নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কবি নই, তবু কাব্যেই আমার বিচরণ। S.s.Sunny

sunny09

হাতে রয়েছে বিশ্ব, যদিও আমি নিঃস্ব।

sunny09 › বিস্তারিত পোস্টঃ

একান্ত জগত

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৮

রফিক সাহেব চিন্তিত হয়ে বসে আছেন। তিনি চিন্তিত তার মেয়ে লাবনীকে নিয়ে। উনিশ বছর যে মেয়ের সে মেয়ে যদি অকারনে হাসে, অকারনে কাঁদে তবে বাবা হিসেবে তো তার চিন্তা হবারই কথা। মেয়ের সাথে ইদানিং কথাই বলা হয় না। মেয়ের যত আবদার তার মায়ের কাছে।
- লাবনী
- ডাকছ বাবা ?
- এক কাপ চা আনতো মা।
- বাবা তুমিতো চা খাও না। সত্যি করে বলতো তুমি কী আমাকে কিছু বলতে চাও?

মেয়ের বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হলেন রফিক সাহেব। যাক মেয়েকে যতটা বোকা মনে করেছিলেন মেয়েটা তত বোকা নয়।

- মা, তোর লেখাপড়া কেমন চলছে ?

রফিক সাহেব কখন মেয়েকে তুই ডাকে আর কখন তুমি ডাকে লাবনী আজও হিসেব কষে বের করতে পারেনি।

- ভালনা বাবা। মনে হয় পরীক্ষায় ফেল করব। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরীক্ষা দিব না।

আবার চিন্তিত হলেন রফিক সাহেব। চিন্তিত হবার বদলে ওনার রাগ করা উচিত ছিল। তার বদলে উনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। মেয়েরা বড় হলে মেয়ের বাবাদের মনে হয় চিন্তা পাশাপাশি সন্দেহ রোগও দেখা দেয়। সামান্যতেই তারা সন্দেহ করা শুরু করেন।পাড়ার ছেলেরা যদি সালাম দেয় তাতেও মেয়ের বাবারা সন্দেহের চোখে তাকান। যাইহোক মেয়েকে নিয়ে রফিক সাহেবের যত চিন্তা তার এক আনাও মনে হয় রফিক সাহেবের বউ লতিফা বেগমের নেই। ভেবে বের করলেন রফিক সাহেব।

- বাবা তুমি কি কিছু ভাবছ?
মেয়ের ডাকে ধ্যান ভাঙ্গে রফিক সাহেবের।
- নারে মা, আজ সত্যিই চা খেতে ইচ্ছা করছে।
-বাবা তোমার চা খেতে হবেনা। তুমি চাচ্ছ আমি কিছুক্ষন তোমার সাথে কথা বলি তাইতো ? বাবা তুমি চেয়ারে আরাম করে বস । আমি তোমার মাথার চুল টেনে দিচ্ছি।

রফিক সাহেব চেয়ারে আরাম করে বসেন। যাক মেয়ের বুঝ ব্যবস্থা খুব ভাল। এই মেয়েকে নিয়ে তার চিন্তিত হবার তেমন কিছু নাই।

আর অপর দিকে লাবনী তার বাবার মাথায় চুল টেনে দিতে দিতে ভাবছে , "আজ বাবার মন ভাল, সামিরের কথা কি বাবাকে বলবে?থাক আজ বাবা বিশ্রাম নিচ্ছে, আজ বাবাকে বিরক্ত করা উচিত হবে না।" ভাবতে ভাবতে লাবনীর কান্না পাচ্ছে। ইদানিং তার অকারনে কান্না পায়, আবার অকারনে মন ভাল ও হয়ে যায়। কান্না লুকাতে লাবনী বারন্দায় চলে গেল। বারান্দায় ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির তুলনায় চোখের জল অতি ক্ষুদ্র। লাবনীর মনও ভাল হয়ে গেল। সে আনমনে বৃষ্টি দেখতে লাগল।

বারান্দার দরজায় এসে রফিক সাহেব দূর থেকে মুগ্ধ হয়ে দেখেন মেয়েকে এবং দ্রুত সরে যান সেখান থেকে। প্রত্যেক মানুষেরই কিছু একান্ত জগত থাকে। সেখানে অন্য কারো প্রবেশাধিকার থাকে না। এমন কি বাবা মায়েদেরও থাকে না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৮

নতুন বলেছেন: হুম ১৮.৫ বছর পরে কি আমারও এমন চিন্তা করতে হবে কিনা কে জানে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০

sunny09 বলেছেন: হবে হয়তো, হয়তোবা না। কে জানে ?

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৬

Sharifariyan বলেছেন: ভালোহ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০

sunny09 বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৯

জারা হায়দার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১১

sunny09 বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:


শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেলো গল্প। আপনার লিখা গোছানো।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২

sunny09 বলেছেন: কি করব বলুন, বড় লিখা লিখার মত ধৈর্য ও সময় দুটোরই অভাব। তাই আপাতত এত টুকুই ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.