নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যাশাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা পূরণ হয় না... তাও তারা স্বপ্নচারিণী নামে পরিচিতি পেয়ে গেল... ইন্সটাগ্রাম ― @swarochita
মালায়ালাম ফিল্মের আগের পোস্টে যখন মাম্মুতির ফিল্ম নিয়ে লিখেছিলাম তখন বলেছিলাম এই ইন্ডাস্ট্রির দুজন কিংবদন্তী অভিনেতার ভিতর তিনি একজন। আর অন্য কোন কিংবদন্তী অভিনেতা এই ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ যদি থেকে থাকেন তিনি অবশ্যই মোহনলাল। মাম্মুতি যেমন মেগাস্টার, ঠিক তেমনি মোহনলাল মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রির কমপ্লিট এক্টর হিসেবে পরিচিত। জন্মগ্রহণ করেছেন ২১ মে ১৯৬০ সালে। ভক্তরা তাকে লালেট্টা বলে থাকে। অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পেয়েছেন দুইটি জাতীয় পুরস্কার, ছয়টি কেরালা স্টেট পুরস্কার এবং নয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। এছাড়া প্রযোজক, পার্শ্ব অভিনেতা এবং জুরি পুরস্কারের ক্যাটেগরীতে আরও তিনটি জাতীয় পুরস্কার, তিনটি কেরালা স্টেট পুরস্কার, একটি নান্দী পুরস্কার এবং একটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। বিয়ে করেছেন তামিল ফিল্মের প্রযোজকের মেয়ে সুচিত্রাকে। স্ত্রী, এক ছেলে প্রণব আর এক মেয়ে বিস্ময়কে ঘিরে তার পরিবার। ছেলে প্রণব মোহনলালও একজন মালায়ালাম অভিনেতা।
আজকের এই পোস্টে মোহনলালের তিনটি ক্ল্যাসিক ফিল্ম নিয়ে লিখছি।
১) Chithram:
কল্যাণীর বাবা আমেরিকাতে থাকে। সে বড় হয়েছে মাদ্রাজে তার এক আংকেলের কাছে, যিনি তার বাবাকে বড় ভাইয়ের মত মান্য করে। কল্যাণীর বাবা আমেরিকাতে একজন ছেলের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেছে। কিন্তু কল্যাণী অন্য একটি ছেলেকে পছন্দ করে আর তাকেই বিয়ে করতে চায়। কল্যাণীর বাবা এটা শুনে তাকে জানায় সে তার ইচ্ছা মত বিয়ে করতে পারে তবে সেক্ষেত্রে সে যাবতীয় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে। কল্যাণী তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। কিন্তু এদিকে যাকে সে বিয়ে করতে চায় সে তখন বেঁকে বসে। কল্যানী সম্পত্তি না পেলে তার এই বিয়েতে কোন ইন্টারেস্ট নেই এটা জানিয়ে দিয়ে কেটে পড়ে। ঘটনা এরপর অন্যদিকে মোড় নেয়। কল্যাণীর বাবা তার ভুল বুঝতে পেরে মেয়ে আর জামাইকে দেখার জন্য শেষবার পনের দিনের জন্য ভারতে আসতে চায়। আসলে কল্যাণীর মা আমেরিকাতে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিল আর তার শেষকৃত্য সেখানেই সম্পন্ন হয়েছিল। কল্যাণীর বাবারও তাই সেখানেই জীবনের বাকি দিনগুলো কাটানোর ইচ্ছা।
হঠাৎ করে কল্যাণীর বাবার এমন সিদ্ধান্তে কল্যাণী আর তার আংকেল বুঝতে পারেনা কি করা উচিত। কল্যানীর আংকেল এমনাবস্থায় বিষ্ণু নামের একজন ছেলেকে পেয়ে যায় আর তাকে পনের দিনের জন্য কল্যাণীর নকল স্বামী সাজার জন্য অনুরোধ করে। বিষ্ণুর টাকার বিশেষ প্রয়োজন থাকে তাই সে রাজি হয়ে যায়। কল্যাণীর বাবা দেশে ফিরলে সবাই মিলে কল্যাণীদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়। শুরুর দিকে কল্যাণী আর বিষ্ণুর কোন বনিবনা হয় না। সারাদিন ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকে তাদের মাঝে। আর দুজনই একে অপরকে জব্দ করার চেষ্টা করতে থাকে, তাই হাস্যকর সব ঘটনা ঘটতে থাকে। পরের দিকে তাদের একে অপরকে ভালো লাগতে থাকে আর তখনই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।
এটার পরিচালনা প্রিয়দর্শনের ছিল তাই কমেডি সিন গুলো বেশ মজার। এই ফিল্মটি টানা এক বছর সিনেমা হলে চলেছিল এবং সেসময়কার সব মালায়ালাম ফিল্মের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছিল। মোহনলাল আর রঞ্জিনীর জুটি দর্শকরা অনেক পছন্দ করেছিল। হিন্দি সহ আরও কয়েকটি ভাষায় এটা রিমেক হয়। কিন্তু কোনটাই প্রিয়দর্শন পরিচালনা না করায় তেমন ভালো হয়নি।
মুক্তির তারিখ ― ২৩ ডিসেম্বর ১৯৮৮
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.৬/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৯/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― কেরালা স্টেট পুরস্কার (১টি)
এইন্থুসান লিংক ― Chithram - Einthusan
ইউটিউব লিংক ― Chithram - Youtube
সাবটাইটেল লিংক ― Chithram - Subtitle
২) Kilukkam:
এই ফিল্মের গল্প শুরু হয় জোজি নামের একজন ট্যুরিস্ট গাইডকে ঘিরে। একদিন নন্দিনী নামের একজন ট্যুরিস্টকে সে একটি হোটেলে পৌঁছে দিয়ে মোটা টাকা বখশিস পায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে হোটেল থেকে তার নিকট খবর আসে নন্দিনী কে নিয়ে যাওয়ার জন্য। হোটেলে পৌঁছে সে জানতে পারে নন্দিনী মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষ। বাধ্য হয়ে নন্দিনীকে সে নিজের বাড়ি নিয়ে যায়। জোজি তার বন্ধুর সাথে সেখানে থাকে। নন্দিনী তাদের জীবন যাপন অতিষ্ঠ করে তোলে। এর ভিতর একদিন তারা নন্দিনীর নিখোঁজ সংবাদের একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পায় খবরে কাগজে। জোজির বন্ধু আরও কিছুদিন নন্দিনীকে তাদের কাছে রাখতে চায়। কারণ আর কিছুই নয়, দিন যত যাবে, নন্দিনীকে ফিরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কারের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে সেই কারণে। এদিকে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। নন্দিনী আসলে তার বাবার খোঁজে এই শহরে এসেছে যাকে সে কোনদিন দেখেনি। কিন্তু এখানে এসে সে এই এলাকার দুর্ধর্ষ ক্রিমিনাল সামার খানের সাথে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে। আর তার সাথে সাথে জোজিরও ঝামেলা বেধে যায় সামার খানের সাথে।
ফিল্মে ফানি ঘটনার অভাব নেই। প্রথম অর্ধেকে হাসির সিন আছে প্রচুর। প্রিয়দর্শনের বরাবরই কমেডি ফিল্মের জন্য সুনাম আছে। হিন্দিতেও তিনি এই ফিল্মের রিমেক করেছেন Muskurahat নামে। সেটাতেও নন্দিনীর চরিত্র রেবাতি করেছেন। হিন্দিটা প্রিয়দর্শন পরিচালনা করায় ভালো হয়েছে তবে নায়কের চরিত্রে মোহনলাল না থাকায় এটা মালায়ালাম ফিল্মটার মত এত ভালো হয়নি। আর হ্যাঁ, ২০০৬ সালে এটার পার্ট টু বের হয়েছিল Kilukkam Kilukilukkam নামে। তবে সেই ঘটনা আবার, প্রিয়দর্শন সেটা পরিচালনা না করায় তেমন নাম করে নি। তাই আমার দেখা হয় নি সেটা।
মুক্তির তারিখ ― ১৫ আগস্ট ১৯৯১
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.৬/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৮/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― কেরালা স্টেট পুরস্কার (৫টি)
এইন্থুসান লিংক ― Kilukkam - Einthusan
ইউটিউব লিংক ― Kilukkam - Youtube
সাবটাইটেল লিংক ― Kilukkam - Subtitle
৩) Pavithram:
উনিকৃষ্ণান ও রামাকৃষ্ণান দুই ভাই। রামাকৃষ্ণান বড়, পেশায় একজন ডাক্তার। রামাকৃষ্ণানের বিয়ে হয়েছে চার বছর। তাদের কোন ছেলেমেয়ে হয়নি। তাই রামাকৃষ্ণানের মা দেবকী বিভিন্ন মন্দিরে পূজা দিয়ে আসছেন। রামাকৃষ্ণানকে একজন বড় ডাক্তার বানানোর জন্য তার বাবা ঈশ্বর পিলাই তাদের বাড়ি বন্ধক রেখেছে্ন। উনিকৃষ্ণান একজন চাকুরীজীবী। তার বসের মেয়ে মীরার সাথে তার একরকম বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। এমন অবস্থায় তাদের পরিবারে নতুন অতিথির আবির্ভাব ঘটে। উনিকৃষ্ণানের মা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে মারা যান। রামাকৃষ্ণানের স্ত্রী এজন্য অনেক অপমানিত বোধ করতে থাকেন। যেহেতু রামাকৃষ্ণান নিঃসন্তান তাই তার বোনকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা সে পোষণ করে, কিন্তু তার স্ত্রীর কারণে সেটা সম্ভব হয় না। আর এদিকে উনিকৃষ্ণানের সাথে একদিন রাগারাগি করে ঈশ্বর পিলাই নিখোঁজ হয়ে যায়। উনির বোনের দায়িত্ব এসে পড়ে তার উপর। মীরা উনির বোনের নাম রাখে মীনাক্ষী। মীনাক্ষীর দায়িত্ব পালনের জন্য উনি তার চাকুরী ছেড়ে গ্রামের জমি-জমা দেখাশোনা শুরু করে। আর মীরার বাবার কথামত মীরার সাথেও সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এভাবে উনিকৃষ্ণান মা আর বাবা দুজন হয়ে মীনাক্ষীকে বড় করে তোলে। এস.এস.সি. পাস করে সে শহরে পড়তে চলে যায়। মীনাক্ষীকে শহুরে আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে দেখে উনিকৃষ্ণান ঠিক পছন্দ করতে পারে না। এমনকি রামাকৃষ্ণানও ভালো চোখে দেখে না। মীনাক্ষীর বদলে যাওয়ার বাকি গল্প আর ফিল্মের শেষ পরিণতি জানার জন্য ফিল্মটি দেখতে হবে।
চিত্রাম এবং কিলুক্কামের মত এই ফিল্মটি হিন্দিতে রিমেক না হলেও, হিন্দিতে বাধাই হো নামের একটি চলচ্চিত্রের মূল ধারণা গল্পকাররা এই চলচ্চিত্র থেকে পেয়েছেন। যদিও দুটো ফিল্মের কাহিনীতে কোন মিল নেই, কিন্তু লেট প্রেগনেন্সির ব্যাপারটি দুটো ফিল্মেই ভালোভাবে দেখানো হয়েছে। মোহনলাল এই ফিল্মে অভিনয়ের জন্য সেবার ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেন।
মুক্তির তারিখ ― ৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৪
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৯/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৮/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (১টি)
এইন্থুসান লিংক ― Pavithram - Einthusan
ইউটিউব লিংক ― Pavithram - Youtube
সাবটাইটেল লিংক ― Pavithram - Subtitle
*** চিত্রাম ফিল্মটি এইন্থুসানে হার্ডকোডেড সাবটাইটেল সহ পেয়ে যাবেন। আমার কাছে এইন্থুসানে ভিডিও প্লে করার সময় বেশ স্লো মনে হয়। তাই এখান থেকে ফিল্ম ডাউনলোড করে দেখি। এইন্থুসান থেকে কিভাবে ভিডিও ডাউনলোড করতে হয় তার একটি ছোট ভিডিও টিউটোরিয়াল ইউটিউবে আছে। এই লিংকে গেলে সেটি পেয়ে যাবেন।
চিত্রাম বাদে অন্য ফিল্মগুলো ডাউনলোড করে সাবটাইটেল অ্যাড করে দেখতে হবে। আমি সব গুলো ফিল্মের ইউটিউব লিংক এবং সাবটাইটেল লিংক দিয়ে দিয়েছি। এক্ষেত্রে ইউটিউব থেকে মুভি ডাউনলোড করে সাবটাইটেল সংযুক্ত করে দেখতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে সিংক করা লাগতে পারে।
আগের পর্বের লিংক - কিছু ক্ল্যাসিক মালায়ালাম সিনেমা (পর্ব - ২)
প্রথম পর্বের লিংক - কিছু ক্ল্যাসিক মালায়ালাম সিনেমা (পর্ব -১)
০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: হ্যাঁ, মোহনলাল এবং মাম্মুতি দুজনই অসাধারণ অভিনেতা। তাদের ফিল্মগুলোও অনেক এন্টারটেইনিং হয়।
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে যে তিনটা মুভির কথা বলেছেন, একটাও দেখা হয় নাই।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: দেখে ফেলুন। ভালো লাগবে আশা করছি।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার রিভিউ বরাবরের মত।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫১
Laboni বলেছেন: নওয়াজউদ্দীন সিদ্দিকির অভিনয় আর সিনেমার প্লট, এই দুয়ে মিলে এক অপূর্ব সৃষ্টি "বাবুমশাই বন্দুকবাজ" মুভিটি। সময় করে একবার দেখবেন।
২৩ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো দেখার।
৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫২
Laboni বলেছেন: "রাসেল ক্রো" যার অভিনয় সম্পর্কে নতুন কিছুই বলার নাই। তবে A Beautiful Mind মুভিটি দেখলে নতুন করে তার প্রেমে পড়ে যাবেন।
২৩ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: এটা অনেক আগে দেখা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করিনি। তবে কাহিনী জানি।
৬| ১৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:১৩
হাসান রাজু বলেছেন: Drishyam ১, ২ দেখেছি। দুটোই অসাধারণ।
প্রিয়দর্শন একজন সত্যিকারের কমিডি সিনেমার ডিরেক্টর , বলিউডের বাকি কমেডি সিনামার ডিরেক্টররা ভাঁড়মিতে ভরা সিনামা বনায়। Singeetam Srinivasa Rao দের মত ডিরেক্টর ব্যাপার অবশ্য আলাদা।
২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০১
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: দৃশ্যম সিরিজ আসলেই অনেক ভালো লাগার মত। আমার দেখা মোহনলালের প্রথম ফিল্ম ছিল দৃশ্যম ১।
আর প্রিয়দর্শনের কমেডির অনেক বড় ফ্যান আমি। আগে স্কুলে থাকতে তার হিন্দি ফিল্ম গুলো দেখেছি। আর এখন তার মালায়ালাম ফিল্ম গুলো খুঁজে খুঁজে দেখি। বেশ মজার তার ফিল্ম গুলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: মোহনলালের বেশ কিছু মুভি আমি দেখেছি। দারুন অভিনেতা।