, তখন ব্লগ লেখাটাই একটা চ্যালঞ্জিং ব্যাপার হবে, আল্লাহই জানে !! B:-) B:-)

ইনশাল্লাহ ৬ নভেম্বর দেশে যাচ্ছি কয়েক দিনের জন্য, দোয়া করবেন। :)

২৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার পোষ্ট যতই দেখছি ততই ভালো লাগছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অন্যান্য পোস্ট দেখারও আমন্ত্রণ রইল। :)

২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১

আমি পাঞ্জেরী বলেছেন: ভাই কি এখনো ইরানে আছেন????

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুম ভাই, এখনো আছি। ভাল লাগছে আপনি বহু পুরনো পোস্টগুলোতে ঘুরছে্ন... :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.