নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবসরে বই পড়তে পছন্দ করি, মুভি দেখতেও ভালো লাগে। ঘোরাঘুরিও পছন্দ তবে সেটা খুব একটা হয়ে উঠে না। বাকেট লিস্ট আছে অনেক লম্বা। হয়তো কোন একদিন সম্ভব হবে, হয়তো কোনদিন হবে না। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে জানি, প্রত্যাশা করতে জানি। তাই সেটাই করে যাচ্ছি।

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী

প্রত্যাশাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা পূরণ হয় না... তাও তারা স্বপ্নচারিণী নামে পরিচিতি পেয়ে গেল... ইন্সটাগ্রাম ― @swarochita

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কিছু ইরানিয়ান চলচ্চিত্র (পর্ব - ১)

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৫




অনেকেই হয়তো জানেন আমার মালায়ালাম আর ইরানিয়ান চলচ্চিত্র খুব পছন্দের। কয়েকটা মালায়ালাম চলচ্চিত্র নিয়ে আগে লেখা হলেও ইরানিয়ান ফিল্ম নিয়ে কখনও লেখা হয় নি। তাই শুরু করলাম বিখ্যাত ইরানিয়ান পরিচালক মাজিদ মাজিদির কিছু চলচ্চিত্র দিয়ে। যারা আমার মত ফ্রি টাইমে মাঝে মাঝে অল্প স্বল্প কিছু ফিল্ম দেখে থাকি তারা ইরানিয়ান ফিল্ম তেমন একটা না দেখে থাকলেও এই পরিচালকের নাম অবশ্যই শুনে থাকবেন। আর নাম না শুনে থাকলেও অনেকে তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র Children of Heaven দেখে থাকবেন। আর এই দুটোর কোনটা না হলেও গত বছরের একটি চলচ্চিত্রের (Beyond the Clouds) নাম অনেকে শুনে থাকবেন। হ্যাঁ, বিখ্যাত এই পরিচালক যখন ঘোষণা দিলেন তিনি প্রথমবারের মত একটি ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালনা করবেন, তখন এই পরিচালকের অনুরাগীরা অনেক খুশি হয়েছিলেন।

সামহোয়্যার ইন ব্লগ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সামু থেকে অনেক দিন দূরে ছিলাম। আমাদের সবার প্রিয় এই ব্লগ খুলে দেওয়ায়, সবার মত আমি নিজেও বলতে গেলে কিছুটা আত্মহারা। অনেক দিন পর ব্লগে লেখা শুরু করছি প্রিয় পরিচালক মাজিদ মাজিদি পরিচালিত আমার সব থেকে পছন্দের তিনটি চলচ্চিত্র দিয়ে।


১) The Song of Sparrows:

করিম একটি উটপাখির খামারে কাজ করে। তার বড় মেয়ে হানিয়েহ কানে একটু কম শুনতে পায়, তাই হিয়ারিং এইডের প্রয়োজন হয়। তার হিয়ারিং এইড টা দুর্ঘটনাবশত একটা নর্দমায় পড়ে যাওয়ায় সেটা নষ্ট হয়ে যায়। ওটা ঠিক করানোর জন্য করিমের অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। সে ঠিক করে তার মালিকের কাছ থেকে ধার নিবে কিন্তু সেইদিন খামার থেকে একটা উটপাখি পালিয়ে যায়। এর পুরো দায় এসে পড়ে করিমের উপর। যার ফলে তার চাকুরী চলে যায়। করিম এরপরে তেহরানে খোঁজ নিতে যায় হানিয়েহ’র হিয়ারিং এইড টা কোনভাবে ঠিক করা যাবে কিনা। সেখানে গিয়ে একজন লোক ভুলবশত করিমকে মোটরসাইকেলে ট্যাক্সি ড্রাইভার মনে করে তার বাইকে উঠে বসে। এভাবে করিম নতুন কাজের সন্ধান পেয়ে যায়। একটা কন্সট্রাকশান সাইটে একজন কাস্টমারকে পৌঁছে দিতে গিয়ে সে অনেক পুরানো বাতিল জিনিসপত্র দেখতে পায়। সেখান থেকে তাদের অনুমতি নিয়ে সে কিছু জিনিস নিয়ে আসে। এভাবে প্রতিদিন বাড়ি ফেরার সময় সে এমন বাতিল জিনিসপত্র আনতে থাকে। যার ফলে করিমের বাড়ি এই সব পুরানো বাতিল জিনিসের একটা ওয়্যারহাউজে পরিণত হয়। অন্যদিকে করিমের ছেলে হুসেইন আর তার বন্ধুরা একটা নর্দমা (যেটাতে হানিয়েহ’র হিয়ারিং এইড পড়ে গিয়েছিল) পরিস্কার করার কাজে ব্যস্ত থাকে। তাদের খুব ইচ্ছা সেখানে তারা অনেক মাছ পালবে। এই জন্য করিমের অনেক বকাঝকা তাদের সহ্য করতে হয়।

মাজিদ মাজিদি পরিচালিত এই মুভিটা আমার সব থেকে প্রিয়। মুভির কোন আহামরি গল্প না থাকলেও মুগ্ধতার যেন শেষ নেই। এত সুন্দর প্রতিটা জিনিস। প্রতিনিয়ত যা ঘটছে তাই সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ‘স্লাইস অফ লাইফ’ যাকে বলে আর কি। মুভি দেখতে দেখতে ছোটখাট কিছু জিনিস অনেকে নিজেদের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন হয়তো।

মুক্তির তারিখ ― ১ অক্টোবর ২০০৮
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৮/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ১০/১০
লিংক ― The Song of Sparrows ― Âvâz-e gonjeshk-hâ





২) Baran:

“A man alone is a neighbor of Allah.”


১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান আক্রমণ করলে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে অনেক আফগান নাগরিক ইরানে পাড়ি জমায়। ইরানে আফগান শরণার্থীরা বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। বেশিরভাগই ছিল রাজমিস্ত্রী। তারা ইরানের নাগরিক ছিল না বিধায় তাদের কোন আইডি কার্ড ছিল না এবং অবৈধভাবে কাজ করতে হত। তাদেরকে কেউ নিয়োগ দিতে চাইতো না কারণ আফগানদের নিয়োগ দেওয়া আইনসম্মত ছিল না। এমনই একজন ছিলেন নাজাফ। তিনি কাজ করতেন মেমারের অধীনে। একটি কন্সট্রাকশন সাইটের তদারকির কাজ করতেন মেমার। একদিন কাজ করতে যেয়ে নাজাফ বিল্ডিং থেকে পড়ে যান, যার ফলে তার পা অকেজো হয়ে পড়ে। যেহেতু নাজাফের স্ত্রী নেই আর পাঁচ জন ছেলে-মেয়ে আছে, তাদের সবার দেখাশোনার ভার এসে পড়ে নাজাফের বড় সন্তান রহমতের কাঁধে। রহমত তার বাবার অবর্তমানে নিজে কাজ করতে এলে মেমার প্রথমে তাকে কাজে নিতে সংশয় প্রকাশ করেন। কারণ রহমতের বয়স খুব বেশি নয়। মেমার পরে তাকে কাজে নিলেও মেমারের ধারণা ঠিক হয়ে যায়। রহমতের জন্য রাজমিস্ত্রীর কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু নাজাফের এই অবস্থা দেখে তাকে কাজ থেকে বাদ দিতে চায় না মেমার। তাই তাকে রান্নাঘরের কাজ এবং বাজার-সদাইয়ের কাজে নিয়োগ করে। এই কাজ গুলো আগে করতো লতিফ। লতিফকে এই কাজ থেকে সরিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে লতিফ খুব বিরক্ত হয়। সে রহমতের কাজ পণ্ড করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। কিন্তু রহমত এতে কোন প্রকার রাগ বা বিরক্তি কোনকিছুই কখনও প্রকাশ করে না। একদিন লতিফ রান্নাঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জানতে পারে রহমত আসলে একজন মেয়ে। বাবার অবর্তমানে কাজ করার জন্য সে ছেলে সেজে ছদ্মনামে এখানে কাজ করতে এসেছে।

বরন অর্থ বৃষ্টি। রহমতের আসল নাম বরন। বরনের আসল পরিচয় জানার পর লতিফ তাকে বিরক্ত করা বন্ধ করে দেয়। এরপর ধীরে ধীরে তাকে পছন্দ করতে শুরু করে। এর ভিতর একদিন পুলিশ জানতে পারে মেমারের এখানে অবৈধভাবে কিছু আফগান নাগরিক কাজ করছে। এতে মেমারকে অনেক টাকা জরিমানা করা হয় এবং সব আফগান শরণার্থীদের কাজ থেকে বহিষ্কার করতে বলা হয়। মেমারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। সব আফগান নাগরিক কাজ ছেড়ে চলে যায়। এদিকে সবাই কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর লতিফের খুব মনে পড়তে থাকে বরনকে। সে ঠিক করে বরনকে খুঁজে বের করবে যেভাবেই হোক।

বরনের গল্প খুব সাদামাটা। একজন আফগান মেয়ে আর একজন ইরানি ছেলের প্রণয় উপাখ্যান। শুরুটা সাদামাটা হলেও শেষটা মোটেও তেমন সাদামাটা নয়। শেষের দিকে লতিফ আর বরনের জন্য যেমন খারাপ লাগবে, তেমনি লতিফের হাসি দেখে মনে হবে না জীবন অনেক সুন্দর। অনেক অপ্রত্যাশিত জিনিস জীবনে ঘটবে। কিন্তু সেগুলো সুন্দরভাবে মেনে নেওয়াই হল জীবন।

মুক্তির তারিখ ― ৩১ জানুয়ারি ২০০১
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৮/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৯/১০
লিংক ― Baran ― Rain





৩) The Color of Paradise:

স্বর্গের রং আসলে কেমন? সবুজ না কি অন্য কিছু? আর স্রষ্টার রং? আমাদের মনে এমন প্রশ্ন কখনও আসবে না। কারণ আমরা এটা দেখে অভ্যস্ত নই। তাই মাথায়ও আসবেনা এমন প্রশ্ন। কিন্তু যারা কোনকিছুই দেখতে পায় না, তাদের তো অনেক প্রশ্ন মনে আসা স্বাভাবিক। সবুজ, হলুদ, লাল, নীল – এই রং গুলো আসলে কেমন? অরণ্য, সমুদ্র, পর্বত এগুলো দেখতে কেমন? যে দেখতে পায় না তাকে অনেক কিছু বোঝানো সম্ভব, কিন্তু এই ধরণের প্রশ্নের আদৌ কি কোন উত্তর হয়?

মোহাম্মদ একজন জন্মান্ধ ছেলে। তেহরানের অন্ধ বাচ্চাদের একটি বোর্ডিং স্কুলে সে পড়ে। গ্রামে তার দাদী, বাবা আর দুই বোন থাকে। স্কুলের তিন মাসের ছুটিতে সে গ্রামে আসে। প্রকৃতির মাঝে প্রতিনিয়ত সে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে। ফুল, পাখি, লতা পাতা, সমুদ্র সব কিছু তার কাছে ভালো লাগার উৎস। মোহাম্মদের টিচার তাকে বলেছে স্রষ্টাকে দেখা যায় না কিন্তু তিনি সব জায়গাতেই আছেন। মোহাম্মদ তাই সবকিছুকে ব্রেইল সিস্টেমে পড়ার মত করে প্রকৃতির সবকিছুকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করে। এভাবে সে স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করতে চায়।

দাদী আর দুই বোন বাহারেহ ও হানিয়েহ মোহাম্মদের অনেক কাছের মানুষ। কিন্তু তার বাবা হাশেম মনে করেন মোহাম্মদের সাথে তার দুর-দূরান্তেও কোন সম্পর্ক না থাকলে তিনি বেঁচে যেতেন। অন্ধ ছেলের জন্য প্রতিনিয়ত তিনি লজ্জাবোধ করতে থাকেন। অনেকের কাছেই তিনি তার দুই মেয়ের কথা বললেও মোহাম্মদের কথা ভুলেও প্রকাশ করেন না। প্রথম দিকে মোহাম্মদ এত কিছু মনে করতো না তার বাবার এই ব্যবহারে। কিন্তু সবকিছু পাল্টে যায় যখন হাশেম মোহাম্মদকে একজন অন্ধ কাঠমিস্ত্রীর কাছে কাজ শেখার জন্য রেখে আসেন। মোহাম্মদ খুব ভেঙ্গে পড়ে এতে।

এর বেশি আর লিখছি না। শুধু এতটুকু বলে রাখি সিনেমার শেষটাতে গিয়ে ফিল্মের নামকরণের সার্থকতাটুকু উপলব্ধি করা যাবে।

মুক্তির তারিখ ― ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.২/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৯/১০
লিংক ― The Color of Paradise ― Rang-e Khodā






“It's funny how the colors of the real world only seem really real when you watch them on a screen.” ― Anthony Burgess



*** প্রতিটি মুভির সাথে অনলাইনে দেখার জন্য ভিডিও লিংক সংযুক্ত করে দিয়েছি। এগুলো ইংরেজি সাবটাইটেল সহ আছে। কেউ যদি টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করতে চান, ইরানিয়ান টরেন্টে প্রতিটা মুভি পেয়ে যাবেন। ওখানে শুধুমাত্র একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর ডাউনলোড করতে হলে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করলেই হবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: তিনটি মুভি আমিই দেখেছি। এক কথায় অসাধারন। বিশেষ করে দি কালার অব প্যারাডাইস। এই মুভি বারবার দেখলেও বিরক্ত লাগে না।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আসলেই। আমার কয়েকবার করে দেখা মুভি তিনটি। আরও অনেকবার দেখতে পারবো। বিরক্তি লাগবেনা এতটুকু।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



লিস্ট করলাম

দেখে ফেলব দু একদিনের মধ্যে ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১০

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ধন্যবাদ লিস্ট করার জন্য। দেখে জানাবেন কেমন লাগলো।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইরানীরা সিনেমাতে এত অগ্রসর হলও কিভাবে? আমাদের চলচিত্র নির্মাতাদের কি শেখার আছে ওদের থেকে?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: হ্যাঁ, আমার মতে অবশ্যই অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ইরানিয়ান আর মালায়ালাম মুভির ভক্ত কারণ তারা স্বল্প বাজেটে মাস্টারপিস ধরণের মুভি বানিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আর সাথে আছে কোন কিছু কপি না করে নিজেদের স্বকীয়তা তুলে ধরতে পারার ক্ষমতা। তারা অরিজিনাল স্টোরি নিয়েই কাজ করতে পছন্দ করে বেশি। তবে মাঝে মাঝে যদি কোন মুভি থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে মুভি বানিয়ে থাকেও সেটা অরিজিনাল মুভিকে যথাযথ ক্রেডিট দিয়ে তাদের নিজেদের মত করে বানানোর চেষ্টা করে। এমনটা দেখা যেত বাংলাদেশের পুরানো মুভি গুলোর বেলায়। দেশ স্বাধীনের আগে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সত্তর ও আশির দশকের সিনেমায়। এখন একেবারে ভালো মুভি হচ্ছে না তা বলবো না। তবে সংখ্যায় অনেক কম এবং এই দুটো ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় খুব নগন্য। আর নিজেদের স্বকীয়তা, ঐতিহ্য খুব কম তুলে ধরতে দেখা যায় এখনকার বাংলাদেশী সিনেমায়। এত এত বাজেটের বস্তাপচা সিনেমা না বানিয়ে কম বাজেটেও যে এত ভালো সিনেমা বানানো যায় সেটা এই দুটো ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা দেখলে বোঝা যায়।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: মাজিদ মাজিদির 'চিলড্রেন অব হ্যাভেন' দেখে ইরানিয়ান ছবির প্রেমে পড়েছিলাম। একটি ছোট্ট বিষয়টিকেও যে এতটা নিটোল ও হৃদয়গ্রাহী এবং মর্মস্পর্শী করে তোলা যায় এই সব সিনেমা না দেখলে উপলব্ধিই করা যাবে না।

উনার 'বরন' সিনেমাটি দেখি নি। দেখব নিশ্চয়।

আসগর ফারহাদির 'অ্যা সেপারেশন' দেখে কতজনকে রেকামেন্ড করেছি।

ইরানি ছবিগুলোর একটি বিশেষ দিক আমার মনে হয়েছে উনারা বাচ্চাদের থেকেও শতভাগ কাজ বের করতে পারেন। এত পিচ্চি পিচ্চি বাচ্চাগুলো এতটা নিঁখুতভাবে কীভাবে অভিনয় করে আমি বিস্মিত না হয়ে পারি না।

আপনি ইরানি ছবি নিয়ে লিখছেন দেখে ভালো লাগল। মোল্লাদের ভূমিতে মাজিদ মাজিদি, আসগর ফারহাদি, আব্বাস কিয়োরস্তামী, জাফর পাানহি'র মতো বিশ্ববিখ্যাত পরিচালকেরা কীভাবে সৃষ্টি হলেন সেটাও এক বিস্ময়।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় কিছু সিনেমার কথা তুলে ধরাতে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ‘Children of Heaven’ এবং ‘A Separation’ আমারও খুব প্রিয়। ভবিষ্যতে হয়তো এই দুটো মুভি নিয়েও লিখবো। আর হ্যাঁ, ইরানিয়ান অনেক গুলো ফিল্মে বাচ্চাদের লীড রোলে দেখেছি। বাচ্চাগুলো কিভাবে যে এত ভালো অভিনয় করে আমি ভেবে পাই না।

যাই হোক, ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো লাগলো ইরানিয়ান ফিল্মের একজন ভক্তকে এখানে পেয়ে।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,

দেরিতে হলেও এমন একটি রিভিউ পড়তে পেরে ভীষণ আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। ডিউটি খুবই ভাল হয়েছে তবে দ্বিতীয়টি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো। 2001/2002 সালে ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতার নন্দনে ইরানি ছবি দেখার সুযোগ হলেও খুব একটা ভাল লেগেছিল তা বলবো না।অসম্ভব রক্ষণশীলতায় মোড়া ছবিগুলি তখন ভালো না লাগলেও এখন বুঝি যে পরিমণ্ডলে তারা থাকেন তারই চিত্র তুলে ধরেছিলেন।মাঝে বৃহত্তর কর্মজীবনে প্রবেশ করে সময় নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে মুভি দেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি, তবে রিভিউ পড়তে বেশ ভালই লাগে।

পোস্ট প্রসঙ্গে:-

উটপাখির খামারের শ্রমিক করিমের হেয়ারিং হাইডের দুর্ঘটনার ফলে উটপাখির পালিয়ে যাওয়া ফলে কাজ হারানো, পরে তেহেরানে গিয়ে সৌভাগ্যক্রমে মোটরসাইকেল ট্যাক্সি ড্রাইভারে পরিণত হওয়ার বিষয়টি বেশ আকর্ষণীয় লাগলো। আকর্ষণীয় লাগলো বাতিল জিনিসপত্র সংগ্রহ করে নিজ বাড়িটিকে ওয়ার হাউজে পরিণত করার ঘটনাটিও। তবে তার ছেলে ও তার বন্ধুদের একটা নর্দমা (যেখানে হানিয়েহ'র ইয়ারিং এইড পড়ে গিয়েছিল) বিষয়টি স্পষ্ট হলো না।একইসঙ্গে তাদের খুব ইচ্ছা "সেখানে তারা অনেক মাছ পালবে।"এখানে মাছ পালবে বিষয়টি কি?


শুভকামনা জানবেন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: মুভিতে যেটা দেখানো হয়েছে তাকে নর্দমা ছাড়া আর কি বলা যায় বুঝতে পারছি না। ওটা একটা পরিত্যক্ত জলা, পুকুরের থেকে অনেক ছোট। সাপখোপ আর পোকামাকড়ের আড্ডাখানা ওটা। পুকুর বলা যাচ্ছে না তাই নর্দমা বলেছি। আপনি দেখলে বুঝতে পারবেন। নর্দমা ছাড়া ওটাকে আর কিছু বলা যায় কিনা সেটা দেখলে বলতে পারবেন।

বেশিরভাগ ইরানিয়ান ফিল্মে দেখেছি তারা বাড়িতে গোল্ডফিশ পালে শখের বশে। এই ফিল্মে হুসেইন আর তার বন্ধুদের ইচ্ছা হয়েছে ঐ নর্দমাটা পরিষ্কার করে সেখানে গোল্ডফিশ পালবে। তারপর ধীরে ধীরে সংখ্যায় অনেক মাছ হয়ে গেলে তারা বিক্রিও করবে। এটার কথাই লিখেছি।

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার ব্লগীয় নিক নেম "স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী" খুব সুন্দর হয়েছে। অনেক দিন পরে একটা দারুণ নিক নেম দেখলাম!!

ইরানী সিনেমাগুলি সাধারণত ভালো হয়। মাহে মাঝে অস্কারও পেতে দেখি এদের কে। তবে সমস্যা হয় কথোপকথন নিয়ে। আমার আবার সাবটেল পড়ে ছবি দেখতে ভালো লাগে না। কোনটা করবো সাবটেল দেখব না ছবি দেখব? আমি যখন ছবি দেখি তখন খুব মনোযোগ দিয়ে দেখি। এই কারণে হিন্দি বা এই ধরনের সব ছবি বাদ।

যাই হোক, আখেনাটেন ভাই এবং আপনার সাজেশন মতো "Children of Heaven’ এবং ‘A Separation" ডাউনলোড করে দেখবো। মোবাইল ইন্টারনেটে ছবি দেখা সম্ভব না। আমার এখানে ব্রডব্যন্ড লাইন লাইন নেই।

ছবি দেখ ভালো না লাগলে এসে কিন্তু বকা দিয়ে যাব।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার ইউজার নেম ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।

সাবটাইটেল দিয়ে মুভি দেখতে প্রথমে একটু বিরক্তি লাগে। কয়েক বছর আগে প্রথম প্রথম যখন দেখা শুরু করেছিলাম তখন এমন মনে হত। তবে একবার অভ্যাস হয়ে গেলে আর সমস্যা হয় না।

আর সবার সব মুভি ভালো লাগবে এমন কোন কথা নেই। ইরানিয়ান মুভিগুলো সব আর্ট ফিল্ম ঘরানার। আর্ট ফিল্ম যদি পছন্দ করেন তাহলে ভালো লাগবে। মুভি দেখে যেমনই লাগুক না কেন, মতামত জানাবেন। কোন সমস্যা নেই। The Children of Heaven এবং A Separation এর লিংক খুঁজে জানাচ্ছি। আমি এগুলো কয়েক বছর আগে ডাউনলোড করেছি তো। লিংক খুঁজতে একটু সময় লাগবে। যদিও জানি না এতদিনে খুঁজে ফেলেছেন কিনা। এই কয়েকদিন ব্লগে ছিলাম না তো। দেরি করে কমেন্ট করার জন্য দুঃখিত।

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: আমাকে এই ২টা সিনেমার ডাউনলোড করার লিংক দিতে পারবেন?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: এই লিংকগুলোতে মুভি দুটো পাবেন। আমি ইরানিয়ান টরেন্টের লিংক দিয়েছি। ইরানিয়ান টরেন্ট থেকে মুভি ডাউনলোড করতে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। অ্যাকাউন্ট খোলার পর লগ ইন করে মুভি ডাউনলোড করা যায়। ইরানিয়ান টরেন্ট ছাড়াও আরও একটি করে লিংক দিয়েছি। আপাতত এই লিংক গুলো পেলাম অনলাইনে।


The Children of Heaven –

লিংক ১
লিংক ২



A Separation –

লিংক ১
লিংক ২
ইউটিউব লিংক

৮| ২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: মুভি নিয়ে আপনার নতুন পোষ্ট পাচ্ছি না কেন?

২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: সময় হয় না পোস্ট লেখার আসলে। তবে আজকে লিখেছি একটা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.