![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একা রইলাম ঘাটে ভানু সে বসিল পাটে- আমি- তোমা বিনে ঘোর সংকটে না দেখি উপায় পাড়ে লয়ে যাও আমায়.....
ঘটনাগুলোকে ভৌতিক না বলে ভয়ের অভিজ্ঞতা বলছি এ কারনে যে আমি জীবনে কোনদিন ভূত দেখিনি এবং মহান আল্লাহ্ তালার কাছে অনুরোধ কোনদিন সে অভিজ্ঞতা যাতে না দেন। তাই অহেতুক ভুতের দোষ দিচ্ছি না।
১. নিজের রুমে একলা ঘুমাই। মাঝরাতে হঠাৎ কিছু একটা অদ্ভুত শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমার রুমের পাশে রান্নাঘর, সেখান থেকেই আসছে শব্দটা। অনেকটা যেন জোড়ে নিশ্বাস ফেলার শব্দ। আমি থাকি বাড়ির উত্তরদিকের রুমে আর্ বাবা-মা থাকেন দক্ষিন দিকের রুমে। বড় ভাই-বোন বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকায় আমি আমার রুমে একা। প্রতি ২/৩ সেকেন্ড পর পর নিশ্বাস ফেলার শব্দটা আসছে। রান্নাঘর থেকে কে যেন হাপাঁনির রোগীর মতো অন্তিম নিঃশ্বাস ফেলছে। এখন যদি চিৎকার করে বাবা মাকে ডাকি, তবে বাবা-মা শুনতে পাবে না, আর যদি রুম থেকে বের হই, তবে সবার আগে রান্নাঘর অতিক্রম করতে হবে; তাই সেটাও সম্ভব না। সাধারনত আমি ভৌতিক গল্প পড়ে রাতে ভয় পেলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শূয়ে পড়তাম, তা সে গরমকালই হোক শীতকালই হোক। যথারীতি কাঁথা মুড়ি দিয়ে শূয়ে পড়লাম। কিন্তু কাথাঁ মুড়ি দেবার পরও শব্দটা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি এবং মনের ভেতরের অস্বত্বিটা বেড়ে চলছে। কি করবো কিছুই মাথায় আসছে না। হঠাৎ মিসির আলীর কথা মনে পড়লো। তাই আমি ভাবলাম আমার সমস্যাগুলোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে ভাগ করে নেই। সমস্যাটি কি? নিশ্বাস ফেলার শব্দ। আমি কি নিশ্চিত ? না। অশরীরি কিছু যদি কোন ক্ষতিই করতে চায়, তবে আমাকে "নিশ্বাস ফেলার শব্দ" করে সচেতন হবার সুযোগ দেবেনা। তবে শব্দটা কিসের? তা জানতে হলে উঠে গিয়ে দেখতে হবে। সেটা সম্ভব নয়। বিকল্প কোন পথ নেই, এই শব্দ যতক্ষন চলতে থাকবে ঘুম আসবে না।
এইরকম ভাবতে ভাবতে আমি যখন অস্থিরতার চরমে, তখন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি যদি ২/৩ সেকেন্ডের মধ্যে খাট থেকে দৌড়ে রান্নাঘরের বাতি জ্বালাতে পাড়ি তবে আসল ঘটনা জানা যাবে। যদি খারাপ কিছু থাকে তবে রান্নাঘরের বাতির আলোতে আমার দৌড়ে বাবা-মার ঘরে যেতে সুবিধা হবে, যা অন্ধকারে যাওয়া কঠিন।
অবশেষে এক ঝটকায় বিছানা থেকে উঠে, বিছানা থেকে মাত্র দু'পা ফেলে রান্নাঘরের বাতি জ্বালালাম। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, সেখানের সবকিছু স্বাভাবিক।
কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষন করে দেখলাম, রাতে রান্নাঘরে যাতে কোন কারনে গ্যাস না জমে, সেজন্য একটা জানালা কোনাকুনি খোলা। সেখান থেকে বাতাস ঢুকে রান্নাঘরের দরজায় ধ্বাকা দিচ্ছে। রান্নাঘরের দরজার কটিটা লাগানো হয়নি তাই বাতাসের ধ্বাক্কার সেটা বন্ধ হতে যেয়ে কাপড় শুকানোর তারে বাধা পেয়ে একবার আংশিক খুলছে আবার তারের টানে আংশিক বন্ধ হচ্ছে। সেটার তালে তালে নিশ্বাস ফেলার শব্দটা আসছে দরজার পেছন থেকে। উকি দিয়ে দেখি একটা বড় মুখ খোলা পলিথিন একবার বাতাসে ভরে যাচ্ছে, আবার দরজার চাপে বাতাস বেরুচ্ছে। যখন বাতাস বেরুচ্ছে, তখনই নিশ্বাস ফেলার মতো শব্দ আসছে।
২. আমি তখন এইচ এস সি পাশ করেছি। ডিশের লাইনে ষ্টার মুভিজ তখন নতুন চ্যানেল। আমদের বাড়িতে তখন সিনেমা দেখার কোন ব্যবস্থা ছিল না, তাই বাবা-মা সবাই ঘুমিয়ে যাবার পর আমি চুপিচুপি ড্রয়িং রুমের দরজা ভেজিয়ে ছবি দেখতাম্। আমাদের ৫তলার বাসাটার ড্রয়িং রুমের তিনটি দরজা। একটা সিড়ি দরজা বা সদর দরজা, একটা ডাইনিং রুম থেকে প্রবেশ করার দরজা এবং অন্যটা বারান্দার দরজা।
সেদিন রাতে যথারীতি ছবি দেখতে বসলাম। আবহাওয়া একটু গুমোট ছিল, তবুও মশার অত্যাচারে বারান্দার দরজা বন্ধ ছিল। গভীর রাতে সিনেমার মাঝপথে বেরসিক ভাবে বিদ্যুত চলে যায়। মেজাজ খারাপ করে ড্রয়িং রুমের সিঙ্গেল বিছানায় মশারি টেনে ঘুমিয়ে পড়লাম। কতোক্ষন ঘুমিয়েছি জানিনা, ঘুম ভাঙ্গলো শো শো বাতাসের শব্দে। আমি জেগে দেখি, মশারিটা বাতাসের তোড়ে আমার মাথার উপরে ঝুলে প্রায় ছিড়ে পড়তে চাইছে। হঠাৎ আমার মনে পড়লো, বারান্দার দরজা দিয়ে বাতাস আসলে আমার মাথার পাশ দিয়ে আসতো না, আসতো আমার ডান পাশ দিয়ে। তারমানে বারান্দার দরজে খুলে যায়নি।
আমি এক লাফে বিছানায় বসে পড়লাম। বসে পড়ায় বাতাসটা এখন আমার পেছন দিক থেকে হুহু করে বইছে। আমি সচকিত হয়ে পেছনে তাকালাম, দেখলাম আমাদের সদর দরজা বরাবর গভীর অন্ধকার এবং সেখান দিয়ে আমাকে আরো ভয় পাইয়ে দিয়ে এটা দমকা ঠান্ডা হাওয়া বয়ে এলো। যেন অশরীরি কিছু আমাকে ভয় দেখাতে চাইছে। ভয়ে ও ঠান্ডায় আমি কিছুক্ষন বসে মূর্তি হয়ে রইলাম। সম্বিত ফেরার পর আমার মনে হলো দরজাটা কোন ক্রমেই খোলা থাকতে পারে না বা খুলে যেতে পারে না। যাই হোক এখন দরজাটা কোন ভাবে খুলে গেছে এবং যেভাবেই হোক আমার এই দরজাটা বন্ধ করতেই হবে, নয়তো এই অন্ধকারটা আমাকে ক্ষতি করতে পারে। আমি প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তির জোড়ে বিছানা থেকে উঠে বিদ্যুত গতিতে দরজাটা বন্ধ করলাম। দুটি ছিটকিনি বন্ধ এবং লক করে আমার রুমে চলে এলাম এবং কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
সকালে উঠে আমি দুটা ব্যপারের হিসাব মেলাতে পারলাম না। প্রথমতো যেদিন রাত জেগে মুভি দেখার পরিকল্পনা , সেদিন সাধারনত বাবার আগে আমি আমার রুমে শূয়ে আড়ি পেতে অপেক্ষা করতাম কয়েকটা সংকেতের জন্য। বাবা দশটার সংবাদের শিরোনাম শুনে টিভি অফ করার ফলে টিভির শব্দ বন্ধ, ড্রয়িং রুমের দুটি ছিটকিনি ও লক অন করার শব্দ, তারপর টয়লেটে যাবার শব্দ এবং তার রুমের বাতি নেভানো। এগুলো নিশ্চিত না হয়ে, আমার লুকিয়ে ছবি দেখতে যাবার প্রশ্নই উঠে না। বাবার এই কাজটা খুবই নিয়মিত ঘটনা, আজও বাবা ঘরের সকল দরজা জানালা নিরিক্ষা করে তারপর ঘুমাতে যান। সেদিন বাবা দুটি ছিটকিনি ও লক অন করতে ভুলে গিয়েছিলেন, তা বিশ্বাস হয়না।
দ্বিতীয়ত এবং প্রধানত, আমাদের সদর দরজার অটো লক; অর্থাৎ দরজা ভেজানো থাকলে ভেতর থেকে লক হয়ে যায়, ফলে বাইরে থেকে চাবি ছাড়া খোলা যায় না।
আজও তাই আমর কাছে এ ঘটনাটা রহস্যময়।
৩. ১৯৯২ সালে কুমিল্লার নানবাড়ি বেড়াতে যেয়ে নানাবাড়ি থেকে বেশ দূরে আখাউড়া গিয়েছিলাম এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে। দিন থাকতে ফেরার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু অনিচ্ছাকৃত ভাবে রওনা দিতে দেরী হয়ে যায়। ফলে আমরা নানাবাড়ি থেকে ২০ কিমি দূরে শেষ বাসটা যখন ধরি তখন সন্ধ্যা সাতটা।বর্ষাকালের সাময়িক বন্যায় একটা বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ায় আমাদের সেখানে বাস থৈকে নেমে, নৌকা দিয়ে খাল পাড় হয়ে আবার বাস ধরতে হবে। খাল যখন পাড় হই তখন রাত প্রায় ৮টা, যা গ্রামাঞ্চলের জন্য ঘুমিয়ে পড়ার সময়। বাসষ্ট্যান্ডে এসে শুনি শেষ বাসটা আসার কথা ছিল কিন্তু আসেনি। আমার সাথে আম্মা, বড় ভাই, নিকটাত্মীয় মামা এবং আম্মার এক চাচা। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা হেটে রওনা দেব। কারন কাছাকাছি আমদের অন্যকোন আত্মীয়র বাড়ি না থাকায় আমাদের অতটা পথ হেটে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। তখন সে এলাকায় কোন বিদ্যুৎ পৌছেনি। বিদ্যুৎ থাকলেও গ্রামে রাত ৮টা অনেক রাত। কথা বলতে বলতে হেঁটে যেতে যেতে আমি আর মামা একটু এগিয়ে গেলাম বাকিদের কাছ থেকে। মেঘলা আকাশ রাতের অন্ধকারটাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। চারিদিকে ব্যাঙ আর ঝি ঝি ডাকার শব্দ।ঝিরঝির বৃ্ষ্টি থেমে থেমে চলছিল। পথে একটু পর পর আমরা এক একটা গ্রাম পার হচ্ছিলাম আর এক একটা জনশূন্য বাজার পরছিল। রাত যখন প্রায় নয়টা, তেমনি একটা বাজারের কাছাকাছি এসে দূরের কিছু একটা দেখিয়ে মামা বললেন, ঐতো আমরা অমুক গ্রাম চলে এসেছি। আমি তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম জায়গাটা পরিচিত কিনা। তখনই চোখে পড়লো ছোট্ট একটা অস্পষ্ট বাতি একটু নড়াচড়া করছে। আরো কাছাকাছি যেতে মনে হলো চৌকিদার বা অন্যকেউ বাতি হাতে দাড়িয়ে আছে, কিন্তু বাতি ধরা হাতটা একটু পর পর অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে নেড়ে উঠছে। আমি ব্যপারটা আমার মনের ভুল ভেবে মামাকে কিছু জানালাম না। চুপচাপ মামার কথা শুনতে শুনতে হেটে চললাম।আরো কাছাকাছি যাবার পর হাত নাড়ার ভঙ্গিটি খুবই অস্বাভাবিক হয়ে উঠলো এবং হঠাৎ হঠাৎ অল্প কিছুক্ষনের জন্য প্রদীপটা মিলিয়ে। এমন সময় মামাও তার কথা থামিয়ে দিলো। আরো কিছুদুর যাবার পর মামা বললো আমরা মনে হয় ওদেরকে বেশী পেছনে ফেলে দিয়েছি, একটু দাড়াই কি বল ? আসলেই আমরা দুজন ওদেরকে বেশী পেছনে ফেলে দিয়েছিলাম, তাই দাড়ালাম। কিন্তু মামাও যে আমার মত সেই অস্বাভাবিক কিছু একটা দেখে দাড়িয়ে পড়েছেন তা তার অস্বস্থির ভঙ্গিতে বুঝা যাচ্ছিল। বাকীরা আমাদের সাথে পৌছালে আমরা তাদের গল্পে যোগ দিয়ে এগুতে লাগলাম, কিন্তু আমরা আমাদের অস্বস্থির কথা গোপন করলাম। তবে কিছুদূর এগোবার পর মামা আমাকে হঠাঃ হেসে বললেন. "দেখো তো কান্ড। ঐযে বাড়ির কুপির আলো এই ভেজা কলাপাতায় পড়ে কেমন প্রতিবিম্ব তৈরী করছিল, আমি তো ভেবেছিলাম কেউ আলো নিয়ে দাড়িয়ে আছে"। আমিও তখন দম বন্ধ করা পরিস্থিত থেকে বাচলাম। বাতাসে কলাপাতা নড়ায় আলোটা তাই থেমে থেমে হারিয়ে যাচ্ছিল তখন।
আসল অস্বাভাবিক কান্ড শুরু হলো যখন আমরা রাস্তা থেকে নেমে গ্রামের মাটির সড়কে নামলাম তখন। মাথার উপর বড় বড় প্রাচীন গাছ অন্ধকারটা বাড়িয়ে দেয়ায়, বহুচেনা নানাবাড়ির সেই পথটা সম্পূর্ন অচেনা লাগছিল্ এর মাঝে আমি একটু ভয়ে সবার মাঝে মাঝে হাটছিলাম। সড়কের একটা মোড়ে হঠাৎ দেখি মা সড়ক থেকে নেমে ক্ষেতের দিকে নামতে লাগলেন এবং গোল হয়ে পড়ে গেলেন। নানা দৌড়ে গিয়ে আম্মাকে ধরে উঠালেন। আম্মা হতভম্ব হয়ে বললেন, বুঝলাম না আমি পড়লাম কিভাবে? নানা বললেন "হয়তো কোন লতাপতায় জড়িয়ে পড়ে গেছো"। কিছুদুর যাবার পড় মা নানাকে বললেন অনেক পথতো হাটলাম আমরা পৌছাচ্ছি না কেন ? পথ ভুল করলাম নাতো? নানা বললেন "আমাদের বাড়ীর আগে তো ডানে বামে রাস্তার মোড় নেই, একটাই রাস্তা ভুল হবার কোন সুযোগ নেই"। মা বললো কতটুকু বাকী তাও তো ধরতে পারছি না। নানা বললেন , হ্যাঁ রাতের বেলা এমনই লাগে।
একসময় আমরা আল্লাহ্ র অশেষ মেহেরবানীতে নানাবাড়ি পৌছাই। পরেরদিন সকালে নানা-মা সবাই বলছিল কাল রাতে তাদের কয়েকবার মনে হয়েছে পথ হারিয়েছেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার রাস্তা একটাই পথ ছিল, তাই বিশ্বাস হারাননি। আর ভয় জিনিষটা সংক্রামক, তাই কেউ কাউকে কিছু বলছিলেন না।
০৯ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
সুজন দেহলভী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান মন্তব্য এবং সময় দেবার জন্য।
২| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৬
একজনা বলেছেন: ভালো লাগলো। লেখনী ভালো হয়েছে।
০৯ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
সুজন দেহলভী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান মন্তব্য এবং সময় দেবার জন্য।
৩| ০৯ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:১৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: পড়তে পড়তে ভয় পেয়েছিলাম... তবে তখনই সাথে সাথে মৃত্যুর কথা স্মরণ করি তখন এইসব আজাইরা ভয় থেকে আজাবের ভয় যেকে বসে, আল্লাহর প্রতি ভয় হয়,, কতই না অপকর্ম করি । তখন এই সব জ্বীন ভূত কিছুই মনে হয় না ।
০৯ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
সুজন দেহলভী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান মন্তব্য এবং সময় দেবার জন্য। আমি কিন্তু কোন ভুতের অভিজ্ঞতার কথা বলিনি। আমি বলেছি কিছু রহস্যময় ঘটনা, যার ব্যাখা আমার কাছে নেই।
মৃত্যু অনিবার্য, এর সাথে ভুতের ভয়ের কোন তুলনা দেয়া যায় না।
৪| ০৯ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:১৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: ++
০৯ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
সুজন দেহলভী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান সময় দেবার জন্য।
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
নতুন বলেছেন: কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষন করে দেখলাম,>>যখন বাতাস বেরুচ্ছে, তখনই নিশ্বাস ফেলার মতো শব্দ আসছে।
এই রকমের সব ভয়ের গল্পের পেছনে ই্ কোন না কোন ব্যাখ্যা থাকে... কিন্তু আপনি যেই রকমের সাহস নিয়ে কারন খুজে পেয়েছেন অন্যরা তা করে না....
তাই ঐ সব ঘটনা ভুতের গল্প হিসেবে বাজারে চলে আসে...
০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
সুজন দেহলভী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমার অভিজ্ঞতাগুলোকে কেউ যাতে ভূতের কান্ড না ভাবে সেজন্য লেখার শুরুতেই বলে দিয়েছি "আমি জীবনে কোনদিন ভূত দেখিনি"। বানানো গল্প হলে পাঠকের আগ্রহ শুরুতেই নষ্ট করতাম না।
আপনি বলেছেন, "কিন্তু আপনি যেই রকমের সাহস নিয়ে কারন খুজে পেয়েছেন অন্যরা তা করে না"। প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু সত্যি হলো যে, আমি প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম। ওই মুহুর্তে সেটা করা ছাড়া, আমার কোন উপায় ছিল না। না রুম থেকে বের হতে পারছি, না কাথাঁর নিচে স্বস্থি পাচ্ছিলাম। দেয়ালে পিঠ ঠেকলে যা হয় আর কি!
কাল রাতে একা রুমে যখন আমি লেখাটা লিখছিলাম, ঘটনাটা মনে করতে করতে তখনও একটু একটু ভয় লাগছিল। ঠিক তখনই মোবাইলে মেসেজ টোন বেজে উঠে, আর আমি ভয়ে ভীষন চমকে উঠি। এবার বুঝলেন কেমন সাহসী?
৬| ০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং ! ৪র্থ ভালোলাগা ++
ভালো থাকবেন সবসময়
০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
সুজন দেহলভী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৪
নতুন বলেছেন: ওই মুহুর্তে সেটা করা ছাড়া, আমার কোন উপায় ছিল না। না রুম থেকে বের হতে পারছি, না কাথাঁর নিচে স্বস্থি পাচ্ছিলাম। দেয়ালে পিঠ ঠেকলে যা হয় আর কি!
অনেকেই কিন্তু ভয়ে গিয়ান হারায় পরে হুজুরের/ফকিরের পানি পড়া খায়...
৮| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০৯
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: মজা পাইছি।
ভূত্রে ভয় লাগানোর বুদ্ধি কি??
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
সুজন দেহলভী বলেছেন: নিজেই ভয় পাইয়া কূল পাই না.............
৯| ১০ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:১৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: হুম তুলনা আছে ।
দুইটাই ভয় ! ... রহস্য গুলি কিন্তু সমাধান করেছেন কয়েকটা ,,, এর এগুলোর মধ্যে ভয় কাজ করেছে আপনার প্রত্যেকটাতেইি !
তুলনা না করে থাকি কি করে ?
ভূতকে আমি মানসিক ভয় হিসেবে বলেছি.. যেটা নিছক কল্পনা বৈ কিছুই নয় । কিন্তু জ্বীনে বিশ্বাস করি । সেটার প্রতি বিশ্বাসের কারনে মানষিক ভয়টা আরও যেকেও বসে একা থাকলে তখন চিন্তা করি গুষ্টি কিলাই ভয় এর.. মৃত্যু থেকে ভয় আর কিছুই নয় ।
যখন কোন কিছুর ব্যাখ্যা সহজে নাই তা ভিন্ন জগতের কর্ম তা ধরা যায় তবে সেটারও একটা ব্যাখ্যা অবশ্যই আছে ।
সেটা বোঝার সীমারেখায় হয়ত আমরা পৌছাই নাই ।
জ্বীন যদি অদৃশ্য হয়ে থাকে তাহলে তাহলে তার পদার্ধ গুলিও ভিন্ন ধর্মের ! যেটা আমাদের সাথে মিল খায় না ।
তেমনি আমার ব্যাখ্যাতীত ঘটনার ব্যাখ্যাটা সাধারন মানব নিস্বৃত না হয়ে ভিন্ন পন্থায় হবার সম্ভাবনা আছে ।
আমিও ছোটকালে নানু বাড়ি থেকে আরেক গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলাম । তবে রাতে আত্মীয় এর বাসায় থাকলাম । তো টিনের চালে ধুরুম ধারুম শব্দ !
রাতে কে ঢিল দিবে !
প্রায়ই হয়. তবে রেন্ডমলী সাময়িক আকারে । এত রাতে যেখানে হারিকেনের আলোও নাই , কেউ দুষ্টামি করার সুযোগও নাই । পাখিও নাই , বাতাস বা ঝড় কিছুই ছিল না ।
তখন ছোট ছিলাম, না হয় বাহিরে বের হয়ে দেখার চেষ্টা করতাম ।
আরেকটা মজার ঘটনা বলি, এটা নিয়ে ব্লগে ও উইকিতে লেখা পাবেন. সেটা হল কোন কিছু কল্পনা করে নিজের ছবি তুলা !
এটা কঠিন একটা এবং অদ্ভুত কিছু একটা । তখন ছবি প্রিন্ট আউট করলে কল্পনার ছবিটাই প্রিন্ট হবে !
কিভাবে হয় সেটা কেউই জানে না, তবে এই রহস্যটা স্বীকৃত!!!
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
সুজন দেহলভী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান সময় দেবার জন্য।
১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ডরাইছি.................
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
সুজন দেহলভী বলেছেন: বলেন কি ?
১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
ড. জেকিল বলেছেন: ভয়ানক অভিজ্ঞতা, সুন্দর বিশ্লেষন। রাতে পড়তে হতো, ভূল করে দিনে পড়ে ফেলেছি।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
সুজন দেহলভী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান সময় দেবার জন্য।
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
ক্রন্দসী বলেছেন: ভুল কইরা আখাউরা থেইকা আগরতলা যাওনাই ভাগ্য ভাল।
২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:০৭
সুজন দেহলভী বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫
C/O D!pu... বলেছেন: ভালো লাগলো... বিশেষ করে বিশ্লেষণগুলো...