নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরে থাকুন তারা যারা ধর্মকে পুঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্তানী প্রেমী , রাজাকার ও তাদের ছানাপোনা ।
ঢালু রাস্তায় হাটতে গিয়ে কয়েকবার হোঁচট খেল জগানন্দ, দলের সবাই ও কে জগা বলে ডাকে, মিস কাঞ্চির গোসলের পানি সেই আধা মেইল দূর থেকে টেনে আনতে হয়, কোমড় আরা থাকে না, ব্যাথায় টনটন করে, হোঁচট খাওয়ার ফলে কিছু পানি ছলকে পরে গেল, এতও মেজাজ খাপ্পা, কাঞ্চি রানির আবার বালতি ভর্তি পানি না হলে নাওয়া হয় না, খাক করে এক দলা থুথু ফেললো পানির মধ্যে, আসে পাশে চেয়ে দেখে জগানন্দ, কেউ দেখে ফেললো না তো , দেখলে আবার নয়া যন্ত্রনা, ধুরও এত ভাবলে কি আর তার চলে, দেখলে দেখুক। জগানন্দ আবার খুরিয়ে খুরিয়ে পা টেনে চললো। আচমকা কে যনো বলে উঠলো , আমি কিন্তু দেখেছি, থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে যায় জগা, আশে পাশে কাউ কে না দেখে খানিক ভয়ও পায়, এই জায়গা শুনেছি বেশি ভালো না, ব্যটা খাচ্চর ম্যানেজার কি মনে করে যে এই জায়গায় তাবু ফেললো কে জানে, ভয়ে কুকড়ে গিয়ে তুতলিয়ে জিজ্ঞাসা করলো কে ভাই তুমি? কোথা থেকে বলছো ভাই?
ঝোপের ওপাস থেকে রোগা টিং টিঙ্গা এক লোক বেরিয়ে এলো, জগা তার মাথার থেকে বড় দুই চোখ সরু করে বললো কে গ্যা তুমি, এই ঝোপের মধ্যে ওমন তারা লুকিয়ে লুকিয়ে কি কচ্ছ, রোগা লোকটা দাত বের করে হাসতে হাসতে বললো, আমি কিন্তু বলে দেব , জগা বিরক্ত হয়ে বললো কি বলবা , এই যে পানিতে ছ্যাপ দিলা। তাতে তোমার কি তুতলিয়ে ওঠে জগা আর তুমি কে গ্যা আমারে ডর দেখাও? মদু, মদু আমার নাম, তোমাগ মিস কাঞ্চিরে দেখপার আইছি,
অ, বেশ টেনে বলে জগা কাঞ্চির আর এক ভক্ত তুমি? লাভ নাই তোমাগ মাতব্বরের বুক কইরা ফেলছে হ্যারে,
কিঞ্চিত বিরক্ত হয়ে মধু বললো, ঠিক আছে আমি তাইলে কাঞ্চিরেই বলি গিয়া যে তুমি এই সব কাম কাজ কর,
ঝপাত করে জগানন্দ মাধুর পা প্যাচিয়ে বললো দাদা ও দাদা এমন কর কেন, সন্ধ্যায় আইসো, একে বারে সামনে বইসা দেখবা আমি ব্যাবস্থা কইরা দিমু, দাদা না আমার ভালো, কাঞ্চিরে কয়িও না।
তা পানিডা নেও কার জন্যি , মিচকি হাসি দেয় জগানন্দ, তোমার সাদের কাঞ্চির জন্য।
কি করবো, কি করবো, গোসল করবো বুঝি, চোখ বড় বড় করে বলে মধু,
হাত পা ঝেরে উঠে দারায় জগা, দেখছনি ব্যাডার নাল একদম টস টস কইরা পরছে, বালতী নিয়া হাটা দেয় জগা, মধু ছুটে গিয়ে হাত ধর জগার , ও দাদা, আমারে একবার দেখতে দিবা? কি, বিরক্ত হয় জগা, কাঞ্চির গোসলের সময় আমি এক কুনা দিয়া দেখুম, দিবা? ব্যাডা খবিসের পো, চিৎকার করে ওঠে জগা। যাও মিয়া ভাগো, এই সব ফালতু কাজে আমি নাই, ধরা পরলে ম্যানেজার দিবনে বলে হাত ঝাড়া দিয়ে হাটা দেয় জগা।
পেছন থেকে মাধু একটু গলা চড়িয়ে বলে, আমি কিন্তু তোমাগো ম্যানেজাররে কইয়া দিমু, যে তুমি নাওনের পানিতে ছ্যাপ দাও। থেমে যায় জগা, মনে মনে নিজেরে গালি দেয় , পেছন ফিরে বলে আমারে দেরি করাইলে তোমার আর দেখন লাগবো না, জলদি আইসা পরো।
দৌরে জগার পিছু নেয় সে, তাবুর কাছে আসতে, মধুর কানে ফিস ফিসিয়ে বলে ওঁই যে দেখ নাওনের জায়গা ওঁই খানে এক কোনে গিয়া ঘাপ্টি মেরে থাকো, ছুট মারে মধু, ওঁই মিয়া পেছন থেকে ডাকে জগা, ধরা পরলে কিন্তুক আমি তোমারে চিনি না।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৮
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনি পড়ছেন এই অনেক।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: গল্প ঠিকঠাক ছিল।
কিন্তু আর একটু গুছিয়ে লেখা যেত।
একটানা লিখে গেছেন। প্যারা প্যারা করে লিখতে দেখতে সুন্দর লাগে। আর যে পড়ে, তার পড়তে ভালো লাগে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৯
রানার ব্লগ বলেছেন: হা আর একটু গুছিয়ে লেখার দরকার ছিলো, প্যারা করে দিলাম।দেখুন তো ঠিক আছে কি না। ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: কর্মফল! কর্মটা ঠিকঠাক হলে মন্দ কাজের ভাগিদার হতে হতো না।
+++
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: যেমন কর্ম তেমন ফল।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমাদের চারপাশের ই বাস্তব জীবনের ছবি।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: আমাদের চারপাশ আমার মনে হয় আরো বেশি বিষাক্ত।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার পোষ্টের ফরম্যাট ঠিক নেই।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১
রানার ব্লগ বলেছেন: চেস্টা করলাম ঠিক করার, ঠিক হলো কি না জানা নাই।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখা প্যারা প্যারা করে লিখবেন তাহলে পাঠকের পড়তে সুবিধা হবে। মন্তব্যের প্রতিউত্তর দেওয়া
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২
রানার ব্লগ বলেছেন: এই যে প্যারা করে দিলাম, যদিও বুঝতেছি না ঠিকঠাক হলো কি না, ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫২
অধীতি বলেছেন: বাস্তবের গল্প।