নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যাশাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা পূরণ হয় না... তাও তারা স্বপ্নচারিণী নামে পরিচিতি পেয়ে গেল... ইন্সটাগ্রাম ― @swarochita
'লাগ যা গালে' বা 'তেরা মেরা পেয়ার আমার' কিংবা 'আভি না যাও' গানগুলো সবাই শুনে থাকবেন। তার সিনেমা দেখার অনেক আগে থেকেই এই গানগুলোতে তাকে অনেক মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। আমার আম্মু টিভি এবং সিনেমা দেখে না বললেই চলে। যা দেখার আমার সাথে বসে পিসি তে যদি একটু দেখে। দেখলেও সেই পুরানো সিনেমা যদি বাংলা হয়। অনেক আগে একবার তেরা মেরা পেয়ার আমার গানটির একটি দৃশ্য পজ করা ছিল পিসিতে। তাকে আম্মু প্রিয় অভিনেত্রী কবরী ভেবে ভুল করেছিলেন। আমার কাছে কবরীর সাথে সাধনার কোন মিল লাগে না, তবে দুজনেই যে ভারী মিষ্টি ছিলেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
১৯৪১ সালে করাচী তে জন্মগ্রহণ করেন এই গুণী অভিনেত্রী। দেশভাগের পর পরিবারের সাথে ভারতে চলে আসেন। রাজ কাপুরের "শ্রী ৪২০" সিনেমার 'মুড় মুড় কে না দেখ' গানে কোরাস গার্ল হিসেবে প্রথম দেখা যায় তাকে। গান ছাড়া আমি সাধনাকে প্রথম দেখেছিলাম যশ চোপড়ার বিখ্যাত মাল্টিস্টারার 'ওয়াকত' সিনেমাতে। এরপরে ঋষিকেষ মুখার্জীর 'আসলি-নাকলি' সিনেমায়। এই সিনেমা দেখেই মূলত তাঁর ভক্ত হয়েছিলাম। এরপরে একে একে দেখি তার সেই মিস্ট্রি গার্ল খেতাব এনে দেওয়া ফিল্ম গুলো - ওহ কওন থি?, মেরা ছায়া এবং আনিতা। এই তিনটি ফিল্মের পরিচালনায় ছিলেন রাজ খোসলা। তিনটি ফিল্মেই সাধনা অভিনীত চরিত্রগুলো রহস্যময় ছিল তাই তাকে মিস্ট্রি গার্ল বলা হয়। আজ মূলত এই ফিল্ম গুলো নিয়ে লিখবো।
সাধনা সেই সময়কার 'ফ্যাশন কুইন' হিসেবেও খুব বিখ্যাত ছিলেন। তার ব্যাংস হেয়ার কাট জনপ্রিয় ছিল 'সাধনা কাট' নামে। মা-বাবা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কেউ না হলেও চাচা হরি শিবদাসানি অভিনয়ের সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে হরি শিবদাসানীর মেয়ে এবং সাধনার চাচাতো বোন ববিতা শিবদাসানিও অভিনয় জগতে নাম লেখান। যিনি রণধীর কাপুরের স্ত্রী এবং কারিশমা কাপুরের মা। শেষ বয়সে এসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৫ সালে পরপারে পাড়ি জমান এই রহস্য কন্যা।
ওয়াকত মূলত একটি মাল্টি স্টারার ফিল্ম। কিন্তু তারপরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী থাকা সত্ত্বেও সাধনা আর রাজ কুমার এই ফিল্মের জন্য বেশ প্রশংসা পান। যশ চোপড়ার ফিল্ম আমার অনেক পছন্দের। সেইজন্য দেখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে এই দুইজনের অভিনয় খুব ভালো লেগেছিল। বাবা-মা এবং তিনভাই ছোট বেলায় হারিয়ে যাওয়ার পর বড় হয়ে কিভাবে তারা একে অন্যকে খুঁজে পায় এটা নিয়েই এই মুভির কাহিনী। এমন কাহিনী নিয়ে পরে অনেক ফিল্ম বানানো হয়েছে। কিন্তু বলতে গেলে যশ চোপড়া ষাটের দশকে প্রথম এমন কাহিনী নিয়ে ফিল্ম বানিয়েছিলেন। অনেক কারণেই এটা প্রিয় ফিল্মের তালিকায় আছে।
আসলি-নাকলি ফিল্মে প্রথমবারের মত দেব আনন্দের সাথে সাধনাকে দেখেছিলাম। দেব আনন্দ আমার অনেক প্রিয় একজন অভিনেতা এবং সাধনাকে মুভিতে তার সাথে দেখতে অনেক পছন্দ করি। যদিও এটা ছাড়া তারা একসাথে হাম দোনো নামে মাত্র আর একটি ফিল্ম করেছেন। আরও একটি মুভি তাদের একসাথে হতে পারতো সাজান কি গালিয়া নামে, যদি ফিল্মটি মাঝপথে বন্ধ না হত।
আনন্দ দায়িত্বজ্ঞানহীন একজন যুবক। সারাদিন বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ানো আর তার দাদার টাকাপয়সা নষ্ট করা তার কাজ। তার দাদা আনন্দের বিয়ে ঠিক করেছে তার একজন বিজনেস পার্টনারের মেয়ের সাথে। স্বভাবতই আনন্দের এটা ভালো লাগে না আর এটা নিয়ে তার দাদার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। রাগ করে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। রাস্তায় তার মোহন নামে একজন লোকের সাথে পরিচয় হয়। তার বোন শান্তি ছাড়া তার বাড়িতে আর কেউ থাকে না। আনন্দকে তার বাড়িতে নিয়ে উঠলে অভাবের সংসারে নতুন মেহমান দেখে শান্তি প্রথমে একটু নারাজ হয়, কিন্তু পরে সে সব ভুলে যায়। আনন্দকে সে আর এক ভাইয়ের মত ভালবাসতে শুরু করে। মোট কথা মোহন আর শান্তিকে পেয়ে আনন্দ একটি নতুন পরিবার ফিরে পায়। শান্তিদের এলাকায় প্রাপ্তবয়স্ক অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষদের পড়ানোর জন্য রেনু নামের একটি মেয়েকে সন্ধ্যাবেলায় মাঝে মাঝে আসতে দেখা যায়। রেনু যে অফিসে কাজ করে সেখানে আনন্দের জন্য সে একটি চাকুরী পাইয়ে দেয়। রেনু, শান্তি, মোহন সবার সারল্য আনন্দকে মুগ্ধ করে। তার আগের জীবনে তার সম্পদের কোন অভাব ছিল না কিন্তু এক প্রকার কৃত্রিমতা ছিল। তার এই নতুন জীবনে সম্পদের প্রাচুর্য নেই ঠিকই, কিন্তু তার সুখে-দুঃখে তার সাথে অনেকেই আছে। প্রকৃত জীবনের উপলব্ধি তার এদের মাঝে এসেই হয়েছে। তাই ফিল্মের নাম আসলি-নাকলি।
দেব আনন্দের চরিত্রটি কেন্দ্রীয় চরিত্র হওয়ার পরেও এবং তিনি আমার প্রিয় অভিনেতা হওয়ার সত্ত্বেও আমি বলবো সাধনা যেন এই ফিল্মে তাকে কিছুটা ম্লান করে ফেলেছেন। সাধনা অভিনীত রেনু চরিত্রটি আমাকে বেশি আকর্ষণ করে বার বার। আমার দেখা প্রথম ঋষিকেশ মুখার্জী পরিচালিত মুভি এটাই ছিল। নিঃসন্দেহে তিনি আমার অনেক প্রিয় পরিচালকদের ভিতর একজন।
আনন্দ শহরের একজন খ্যাতনামা ডাক্তার। ঝড়-বৃষ্টিমুখর এক রাত্রে বাড়িতে ফেরার সময় অচেনা একজন নারীমূর্তি তার পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকে। আনন্দ মেয়েটিকে লিফট দেয়। গাড়িতে উঠার পর মেয়েটির কথাবার্তাও বেশ রহস্যজনক মনে হয়। মেয়েটি একটি কবরস্থানে নেমে যায়। কবরস্থানে ঢোকার সময় দরজা আপনা আপনি খুলে যায় আর একইভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে এমনই এক ঝড়ের রাতে একজন রোগীকে দেখতে যাওয়ার টেলিফোন পায় আনন্দ। সেখানে গেলে রোগীটিকে মৃত দেখতে পায় সে। রোগীটি আর কেউ নয়, আগের দিন ঝড়ের রাত্রে লিফট দেওয়া মেয়েটি। পুরানো সেই ভূতুড়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশের সাথে দেখা হওয়ায় পুলিশ জানায় এমন ঘটনা তারা আগেও শুনেছে। এই বাড়িতে অনেক ডাক্তার ফোন পেয়ে এসে রোগীকে মৃত আবিষ্কার করে কিন্তু পরের বার যখন দেখতে যায় তখন সেখানে আর কাউকেই দেখতে পাওয়া যায় না। আনন্দ কথাটি বিশ্বাস করতে চায় না। পুলিশের সাথে সে বাড়িতে আবার ঢুকে কাউকেই দেখতেই পায় না। এভাবে দিন কাটতে থাকে। এর ভিতর আনন্দের বাগদত্তা সীমা মারা যাওয়ায় আনন্দ মানসিকভাবে খুব ভেঙ্গে পড়ে। পরে মায়ের পছন্দে বিয়ে করে সন্ধ্যা নামের একটি মেয়েকে। বিয়ের রাতে সে তার স্ত্রীকে সেই রহস্যময়ী মেয়েটি হিসেবে আবিষ্কার করে। এর পরের কাহিনী জানার জন্য দেখতে হবে 'ওহ কওন থি?' মুভিটি। 'ন্যায়না বারসে রিমঝিম' এবং 'লাগ যা গালে' - এই বিখ্যাত গান দুটো এই সিনেমারই।
রাজ খোসলা পরিচালিত 'মেরা ছায়া' চলচ্চিত্রটি ছিল মারাঠি চলচ্চিত্র 'পাথলাগ' এর রিমেক। ওহ কওন থি? এর গল্পের মত এটার গল্প মৌলিক না হলেও এখানেও আবার রহস্যময়ী নারীর চরিত্রে দেখা গিয়েছে সাধনাকে। রাকেশ সিং একজন উদীয়মান নামকরা উকিল উচ্চশিক্ষার জন্য বিলেতে অবস্থান করছেন। এমন সময় দেখা যায় তার স্ত্রী গীতা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায় শায়িত। রাকেশ সব ফেলে দেশে ফিরে আসে। রাকেশ ফিরে আসার পর গীতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। গীতার মৃত্যুর পর একদিন পুলিশ খবর আনে একটি ডাকাতের দল ধরা পড়েছে। ডাকাতের প্রধান দুজন সদস্য মারা গেলেও একজন মহিলা সদস্য রায়নাকে তারা বন্দী করতে পেরেছে। রায়নার চেহারা শুধু হুবহু গীতার মত নয়, সে নিজেকে গীতা হিসেবে দাবিও করছে। আদালতে রায়না এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকে যা শুধুমাত্র গীতার পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। রাকেশ তারপরও মানতে নারাজ কারণ গীতা তার সামনেই মারা যায় এবং তার শেষকৃত্য রাকেশই করেছে।
আনিতা নীরাজকে পছন্দ করে কিন্তু তার বাবা আনিতার বিয়ে ঠিক করেছে অনীল নামের একজন ব্যবসায়ীর সাথে। বিয়ের আগে নীরাজের কাছে আনিতা একটি চিঠি লেখে তার সাথে দেখা করার জন্য। নীরাজ দিল্লী থেকে বম্বে চলে আসে আনিতার সাথে দেখা করতে কিন্তু পরে নীরাজ খবরের কাগজের মাধ্যমে জানতে পারে আনিতা আত্মহত্যা করেছে। নীরাজ আনিতার বাসায় আসে, সেখানে তার অনীলের সাথে দেখা হয়। অনীল আনিতা সম্পর্কে এমন সব তথ্য দেয় যা নীরাজের চেনা আনিতার সাথে কোন মিল নেই। এর মাঝে একদিন আনিতার মত দেখতে একটি মেয়েকে সে দূর থেকে দেখতে পায় কিন্তু তার সাথে সে দেখা করতে পারে না। সব মিলিয়ে সে একটা দ্বিধার ভিতর থাকে এবং ঘটনার কোন কূল কিনারা পায় না। সাইক্রিয়াটিস্ট নীরাজকে জানায় আনিতার অকাল মৃত্যু সে মেনে নিতে পারছে না দেখে এমনটা হচ্ছে। বাকি কাহিনী আনিতা মুভিটি দেখলে বোঝা যাবে।
লাস্টের মুভি দুইটি সাধনা এবং রাজ খোসলার মিস্ট্রি থ্রিলার ট্রিলজির প্রথম মুভিটি ওহ কৌন থি? এর মত এত ভালো লাগেনি। কিন্তু একবার দেখার জন্য ভালো ছিল। তারপরও শেষের মুভি দুটো নিয়ে লিখেছি তার ঐ মিস্ট্রি গার্ল খেতাবের জন্য। 'মেরা ছায়া' ফিল্মের টাইটেল ট্রাকটি ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দের। আর আনিতা ফিল্মের মোটামুটি সব গানই খুব প্রিয় - 'কারিব আয়ে নাজার' , 'সামনে মেরে সাওয়ারিয়া' , 'হে নাজার কা ইশারা' এবং 'গোরে গোরে চান্দ সে মুখ পার'।
উপরের মুভিগুলোর লিংক ও অন্যান্য তথ্য নিচে দিয়ে দিয়েছি -
১) Waqt
আইএমডিবি রেটিং - ৭.৮/১০
ব্যক্তিগত রেটিং - ১০/১০
মুক্তির তারিখ - ৩০ জুলাই ১৯৬৫
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার - ফিল্মফেয়ার (৫টি)
ইউটিউব লিংক - Waqt
২) Asli-Naqli
আইএমডিবি রেটিং - ৭.৫/১০
ব্যক্তিগত রেটিং - ৯/১০
মুক্তির তারিখ - ১৯৬২
ইউটিউব লিংক - Asli-Naqli
৩) Woh Kaun Thi?
আইএমডিবি রেটিং - ৭.৬/১০
ব্যক্তিগত রেটিং - ৮/১০
মুক্তির তারিখ - ৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৪
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার - ফিল্মফেয়ার (১টি)
ইউটিউব লিংক - Woh Kaun Thi?
৪) Mera Saaya
আইএমডিবি রেটিং - ৭.৬/১০
ব্যক্তিগত রেটিং - ৬/১০
মুক্তির তারিখ - ১৯৬৬
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার - ফিল্মফেয়ার (১টি)
ইউটিউব লিংক - Mera Saaya - Youtube
এইন্থুসান লিংক - Mera Saaya - Einthusan
৫) Anita
আইএমডিবি রেটিং - ৬.৫/১০
ব্যক্তিগত রেটিং - ৭/১০
মুক্তির তারিখ - ১৯৬৭
ইউটিউব লিংক - Anita
২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৯
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: লাইক আর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টা খুব উপভোগ করলাম।
সাধনা সাথে আমার মায়ের অনেক মিল। এখন না। আগে। সেই সাদা কালোর যুগের কথা বলছি। মায়ের একটা সেই আমলের একটা ছবি আছে।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০২
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: তাহলে তো বেশ ভালো। আর সেই সময়ের মেয়েদের সাদাকালো ছবি দেখলে সবাইকেই কেমন যেন নায়িকা নায়িকা লাগে। আগের দিনের বেশিরভাগ মানুষের চেহারায় মনে হয় একটা অন্য রকম মায়া ছিল। আমার কাছে এমনটা মনে হয়।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্ট পুরাটাই পড়ে গেলাম। ভালো লিখেছেন। আগামীকালই একটা ছবি শেষ করতে হবে।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৪
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: পুরানো দিনের ফিল্ম ভালো লাগলে বেশ এনজয় করবেন। ধন্যবাদ আবারও।
বাই দ্যা ওয়ে, আপনার ইউজারনেমটা বেশ মজার।
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, আপনার ইউজারনেমটা বেশ মজার। ধন্যবাদ।
আপনার আইডিটাও সুন্দর। এর অর্থটা একটু ব্যাখ্যা করবেন প্লিজ?
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৮
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: তেমন কোন অর্থ নেই আসলে। এটা অনেক আগে (২০১২/২০১৩ এর দিকে) আমার ফেসবুক আইডির নাম ছিল। স্বপ্নচারিনী নামটি আমার দেওয়া ছিল, কারণ স্কুলে থাকতে সারাদিন আমি সম্ভব-অসম্ভব অনেক রকম কল্পনা করতাম, এখনও করি অনেক অবাস্তব কল্পনা। দিবা স্বপ্ন যাকে বলে আর কি। আর স্বরচিতা দেওয়ার পিছনের কারণ আমার একজন বান্ধবী আমাকে নিয়ে এই নামে একটা কবিতা লিখেছিল। সে আমার নাম স্বরচিতা দিয়েছিল, কেন তার কারণ সে ভাল বলতে পারবে। স্বপ্নচারিনীর সাথে ওটা জুড়ে দিয়েছিলাম। পরে যখন সামুতে অ্যাকাউন্ট খুললাম তখন পুরানো এই নামটাকেই বেছে নিয়েছিলাম।
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৭
রামিসা রোজা বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো দিদি এবং অনেক কিছুই জানা হলো
আপনার লেখনীর মাধ্যমে ।
শুভরাত্রি ও ধন্যবাদ ।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৪
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভ রাত্রি।
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পাকিজা ,মুঘল -ই - আজম , মজদুর ,শ্রী ৪২০ , উমরাও এইসব পুরাতন ছবি এখনো দেখি মাঝে মাঝে । আর মন খারাপ হলে এইসব ছবির গান শুনি।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: মজদুর দেখা হয় নি। আমারও ভালো লাগে পুরানো ফিল্ম দেখতে। আর গানও সব পুরানো বাংলা আর হিন্দি গান বেশি শোনা হয়।
৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই নায়িকার কিছু গানের ভিডিও দেখেছি তবে সিনেমা দেখা হয়নি। আপনার মত আমিও হৃষীকেশ মুখারজির সিনেমার ভক্ত।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫১
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: তাহলে ঋষিকেষ মুখার্জীর আসলি-নাকলি দেখে ফেলুন। সাধনার সিনেমাও দেখা হয়ে যাবে।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুবই সুন্দর পোস্ট
পড়ে ভাল লাগল ।
আপনার এই জাতীয় পোস্টগুলি সামনে আরো পড়বো।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৫
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমি আপনার পোস্টে কমেন্টে একবার লিখেছি কিন্তু এত বার কেন পোস্ট হল বুঝতে পারছি না। খুব আজব লাগছে দেখতে। আশা করছি বুঝে নিবেন কি লিখতে চেয়েছি।
যাই হোক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে কিছু ভালো মুভির নাম দেন। বাংলা হোক, হিন্দি হোক, ইংরেজী হোক বা সাউথ ইন্ডিয়ান হোক।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৫
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমার তো পুরানো ফিল্ম দেখা হয়। পুরানো যে পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী পছন্দ তাদের ফিল্ম দেখি। পুরানো ফিল্মের তো আর সাজেশন দিয়ে শেষ করা যায় না। আর নতুন ফিল্মের সাজেশনের জন্য আমি ভালো কেউ নই। নতুন ফিল্ম খুব কম দেখা হয়। লাস্ট কয়েক বছরের ভারতের এই মুভি গুলো ভালো লেগেছে। দেখে না থাকলে দেখতে পারেন। Mahanati, Manam, 96, Take Off, Koode, Thondimuthalum Driksakshiyum, October, Saandh Ki Aankh, Chhichhore, Badla, Hichki, Karwaan, Newton, Dream Girl, Mardaani 2, Mom, Hindi Medium, Aandhadhun, ইত্যাদি।
আর ইংরেজি মুভিও আমি খুঁজে খুঁজে পুরানো ফিল্ম দেখি চল্লিশ আর পঞ্চাশের দশকের। নতুন দেখা হয় না তেমন একটা। লাস্ট কয়েক বছরে নতুন ফিল্মের ভিতর মার্ভেল সিরিজের মুভি দেখা হয়েছে বেশ কিছু যেগুলো ভালো ছিল। আর মার্ভেলের মুভি বাদে লাস্ট মনে হয় লা লা ল্যান্ড ভালো লেগেছিল। আর অল্প যা দেখেছি ভালো লাগেনি তেমন। গত বছরের জোকার দেখা হয়নি। আমি ডিসির মুভি অনেক কম দেখেছি তাই ওটা এখনও দেখি নি। আমাকে আসলে হলিউডের নতুন মুভি তেমন একটা টানে না তাই তেমন দেখিনা। ক্ল্যাসিক হলিউডের ফিল্মগুলো শুধু দেখা হয়। এই লিস্টে অনেক ক্ল্যাসিক ফিল্ম আছে। যা দেখা হয়নি দেখতে পারেন। আমি এই ধরণের লিস্ট দেখে হলিউডের পুরানো মুভি গুলো দেখি।
১০| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: লোপা আপু , আপনাকে নিয়মিত দেখে ভাল লাগছে । আপনার পোস্টগুলো সাধারণ নয়
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৯
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা দামি পোস্ট। কিছুটা পড়েছি। লাইক দিয়ে গেলাম। আবার এসে পড়ার ইচ্ছা আছে।