![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্মের পর একটি শিশুর মুখে কথা ফুটতে সময় লাগে দুই বছর। কিভাবে কথা বলতে হবে তা শিখতে একজন মানুষের সময় লাগে সারা জীবন। কম কথায় কাজ হলে বেশি কথার দরকার কি? অনেক গুণী মানুষ এমনটাই বলে থাকেন। আবার অনেক মানুষ আছে শুধু শুধু কথা বলেন। কথা থাকলেও বলেন না থাকলেও বলেন। আমাদের সমাজে এদেরকে বাচাল নামে অভিহিত করা হয়েছে। তাদের মুখে যেন কথার খই ফোটে। কথা না বাড়িয়ে বললে তাদের কাছে ভালো লাগে না। এক কথা বারবার বলেন। ইনিয়ে বিনিয়ে বলেন। রসিয়ে রসিয়ে বলেন। তা না হলে যে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। বাথরুম কিয়ার হয় না। ফটফট করে কেবল কথা বলতেই থাকেন। দরকারি কথাও বলেন বেদরকারি কথাও বলেন। আসলে কোনটা দরকারি কোনটা বেদরকারি সে তা বুঝে না। তারা বুঝে কথা বলতে হবে। মুখকে যেভাবেই হোক ব্যবহার করতেই হবে।
কিছু বাচাল মানুষের কথার ধরণ দেখলে মনে হয় গরু বুঝি জাবর কাটছে। তারা ভাবেন কম কথা বললে বুঝি হেরে যাচ্ছেন। আসলে কিন্তু তা নয়। কেননা কেয়ামতের দিন সব কথার জবাব দিতে হবে। কম কথায় যত মঙ্গল। বেশি কথায় যত আপদ। বেশি কথায় বেশি ভুল। কম কথায় কম ভুল। ভুল মানুষের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দেয়। যাদের বেশি কথা বলার স্বভাব তারা মানুষের সমালোচনা করে বেশি। কারণ, কথা বলতে বলতে এক সময় যখন আর কোনো কথা থাকে না তখন সে অপরের সমালোচনা করে বসে। ওমুক এ কাজ করেছে তমুক সেটা বলেছে। তমুকের স্বভাব ভালো না। ওই মানুষটির পেট বড়। ওর মাথা মোটা। এসব অপ্রয়োজনীয় কথা বলে শুধু শুধু সময় নষ্ট করা আরকি।
তাদের যুক্তি আল্লাহ মুখ দিয়েছেন কথা বলার জন্য আমরা কথা বলছি এই আর এমন কি অপরাধ। অথচ আল্লাহ তাঁয়ালা অপপ্রোয়জনীয় কথা বলতে নিষেধ করেছেন। বেহুদা কথা ও কাজ থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন। রাসূল (সাঃ) দরকারি কথা বলতে বলেছেন না হয় চুপ থাকতে বলেছেন। তাই বেশি কথা না বলে কম কথায় কাজ আদায় করে নেওয়া উচিত। তাই বলে গোমড়া মুখে সব সময় বসে থাকাও উচিত নয়। হাসিমুখে কথা বললে একটা সদকার সওয়াব লিখা হয়। আসলে সকল কিছুরই একটা সীমা আছে যখন তা সীমা অতিক্রম করে তখনই তা অমঙ্গল বয়ে আনে।
©somewhere in net ltd.