নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতার প্রেমে অক্ষরের সঙ্গে শুরু হয়েছিল ঘরবসতি। এখন আমি কবিতার; কবিতা আমার। শব্দচাষে সময় কাটাই...
আসুন সতর্ক হই, দেশ বাঁচাই
পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই পানি। আবার পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু পৃথিবীর বিশাল জলভাণ্ডারের পানি কি মানুষের জীবন হতে পারে? সমুদ্রের নোনাজল কি তিয়াস মেটাতে পারে প্রাণীদের। বিশাল হাওরের পানি কি নিরাপদ পাণীয়? আবার নিরাপদ পানির অন্যতম উৎস ভূগর্ভস্ত পানি কি সবসময় সবখানে নিরাপদ?
জেনারেটর চালিত সাবমার্সেবল।
না। সাগরের নোনাজল শুধু তৃষ্ণা বাড়াতেই পারে। মেটাতে পারে না কখনই। বিশাল হাওরের পানি তৃষ্ণা মেটালেও কখনো কখনো নিয়ে আসে মহামারি। কলেরা, জন্ডিসের মহামারি। ভূগর্ভের পানিতেও আছে আর্সেনিক! পানি শুধু জীবনের অপর নামই নয় বিপদের অপর নামও হতে পারে কখনো কখনো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামির পৃথিবীতে যদি কোন বিশ্বযুদ্ধ হয়; তাহলে তা হবে মিঠা পানির জন্য। সারা পৃথিবীতে মিঠা পানির উৎসগুলো ক্রমশ: শুকিয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে মানুষের পানীয় সংকট। বেড়ে যাচ্ছে নিরাপদ পানির মূল্য। সুপেয় পানি চলে যাচ্ছে প্রান্তিক মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অপরদিকে খেটে খাওয়া মানুষেরা বিশুদ্ধ পানির অভাবে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে নানা দুরারোগ্য ব্যাধিতে। অথচ মুনাফাখোর একদল কৃত্রিম সংকটও তৈরি করছে অথবা সংকট নিরসনের পথ রোধ করছে। মানুষের জীবন পানি নিয়ে বাণিজ্য করার জন্য।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যে দেশ যত উন্নত সে দেশের মানুষ তত বেশি পানি অপচয় করে। পৃথিবীতে অপচয় হওয়া প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে পানিই সবচেয়ে বেশি অপচয় হয়। একটা শাওয়ারে একবার গোসল করলে দেখা যায় প্রায় সত্তর লিটার পানি খরচ হয়ে যায়। কিন্তু সেই পানিটা যদি বালতিতে নিয় গোসল করা হয় তাহলে সর্বোচ্চ চল্লিশ লিটার পানিতেই গোসল শেষ হয়ে যায়। আবার যদি বাথটাবে সেই গোসল করা হয় তাহলে ক্ষেত্র বিশেষ একশ থেকে দেড়শ লিটার পানি খরচ হয়ে যায়। টয়লেটের ফ্ল্যাশে উন্নত বিশ্বের একজন মানুষ সারাদিন যতটুকো পানি ব্যয় করেন- উন্নয়ণশীল দেশের একজন মানুষ সারাদিনে তার সবকাজেও ততটুকো পানি ব্যয় করেন না।
ডীপসেটেও পানি ওঠছে না। তাই পরিত্যক্ত...
আবার যেখানে ট্যাপে অযু করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ট্যাপে একবার অযু করতে কারো কারো প্রায় পাঁচ বদনা পানি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু একবার অযু করার জন্য এক বদনা পানিই যথেষ্ট। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, কলেজের হোস্টেল, রেলওয়ে স্টেশনের পানির ট্যাংকি ও মসজিদের অযু খানায় সবচেয়ে বেশি পানির অপচয় হতে প্রকাশ্যে দেখা যায়। কখনো দেখা যায় ট্যাংকি ভরার পরও প্রায় কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত মটর চলছে। ট্যাংকি ভরে পানি উপচে নিচে পরছে। অথচ আমরা জানি নিয়ামতের অপচয় করলে একসময় নিয়ামত উঠিয়ে নেওয়া হয়। আবার পবিত্র কুরআনেও ইরশাদ হচ্ছে, ‘অপচয়কারিরা শয়তানের ভাই।’
আজ থেকে এক যুগ আগে সমগ্র পৃথিবীতে যখন মিঠা পানির সংকটের কথা সংবাদ মাধ্যমে আসতো, তখন আমারা অবাক হয়ে ভাবতাম, পানির আবার অভাব হয় কীভাবে? মাত্র এক-দেড় যুগের ব্যবধানে আমাদের পানির দেশ, নদীর দেশ, ভাটির দেশেই শুরু হয়ে গেছে পানির সংকট। শুধু সুপেয় পানির সংকট নয়। নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয়েও নেমে আসছে পানি সংকট। মাছ চাষের জন্য এখন প্রায় অর্ধেক বছর পুকুরগুলোতে শ্যালো দিয়ে পানি দিতে হয়। কয়েক বছর আগেও এদেশের খুব কম দিঘিই শুকাতো। গ্রীষ্মের তাপদাহে শিশু-কিশোর থেকে নিয়ে জোয়ান-বুড়ো সবাই পুকুরে অথবা নদীর ঘাটে গোসল করতে যেতো। বর্তমানে নদীতে নেই পানি। পুকুরের পানিতে নেই গোসল করার মত শুদ্ধতা। মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতির কারণে পুকুরের পানি এখন ব্যবহার অযোগ্য। মানুষের জীবনের ঘর-গেরস্থালির কাজে ভূগর্ভস্ত পানিই ভরসা।
খবরে প্রকাশ উপকুলে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রায় ছয় মাস মিঠা পানির সংকটে ভোগেন। পাহাড়েও আছে পানীয় পানির সংকট। পার্বত্য অঞ্চলেও চলছে মানুষের জীবনের অপর নাম পানির সংকট। পানি সংকটে নিপতিত মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই। উপকুল আর পার্বত্য এলাকা ছেড়ে সেই সমস্যা এখন সমতলের দিকে ধেয়ে আসছে। শীতের শুরুতে সমতল অঞ্চলের অনেক স্থানেই অগভীর নলকূপগুলোতে পানি আসা বন্ধ হয়ে যায়। আরেকবার গ্রীষ্মের শেষের দিকে আস্তে আস্তে পানি আসতে শুরু করে। বর্ষায় পুরোদমে পানি আসে। সমস্যার মূলে রয়েছে বোরা ধানের চাষ। সেচের জন্য যখন শ্যালো মেশিনগুলো ছাড়া হয় তখন সব নলকূপের পানি বন্ধ হয়ে যায়। কেবল সরকার কর্তৃক দেওয়া থার্ড লেয়ারে বসানো নলকূপগুলো দিয়ে পানি আসে। আর এসব গভীর নলকূপ একটা গ্রামে একটি বা দুটির বেশি থাকে না। ফলে এইসব নলকূপের পাশে সবসময় মানুষের ভীড় লেগেই থাকে।
আমরা ময়মনসিংহ জেলার পুর্বাঞ্চল নান্দাইল উপজেলার কয়েকটি এলাকা ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কয়েকটি এলাকা সরেজমিনে দেখেছি। সেখানের মানুষের কথা হলো পনের বছর আগেও তাদের এমন পানি সংকট ছিলো না। সারা বছর সমভাবে পানি উঠতো নলকূপগুলো দিয়ে। একসময় নলকূপগুলোতে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেল বোরো মওসুমে। কিন্তু শ্যালো দিয়ে ঠিকই পানি আসতো। কেউ কেউ বলেন সেচের পানির যখন টান পরে তখন হস্তচালিত কলগুলোতে আর পানি আসে না। কিন্তু বর্তমানে ঐ এলাকা গুলোতে দেখা যায় সেচ মওসুমে শ্যালো দিয়েও আর স্বাভাবিক পদ্ধতিতে পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এখন সব শ্যালো হয়ে যাচ্ছে ‘ডীপ সেট’ মানে মাটিতে গর্ত করে প্রায় দশ থেকে বিশ ফুট পর্যন্ত নিচে মটর বা মেশিনসহ পাম্প সেট করে পানি তোলতে হয়। ডীপ সেট পদ্ধতিও চলছে প্রায় আট/দশ বছর যাবৎ। কোথাও কোথাও দেখা যায় ডীপ সেট পদ্ধতিও কাজ করছে না। নিতে হচ্ছে সাবমার্সেবল পাম্প। বিদ্যুতহীন এলাকায় জেনারেটর দিয়ে সাবমার্সেবল চালাতে হচ্ছে বোরা চাষ করার জন্য। ফলে সমস্যা বাড়ছেই। নিচে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। আবার বেড়ে যাচ্ছে ধানের উৎপাদন খরচ।
ফার্স্ট লেয়ারে পানি এখন বর্ষা ছাড়া পাওয়াই যায় না। সেকেন্ড লেয়ারও সব জায়গায় কাজ করে না শ্যালো ছাড়া। এভাবে যদি পানির স্তর নিচে নামতে থাকে। তাহলে এমন দিন হয়তো বেশি দেড়ি নয় যেদিন আমাদের পানি আমদানি করার প্রয়োজন হতে পারে। একদল গবেষক বলেছেন ঢাকা শহরের পানির স্তর প্রতি বছর দুই মিটার করে নেমে যাচ্ছে। আর এই কথার সত্যতা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। প্রতি বছর গ্রীষ্ম এলেই দেখা যায় ঢাকার কোন কোন এলাকায় পানির জন্য দীর্ঘ লাইন। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যদি ভূগর্ভের পানি না তুলে বোরো আবাদ করা যেতো তাহলে এই সমস্যাটা হতো না। আবার খরচও কম হতো। তারা বলেন, ‘‘আগে আমারা নদীতে বান দিয়ে নাইলে খালে বান দিয়ে বোরো ধান লাগাইতাম। কিন্তু অহন তো নদীতে পানিই থাকে না।” নদী গুলোতে দেখা যায় নদী দখলের নানা কসরতের। কোথাও কোথাও নদীর একটা রেখা মাত্র টিকে আছে। বাকি সবটাই দখল হয়ে গেছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায় নদী ভিত্তিক সেচ প্রকল্প আছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেগুলো করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো আদৌ চালু হয়নি। পুরনোগুলো চালু না করেই আবার নতুন করে সেচ প্রকল্প করা হচ্ছে কোথাও কোথাও। কিন্তু এসবের দ্বারা সরকারে ও জনগণের টেক্সের টাকার শ্রাদ্ধ ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ময়মনসিংহ জেলার দক্ষিণে গফরগাঁওয়ের শেষ প্রান্তে দত্তের বাজার ইউনিয়নে দেখা যায় ব্রহ্মপুত্র নদকে কেন্দ্র করে সেচ প্রকল্প করা হয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ হয়েছে কয়েক বছর হলেও এখনো সেই সেচ প্রকল্প চালু করার কোন উদ্যোগ নেই। এমন আরো নানা এলাকায় আছে।
বিপজ্জনক ডীপসেট।
বাংলাদেশে বোরো চাষ এসেছে ১৯৭২-৭৩ সালের দিকে। মাত্র চার যুগেই কোথাও কোথাও পানি সংকট প্রবল আকার ধারণ করেছে। আর কয়েক যুগ পরে কী হতে পারে? আমাদের দেশের গবেষকগণ কি আদৌ এই সংকট নিরসেনের জন্য কাজ করছেন? এই প্রশ্ন নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলাম, কৃষি কর্মকর্তা ড. এখলাছ উদ্দিনের। যিনি আমাদের বোরো ধানের পানি সংকট ও কম পানি দিয়ে আবাদযোগ্য ধানের জাত নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি করেছেন। তিনি বলেন, আশার কথা হলো বাংলাদেশের পানি সংকটটি যতটা ভয়বহ দেখা যাচ্ছে ঠিক ততটা নয়। কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিলেই এই সমস্যাটি সমাধান করা সম্ভব।” সম্ভাবনার কয়েকটি পদ্ধতিও তিনি বলেন। যেমন, মানুষের নিত্য গেরস্থালির কাজ ও পানের পানির জন্য থার্ড লেয়ারে গভীর নলকূপ দিয়ে দিলেই সংকট অনেকটা নিরসন হয়। আর এটা যদি সরকার আন্তরিক হয় তাহলে দ্রুতই এই গভীর নলকূপগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, ‘‘পানি কম প্রয়োজন হয় এমন ধান-বীজের জাত আনার জন্য চেষ্টা চলছে। যদি এই চেষ্টায় সফল হয় তাহলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে। তবে আমাদের পানির অপচয়ও কমাতে হবে।” বোরো চাষ এখন আমদের দেশে বৃহৎ একটি ফসলি মওসুম। এই মওসুমের ধানের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় আমাদের খাদ্য কৌশল। ভাল ফলনের কারণে আমরা এখন অনেকটাই খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ। অথচ এই চাষের জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর পানির। সেই পানির উৎসও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্ত পানি। যদি ভূগর্ভস্ত পানির স্তর নিচে নামতে থাকে তাহলে একদিন না একদিন আমদের পানি সংকটে পরতেই হবে। ড. এখলাছ উদ্দিন বলেন, “পানির সংকট যেন আমদের দেশে না হয়। সে জন্য চেষ্টা চলছে আরেকটি পদ্ধতির। সেই পদ্ধতিটির নাম ডিডিএস পদ্ধতি। (DDS= Dry Direct Sheeding) সরাসরি শুকনো জমিতে ধান বীজ রোপন পদ্ধতি। সেই পদ্ধতিতে ধান উৎপাদনের জন্য সেচের প্রয়োজন হবে না। যদি এই পদ্ধতিতে সফল হওয়া যায় তাহলে বলা যায় আমাদের পানি নিয়ে শংকা অনেকটাই কমে আসবে।”
বাংলাদেশ হলো ভাটির দেশ। পানি যার প্রাণ। সেই দেশে যদি পানির জন্য মানুষ হাহাকার করে তাহলে তা অবশ্যই দুখজনক। আমারা আশা করবো আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের এই পানি সংকট ও পানি নিয়ে আগামীর সব ধরণের আশংকা দূর করে একটা সুন্দর, সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলবেন আমাদের এই পুণ্যময় সবুজ ভূমিকে।
ছবি: মোবাইলে তোলা। নিজস্ব এ্যালবাম থেকে।
লেখাটি ব্যক্তি উদ্যোগে একটি সচেতনতার প্রয়াস।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
না ভাই। পত্রিকায় কাজ করি না। মফস্বলে থাকি। তাই চোখের সামনে দেখা সংকটগুলো নিয়ে মাঝে মাঝে পত্রিকায় ফিচার প্রতিবেদন পাঠাই। কোনটা গুরুত্ব পাইলে ছাপে। কোনটার জায়গা হয় ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটে। তবে এই ফিচার কাম প্রতিবেদনটির ভাগ্য ছিল সামুতে প্রকাশ হওয়ার।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০
অগ্নি সারথি বলেছেন: বাংলাদেশ হলো ভাটির দেশ। পানি যার প্রাণ। সেই দেশে যদি পানির জন্য মানুষ হাহাকার করে তাহলে তা অবশ্যই দুখজনক। আমারা আশা করবো আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের এই পানি সংকট ও পানি নিয়ে আগামীর সব ধরণের আশংকা দূর করে একটা সুন্দর, সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলবেন আমাদের এই পুণ্যময় সবুজ ভূমিকে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমাদের উপলব্ধি শাণিত হোক।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ন একটা পোস্ট!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: মেলাদিন পর কাভা! কেমনাছেন?
ধন্যবাদ। সুখে থাকুন।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভাল একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
আমি নেত্রকোনা শহরে ছিলাম এক বছরের মত, দেখেছি খাবার পানির কি সংকট সেখানে।
তারপর গাজিপুরে বাড়ি করতে গিয়েও পড়েছি পানি সংকটে। কয়েক লাখ টাকা নষ্ট হয়েছে শুধু পানি পেতে গিয়ে। এখন সামারসিবল ই ভরসা।
তারপর ঢাকার কথা তো সবারই জানা। ওয়াসার পানি তো আসেইনা তাই ঢাকাতে পানির জন্য অনেকে ডিপটিউব বসাচ্ছে। আমাদের বাসাতেও তাই।
পানির অপচয় রোধ করা না গেলে সামনে আরো ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: চমৎকার! মন্তব্য।
অনেক কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা নিরন্তর।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। ধন্যবাদ
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
ভাল থাকবেন প্রতিদিন।
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: পানির সংকটের দারুণ একটা চিত্র উঠে এসেছে লেখায় । অপচয় সকল ক্ষেত্রেই খারাপ । বাংলাদেশে পানি এবং গ্যাস সবচেয়ে বেশি অপচয় হয় । এখনি সচেতন হওয়া জরুরী না হয় তো আগামী প্রজন্মকে ভুগতে হবে ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।
শুভকামনা নিরন্তর।
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ ও দূরদর্শী সম্পন্ন পোস্ট ।
পানির অপচয় রোধের গুরুত্ব অনুধাবন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে পোস্টটি স্টিকি করার অনুরোধ রইল ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক।
স্টিকি হলে ভালো হতো। অধিক মানুষ জানতো।
৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: চমৎকার এবং গুরুত্বপূর্ন পোস্ট সাইফ ভাই। আশা করি যাদের এমন পোস্ট পড়া উচিত তারাও কোন না কোনভাবে পড়বে কিংবা জানবে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
আসুন সবাই সচেতন হই।
৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কেউ শুনবে না।। এমনকি আমরা ব্লগাররাও না।।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: একটা চরম সত্য কথা বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ।
১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৩
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ন একটা পোস্ট!
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছি এ নিয়ে কোন ধারণাই ছিলো না! খুব ভালো একটি লেখা। সবকিছু ডিটেইলস লিখেছেন। এটা অবশ্যই জাতীয় দৈনিকগুলোয় ছাপা হবার ঊপযোগী।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আমাদের আগামী দিনের বড়ো বিপদের সংকেত জলো মিঠাপানির অভাব।
ধন্যবাদ হামা।
১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: রিপোর্টটি সুন্দর।
কিছু কথা ঠিকই বলেছেন। প্রিয়তে রাখলাম এইটা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পানি সংকট নিয়ে আমি কয়েক বছর আগে ভেবে কিছু লিখেছিলাম, অসমাপ্ত। ব্লগে প্রকাশ করতে পারিনি।
সেখান থেকে কিছু বলছি।
১। ঢাকার সুপেয় পানির মোক্ষম সমাধান, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা। বাধ্যতামুলক ভাবে বাড়ীতে / ফ্যাট মালিকদের বিশাল রিজারভয়ার করতে হবে। ছাদে ঢালু ঢেউটিন ছাদ বানিয়ে সমস্ত বৃষ্টির পানি পাইপের মাধ্যমে রিজারভয়ারে রাখতে হবে।
২। সুধু গোছলের আধাময়লা পানি পৃথক সুয়ারেজ পাইপে পৃথক ট্যাঙ্কে রেখে পুনরায় পাম্প করে ওভারহেড ট্যাঙ্ক থেকে সুধু কমড ফ্ল্যাসে সাপ্লাই দিবে।
এইদুটি ব্যাবস্থায়, প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পানি সাশ্রয় তথা ওয়াসা বিল কমানো সম্ভব, সাশ্রয়ি টাকায় অবকাঠামো নির্মান ব্যয় একবছরেই উঠে আসার কথা। প্রয়জনে সরকা্রি ব্যাঙ্ক সামান্য সুদে ঋন দিতে পারে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আপনার সঙ্গে সহমত।
ধন্যবাদ।
১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
জে.এস. সাব্বির বলেছেন: আমিতো ভাবছিলাম ,আপনার অনলাইন পত্রিকা(?) থেকে কপি করে আমাদেরকে শেয়ার করেছেন ।যাইহোক ,রিপোর্টটা যেকোন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হওয়ার উপযোগী ।
একটা আদর্শ পোস্ট দিয়েছেন ।পরিস্থিতি সত্যিই ভয়ানক। আমাদের সচেতন হওয়া উচিত ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আরজু পনি বলেছেন:
অসাধারণ শেয়ার নিঃসন্দেহে ।
বাড়িতে সাবমারসেবল পাম্প বসানো হয়েছিল বলে সেখান থেকে এই নাম জানি সাথে কেন বসানো লাগে তাও জানি তখন থেকে... দিনদিন পানির লেয়ার কমছেতো কমছেই...হ্যাঁ, অপচয় রোধ করতে হবে, কিন্তু সাথেতো আরো উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে...নদী খনন প্রচুর ব্যয়বহুল, কিন্তু নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে, চড় জেগে উঠছে এসবও কি পানি সংকটের কারণ নয়...?
ব্রহ্মপুত্রের চড় জাগা কিছু অংশে তাকালে বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠে !
নিজ উদ্যোগে দারুণ সচেতনতামূলক পোস্ট ।
এটি সামহোয়্যারইনের উদ্যোগে উত্তেফাকে প্রকাশ করা যেতো কি না যোগাযোগ করে দেখতে পারেন ।
প্রিয়তে রাখলাম ।
অনেক শুভকামনা রইল, সাইফ ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আপু, অনেক ধন্যবাদ।
সামুর সঙ্গে কেমনে যোগাযোগ করব?
১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
আরজু পনি বলেছেন:
"ইত্তেফাক" হবে ।
১৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
সায়েম মুন বলেছেন: জনগুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে বোধয়। যেহেতু পানির অপর নাম জীবন। তাই ভেবেচিন্তে এর ব্যবহার করা উচিত।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: সচেতনতা ছাড়া উপায় নাই।
ধন্যবাদ জানবেন।
১৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
রেসিমিক সিরামিক বলেছেন: এতো, সত্যি বলে ফেললেন
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
২০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
কাবিল বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ন একটা সচেতনমূলক পোস্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ সামুকে পোস্টটি স্টিকি করার জন্য।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
রাবার বলেছেন: আপনার লেখার মাধ্যমে আমরা সবাই পানির অপব্যবহারে সচেতন হই।
গুরুত্বপুর্ন পোস্ট। ++++++
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: সচেতনতাই মুক্তি আনতে পারে...
২২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাংলাদেশ হলো ভাটির দেশ। পানি যার প্রাণ। সেই দেশে যদি পানির জন্য মানুষ হাহাকার করে তাহলে তা অবশ্যই দুখজনক।
আর সেই দু:খ দূর করার সবচে বড় যে কাজ উজানের দেশের সাথে পানির দরকষাকষি। সেটাই বন্ধ প্রায়! সাগর কন্যা কি এদিকটায় নজর দেবার সাহস রাখেন?
ফারক্কার ন্যায্য অংশটা পেলেও বাংলাদেশের পানি সমস্যা ৫০ ভাগ দূর হয়ে যাবে। তিস্তা সহ বাকী ৫২টা নদীতে ভারতের একতরফা বাঁধের কারণে যে এত সংকটের মূল এই কথাটা কেউ যেন মূখ ফুটে বলতে চায়না।
অথচ এই নদীমাতৃক দেশে এমনটা হবার কথা নয়। পানির স্তর নীচে নেমে গেছে? কেন?
নদীর সেই প্রবাহমানতা নেই বলেই। পানির স্বাভাবিক যে গতিতে পানির স্তর স্বাভাবিক থাকতো তা ৫৪টা নধীতে অবৈধ বাঁধ দেবার কারণেই ঘটছে।
এবং বাংলাদেশকে আগের মতো নদীমাতৃক জলে ভরভর সুন্দর, সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে নদী সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দৃঢ় উদৌগ গ্রহণ করতেই হবে। নদী মাতৃক দেশের নদীতেই যদি প্রাণহারি বাঁধ থাকে তবে আর নদীর থাকেটা কি? অথচ লক্ষকোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে পানির স্তর সন্ধানের নামে, কারণ গবেষরা অনুসন্ধানের নামে। সরল নিরেট প্রাকৃতিক সত্যটাকে পাশ কাটিয়ে!!!!! মিনমিন করে পানি সমস্যা নিয়ে যেভাবে গদাই লস্করি চালে চলছে তাতে বাংলাদেশ মরুভূমিই হলে হতে পারে। অন্যকিছূ নয়।
নেপালের মতো কিংবা আরও দৃঢ়তায়, সাহসে, নিজের অধিকারের আওয়াজ তুলতে হবে।
অন্তর্জাতিক নদী কমিশন, জাতিসংঘ সহ প্রযোজ্য সকল প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে নদীর ন্যায্য দাবী আদায় করতে হবে।
তবেই বাঁচবে বাংলাদেশ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। গোছানো মন্তব্য। আপনাকে ধন্যবাদ।
২৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০
খোলা মনের কথা বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট দেওয়ার জন্য। পোষ্টটি মানব গোষ্ঠির জন্য কল্যানকর হোক।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন...
২৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
আবু শাকিল বলেছেন: কৃষি তে উৎপাদন খরচ বেশি।কৃষক এখন কৃষিকাজ করা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।বরো চাষে, আশা করি পানির সংকট থাকবে না।সংকট ভিন্ন
" আপনার লেখা টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সচেতনায় নয়, জাতির কল্যানে ভূমিকা রাখবে।"
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন।
ভাল থাকার দোয়া রইল।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন নিরন্তর।
২৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: দেশ ও মানুষের পাশে সামু সবসময়ই ছিল। এখনও আছে। সামনেও থাকবে এই আশাবাদ। ব্লগ টিমকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আমলে এনে পোস্টটি স্টিকি করায়।
২৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ২৭ শে এপ্রিল ২০১৪ সালে একই সমস্যা নিয়ে আমার একটা লেখা সামুতে স্টিকি হয়েছিল ঐ পোষ্ট থেকে কয়েকটা বাক্য কোট করলাম।
"বর্তমানে বাংলাদেশে খাবার পানির ৯৭% ও চাষাবাদের ৮০% আসে ভু-গর্ভস্থ উৎস থেকে। পৃথিবীর মোট ব্যবহৃত ভু-গর্ভস্থ পানির শতকরা ৩৫ ভাগ ব্যবহার করে থাকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল মানুষেরা। বাংলাদেশ গত ২০ বছরে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে তার অন্যতম করণ হলো শুকনো মৌসুমে (ফেব্রুয়ারি-মে) অ-গভীর ও গভীর নলকূপের দ্বারা সেচের মাধ্যমে বোরো ধান উৎপাদন।
অপরিকল্পিত ভাবে ব্যাপক ভু-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে বোরো ধান চাষ করার ফলে আমরা ধান উৎপাাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছি যেটা আমাদের জন্য সু-সংবাদ কিন্তু দুঃসংবাদ হলো আমরা ক্ষতি করেছি আমাদের ভু-গর্ভস্থ পানির পরিমাণের।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে যে পরিমাণ পানি মাটির নিচে জমা হয় তার চেয়ে বেশি পরিমাণ পানি আমরা মাটির নিচ থেকে তুলে থাকি কৃষি কাজের জন্য। আমরা এটাকে তুলনা করতে পারি ব্যাংকে টাকা উঠানো সাথে। মনে করুন আপনার বাবা মৃত্যুর পূর্বে আপনাকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে গেছে। আপনি নিজের চাকুরী থেকে প্রতিমাসে বেতন পান ২০ হাজার টাকা। বাবার দেওয়া ৫ লাখ টাকা থেকে মাসিক সুদ পাওয়া যায় ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ আপনার মোট মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা। আপনি যদি প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করে থাকেন (ব্যাংকে জমা কৃত আসল টাকা হতে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা তুলে নিতে হচ্ছে) তবে আগামী কত বছর সচ্ছল ভাবে জীবন-যাপন করতে পারবেন? "
আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের মানুষের বিশাল একটা অংশ পুষ্টি সমস্যায় ভুগে; কোন পশু চিকিৎসক বা গবেষক যদি আপনাকে বলে আমরা গরুর দুধ উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করতেছি; বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে যে গরু গুলো ১/২ কেজি দুধ দেয় সেগুলো আগামী বছর থেকে ৫/১০ কেজি করে দুধ দিবে। ঐ বক্তব্য একজন ইতিহাসের ছাত্র শুনে খুশি হলেও একজন জীব বিজ্ঞানের ছাত্র মুচকি হাঁসি দিবেন হলফ করেই বলতে পারি।
আপনাকে ছোটো একটা উদাহারন দেই: পেনিসিলিন এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর কথা জানেন। সারা পৃথিবীতে সকল গবেষক মিলে নতুন একটি এন্টিবায়োটিক খুঁজে পেতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০ বছর। First new antibiotic in 30 years discovered in major breakthrough
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্রেক-থ্রু প্রতিদিন আসে না এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। ধরে নিচ্ছি কৃষি কর্মকর্তা ড. এখলাছ উদ্দিনের পড়া-শুনার বিষয় ছিলও কৃষি, পানিসম্পদ প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা না। উনি যে সম্ভাবনার কথা গুলো বলেছেন তা খুবই জেনারেলাইজড করে বলেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান পানিসম্পদ সমস্যার গুরুত্ব না বুঝেই করেছেন বলে মনে করছি। ধানের নতুন প্রজাতি যা চাষে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম সেচ লাগবে (৩০ থেকে ৫০ ভাগ) আবিষ্কার করার গল্প বা সম্ভাবনাটাও মেনে নিতে পারতেছি না।
আপনি পোষ্টে নদী, পশুর, সেচের পাম্পে পানি না থাকার যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছে সেই সমস্যা গুলোর কারণ ব্যাখ্যা করেছি বৈজ্ঞানিক তথ্য ও উপাত্ত ব্যব হার করে আমার পোষ্টে। সময় করে ঘুরে আসতে পারেন। টাইম মেশিনে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়টিতে চলে যেতে পারতাম তবে যে বিষয়টিতে ভর্তি হতাম তা হলো Water Resource Management/Engineering
পোষ্টের জন্য আপনাকে বিশাল বড় একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। সঠিক সময়ে সঠিক সমস্যা নিয়ে লিখেছেন। ভাল থাকবেন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন। আপনার লেখাটা পড়েছি। খুব তথ্যবহুল লেখা। ভাল থাকবেন।
২৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
আমি মিন্টু বলেছেন: খুবয়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারী একটি পোষ্ট ধন্যবাদ আপনাকে ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আসুন সচেতন হই। অন্যকে সচেতন করি।
২৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অবশেষে পোস্টটি স্টিকি করার দাবীর প্রতিফলন দেখে ভাল লাগছে ।
অভিনন্দন সুপান্থ সুরাহী , ধন্যবাদ সামু ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: পোস্ট দেওয়ার সময় স্টিকি হবে বা হতে পারে এমন চিন্তাই ছিল না।
আপনিই প্রথম দাবি করেছিলেন স্টিকি করার। আপনাকে আবারও সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ।
২৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
রেসিমিক সিরামিক বলেছেন: আপনার পোস্টটি কিন্তু সচেতনতা মূলক না হয়ে রাষ্ট্রদোহী হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
৩০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
রাসেল আহমেদ মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ এ রকম একটি জনসচেতনতামূলক লেখার জন্য।
৩১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
লেখককে ধন্যবাদ অনেক নিরাশার মধ্যেও কিছু আশার কথা শুনিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা ড. এখলাছ উদ্দিনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, "আশার কথা হলো বাংলাদেশের পানি সংকটটি যতটা ভয়বহ দেখা যাচ্ছে ঠিক ততটা নয়। কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিলেই এই সমস্যাটি সমাধান করা সম্ভব।”
তিনি আরো বলেন, ‘‘পানি কম প্রয়োজন হয় এমন ধান-বীজের জাত আনার জন্য চেষ্টা চলছে। যদি এই চেষ্টায় সফল হয় তাহলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে। তবে আমাদের পানির অপচয়ও কমাতে হবে।”
ড. এখলাছ উদ্দিন বলেন, “পানির সংকট যেন আমদের দেশে না হয়। সে জন্য চেষ্টা চলছে আরেকটি পদ্ধতির। সেই পদ্ধতিটির নাম ডিডিএস পদ্ধতি। (DDS= Dry Direct Sheeding) সরাসরি শুকনো জমিতে ধান বীজ রোপন পদ্ধতি। সেই পদ্ধতিতে ধান উৎপাদনের জন্য সেচের প্রয়োজন হবে না। যদি এই পদ্ধতিতে সফল হওয়া যায় তাহলে বলা যায় আমাদের পানি নিয়ে শংকা অনেকটাই কমে আসবে।”
লেখকের মত আমরাও আশাবাদীঃ
//আমারা আশা করবো আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের এই পানি সংকট ও পানি নিয়ে আগামীর সব ধরণের আশংকা দূর করে একটা সুন্দর, সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলবেন আমাদের এই পুণ্যময় সবুজ
ভূমিকে। //
ভাল থাকুন। সবসময়।
৩২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬
আলি জুয়েল বলেছেন: হাকা মানে হাসান কালবৈশাখী ভাইয়ের বুদ্ধিগুলো দারুণ। পোস্টটি দারুণ হয়েছে। ভালো থাকুন।
৩৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২
মানবী বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট!
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সচেতনতামূলক লেখাটির জন্য লেখককে স্যালুট!
প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী অর্জন করলেই যে একজন মানুষ সত্যকারের শিক্ষিত হয়ে উঠেনা তার আরেকটি বড় প্রমান আমাদের পানি, বিদ্যুত আর গ্যাসের মতো প্রাকৃতিক সম্পত্তির অবাধ অপচয়ের বদভ্যাস! বাংলাদেশে পানি সংকট যে কি ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে তা প্রবাস থেকে বেশ কিছু বছর পর দেশে গেলে বুঝা যায়।
আকাশে বিমান থেকে দেখলে মনে হয় পুরো দেশটা্ যেনো পানির উপর ভাসছে অথচ সে দেশের বিশুদ্ধ পানি খুব সহজলভ্য নয়!
Water Water everywhere
not a drop to drink!
অথচ আমাদের একটু সচেতনতা আর অভ্যাসের পরিবর্তন ভয়াবহ এক সংকটময় ভবিষ্যত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে পারে। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সুপান্থ সরাহী।
৩৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ++++++
৩৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
সৌরভ আনসারী বলেছেন: আমরা ব্যক্তিগত ভাবে কী করতে পারি, কিছু বললেন না যে???
৩৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩
জুন বলেছেন: একদিন হয়তো আমাদের পৃথিবীটাও মংগল গ্রহের মত হয়ে যাবে, হয়তো বা মিষ্টি পানির ভাগ বাটোয়াড়া নিয়ে দেশে দেশে যুদ্ধ শুরু হবে সুপান্থ সুরাহী, সেই দিন হয়তো খুব একটা বেশি দূরে নেই।
সচেতন হওয়ার এখনই সময়।
+
৩৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
মুসাফির মানুস বলেছেন: সুন্দর পুস্ট।
৩৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
হামিদ আহসান বলেছেন: অাসুন সচেতন হই নিজেরা
৩৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
রুমমা বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট।নদীগুলোকে বাচানোর কোনো চেষ্ঠা করা হচ্ছেনা।দিন দিন নদীগুলো সব হারিয়ে যাচ্ছে।নদীগুলো বাচানোর জন্য কিছু করতে মন চায়।
৪০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
হাসান তারেক বলেছেন: ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন।
৪১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১
মুক্তমনা মানব বলেছেন: Bay of Bengal- উপকূলে থেকেও নিরাপদ পানি পাচ্ছি না।
৪২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বাংলাদেশ হলো ভাটির দেশ।
পানি যার প্রাণ। সেই দেশে
যদি পানির জন্য মানুষ
হাহাকার করে তাহলে তা অবশ্যই দুখজনক।
আমারা আশা করবো আমাদের সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে
আমাদের এই পানি সংকট ও পানি নিয়ে
আগামীর সব ধরণের আশংকা দূর করে একটা
সুন্দর, সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে
তোলবেন আমাদের এই পুণ্যময় সবুজ ভূমিকে।
পরিশ্রমী ও গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার
৪৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম++++++
৪৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুপান্থ সুরাহী ,
লিখেছেন – “বাংলাদেশ হলো ভাটির দেশ। পানি যার প্রাণ। সেই দেশে যদি পানির জন্য মানুষ হাহাকার করে তাহলে তা অবশ্যই দুখজনক ...............................মাত্র এক-দেড় যুগের ব্যবধানে আমাদের পানির দেশ, নদীর দেশ, ভাটির দেশেই শুরু হয়ে গেছে পানির সংকট।”
শুধু আসছে বোরো মওসুমেই পানি সংকট নয় , পানি সংকট বেড়েই চলবে যদি না পানির সবচেয়ে বড় উৎস নদ-নদীর পানি প্রবাহমান থাকে ।
পানির অপচয় রোধই মোটেও যথেষ্ট সমাধান নয় আগামীর যে কোনও ফসলের জন্যে। এর জন্যে আসল বাঁধাগুলোর দিকে নজর ফেলতে হবে ।
আপনার সচেতন এই প্রয়াসটিকে সাধুবাদ জানিয়ে নীচে একটি প্রাসঙ্গিক লিংক সংযুক্ত করলুম -
“এখানে এক নদী ছিলো”
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29751553
৪৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪
যোগী বলেছেন: ভালো পোষ্ট টেস্টিং
৪৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার সচেতন মূলক ভালো পোস্ট । সকলের কাজে লাগবে ।
৪৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র, অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা, আশা করি আমরা সবাই পানি ব্যবহারে আরো সচেতন হব।
আর বিদ্রোহী ভৃগুর মন্ত্যবটিও প্রণিধানযোগ্য।
৪৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ন পোস্ট!
৪৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:
একটু বিস্তৃত পরিসরে কিছু বলছি-
পানি ব্যবহার ব্যবস্থাপনাঃ
ওজুর পানিঃ
০১। মসজিদ মাদ্রাসা হল এবং অন্যান্ন প্রার্থনা ঘর গুলোতে ওজুর পানির ব্যবস্থাপনার বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভোদন করা আমাদের প্রকৌশলী দের দায়িত্ব, ওয়াসা এবং সরকারকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে। আফ্রিকাতে ওজুর জন্য পরিমান মত পানি অতি পাতলা পলিথিন ব্যগ এ সাপ্লাই করতে দেখেছি। এটা পাইলট করা যেতে পারে।
০২। গুলশান-১ মসজিদে পানি অপচয় কমানোর জন্য ফ্লো কন্ট্রল করা হয়েছে, সেখানে ওজু খানায় বড় করে লিখা রয়েছে "এই মসজিদের পানির কল নস্ট নয়, পানি অপচয় রোধের জন্য পানির প্রবাহ কামানো আছে"। পানি স্বল্পতায় ভোগা আফ্রিকার মুসলিম দেশ গুলোতে এই পদ্ধতি বহুল প্রচলিত। এটা ঢাকায় বাধ্যতা মূলক করা দরকার।
০৩। ডব্লিউএইচও দিনে উপর্যুপরি হাত ধোঁয়াকে এনকারেজ করছে, ওরা বলছে এটা রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব পুর্ন। আমরা ওজু সম্পর্কিত আজাইরা ক্যাচালে (কিছু লোকের ব্যবহারগত বক্রতা) না লেগে গিয়ে যেন মসজিদে মসজিদে ওজু ব্যবস্থাপনা এবং পানি অপচয় রোধে কার্জকর কিছু করি।
নির্মাণ শিল্পের পানিঃ
পানির মটরের মুখে ওয়াটার হোজ লাগিয়ে নির্মানাধীন বাড়িতে পানি দেয়ার ভয়ংকর প্রচলন এখনই থামাতে হবে। এটাকে ব্যাপক আর্থিক পেনল্টির আওতায় আনতে হবে। নির্মান শিল্পে পানির ব্যবহার একেবারেই সীমিত করতে হবে। হ্যা কনক্রিট বনানো এবং জমাট বাধার পাউডার আমাদের দেশে কেউ ব্যবহার করে না, না জানার কারনে, খরচ কমানোর কারনে, খরচ কমিয়ে বেশি চুরির নিমিত্তে (সরকারি কাজে)।
কার ওয়াশ এর পানিঃ
পানির মটরের মুখে ওয়াটার হোজ লাগিয়ে কার ওয়াশ করা হয়, বর্ধিত সংখ্যার কারনে এই পরিমান বাড়ছে, এগুলোকে শক্ত আর্থিক জরিমানার আওতায় এবং মনিটরিং এ আনতে হবে।
কাপড় ধোয়ার পানিঃ
শহুরে কাপড় ধোয়ায় পানি ব্যবহার পদ্ধতি সাস্টেইন এবল না, এটা পরিবর্তন করতে হবে। শহরে কাপড় ধোয়ায় কিভাবে টেকনলজি ব্যবহার বাড়ানো যায় এটা নিয়ে ভাবতে হবে।
শহুরে মানুষকে শুকনো টয়লেট কন্সেপ্ট এর আওতায় আনতে হবে। কমুনিটি ওয়াশিং প্ল্যান্ট এর কন্সেপ্ট উদ্ভাবন করা যায় (এটা নিয়ে পরে কোন এক লিখায় লিখব ইনশাল্লাহ)।
টয়লেট ফ্ল্যাশঃ
যে পানি বস্তি এলাকার লোকে পান করে সে পানি আমরা বড় ছোট টয়লেটের পরে ফ্ল্যাশ করি, ব্যাপারটা কি আমাদের ভাবায়! এত ব্যয় বহুল এবং কষ্টকর শোধিত পানি টয়লেটে ব্যবহার। গরীবকে ছাড় দেয়া যায়, কিন্তু ধনীদের? কোটি টাকার ফ্ল্যাটে ওয়াটার রিসাইকেল ব্যবস্থাপনা থাকবে না কেন?
হ্যাঁ, প্রতিটি বড় বড় বিল্ডিং কম্পাউন্ড এ বাথরুম এবং কাপড় কাচার পানি টয়লেট পানি থেকে আলাদা করতে হবে। বাথরুম এবং কাপড় কাচার পানি সামান্য রিসাইকেল করে টয়লেট ফ্ল্যাশে নেয়া যায়। টয়লেট এর পানিও রিসাইকেল প্ল্যান্ট আনতে হবে।
আর এম জি ওয়াশিং প্ল্যান্টঃ
ওয়াশিং প্ল্যান্ট এর ওয়াটার রিসাইক্লিং হয় কিনা জানা নেই, এসব ভাবনায় আনতে হবে।
এগুলো কারো কারো কাছে ছোট ব্যাপার হতে পারে, কিন্তু আদতে তা নয়। স্ট্যাডি করে বের করে আনা যেতে পারে পানি ব্যবহার কোন খাতে কেমন হচ্ছে।
সেচ এবং সেচ ইনভেস্টঃ
ধানে কয়েক ইঞ্চি কন্টিনিউয়াস বদ্ধ পানি ব্যবহার থেকে কিভাবে সরে এসে ড্রপ সাপ্লাই ব্যবহার করা যায় কিনা এই নিয়ে বিরি বারি কে গবেষণা করতে হবে। সেচ এ পানি ব্যবহার ইফিসিয়েন্ট করা জরুরী। হস্তচালিত কলগুলোতে পানি না থাকায় বা কমে যাবার কারনে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কিছু এলাকায় শ্যালো দিয়েও আর স্বাভাবিক পদ্ধতিতে পানি আসছে না তাই ‘ডীপ সেট’করা হচ্ছে তা আরো ব্যয় বাড়াচ্ছে। তবে এটা করা হচ্ছে একই মেশিন ব্যভহারের জন্য, উচ্চ ক্ষমতার (হর্স পাওয়ার) এর মেশিন ব্যবহার করলে ডিপ সেট অপ্রয়োজনীয়। তবে এটাও ইনভেস্ট এর ব্যবপার।
কৃষি কৃষক এবং কৃষি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের নাগরিক, গবেষণাগত ভাবনা গভীর করতে হবে। রাষ্ট্র কে দুরদর্শী হতে হবে, আজ থেকে ৫০ বছর পরে ইরি চাষের পানি ভুগর্ভ থেকে তোলা সাধ্যের ভিতরে থাকবে না। সেই সাথে আন্তর্জাতিক নদীর পানির হিস্যার জন্য আলোচনা চালাতে হবে, রাজনৈতিক ভাবে লড়তে হবে নিরন্তর।
৫০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বৃষ্টির পানি ব্যবহার নিয়ে-
গ্রামেঃ আর্সেনিক, আয়রন প্রবন এলাকাগুলোতে কমন বৃষ্টির পানি নির্ভর ড্রিংকিং ওয়াটার প্ল্যান্ট করা বাধ্যতামূলক। এটা কিছু কিছু গ্রামে স্বেচ্ছাসেবী কিংবা স্ব উদ্যোগী প্রকল্প হিসেবে চালু আছে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ পৃথিবীর শুষ্ক অঞ্ছলে ব্যাপক প্রচলিত পদ্ধতি, এই পানি সুপেয়, বিশুদ্ধ এবং খনিজ পানির মতই মিনারেল যুক্ত।
তবে বানিজ্যিক ভাবে বৃষ্টির পানি প্রক্রিয়া জাতকরন এবং বিপনন শুরু হয় নি কেন এটা একটা বিস্বয়, বাজারজাত ক্রিত পানির মান নিয়ে কাজ করলে হয়ত বের হয়ে আসবে অতি নিন্ম মানের পানি বিক্রি হচ্ছে। পানির মান বাড়ানো বাধ্যতামূলক করা গেলে কোম্পানী গুলো বিকল্প সোর্স হিসেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের প্রতি মনোযোগী হতে পারে।
তবে নতুন বাজার সৃষ্টি তৃতীয় বিশ্বের দেশে সরকারকেই করতে হয়, কারন আর্থিক নিরাপত্তা এখানে নিশ্চিত নয়, তার উপর আমাদের দেশর শিল্প প্রসার চাঁদাবাজি ও বখরা নির্ভর।
শহরেঃ
ছাদের সারফেইস এর রকমভেদ, আকার, মৌসুমি বৃষ্টির পরিমানের ভিত্তিতে প্রাপ্ত পানির গড় পরিমান, উচ্চতা, ভাসমান ধূলি ইত্যাদি আমলে নিয়ে ঠিক কি পদ্ধতিতে আরবান রেইন ওয়াটার প্রসেসিং প্ল্যান্ট করলে ব্যক্তি পর্যায়ে লাভজনক হবে সেটার অনেকগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইমপ্লিমেন্টেশন পাইলট করতে হবে। এর বাইরে রয়েছে এই প্ল্যান্ট এর মেইন্টেনেন্স, ফারদার ওয়াটার ফিল্ট্রেশন, প্রসেসিং এগুলার কস্ট। রিজার্ভার এর সাইজ, নির্মান ম্যাটেরিয়াল (স্বাস্থ্য সম্মত) এগুলা সব মিলেই এধরনের প্ল্যান্ট থেকে প্রাপ্ত পানির খরচ বাজার মূল্য থেকে অনেক সাশ্রয়ী হতে হবে, নাইলে এই প্রকল্প মার খাবে।
তবে ভবিষ্যতে বৃষ্টির পানিকে পানের জন্য ব্যবহার করতেই হবে কারন ভূগর্ভস্ত পানির লেয়ার অতি গভীরে চলে গেলে সেই পানির উত্তোলন প্রসেসিং উৎপাদন খরচ বাড়বে। আমাদেরকে আমাদের গ্রামীণ জনসাধারণ এবং শুহুরে নিন্ম বিত্তের জন্য সুপেয় পানির অধিকার নিয়ে ভাবতে হবে, সুপেয় পানির জন্য তাঁদের খরচ এর খাতা খোলা গ্রহনযোগ্য নয়।
৫১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০০
অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম; ধন্যবাদ এই তথ্য বহুল পোস্টের জন্য। টেপের পানি অপচয় রোধে একটা সচেতনতা মূলক প্রমো করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে করা হয়ে ওঠে নি।
৫২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৮
শ্রাবণী লূনা বলেছেন: সুন্দর
৫৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
সৈয়দ সাইকোপ্যাথ তাহসিন বলেছেন: সুন্দর একটি সচেতনতা মূলক পোস্ট ।
৫৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৪
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: যারা চাষ করে তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।
৫৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১২
একিউমেন০৮ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট|
আচ্ছা আপনি কি কোন পত্রিকায় কাজ করছেন? পোস্ট পড়ে তাই মনে হল|