নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুহৃদ আকবর

Do Well, Be Well

সুহৃদ আকবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার গায়েঁর ভালবাসার কথা

০৭ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:২৭

ভালবাসা! ভালবাসা! ভালবাসা শব্দটি সবারই খুব প্রিয় শব্দ। সবাই কমবেশি ভালবাসে এবং ভালবাসা পায়। এই ভালবাসা হয় ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, বউ-জামাই, কিশোর-কিশোরী, মা-ছেলে, মেয়ে-বাবা, বন্ধু-বান্ধবী, বন্ধু-বন্ধু, বান্ধবী-বান্ধবী, বড়-ছোট, ধনী-গরীব, এক কথায় এ ভালবাসার কোন জাতপাত নেই। ভালবাসা! সে এক অবিনাশী শব্দ। সে এক শান্তির পরশ, নির্মল ও পবিত্র। অবশ্যই সে ভালবাসা হতে হবে নিঘাদ,নির্মল,পবিত্র। দুঃখজনক হলেও সত্য আজকে আমরা ভালবাসা পেতে এবং ভালবাসতে পারছিনা। আজ আমরা মন-প্রাণ খুলে হাসতে পারছিনা। ভালবাসার পরশ বুলিয়ে দিতে পারছিনা, আমরা পাড়া-প্রতিবেশী, মা-বাবা, আর ভাইবোনকে। সবখানেই যেন একটু ভাবনা। ভালবাসতে ও ভাবনা চিন্তা, কি বিশ্রি হয়ে উঠেছে আমাদের সমাজটা। আমাদের সমাজ এখন ভালবাসাহীন হয়ে পড়েছে। ভালবাসা নেই বললেই চলে, অতুক্তি হবে না। ভালবাসার নামে সর্বত্রই এখন চলছে প্রতারণা। ভালবাসা শব্দে মিশ্রিত হয়ে গেছে গরল। সবখানেই শুধু স্বার্থেও চিন্তা, কুটিলতা যেন আমাদের পশ্চাদ দিক থেকে অবিরাম ধাক্কা মারছে। একটু সহানুভূতি, একটু মমত্ববোধ, একটু সহযোগিতা, একটু ত্যাগ, একটু নম্যতা, একটু ভদ্রতা, একটু সৌজন্যতা শব্দগুলো যেন লোহার বাকসে সীলগালা হয়ে আছে। শব্দগুলো কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

এক সময় গ্রাম-বাংলার মানুষজন কত সহজ-সরল ছিল। গ্রামে গেলে সবুজ প্রকৃতি, নদীর কুলুকুলু ধ্বনি, পালতোলা নৌকা আর বাতাসে দোল খাওয়া ধানের মাদকতাময় পাকা ধানের গন্ধে মন নেচে উঠতো। গ্রামে কোন চাচা-জেঠা, পুরণো দিনের বন্ধুর সাথে দেখা হলে কতনা মজা হত, আড্ডা হত, একত্রে চা খাওয়া হত তার তুলনা কোনভাবেই দেয়া যাবে না। ঈদে-চান্দে গ্রামে যেতাম একটু শান্তিও পরশের জন্য। কিন্তু তেমনটা উৎসাহ উদ্দীপনা এখন আর দেখা যায় না। এখন অনেককিছু পাল্টে গেছে। মাল্টিকালচারের দাপটে সবকিছু আজ পাল্টে গেছে। যার যেখানে ইচ্ছা, যেখানে খুশী ঈদ করবে গ্রামে যাওয়ার গরজ অনুভব করে না। সবখানেই আজ কুটিলতা,স্বার্থপরতা, শকুনীর ভয়ানক চাহনি উৎপেতে আছে। শহর আর গ্রামে বিশেষ প্রভেদ লক্ষ্যকরা যায়না। তবু আমার গ্রামের সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না। গ্রাম গ্রামই। আসুন আমরা অন্তত দুইঈদে গ্রামে যাই। যাওয়ার চেষ্টা করি। অঁজপাড়া গাঁয়ের সে পল্লী বধূর কলসী কাখে পানি আনার দৃশ্য,ছোট ভাইবোনের নির্মল হাসি, দখিনা বাতাসে ধান গাছের চারা দোল খাওয়া সারিসারি ধান খেত। নদীতে পালতোলা ছুটেচলা নৌকা, মাতাল করা বাঁশির সূর। হেমন্তে নদীর ধারে দোল খাওয়া কাঁশফুলের সে দৃশ্য কি আর শহুরে জীবনে পাওয়া সম্ভব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.