![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সেদিন এফএম রেডিও শুনতে খুব ইচ্ছে করছিলো।ফ্রিকোয়েন্সি চেঞ্জ করতে করতে এবিসি রেডিও তে শুনতে পেলাম, একটা শো চলছে। জীবনের গল্প। প্রতি শো’তে একজন সাধারণ মানুষকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত করে তার জীবনের গল্প শ্রোতাদের উপস্থাপনা করা হয়।
এবারের পর্বে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো থ্যালেসেমিয়ায় আক্রান্ত একজন যুবককে। তার নামটা আমার মনে নেই।সে তার অসুস্থতার কথা বর্ণনা করলো। এ রোগের কারনে তার শারীরিক কিছু সমস্যার কথা জানালো।তার অসুস্থতার কারণে সে বাইরে খেলতে যেতে পারে না। পড়াশোনাও বেশিদূর করতে পারেননি। তাই সে সারাদিন বাসায়ই থাকে।বাসার কাজ করে। রান্নাবান্না, ঘর ঝাড়ু দেয়া, কাপড় ধোয়া একজন নারী বাসায় থেকে যা করেন তার সব কিছুই। তাই পরিচিতরা তাকে হাফলেডিস বলে খেপায়।
এ প্রসঙ্গে আসতেই উপস্থাপক এবার তার এই গৃহবন্দীত্বের কথাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আলোচনা করতে লাগলো।পেছনে ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে লাগলো করুণ সুর।তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হতে লাগলো একজন পুরুষ হয়ে সম্পূর্ণ একজন নারীর কাজ করতে হয় বলে। নারীদের মতো গৃহে বন্দী হয়ে থাকতে হয় বলে।
আমাদের মা, আপু, স্ত্রী যখন সারাদিন বাসায় কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন আমরা তা দেখেও না দেখার ভান করি। একজন নারীকে বাসায় থাকতেই উৎসাহিত করি।পড়া-লেখা না করলে তো আরো খুশি হই।নারীর ট্রেডমার্কই হয়ে গেছে ঘরকন্না আর গৃহবন্দীত্ব।
আমি এ ব্যক্তিকে দোষারোপ করছি না। এনার প্রতি আমার সমবেদনা আছে। কিন্তু মানুষের মানসিকতা নিয়ে আমার আপত্তি আছে।যারা ঘরের দিকে মনোযোগ না দিয়ে পুরুষের কষ্টটাকে হাফলেডিস বলে গালি দেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
শামছুর রহমান বলেছেন: এরূপ বিষয়ে অবশ্যই পুরুষদের ভাবা উচিত ৷