নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবসরে বই পড়তে পছন্দ করি, মুভি দেখতেও ভালো লাগে। ঘোরাঘুরিও পছন্দ তবে সেটা খুব একটা হয়ে উঠে না। বাকেট লিস্ট আছে অনেক লম্বা। হয়তো কোন একদিন সম্ভব হবে, হয়তো কোনদিন হবে না। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে জানি, প্রত্যাশা করতে জানি। তাই সেটাই করে যাচ্ছি।

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী

প্রত্যাশাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা পূরণ হয় না... তাও তারা স্বপ্নচারিণী নামে পরিচিতি পেয়ে গেল... ইন্সটাগ্রাম ― @swarochita

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরফান খানের রোড মুভি ট্রিলজি

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৪



কয়েকদিন আগেই কারওয়া দেখে শেষ করলাম। ট্রেইলার দেখার সময় জানতে পেরেছিলাম এটি একটি রোড ট্রিপ ভিত্তিক চলচ্চিত্র। গত দুই-তিন বছরে ইরফান খানের আরও দুটো মুভিতে (পিকু এবং কারিব কারিব সিঙ্গেল) রোড ট্রিপের ব্যাপারটি ছিল। একে তো এই দুটো মুভি ভালো লেগেছিল, তার উপর ইরফান খান এবং দুলকার সালমান দুজনই ছিলেন কারওয়াতে, তাই দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলাম। এমনিতে বর্তমান সময়ের হিন্দি মুভি দেখার জন্য তেমন একটা আগ্রহ বোধ করি না। আইএমডিবি রেটিং এবং সমালোচকদের রিভিউ যদি সন্তোষজনক মনে হয় তাহলে দেখে থাকি। যাতে পরবর্তীতে হতাশ হওয়া না লাগে। তারপরও মাঝে মাঝে হতাশ হতে হয়। অনেক সময় খুব সাধারণ একটি চলচ্চিত্র অনেক বেশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়ে ফেলে অথবা ফিল্মের কাহিনী এবং পরিচালনা ভালো হলেও কাস্টিং এত খারাপ হয় যে পুরো ফিল্মটি অসহ্য হয়ে দাঁড়ায়। কারওয়া দেখার পর ইচ্ছা হয়েছিল এই তিনটি ফিল্ম নিয়ে কিছু লিখতে। আমার কাছে এই ফিল্মগুলোর কাস্ট একদম পারফেক্ট মনে হয়েছে। কাহিনী সাদামাটা কিন্তু ভালো লাগার মত। শুধুমাত্র পিকু ছাড়া অন্য দুটো ফিল্মের পরিচালনা আর একটু ভালো হতে পারতো বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। যারা আমার মত বলিউডের টিপিক্যাল মাসালা ফিল্ম দেখেন না কিন্তু অফবিট ফিল্ম গুলো বেশ পছন্দ করেন তাদের জন্য এই রিভিউটি লিখছি। যদি এই রিভিউ পড়ে মুভিগুলো কারও দেখার ইচ্ছা হয় সেখানেই আমার এই রিভিউ লেখার সার্থকতা।

১) Piku:

এই ফিল্মের মূল চরিত্র পিকু (দীপিকা পাড়ুকোন) আর তার বাবা ভাস্কর ব্যানার্জী (অমিতাভ বচ্চন)। পিকু বাঙ্গালী কিন্তু বাবার সাথে দিল্লীতে থাকে। সত্তর বছর বয়সী ভাস্কর ব্যানার্জীর শারীরিক সমস্যা যতটা না বেশি তার থেকেও বেশি তিনি সেগুলো নিয়ে ভাবতে পছন্দ করেন। পিকুর ভাষ্যমতে এগুলো তার এক প্রকার হবি। এটা ছাড়াও তিনি দুনিয়ার সবকিছুর উপর চরম বিরক্ত। তাই কারোর সাথেই তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো না। এইসব নানাবিধ কারণে পিকুর কম ভোগান্তি হয় না। কিন্তু তারপরও পিকু তার বাবাকে অনেক ভালোবাসে। বাবাকে সে নিজের সন্তানের মত দেখাশোনা করে। যত অসুবিধাই হোক না কেন বাবার কোন আবদার সে ফেলতে পারে না। পিকুর কলিগ সৈয়দ আফরোজ (যীশু সেনগুপ্ত) তার খুব ভালো বন্ধু। ব্যক্তিগত জীবনে তারা বেশ ঘনিষ্ঠ কিন্তু পিকুর বাবা চায় না পিকু তার মায়ের মত ক্যারিয়ার ছেড়ে ঘরকন্না করুক। তারপর একসময় সারা জীবন ধরে এই আফসোস পুষে রেখে সেভাবেই মৃত্যুবরণ করুক। পাঠকরা ভাবতে পারেন কেন ক্যারিয়ার আর সংসার কি একসাথে হতে পারে না? কত নারীই তো দুটো সুন্দর ভাবে হ্যান্ডেল করে যাচ্ছেন। আসলে এখানে কিছুটা সেলফিশ মোটিভও আছে। পিকুর বাবা এটাও চায় না, পিকু বিয়ে করে তাকে ছেড়ে চলে যাক। পিকুর বাবার স্বভাব পিকুও কিছুটা পেয়েছে। সেও তার বাবার মত কিছুটা বদমেজাজী। সৈয়দ আফরোজের বন্ধু রানা চৌধুরীর (ইরফান খান) ট্যাক্সি বিজনেস আছে। পিকু তার নিয়মিত ক্লায়েন্ট। কিন্তু পিকুর বদমেজাজী স্বভাবের কারণে রানার কোন ড্রাইভারই চায় না পিকু তাদের গাড়িতে ট্রাভেল করুক। কলকাতাতে পিকুদের বাড়িতে পিকুর কাকা-কাকী থাকেন। এত বড় বাড়ি কোন কাজে লাগেনা দেখে পিকু বাড়িটা বিক্রি করে দিতে চায়। কিন্তু পিকুর বাবার এতে ভীষণ আপত্তি। পিকুর বাবা কলকাতাতে যেতে চান। কিন্তু প্লেনে উঠতে ভয় পান। আবার ট্রেন কিংবা বাসও তার ঠিক পছন্দ নয়। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ট্যাক্সিতে করে এই ১৫০০ কিলোমিটার ট্রাভেল করবেন। পিকুও সাথে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু গোল বাধে ট্যাক্সির ড্রাইভার নিয়ে। যেহেতু ট্যাক্সি ড্রাইভাররা কেউ পিকুকে পছন্দ করে না তাই কেউ কলকাতা যেতে রাজি হয় না। শেষে রানা রাজি হয় পিকু আর তার বাবাকে কলকাতা পর্যন্ত ড্রাইভ করে নিয়ে যেতে। যাত্রাপথে তাদের কাহিনী, কলকাতা পৌছে সেখানকার ঘটনাবলী, আর সাথে বাবা-মেয়ের এই অদ্ভুত রাগ আর ভালবাসার সম্পর্ক দর্শকদের দুই ঘণ্টা আটকে ধরে রাখবে।

সুজিত সরকারের পরিচালনা সবসময়ই সুন্দর। এই বছর রিলিজ পাওয়া সুজিতের অক্টোবর হয়তো অনেকে দেখে থাকবেন। পিকু আর অক্টোবর দুটোই আমার বেশ ভালো লেগেছে। যারা একটি দেখেছেন এবং ভালো লেগেছে তারা অন্যটি দেখতে পারেন। আশা করছি ভালো লাগবে। পিকু মোট তিনটি ক্যাটেগরিতে জাতীয় পুরস্কার এবং পাঁচটি ক্যাটেগরিতে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিল।

মুক্তির তারিখ – ৮ মে ২০১৫
আইএমডিবি রেটিং – ৭.৬/১০
ব্যক্তিগত রেটিং – ৯/১০
ট্রেইলার – PIKU Motion Se Hi Emotion



২) Qarib Qarib Singlle:

ফিল্মের কাহিনী শুরু হয় জয়া (পার্বতী) নামের একজন ত্রিশোর্ধ্ব বিধবা নারীকে কেন্দ্র করে যে মুম্বাইয়ের একটি বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। তার স্বামী ভারতীয় আর্মিতে ছিল এবং বেশ কয়েক বছর আগে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে। এরপর থেকেই আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে পরিচিত, স্বল্প পরিচিত সবাই জয়াকে বিয়ে করার জন্য ফ্রিতে জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছে। জয়া শুনতে শুনতে অনেক ত্যক্ত বিরক্ত। অবশেষে এক রাতে সে একটি ডেটিং ওয়েবসাইটে আইডি খুলে ফেলে। আইডি খোলার পর থেকে যত সব উড়ো মেসেজ পেতে থাকে। বিরক্ত হয়ে ল্যাপটপ রেখে সে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম থেকে উঠে সকালে যোগী (ইরফান খান) নামের একজন চল্লিশ বছর বয়সী কবির কাছ থেকে সে একটি মেসেজ পায়। যোগী তাকে একটি কফিশপে আসার জন্য অনুরোধ করে। মেসেজটি জয়ার কাছে মোটামুটি ঠিকঠাক মনে হয়। তাই রাজি হয়ে যায়। কফিশপে দেখা হওয়ার পর যোগীকে জয়ার কাছে অনেক বেশি উদ্ভট মনে হয়। কিন্তু তারপরও আরও একবার কফিশপে জয়া যোগীর সাথে দেখা করে। দ্বিতীয় দেখায় সে যোগীর তিনজন এক্স গার্লফ্রেন্ডদের কথা জানতে পারে। যারা এখন হ্যাপিলি ম্যারিড কিন্তু যোগীর মনে নয় তারা এখনও তাকে ভুলতে পারেনি। জয়া এটা মানতে নারাজ। সে মনে করে সবাই একটা সময় মুভ অন করে। হয়ে গেল চ্যালেঞ্জ। যোগী তাকে অনুরোধ করে তার সাথে বাইরে ঘুরে আসার জন্য। সাথে তার এক্স গার্লফ্রেন্ডদের সঙ্গে দেখা করা হয়ে যাবে। জয়া প্রথমে মানা করে দেয়। কিন্তু হয়তো এই কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একটা ব্রেক পাওয়ার জন্য সে রাজি হয়ে যায়। পিকু আর কারওয়াতে যেমন পুরো জার্নিটা ট্যাক্সি অথবা ভ্যানগাড়ীতে ছিল, এখানে অবশ্য সেটা হয়না। প্লেন, ট্রেন আর ট্যাক্সি সব মিলিয়ে এই জার্নি চলে পুরোটা ফিল্ম জুড়ে। প্রথমে ঋষিকেষ, এরপর জয়পুর আর সবশেষে গ্যাংটক। যোগীর সাথে জয়ার এই ট্রিপে যাওয়ার পিছনে একটি কারণ থাকে গ্যাংটক। এটি ফিল্মের শেষে বোঝা যায়। ট্রিপে যাওয়ার আগে জয়ার যোগীকে অসম্ভব বিরক্তিকর মনে হলেও এই ট্রিপের মাঝে তার যোগীকে ভালো লেগে যায়।

ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন তনুজা চন্দ্র। তিনি এর আগে নব্বইয়ের দর্শকের প্রশংসিত দুশমন এবং সংঘর্ষ ফিল্মের পরিচালনায় ছিলেন। এছাড়া দিল তো পাগাল হে ফিল্মের চিত্রনাট্য যারা লিখেছেন তাদের ভিতর তিনি একজন। তবে কারিব কারিব সিঙ্গেল ফিল্মটি তার পরিচালিত অন্য ফিল্মগুলোর থেকে ভিন্ন। বলিউডে ত্রিশোর্ধ্ব কোন জুটির গল্প নিয়ে ফিল্ম বানাতে আমি খুব একটা দেখিনি। বলবো না এটার পরিচালনা খুব ভালো ছিল। অন্য কোন বিখ্যাত পরিচালক বানালে আরও বেশি সুন্দর হতে পারতো। কিন্তু এমন মন ছুঁয়ে যাওয়া সাদামাটা ফিল্ম বানাতে বলিউডে খুব বেশি একটা দেখা যায় না। ইরফান খানের ফিল্ম চয়েজ বরাবরই ভালো হয়ে থাকে। আর মালায়ালাম অভিনেত্রী পার্বতীর টেক অফ, চার্লি, ব্যাঙ্গালোর ডেইজ, এন্নু নিন্তে মইদীন ইত্যাদি ফিল্ম যারা দেখেছেন তারা জানেন কত প্রতিভাবান একজন অভিনেত্রী তিনি।

মুক্তির তারিখ – ১০ নভেম্বর ২০১৭
আইএমডিবি রেটিং – ৭/১০
ব্যক্তিগত রেটিং – ৯/১০
ট্রেইলার – Qarib Qarib Singlle



৩) Karwaan:

এই ফিল্মের কেন্দ্রীয় চরিত্র অবিনাশ রাজপুরোহিত (দুলকার সালমান)। ব্যাঙ্গালোরে একটি আইটি ফার্মে জব করে। ইচ্ছা ছিল ফটোগ্রাফীকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিবে কিন্তু তার বাবার ইচ্ছায় সেটাকে বিসর্জন দিতে হয়। নিজের এই জব লাইফ নিয়ে প্রচন্ড বিরক্ত সে। এই জন্য বাবার সাথে তার সম্পর্ক খুব একটা ভাল না। অনেকদিন ধরে তাদের ভিতর তেমন কোন যোগাযোগ নেই। অবিনাশের বাবা প্রকাশ রাজপুরোহিত (আকাশ খুরানা) গঙ্গোত্রী দর্শন করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে গাড়িটি অ্যাক্সিডেন্ট করায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যে ট্রাভেল কোম্পানীর প্যাকেজ তিনি নিয়েছিলেন তারা অবিনাশকে ফোন করে জানায় ব্যাঙ্গালোর এয়ারপোর্টে তারা লাশ পাঠিয়ে দিয়েছে। অবিনাশ লাশ নেওয়ার পর দেখে ভুল করে তারা একজন বৃদ্ধার লাশ তাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর তার বাবার লাশ চলে গিয়েছে কোচিতে সেই বৃদ্ধার ফ্যামিলির কাছে। অবিনাশের এলাকার একটি গ্যারেজের মালিক শওকত (ইরফান খান)। তার সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক অবিনাশের। এই লাশ বহন করার জন্য শওকত তার ভ্যানগাড়ি অফার করে অবিনাশকে এবং তার সাথে যেতে রাজি হয়। সেই বৃদ্ধা মহিলার মেয়ে তাহিরা (অমলা আক্কিকেনি) ফোনে অবিনাশকে অনুরোধ করে কোচিতে এসে তার মায়ের লাশ পৌছে দেওয়ার জন্য। ব্যাস! শুরু হয়ে যায় ব্যাঙ্গালোর থেকে কোচি যাত্রা। কিন্তু সোজা কোচি তাদের যাওয়া হয় না। এর মাঝে আরও কয়েক জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন হয় এবং বিভিন্ন ঘটনাও ঘটে। যাত্রাপথে তাহিরার মেয়ে তানিয়া (মিথিলা পালকার) তার নানীর মৃত্যু সংবাদ শুনে কলেজ হোস্টেল থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য জয়েন করে তাদের সাথে। তানিয়ার লাইফস্টাইল অবিনাশের সম্পূর্ণ বিপরীত। যার জন্য পদে পদে অবিনাশের চিন্তাধারার সাথে ক্ল্যাশ করতে থাকে। তানিয়ার কাণ্ডকারখানা দেখে অনেকটা সে তার বাবার মত রিঅ্যাক্ট করতে থাকে। যার ফলে বাবার প্রতি অবিনাশের অভিমান কমে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে বাবাকে কিছুটা হয়তো বুঝতে পারে। মাঝে মাঝে আমাদের ভিতরও হয়তো কেউ কেউ এই জিনিসটা ফেস করে থাকি। আমরাও মা-বাবার সব অপিনিয়ন সবসময় মানতে পারি না। কিন্তু যখন বয়সে ছোট কারো সাথে ইন্টার‍অ্যাক্ট করতে হয় তখন মনে হয় বাবা-মা সব ক্ষেত্রে হয়তো ভুল ছিল না।

ফিল্মটি দুটি মানুষের মৃত্যু দিয়ে শুরু হলেও মন খারাপ হওয়ার মত কোন ঘটনা কিংবা বোরিং লাগার কোন চান্স নেই। এর একটি অন্যতম কারণ ইরফান খান অভিনীত শওকত চরিত্রটি। তার কাণ্ডকারখানা খুব মজার। মুভিটিতে জোর করে হাসানোর কোন ঘটনা নেই কিন্তু মুভিটি দেখার সময় কিছু কিছু দৃশ্যে এমনিতে হাসি আসবে। অনেকে এই ফিল্মে লাশ বদলাবদলির কারণে অজ্ঞাতনামার সাথে কোন মিল আছে কিনা জানতে চান। না, কোন মিল পাবেন না অজ্ঞাতনামার সাথে। এর লোকেশন আর সিনেমাটোগ্রাফি বেশ সুন্দর, যেমনটা মালায়ালাম ফিল্মগুলোতে হয়ে থাকে। কাহিনী আর কাস্ট অনেক ভালো ছিল। পরিচালনার ক্ষেত্রে মনে হয়েছে আর একটু ভালো হতে পারতো। তারপরও বেশ ভালো লেগেছে। এর আগে এই বছর দেখা হিন্দি চলচ্চিত্রগুলোর ভিতর অক্টোবর আর হিচকি বেশ ভালো লেগেছিল। এখন সাথে এটাও যোগ হল।

দুলকার সালমানের প্রথম হিন্দি মুভি ছিল এটি। তার অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে হিন্দি জানলেও মালায়ালাম বা দক্ষিণের অন্য ভাষায় কথা বলাতে তিনি বেশি স্বতঃস্ফূর্ত। যারা দুলকারের আগের মুভিগুলো দেখেছেন তারা এই পরিবর্তনটা বুঝতে পারবেন। যারা দেখেননি তারা ইচ্ছা হলে আমার আগের পোস্ট দুটো পড়তে পারেন। আমার প্রিয় দুলকারের কিছু মুভি নিয়ে আমি রিভিউ লেখার চেষ্টা করেছিলাম। এই পোস্টের নিচে তার লিংক দিয়ে দিচ্ছি।

মুক্তির তারিখ – ৩ আগস্ট ২০১৮
আইএমডিবি রেটিং – ৭.৯/১০
ব্যক্তিগত রেটিং – ৯/১০
ট্রেইলার – Karwaan



খুব কম অভিনেতা আছেন যারা যেকোন চরিত্রের সাথে খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে যেতে পারেন। ইরফান খান তাদের ভিতর একজন। কারওয়া এবং কারিব কারিব সিঙ্গেল দেখার সময় তার চরিত্রটি যেমন আপনাকে হাসাবে আবার তেমনি এটা ভেবেও মন খারাপ হয়ে যাবে কতটা স্ট্রাগল করছেন তিনি এখন জীবনের সাথে। তাড়াতাড়ি তিনি সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করছি। আর আশা করছি ভবিষ্যতেও তিনি এমন সুন্দর সুন্দর চলচ্চিত্র আমাদের উপহার দিয়ে যাবেন।



“There is some good in this world, and it's worth fighting for.” ― J.R.R. Tolkien



দুলকার সালমান – এক মুগ্ধতার নাম (মুভি রিভিউ – প্রথম পর্ব)

দুলকার সালমান – এক মুগ্ধতার নাম (মুভি রিভিউ – দ্বিতীয় পর্ব)

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

সৈকত জোহা বলেছেন: আপনি বেশ ভাল রিভিউ লিখেন। পোস্ট প্রিয়তে। আশা করি অতি তাড়াতাড়ি প্রথম পাতায় এক্সেস পাবেন

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য এবং প্রিয়তে রাখার জন্য। :) ব্লগে আসলে তেমন একটা আসা হয়না তো সেই জন্য হয়তো সেফ হতে দেরি হচ্ছে।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ইরফান খানের 'হিন্দি মিডিয়াম' দেখেছিলেন নিশ্চয়ই? জোশ পুরাই!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: হ্যাঁ, হিন্দি মিডিয়াম আমারও বেশ প্রিয়। তবে লাঞ্চবক্স দেখে আমি তার ডাই হার্ড ফ্যান হয়েছিলাম। কী অসাধারণ একজন অভিনেতা তিনি !!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু। :)

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ইরফান খানের 'ডুব' মুভিটি দেখা হয়নি এখন পর্যন্ত। হেল্প করতে পারবেন? :((

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আপু, আমি নিজেও দেখিনি। আসলে মুভিটির রিভিউ বেশি ভালো দেখছিলাম না, তাই আর দেখা হয়ে উঠেনি। আপনার কমেন্ট দেখে ডাউনলোড লিংক খুঁজে বের করলাম। প্রিন্ট কেমন বলতে পারছি না। কারণ নিজেও মাত্র ডাউনলোড দিলাম। এই লিংকে পাবেন।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৬

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: My pleasure !

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০০

রাকু হাসান বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ । আপনি ,মোভি রিভিউ দেওয়ার জন্য সেরা বলতে হবে । ইদানিং মোভি দেখতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলি ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৫১

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: শুধু মুভি না অনেক কাজ করতেই ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলি মাঝে মাঝে। আসলে সবসময় সবকিছু করতে ভাল লাগে না যার জন্য এমন হয়। তাই যখন মুভি দেখতে ইচ্ছা করে তখন টানা মুভি দেখি। যখন বই পড়তে (অবশ্যই আউটবুক) ইচ্ছা করে তখন শুধু বই পড়ি। জোর করে কোনকিছু করি না। এজন্য কোনকিছুতেই রেগুলার না আমি। যখন যা ভাল লাগে তাই করি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। কষ্ট করে পড়ার জন্য আর আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। :)

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুভি টুভি নিয়ে এত লাইন লিখেছেন?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: দেখলেনই তো লিখলাম। সবার তো আর সব বিষয়ে ইন্টারেস্ট থাকে না। যদি থাকতো তাহলে হয়তো আপনি মুভি নিয়ে লিখতেন আর আমি স্টক মার্কেট এবং ইকোনমি নিয়ে পোস্ট দিতাম। :)

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বর্তমান সময়ের হিন্দি মুভি দেখার জন্য তেমন একটা আগ্রহ বোধ করি না।
........................................................................................................
বাস্তবতা এখানে, তারপরও আপনি রিভিউ লেখেন ।
আমি মুভি দেখি শুধু মাত্র টাইম পাস এর জন্য তাই
মন্তব্য নিস্প্রোয়জন

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আপনি হয়তো আমার আগের পোস্ট দেখেন নি। আমি মূলত মালায়ালাম আর ইরানী ফিল্ম সব থেকে বেশি পছন্দ করি। হলিউডের ফিল্মও দেখা হয় কম বেশি। হিন্দি ফিল্ম পছন্দ করতাম অনেক আগে। এখনও করি তবে বর্তমান সময়ের ফিল্ম না। আগের গুলো। একই কথা বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এখনও সময় পেলে পুরানো বাংলা আর হিন্দি ফিল্ম দেখি। বর্তমান সময়ের হিন্দি আর বাংলা ফিল্ম কম দেখা হয়। বেছে বেছে সেগুলোই দেখি যেগুলো ভালো লাগবে বলে আমি মনে করি। ভালো মুভিতে আমার আগ্রহ আছে। আর ভালো লেগেছে বলেই সেটা নিয়ে পোস্ট করেছি।
সবার সব ব্যাপারে ইন্টারেস্ট থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ভালো মুভিতে আমার আগ্রহ আছে।
...........................................................
ঠিক কথা
ভালো মুভিতে এখনো এ ব্যাপারে ইন্টারেস্ট আছে
লিংক দিলে দেখব

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: হ্যাপি ওয়াচিং !!

Piku

Qarib Qarib Singlle

Karwaan

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

ঋতো আহমেদ বলেছেন: আপনি হিন্দি মুভির খুব ভক্ত মনে হচ্ছে। সুন্দর পোস্ট। কারওয়ান দেখার ইচ্ছে আছে আজ। শুভ কামনা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০১

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: দেখতে পারেন। আশা করছি নিরাশ হবেন না। আমি আসলে ভালো ফিল্মের ভিক্ত। সেটা যে ভাষারই হোক না কেন দেখার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। :)

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

রাকু হাসান বলেছেন:

সমালোচনা কেমন করতে পারে েমোভি নিয়ে ?ডোব সিনেমাটা আপনার দেওয়া লিংকে দেখলাম । এমন সাইট জানা থাকলে বলার অনুরোধ করছি সেখানে দেশী বিদেশী মোভি কোনো ঝামেলা ছাড়াই ফ্রিতে দেখতে পাব । বিশেষ করে বিশ্বের পুরষ্কারপ্রাপ্ত ছবিগুলো দেখতে চাই । সহায়তা করবেন আশা করি । যেহেতু মোভি পাগল ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: মুভি পাগল বললে অনেক বেশি বলা হয়ে যাবে। আমি এতটা মুভি দেখি না যেটা একজন রিয়েল মুভিখোর দেখে থাকেন।
আসলে আমি মুভি যা দেখি সব ডাউনলোড করে দেখি। অনলাইনে দেখা হয় না। আপনি আইফ্লিক্স এবং ইউটিউবে দেখতে পারেন যদি চান। বিশেষ করে ইউটিউবে পুরষ্কারপ্রাপ্ত বেশ কিছু মুভির কালেকশন আছে। আর আমার মত যদি ডাউনলোড করে দেখতে চান তাহলে টরেন্টের বিকল্প নেই। যে মুভি দেখতে চান সেটা গুগলে অথবা ফেসবুকে বিভিন্ন মুভি রিলেটেড গ্রুপ গুলোতে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। :)

১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: রিভিউ ভাল হয়েছে ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য :)

১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

সৈকত জোহা বলেছেন: ডুব মুভি ডাউনলোড হচ্ছে না

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩১

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমি প্রথম লিংকটি দিয়ে যখন ডাউনলোড করেছিলাম তখন কিন্তু হয়েছিল। আপনি দ্বিতীয় লিংকটি দিয়ে ট্রাই করতে পারেন। ওটা গুগল ড্রাইভের লিংক তো। মুভি নামাতে পারবেন আবার অনলাইনেও দেখতে পারবেন।

১৩| ২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: পিকু মুভিটা আজ দেখব।

২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: দেখুন। আমার ভালো লাগে বেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.