![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বর্তমানে ৬০ লক্ষ মানুষের বাস। নগর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ট্রাফিক সিস্টেম। প্রতিদিন লাখো মানুষের কর্মস্থল ও আপন গন্তব্যে সঠিক সময়ে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এ বিভাগের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। আর এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি)। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগ উত্তর ও বন্দর এ দুটি বিভাগের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন সিএমপির চৌকস দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তা এসি মাহমুদা বেগম ও এসি তাহমিনা তাকিয়া। সিএমপির উত্তর ও বন্দর বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন আটটি থানা এলাকায় কর্মরত প্রায় চার শতাধিক ট্রাফিক পুলিশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই দুই নারী পুলিশ।
গত বছরের ২৮ আগস্ট নগর ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার (এসি) হিসেবে যোগদেন মাহমুদা বেগম এবং তার আগে একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে নগর ট্রাফিকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তাহমিনা তাকিয়া। তারা দুজনেই ২৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন।
৫ মার্চ দুপুরে অবরোধ-হরতালের মধ্যে নগরীর আগ্রাবাদ মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, যানচলাচল স্বাভবিক রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এসি মাহমুদা বেগম। এক হাতে ওয়াকিটকি আর অপর হাতে সিগনাল দিয়ে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন যানচলাচল। আবার কখনো-সখনো অধস্তন সার্জেন্ট এবং কনস্টেবলদের নির্দেশ দিচ্ছেন ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণে।
তিনি জানালেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ পুরো বিষয়টাই ব্যবস্পথানার বিষয়, নিয়ম ও আইন মানার বিষয়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন নাগরিক সচেতনা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশিংয়ে নারী-পুরুষ আলাদা বলে কিছু নেই। আমরা সবাই পুলিশ।
তিনি বলেন, সুুষ্ঠ ব্যবস্পথাপনা ও পর্যবেক্ষণ করাই আমার কাছ। বাকি কাজগুলো সার্জেন্ট ও কনেষ্টেবলরা করেন।
৬ মার্চ দুপুরে সকালে নগরীর খুলশী এলাকায় দায়িত্ব পালন করার সময় কথা হয় এসি তাহমিনা তাকিয়ার সাথে। নারী হয়ে ট্রাফিকে কাজ করতে কোনো সমস্যা হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, সিএমপিতে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পুলিশের মধ্যে নারী সদস্য রয়েছেন ২০০ জন। আমার চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে ভালো লাগে আর সেকারণেই পুলিশে আসা। আমি যখন ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে রাস্তায় নামি তখন অনেক পথচারীই বাহবা দেন-প্রশংসা করেন।
আইন সম্পর্কে আমাদের আরও পজেটিভ হতে হবে। আইন মেনে চললে রাস্তায় কোনো যানজট থাকবেনা বলে মনে করেন তিনি।
চলতি বছর থেকেই বাংলাদেশ পুলিশে নারী সার্জেন্ট নিয়োগ দেয়া জানিয়ে তিনি বলেন, এবছর নারী সার্জেন্ট পদের জন্য সার্কুলার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
রোদ-বৃষ্টি-ঝড় যে কোনো পরিস্থিতিতেই ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে রাস্তায় থাকতে হয় এই দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা দায়িত্বে থাকতে হয় তাদের।
এসি মাহমুদা বলেন,একজন পুরুষ ট্রাফিক কন্ট্রোলার যদি কড়া রোদের মাঝে দাঁড়িয়ে এ কাজ করতে পারেন তবে আমরা কেন পারবো না। নগরীতে বিকল্প পথ না থাকা ও রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ি চলাচলের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক কন্ট্রোলে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা আর প্রযুক্তিগত অভাব রয়েছে। ডিজিটাল যুগে আমরা ট্রাফিক কন্ট্রোল করি এনালগ পদ্ধতিতে অর্থাৎ হাত দিয়ে।
নগর ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুরো নগরীকে দুইটি বিভাগে ভাগ করে চারটি জোনে বিভক্ত করেছে নগর ট্রাফিক বিভাগ। এই চারটি জোনের দুটির দায়িত্বে আছেন দুজন নারী ও অপর দুটি জোনের দায়িত্বে রয়েছেন দুজন পুরুষ।
ট্রাফিক পুলিশরা রাস্তায় শুধু ট্রাফিক কন্ট্রোলই করেন না যানজট নিয়ন্ত্রণ ও নিরসন করার কিছু উপায়ও তারা বের করেন। যানজট নিরসনে নগরীতে আউটার রিং রোড করার প্রস্তাবনা নগর ট্রাফিক বিভাগের।
নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখতে হলে সিডিএ ,সিটি কর্পোরেশন ও টাফিক পুলিশের সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দিয়ে এসি তাহমিনা বলেন, সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে যানজট নিরসন সম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে এসি মাহমুদা বলেন,নারী-পুরুষ কাধে কাধ মিলিয়ে পুলিশ বাহিনীতে কাজ করছে। এখানে নারী- পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। একজন পুরুষ পুলিশ হয়ে যে কাজ করছেন একজন নারী পুলিশকেও ঠিক একই কাজ করতে হচ্ছে।
এই দুই নারী কর্মকর্তা সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অর্থ,প্রশাসন ও ট্রাফিক) এ কে এম শহীদুর রহমান বলেন, মাহমুদা বেগম ও তাহমিনা তাকিয়া এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনা করছেন। তারা নারী হয়েও পুরুষ কর্মকর্তার মতো এ দায়িত্ব অনেক ভালোভাবে পালন করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নারী পুলিশ নেটওয়ার্ক চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি ও সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদা বেগমের বাবা এ এফ এম জাহেদুল ইসলাম অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকতা। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র নারী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৩ সালে আমেরিকা থেকে সোয়াত ট্রেনিং সম্পন্ন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে মাহমুদা বেগম সাংবাদিক জালালউদ্দিন সাগরের সহধর্মীনী ও এক সন্তানের জননী ।
ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টর্স করা বাংলাদেশ নারী পুলিশ নেটওয়ার্ক চট্টগ্রাম অঞ্চলের সদস্য সচিব ও সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার তাহমিনা তাকিয়ার বাবার নাম মোহাম্মদ ইউনুস। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট পলিসির উপর প্রশিক্ষণ নিতে আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এই নারী কর্মকর্তা।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
পুরান লোক নতুন ভাবে বলেছেন: ভাগের টাকা ঠিক মতো পায়তো!! নাকি কম পায়!! জাতি জানে চায়!!
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫
মারুফ মুনজির বলেছেন: আজ অফিসে এসে ১০ টার মতো পত্রিকা পড়লাম, আজ নারী দিবস হিসেবে নারীদের নিয়ে প্রচুর লেখা, গবেষনা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সফল নারীদের গল্পও প্রকাশিত হয়েছে অনেক, তার মধ্যে বনিক বার্তার প্রধান নিউজটা আমার ভালো লেগেছে, বাংলাদেশের সফল ১০ নারীর জীবন নিয়ে রিপোর্ট, এই রিপোর্ট পড়ার পর কিছু প্রশ্ন মাথায় এসেছে যা আমি নিউজ পরে জানতে পারিনি, জানা থাকলে জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন
১.এই সফল নারীরা কি বিয়ে করেছেন, তাদের স্বামীদের পেশা কি, তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক কেমন ছিলো, এসব নারীরা কিভাবে এই সম্পর্ক ম্যানেজ করতেন, তাদের স্বামীদের কি ভুমিকা ছিলো, সেটা কতটা ইতিবাচক কতটা নেতিবাচক, নেতিবাচক হলে কিভাবে ম্যানেজ করেছেন। মোট কথা পারিবারিক জীবন কেমন ছিলো।
২. এসব নারীরা পরিবারে কিভাবে সময় ম্যানেজ করতেন, এদের কয়টা করে ছেলে মেয়ে রয়েছে, তাদের সন্তানরা কি কি করেন, তাদের সন্তানরা কি ভালোভাবে গড়ে উঠেছে নাকি স্পয়েল হয়েছে, যদি ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে সেটা ম্যানেজ করেছেন, এই সন্তান লালন পালনে তাদের স্বামীদের কি ভুমিকা ছিলো।
৩. এই সফল নারীদের অর্থনেতিক হিসেব কেমন ছিলো, তাদের সম্পত্তি কিভাবে খরচ করেছেন।
৪. পরিবারে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন কিভাবে, স্বামী ও তার পরিবার এই পারস্পারিক দুই পরিবারের সদস্যদের সাথে কিভাবে সম্পর্ক ম্যানেজ করতেন।
৫. এই সকল সফল নারীদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ কেমন ছিলো, তাদের কলিগদের কি ধরনের ভুমিকা ছিলো, এই পর্যন্ত উঠে আসায় তাদের কি কি চ্যালেঞ্জ ছিলো।
৬. এরা যদি কেউ অবিবাহিত বা ডিভোর্সি হয়ে থাকেন তাহলে তাদের এ পর্যন্ত জীবন কিভাবে পরিচালনা করেছেন।
৭. এই সফলদের জীবনের এই বেলায় এসে জীবন সম্পর্ক ধারনা কি, তারা কি জীবনে ভুল করেছেন, নাকি সঠিক করেছেন।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
অন্তহীন ছুটে চলা বলেছেন: ভাইয়া, যে নিউজগুলো দেয়া হয়েছে, তাতে কেবল তাদের কাজেই ফোকাস করা হয়েছে। যেহেতু তাদের কাজের প্রশংসা আর স্বীকৃতির জন্যই লিখা হয়েছে, তাই ব্যক্তিগত ব্যপার গুলো ইচ্ছে করেই পরিহার করা হয়েছে। এসব বিষয়ে লিখা হলেও তা নিউজ রুলস অনুযায়ি বাদ দেয়া হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
ঢাকাবাসী বলেছেন: বাকি সব পুলিশ যদি খালি ঘুষ না খেয়ে ঘুষ না খেয়ে যদি এদের মত নিষ্ঠাবান হতো !