নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কামরুন নাহার সানজিদা

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

অন্তহীন ছুটে চলা

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

অন্তহীন ছুটে চলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগ্যে কি অপেক্ষা করছে, কিছুই জানি না

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

ফেসবুকে প্রতিদিন হাজারো সেলফি দেখি। রেস্টুরেন্টে খাবার সামনে নিয়ে, বন্ধুদের সাথে আড্ডায়, বেড়াতে গিয়ে। কতরকম........

সবার কাছে জীবনটা অনেক উপভোগ্য। মাথায় এতোটুকু চিন্তা নেই।
থাকবেই বা কেনো? তাদের চিন্তা করার কিছুই নেই। তাদের মাথার উপর পরিবার আছে। পরিবারের শক্ত একটা হাল আছে।

ভালো ফ্যামিলির একটা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে কখনো চিন্তা করতে হয়না। যত চিন্তা আমাদের মতো ফ্যামিলির।
এই আনন্দে মাতা ছেলেমেয়েগুলো যখন পড়াশোনা শেষ করবে, তাদের বড় বড় রেফারেন্স থাকবে। রেফারেন্স দিয়ে যেকোনো জায়গায় ভালো চাকরিও পেয়ে যাবে।
মেয়েগুলোর জন্য অপেক্ষা করছে ভালো পাত্রের সন্ধান।

আর আমাদের মতো ফ্যামিলির সন্তানেরা বড় হয় বড় বড় স্বপ্ন দেখতে দেখতে।
ছোটোবেলায় যখন বাবাকে দেখি, খুব ভোরে বাবা ভাঙ্গা একটা ছাতা মাথায় কাজে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। কোনোমতে মুখে দুটো ভাত গুঁজে নিয়ে তার কাজের সন্ধানে বেড়োনো দেখে স্বপ্ন দেখতাম, বড় হয়ে যখন পড়াশোনা শেষ করবো, বাবাকে আর কষ্ট করতে দেবো না।
এই বাবাকে বুড়ো বয়সে এখনো কাজ করতে হয়।
মাকে দেখতাম সারাদিন কাজ করছেন। কখনো ছোটো ভাইকে খাইয়ে দিচ্ছেন তো কখনো আমাদের জন্য খাবার রেডি করছেন। সারাদিনই কিছু না কিছু করছেন মা।

স্বপ্ন দেখতাম, বড় আপু, মেজো আপু, ভাইয়া বড় হয়ে পরিবারের দায়িত্ব নিবে। আমরা তখন একটা বড় ঘরে থাকবো।
সবই স্বপ্ন !!!

নিজের জন্য স্বপ্ন দেখতাম। ভাবতাম, নিজেদের ব্যবস্থা হয়ে গেলে কিছু পথশিশুর দায়িত্ব নিজে নিবো। সবাই এভাবে কিছু কিছু বাচ্চার দায়িত্ব নিলে দেশে এমন ছিন্নমূল শিশুর সংখ্যা অনেক কমে যাবে।

কোথায় কি!
নিজেরই কোনো ঠিক নেই।
বাবা এখনও কাজ করছেন। মা এখনও সংসারের ঘানি টানছেন। মেজো আপুটা নিজের ইচ্ছেয় বিয়ে করে ফেললো। বড় আপু এতোদিন ফ্যামিলির কথা ভেবে নিজের বিয়েটা নিয়ে কখনো চিন্তাও করেনি। এখন ওরও যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। ভাইয়াটা নিজেরে ব্যবসা গোছাতেই ব্যস্ত।

নিজের পড়াশোনা শেষ করার আগে এখন টাকা রোজগারের চিন্তায় পড়ালেখার চিন্তাই বাদ দিতে ইচ্ছে করছে।

আমাদের মতো নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের নিম্নমধ্যবিত্ত ফ্যামিলির কাহিনীই এমন। পড়াশোনা পড়াশোনা। দেশের উন্নতি'র চিন্তা। সব লাটে গেছে।
এখন সবার ফ্যামিলির কথা চিন্তা করতে গিয়ে ছেলে মেয়েরা এখন পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সবাই কাজে নেমে পড়ছে। তাও নিস্তার নেই।

ওইসব বড় ঘরের ছেলেমেয়েদের সেলফি আর আড্ডা দেখে দেখে নিজের সখ মেটাই।
ভাগ্যে কি অপেক্ষা করছে তা নিজেদের জানা সম্ভব হলেও কিছু করার নেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.