নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবসরে বই পড়তে পছন্দ করি, মুভি দেখতেও ভালো লাগে। ঘোরাঘুরিও পছন্দ তবে সেটা খুব একটা হয়ে উঠে না। বাকেট লিস্ট আছে অনেক লম্বা। হয়তো কোন একদিন সম্ভব হবে, হয়তো কোনদিন হবে না। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে জানি, প্রত্যাশা করতে জানি। তাই সেটাই করে যাচ্ছি।

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী

প্রত্যাশাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা পূরণ হয় না... তাও তারা স্বপ্নচারিণী নামে পরিচিতি পেয়ে গেল... ইন্সটাগ্রাম ― @swarochita

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ কিছু ড্রামা হয়ে যাক ...

২৩ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৪



অনেক দিন পর ব্লগে এলাম। মুভি নিয়ে তো বেশ কিছু পোস্ট এর আগে লিখেছি। আজ ভাবলাম সম্প্রতি দেখা কিছু নাটক নিয়ে পোস্ট লিখি। আগে আমাদের দেশের ধারাবাহিক নাটক গুলো আমার বেশ দেখা হত। আজ রবিবার, নক্ষত্রের রাত, সাত চার দুই, হাকারবিন, এই মেঘ এই রৌদ্র, উড়ে যায় বকপক্ষী ইত্যাদি নাটক দেখে আমরা বড় হয়েছি। এই নাটকগুলো তাই এখনও ইউটিউবে দেখতে বেশ ভালো লাগে। একসময় ধীরে ধীরে এই ধারাবাহিক নাটকের সংখ্যা কমে যেতে শুরু করে। মেগা সিরিয়াল জায়গা করে নেয়। অনেক আগে একুশে টিভিতে বন্ধন নামে একটা সিরিয়াল মনে হয় আমার দেখা প্রথম বাংলাদেশি সিরিয়াল ছিল। বন্ধনের আগে একটা সিরিয়াল আমাদের বাসার সবাই দেখতাম। সেটার নাম ছিল মামা-ভাগ্নে। এটা পরিচালনা করেন ভারতের চলচ্চিত্র পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, কিন্তু তখন ভারতে বাংলা কোনো স্যাটেলাইট চ্যানেল চালু না হওয়াতে এটা প্রচারিত হত আমাদের দেশি চ্যানেল এটিএন বাংলায়। এটা অনেক মজার ছিল। আমি তখন কার্টুন দেখে কূল পেতাম না। নাটক দেখার কোনো সময় নেই। কিন্তু বাসায় সবার দেখার বদৌলতে আমিও দেখা শুরু করেছিলাম। বড় হয়ে মামা ভাগ্নে সিরিয়াল টা অনেক খুঁজেছি কিন্তু কোথাও পাই নি। এরপরে এনটিভি তে দুটো সিরিয়াল অল্প অল্প দেখা হয়। একটার নাম ছিল স্পর্শের বাইরে আর অন্যটা কাছের মানুষ। আমার সাধারণত সময় পেলে মুভি দেখা হয় বেশি। কিন্তু মাঝে মাঝে একটু আধটু নাটক দেখতে ভালো লাগে। মেগা সিরিয়াল বা সিরিজ দেখার ধৈর্য্য আমার নেই। এর আগে অনেক বার সিরিজ দেখার অ্যাটেম্পট নিয়ে ১/২ সিজনের বেশি কখনই দেখতে পারিনি। তাই আমাকে ধারাবাহিক নাটকই টানে যেটা ৩০-৪০ পর্বে শেষ হয়ে যায়।

এখন টিভি দেখা হয় না, ধারাবাহিক নাটকও তেমন চোখে পড়ে না ইউটিউবে। মেগা সিরিয়াল আর না হয় টেলিফিল্মই বেশি হয় আমাদের দেশে। আর ওয়েব সিরিজ হচ্ছে কিছু। আমার জানারও ভুল থাকতে পারে। ভালো কোনো ধারাবাহিক নাটক যদি এখন বানানো হয়ে থাকে আর ইউটিউবে যদি পাওয়া যায় তাহলে আমাকে কমেন্টে জানাতে পারেন।

পাকিস্তানি ড্রামা খুব অল্প কিছু দেখা হয়েছে আপাতত। ২০১৮ সালে প্রথম পাকিস্তানি একটা কমেডি নাটক দেখেছিলাম সুনো চান্দা নামে। এটা রমজান স্পেশাল ড্রামা ছিল এবং বেশ মজা লেগেছিল। এরপরে ৭/৮ টি ড্রামা দেখে পাকিস্তানি ড্রামা একদম বাদ। এই বছর রোজার সময় ইউটিউবে ঋষিকেশ মুখার্জীর চুপকে চুপকে ফিল্মটি দেখছিলাম। সেই সময় সাজেশন হিসেবে একটি ড্রামা আসে যার নামও চুপকে চুপকে। তখন সম্ভবত তৃতীয় রোজা আর তিনটি এপিসোড আপলোড করেছে। বুঝতে পারলাম সুনো চান্দার মত এটাও রমজান স্পেশাল ড্রামা। অর্থাৎ পহেলা রমজানের দিন শুরু হয়ে ঈদের দিন শেষ হয়ে যাবে। পরে দেখি এটা আর সুনো চান্দার রাইটার একই। মানে কমেডি ড্রামাই হবে। রমজানে তারাবীহ শেষে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কমেডি ড্রামা দেখতে বেশ ভালো লাগে। এর সাথে শুরু করলাম দিয়ার-এ-দিল দেখা। এটা একটু পুরানো ড্রামা। আজ এই ড্রামা গুলো নিয়ে মূলত লিখছি।


১) Chupke Chupke:

এটা সাইমা আকরাম চৌধুরীর লেখা একটি কমেডি ড্রামা। ২০১৮ সালে রমজানে কমেডি ড্রামা সুনো চান্দার সাফল্যের পর লেখিকা ২০১৯ সালের রমজানের এর সিজন ২ লেখেন। সিজন ২ তেমন ভালো লাগেনি যদিও আমার কাছে। ২০২০ সালের রমজানের জন্য তিনি নতুন একটি কমেডি ড্রামা লিখেছিলেন। নাটকের শুটিংও শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনার জন্য লকডাউন ঘোষণা করায় নাটকের শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে গত বছরের শেষের দিকে আবার যখন এই নাটকের শুটিং শুরু হয় তখন নাটকের বেশ কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী ব্যক্তিগত কারনে নাটকটি থেকে সরে দাঁড়ায়। যার ফলে নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রী নিয়ে নাটকটি আবার পুনরায় শুটিং করা শুরু হয়।

নওয়াব সাহেব নামের এক ভদ্রলোকের পরিবারের কাহিনী এটি। তিনি এখন আর বেঁচে নেই। তার দুই স্ত্রীর বাড়ি একদম পাশাপাশি। দুই সতীনের ঝগড়াঝাটি থাকবে এটা জানা কথা। কিন্তু তাদের ছেলেমেয়ে আর নাতি নাতনীদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো। বড় স্ত্রী নেক পারওয়ারের বাড়ির নাম নওয়াব ভিলা। বড় নাতনী মানিহা (মিনু) পড়াশুনা নিয়ে খুব ত্যক্ত বিরক্ত। বড় নাতি হাদি আপাতত এমবিএ করে বেকার বসে আছে। মিনুর ছোট বোন মুনিবার (মিরচি) কাজ হচ্ছে ঘরের যাবতীয় কর্মকান্ড তার দাদীর ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আপলোড করা। হাদির ছোট ভাই ওয়ালিদ হচ্ছে মিনুর ক্রাইম পার্টনার। তাদের মূল কাজ হল মিনুর বাবার মাটির ব্যাংক থেকে টাকা চুরি করা।

অন্যদিকে ছোট স্ত্রী বাক্তোর বাড়ির নাম নওয়াব হাউজ। তার নাতি ফাজ ইব্রাহিম (ফাজি) সফল ব্যবসায়ী। পড়াশোনায় সে বেশ ভালো ছিল তাই মিনুর বাবার রিকোয়েস্টে সে মিনুকে পড়া দেখিয়ে দেয়। ফাজির জমজ বোন, বড় নাতনী গুল ফাজির বিয়ের জন্য পাত্রী দেখে বেড়ায় ঠিকই কিন্তু কোনো মেয়েই সে পছন্দ করতে পারে না। গুল ঐ বাড়ির সবার লাইফকে নিজে কন্ট্রোল করতে চায়। এই জন্য ফাজি এবং ছোট বোন মিশি কিছুটা বিরক্ত। গুলের এই সব কর্মকাণ্ড ফাজির মেজ বোন রামিন (রুমি) সবসময় সাপোর্ট করে। বাক্তোর ছোট নাতনী রামিশা (মিশি) আবার পুরো বিপরীত। সে অনেক নিরীহ গোবেচারা টাইপের।

আরও অনেক চরিত্র আছে। দুই দাদীর ঝগড়া বেশ মজার। তারা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো অভিনয় করেছেন। লীড রোলে ফাজি আর মিনুর চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছে ওসমান খালেদ ভাট এবং আয়জা খান। অন্যদিকে প্যারেলাল লীডে রয়েছে আরসালান নাসির এবং আয়মান সেলিম যথাক্রমে হাদি ও মিশি রোলে। তাদের দুজনেরই প্রথম ড্রামা এটি। আরসালান নাসির একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার। অন্যদিকে আয়মান সেলিম হচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটার সেলিম ইউসুফের মেয়ে। সে গ্রাজুয়েশন এবং ইন্টার্নশিপের জন্য দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিল। ডেব্যু হিসেবে দুইজনই অসাধারণ অভিনয় করেছে।

এর আগে যারা সুনো চান্দা পছন্দ করেছেন তারা দেখতে পারেন। আমার কাছে সুনো চান্দার থেকে এটা একটু বেশি ভালো লেগেছে, কারণ এটার কমেডি সীন গুলো বেশি মজার ছিল।

মোট পর্ব সংখ্যা ― ৩০
প্রথম ও শেষ পর্ব সম্প্রচারের তারিখ ― ১৪ এপ্রিল ২০২১ - ১৩ মে ২০২১
আইএমডিবি রেটিং ― ৯.২/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৯/১০
ইউটিউব লিংক ― Chupke Chupke
টাইটেল গানের ইউটিউব লিংক ― Chupke Chupke - OST





২) Diyar-e-Dil:

“A happy family is but an earlier heaven.” – George Bernard Shaw

এটা শুধু ড্রামা নয়, পুরো একটা ইমোশন আমার কাছে।

এটা রমজানের কথা। তখন সবে চুপকে চুপকে দেখা শুরু করেছি। পুরোটা দিন ওয়েট করে থাকতাম কখন রাত এগারোটা বাজবে। ওয়েট করতে করতে আগের দিনের পর্ব আরও একবার দেখে ফেলতাম। পরে চিন্তা করলাম অন্য একটা রমজান স্পেশাল ড্রামা চলছে তানা বানা নামে, সেটাও দেখা শুরু করি। কিন্তু সেটা খুব বেশি টানলো না, বেশ কতগুলো পর্ব দেখে বাদ দিলাম। ভাবলাম অন্য চ্যানেলের ইশক জালেবি নামে যেটা চলছে সেটা একটু দেখি। একটা পর্ব দেখলাম, এটাও চুপকে চুপকের মত কমেডি ড্রামা। একই রাইটারের লেখা কিনা। চিন্তা করলাম থাক। চুপকে চুপকে শেষ হলে ঈদের পর এটা দেখা শুরু করবো। একসাথে দুটো কমেডি ড্রামা না দেখে একটা সিরিয়াস টাইপের একটু পুরানো ড্রামা দেখি।

শুরু করলাম দিয়ার-এ-দিল। অনেক গুলো চরিত্র এই ড্রামাতে। প্রথম দিকের স্টোরি কিছুটা স্লো। অন্য কোনো ড্রামা হলে মনে হয় দেখা বাদ দিতাম। কিন্তু এই ড্রামার প্রাকৃতিক দৃশ্য এত বেশি সুন্দর। পাহাড় আমাকে সবসময়ই আকর্ষণ করে। OST তো সুন্দর এই ড্রামার, তবে তার থেকেও বেশি সুন্দর এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক টা। অনেকে একটা ফেসবুক পোস্ট বা পিকচার দেখে থাকবেন যেটাতে লেখা থাকে - I am homesick for a place I am not sure even exists. One where my heart is full and my soul understood. এই ড্রামার লোকেশন গুলো যখন দেখতে থাকি সাথে সেই সুন্দর বিজিএম টা বাজতে থাকে তখন অনুভূতি টা এমনই হয়। আর সাথে ছিল ন্যারেটার হিসেবে ওসমান খালেদের সুন্দর কিছু উক্তি। পুরোই জমে ক্ষীর। যেন কবিতা পড়ার প্রহরে কবিতা পড়া হচ্ছে পুরোদমে। এত বেশি সুন্দর বিজিএম টা যে স্টার্টিং স্লো হলেও এটা দেখা বাদ দিতে পারিনি। আর তাছাড়া এটা তো জানতাম ওসমান খালেদ ভাট আর মায়া আলির এন্ট্রি তখনও হয় নি। ৮ নম্বর পর্ব থেকে তাদের কাহিনী শুরু হয়। রোজার শেষের দিকে এই ড্রামা নিয়ে এত বেশি মগ্ন ছিলাম যে, চুপকে চুপকের শেষের পর্ব গুলো নিয়ে সবাই যখন আফসোস শুরু করেছে আমার তখন সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপই নেই। চুপকে চুপকের শেষের পর্বগুলোর ডিউরেশন কম ছিল আর খুব তাড়াহুড়া করে শেষ করার চেষ্টা করছিল, সেজন্য কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যিস আমি ঐ সময়টাতে এই দিয়ার-এ-দিল দেখা শুরু করেছিলাম। অবশেষে এটা দেখা শেষ করলাম ত্রিশ রোজার দিন চুপকে চুপকের শেষ এপিসোড দেখার আগে।

দিয়ার-এ-দিলের কাহিনী শুরু হয় দুই ভাই বেহরোজ আর সুহেইব কে ঘিরে। তাদের বাবা আগাজান বেহরোজের ছোটবেলায় তার বিয়ে ঠিক করে রেখেছে তার চাচাতো বোন আঞ্জুমান্দের সাথে। কিন্তু বেহরোজ পছন্দ করে রুহিনা কে, তাই সে তার বাবার সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে রুহিকে বিয়ে করে। আর এদিকে আগাজানের কথায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও সুহেইব রাজি হয় আঞ্জুমান্দকে বিয়ে করতে। টাকাপয়সার কমতি থাকলেও বেহরোজ আর রুহির শুরুর জীবনে ভালবাসার কোনো কমতি ছিল না। অন্য দিকে সুহেইব আর আঞ্জুমান্দের জীবনে দূর দূরান্তেও কোনো ভালবাসা ছিল না। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল কয়েক বছর পর এই অবস্থা সম্পূর্ণ পাল্টে যায় এই দুই কাপলের মাঝে। বেহরোজের মেয়ে ফারাহ এবং সুহেইবের ছেলে ওয়ালি ও মেয়ে জারমিনে ততদিনে বড় হয়ে যায়। শুরু হয় তাদের কাহিনী। এই ড্রামার কাহিনী শুরু হয় দুই ভাইয়ের মাঝে বন্ধুত্ব দিয়ে। আর এরপরে এটি ফোকাস করে দাদা আর নাতি-নাতনীর সম্পর্ককে। ড্রামার শুরুর দিকে মনে হবে দুঃখ-দুর্দশা যেন পিছু ছাড়ছে না। সাথে আছে রুহি আর তার ভাইয়ের ফ্যামিলির কাহিনী যেগুলো খুবই বিরক্তিকর। প্রথমবার সেগুলো স্কিপ করে দেখেছিলাম।(এখন আবার এটা দেখা শুরু করেছি, এবার কোনোরকম স্কিপ করছি না) কিন্তু ধীরে ধীরে কাহিনীটা এত বেশি ভালো লাগতে শুরু করে যে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আর শেষের দিকে সবচেয়ে বেশি সুন্দর। বিশেষ করে কোনো পাক-ড্রামার এত সুন্দর শেষ পর্ব দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না। আমি কমেডি ড্রামা বেশি দেখি সাধারনত। কান্নাকাটি থেকে সব সময় দূরে থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু এই ড্রামা তে এমন কিছু একটা আছে যা আমি আর কোনো ড্রামা তে পাই নি। এত সাদামাটা একটা কাহিনী এত ভালো লাগবে এই ড্রামা না দেখলে বুঝতে পারতাম না।

চুপকে চুপকে প্রথম দিকে অনেক ভালো লাগলেও শেষের পর্ব গুলো এত বেশি তাড়াহুড়া করেছিল বলে একটু আশাহত হয়েছিলাম। অন্যদিকে দিয়ার-এ-দিল শুরুর দিকে দেখার সময় যেমন এক্সপেক্টেশন ছিল, শেষের দিকে এসে তার থেকে বহুগুণ মুগ্ধতা কাজ করেছে। দুটো ড্রামার মাঝে তুলনা করছি না, দুটোর জনরা সম্পূর্ণ আলাদা। দুটোই আমার অনেক প্রিয়। ওসমান খালেদ অভিনীত সব থেকে প্রিয় তিনটি ড্রামা লিস্ট করতে বললে এই দুটো অবশ্যই সেখানে রাখবো। আর বাকি একটা কোনটা সেটা যারা পাক-ড্রামা দেখে তারা সবাই জানে। আমি শুধু দুটো ড্রামা একই দিনে শেষ করার পর অনুভূতিটা লিখতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু মনে হচ্ছে সেটা লিখে ঠিকমত ব্যক্ত করতে পারিনি। শুধু বলতে চাই সম্পর্কের গল্পগুলো সবসময়ই অদ্ভুত সুন্দর হয়।

“Being a family means you are a part of something very wonderful. It means you will love and be loved for the rest of your life.” – Lisa Weed


মোট পর্ব সংখ্যা ― ৩৩
প্রথম ও শেষ পর্ব সম্প্রচারের তারিখ ― ১৭ মার্চ ২০১৫ - ২৭ অক্টোবর ২০১৫
আইএমডিবি রেটিং ― ৯.১/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ১০/১০
ইউটিউব লিংক ― Diyar-e-Dil - Youtube
জিফাইভ লিংক ― Diyar-e-Dil - ZEE5
টাইটেল গানের ইউটিউব লিংক ― Diyar-e-Dil - OST





৩) Ehd-e-Wafa:

“Friends are the family you choose.” ― Jess C Scott

এটা নিয়ে আসলে লেখার ইচ্ছা ছিল না। উপরে লিখেছি ওসমান খালেদ ভাটের সেরা তিনটি ড্রামার ভিতর উপরের দুটি থাকবে। যারা পাক-ড্রামা কখনও দেখেনি তাদের প্রশ্ন জাগতে পারে আর অন্য টা কোনটি। সেটার উত্তরের জন্য ভাবলাম ছোট করে এটা নিয়ে লিখি। অনেক মানুষ এটা দেখার মধ্য দিয়ে পাক-ড্রামা দেখা শুরু করেছে। এটা এত মানুষের দেখা যে এটা নিয়ে নতুন করে লেখার কিছু নেই।

শারিক, শাহজেইন, সাদ এবং শেহরিয়ার কলেজ জীবনে খুব ভালো বন্ধু ছিল। তাদের সবার নাম S দিয়ে শুরু, তাই তাদের গ্রুপের নাম ছিল SSG (স্পেশাল এস গ্রুপ)। কিন্তু একটি কারণে তাদের ভিতর সম্পর্কে চিড় ধরে, আর তারা আলাদা হয়ে যায়। সাদ আর্মিতে জয়েন করে আর শারিক সাংবাদিকতাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার চেষ্টা করে। শেহরিয়ার স্বপ্ন দেখে সরকারি চাকুরীজীবী হওয়ার। অন্যদিকে শাহজেইন এই গ্রুপের থেকে সব চেয়ে বেশি আলাদা হয়ে যায়, ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকে। পরে পরিবারের সবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিন্তা করে সে রাজনীতিতে প্রবেশ করবে। ওসমান খালেদ ভাট এখানে কিছুটা নেগেটিভ ক্যারেক্টার প্লে করেছে। যেটা তার চুপকে চুপকে আর দিয়ার-এ-দিল এর চরিত্রগুলো থেকে অনেক ভিন্ন ছিল।

মোট পর্ব সংখ্যা ― ২৫
প্রথম ও শেষ পর্ব সম্প্রচারের তারিখ ― ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ - ১৫ মার্চ ২০২০
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.৬/১০
ব্যক্তিগত রেটিং ― ৯/১০
ইউটিউব লিংক ১ ― Ehd-e-Wafa - HUM TV
ইউটিউব লিংক ২ ― Ehd-e-Wafa - ISPR
টাইটেল গানের ইউটিউব লিংক ― Ehd-e-Wafa - OST

*** এহদ-এ-ওয়াফার হাম টিভির আপলোড করা অল্প কিছু পর্ব তে কিছু সীন হালকা কাটা আছে। তাই ISPR চ্যানেলে আপলোড করা পর্বের লিংকও দিয়ে দিলাম।








ছবি ঋণ - ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কয়েকদিন আগে দেখে শেষ করলাম whats wrong secretary kim

বাংলা ডাবিংও আছে। ডাবিং খুব ভালো হয়েছে। দেখেছেন?

২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩৮

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: এটা কয়েক বছর আগের, তাই না? না, এখনও দেখা হয় নি। বাংলা ডাবিং হয় কোরিয়ান ড্রামার? জানতাম না।

২| ২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৫২

একলব্য২১ বলেছেন: পাকিস্তানি টিভি সিরিয়াল Ehd-e-Wafa দেখেছিলাম। দারুণ ইন্টারটেনিং ছিল। খুব সম্ভবত ব্লগার পদ্মপুকুর এর রিভিউ পড়ে এই সিরিজটি দেখেছিলাম। দুই একজনের কাছে শুনেছি পাকিস্তানি টিভি সিরিজ নাকি ভাল। আপনার রেক্যামেন্ড করা সিরিজগুলো দেখবো।

২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৫৫

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: এহদ-এ-ওয়াফা নিয়ে আমি নিজেও লিখলাম। :D যাই হোক এটা আসলে সবারই ভালো লেগেছে। এই ড্রামার হেটার পাই নি আপাতত।
আর এগুলোকে ড্রামা বলা ভালো। সিরিজ অনেক লম্বা হয়।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। :)

৩| ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০৭

একলব্য২১ বলেছেন: এগুলোকে ড্রামা বলা ভালো। সিরিজ অনেক লম্বা হয়।

আমাকে সংশোধন করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। বস্তুত: নাটক, ড্রামা বা সিরিজ কোনটাই খুব একটা দেখার সময় বা ইচ্ছা হয় না। তবে কেহ রেক্যামেন্ড করলে একটু দেখি তারপর ভাল লাগলে কন্টিনিউ করি।

২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১২:১৩

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: সংশোধনের কিছু নেই। আমি আমার মতামত জানিয়েছি। অনেকেই সিরিজ বলে থাকে। তবে এগুলো সিরিজের মত লম্বা নয়। তাই ড্রামা বা মিনি সিরিজ বলাই ভালো।
ঠিক আছে। ড্রামা দেখে ভালো বা খারাপ যাই লাগে জানাবেন। :)

৪| ২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

একলব্য২১ বলেছেন: ড্রামা দেখে ভালো বা খারাপ যাই লাগে জানাবেন।

আপনার পোস্টের দ্বিতীয় ড্রামা দিয়ার-এ-দিলের দুইটি পর্ব দেখেছি। এটা আমার দেখতে শুরু করা দ্বিতীয় পাকিস্তানি কোন টিভি ড্রামা। আপনার পোস্টে এই মিনি সিরিজের ছোট একটা ইন্ট্রোডাকশন থাকাতে আমার বুঝতে আরও সহজ হয়েছে। প্লাস ইউটিউবের দর্শকদের কিছু কমেন্ট। প্রথমেই বলতে চাই এই টিভি ড্রামার প্রাকৃতিক দৃশ্য অসাধারণ। কৃত্রিম সেটের টিভির নাটক দেখতে আমার একদমই ভাল লাগে না । দিয়ার-এ-দিলের দুই পর্ব দেখে আমি এই ড্রামার এগজ্যাগক্ট লোকেশন ধরতে না পারলেও অনুমান করতে পারি এটি পাকিস্তানের একদম উওরের কারাকোরাম পর্বতের কাছে কোন শৈল শহর। যা এমনিতে অপরূপ সুন্দর অঞ্চল। সেই সৌন্দর্যই হয়ত নাটকের পরবর্তী পর্বে আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলবে। ওসমান খালেদ ভাটের উক্তির কিছু শব্দ হয়তো পার্সিয়ান ছিল। তাই বুঝতে পারিনি। এছাড়া কোন সমস্যা হয়নি। মুখ্য চরিত্রদের মধ্যে বাবা আগাজান বেহরোজ (আবিদ আলী), বেহরোজ (মিকাল জুলফিকার), সুহেইব (আলী রেহমান খান) ও আঞ্জুমান্দ (হারীম ফারুখ) এদের অভিনয় ছিল অনবদ্য। এই ড্রামা শেষ না করে হয়তো পার পাবো না। আপনার রেক্যামান্ডেশন খুব ভাল। আমি মূলত বিনোদনের জন্যই দেখবো বাড়তি কিছু পেলে সেটা হবে উদ্বৃত্ত। আপনাকে ধন্যবাদ।

২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমি পাক-ড্রামা দেখার আগে পাকিস্তানের শুধু তিনটি শহরের নাম জানতাম - ইসলামাবাদ, করাচি এবং লাহোর। আর আজাদ কাশ্মীর অঞ্চলের নাম তো সবাই জানে। যাই হোক, বিভিন্ন ড্রামা দেখে নতুন কয়েকটি এরিয়ার নাম জেনেছি। দিয়ার-এ-দিল দেখার পর এটি কোন এরিয়া জানার জন্য আমি উইকিপিডিয়া চেক করেছিলাম। এই নাটকের বেশিরভাগ শুটিং গিলগিত-বালতিস্তান অঞ্চলে হয়েছে। আপনার ধারণা ঠিক, এটি পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের একটি জায়গা। অনেক ভালো ধারণা রাখেন আপনি। আমার পাকিস্তান সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই আসলে।

যাই হোক, আমার ড্রামা রিভিউ পোস্ট দেখে আপনি দেখা শুরু করেছেন জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু একটু ভয়ও পেয়েছি দিয়ার-এ-দিল প্রথম দেখা শুরু করেছেন বলে। কেউ কেউ এই ড্রামা দেখার পর ২/৩ পর্ব দেখে বাদ দিয়েছে। কিন্তু আপনার ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগলো। চুপকে চুপকে দেখা শুরু করলে ভয় পেতাম না, কারণ এটা কমেডি ড্রামা তাই ব্যপক এন্টারটেইনিং।

এটা ঠিক বলেছেন সবাই যার যার চরিত্র সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। কিন্তু আপনি সানাম সাঈদের কথা লিখতে মনে হয় ভুলে গিয়েছেন, যিনি রুহি চরিত্রে অভিনয় করেছে। রুহি ক্যারেক্টারটি খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু সানাম সাঈদ অনেক ভালো একজন অ্যাকট্রেস। তার জিন্দেগী গুলজার হে বেশ ভালো একটি ড্রামা। নান্দনিক নন্দিনী আপুও কমেন্টে জানিয়েছেন।

হিন্দি আর উর্দু ভাষাতে মিল থাকলেও উর্দু ভাষা বুঝতে একটু সমস্যা বেশি হয়। এতে ফারসি শব্দের আধিক্য বেশি। যে শব্দের অর্থ বুঝি না আমি অনুমান করে বুঝে নেই। উর্দু বলে আসলেই কোনো ভাষা কোনোকালে ছিল না। এটি কৃত্রিম একটি ভাষা, যা হিন্দি, ফারসি ও আরবি ভাষার সমন্বয়ে মুঘল আমলে তৈরি করা হয়েছিল মুসলিম সৈন্যদের বুঝার সুবিধার্তে যারা ভারতবর্ষের বাইরে থেকে আসতো। এই ভাষার নিজস্ব কোনো বর্ণমালা নেই, এটা অবশ্য পৃথিবীর অনেকে ভাষারই নেই। তবে এটি পৃথিবীর একমাত্র ভাষা যার নিজস্ব একটি শব্দও নেই। ৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় ভারতের মত পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ভাষা ছিল ভিন্ন ভিন্ন। পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা ছিল পাঞ্জাবি। উর্দু তে কেউ কথাই বলতো না। তবে লেখালেখির কাজে ব্যবহৃত হত। সমগ্র পাকিস্তানে কমন ভাষা হিসেবে তারা উর্দুর প্রস্তাব করে। আমার আজও ভেবে অবাক লাগে পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ এটা কিভাবে মেনেছিল। বলতে গেলে কেউই এই ভাষায় কথা বলতো না। প্রটেস্ট শুধু বাংলাদেশ থেকেই এসেছিল। যাই হোক, অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ফেললাম। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি।

আপনাকেও ধন্যবাদ ড্রামাটি দেখার জন্য। ভালো থাকবেন।

৫| ২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: 'ইশক যেহে নাসিব' - সিরিয়ালটা দেখতে পারেন, দুর্দান্ত।
আমার অবশ্য প্রিয় সিরিয়াল 'জিন্দেগি গুলজার হ্যায়'।

২৪ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: জিন্দেগি গুলজার হে আমারও বেশ ভালো লেগেছে। তবে ইশক যেহে নাসিব দেখা হয়নি। সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ আপু।

৬| ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ সময়ের যে অভাবকিভাবে যে দেখি :(
মাত
জিন্দেগী গুলজার
আর ডাইজেস্ট রাইটার তিন টাই মনে রাখার মত।
আজকাল সনি তে দেখাচ্ছে " কিউ উত্থে দিল ছোড় আয়ি " ও কয়েক পর্ব একসাথে ইউ টিউবে দেখছি।

২৪ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩৫

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমি শুধু জিন্দেগি গুলজার হে দেখেছি এখান থেকে। টিভি একেবারেই দেখা হয়না। মুভি দেখি পিসি তে। মাঝে মাঝে একটু আধটু ড্রামা দেখি মুভি থেকে ব্রেক নেওয়ার জন্য।
আর হিন্দি সিরিয়াল দেখি না আপু। এত লম্বা সিরিয়াল দেখার সময় বা ধৈর্য্য হয়না। অবশ্য এর আগে কলেজ এবং ভার্সিটি তে থাকতে অল্প কিছু দেখেছি - শারারাত, কুচ ইজ তারা, মিলে যাব হাম তুম, তেরে লিয়ে, বাড়ে আচ্ছে লাগতে হে, ইয়ে হে মোহাব্বাতে, এক হাসিনা থি এগুলো প্রিয় ছিল। তবে এগুলোর বেশিরভাগই অনলাইনে দেখতাম। যাতে একসাথে দেখে শেষ করে ফেলা যায়।

৭| ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫১

একলব্য২১ বলেছেন: অনেক ইনফরমেটিভ একটা বড় প্রতি উওর দিলেন। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। জ্বী আপনি একদম ঠিক বলেছেন উর্দু হল একটা tent language. যার উৎপত্তি মোগলদের জমানায়। যার হরফ আরবি বা ফারসি থেকে নেওয়া আর গ্রামার হিন্দি থেকে। পাকিস্তানের শতকরা সম্ভবত ৮% মানুষের মাতৃভাষা উর্দু যারা মূলত ভারত থেকে এসেছে। আমি দিয়ার-এ-দিলের এখন পর্যন্ত ৪ পর্ব দেখেছি। আই সি! এই ড্রামা গিলগিত-বালতিস্তানে শুট করা হয়েছে। যেখানে হানজা (hunza) সম্প্রদায়ের বাস ওখানে।

যাই হোক, অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ফেললাম। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি।


আপনার এই বিনয়টা আমার ভাল লাগলো না। এই মিনি সিরিজ শেষ করে বাকি মন্তব্য করার ইচ্ছা রাখি।

২৫ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:২০

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ঠিক আছে। ড্রামা শেষ করে আপনার অপিনিয়ন জানাবেন।
ভালো থাকবেন। :)

৮| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০১

একলব্য২১ বলেছেন: কিন্তু একটু ভয়ও পেয়েছি দিয়ার-এ-দিল প্রথম দেখা শুরু করেছেন বলে। কেউ কেউ এই ড্রামা দেখার পর ২/৩ পর্ব দেখে বাদ দিয়েছে।

আপনি পোষ্ট দিলেন আর আমিও দিয়ার-এ-দিল দেখা শুরু করলাম। অর আপকা বাতোমে আকে ম্যায় তো বুরি ত্যারা ফাঁস গ্যায়া। এখন ২২ তম পর্ব দেখছি। যতক্ষণ না ৩৩ পর্ব শেষ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমার শান্তি নাই। বাই দ্যা ওয়ে আপনি ঠিকই বলেছেন ড্রামার আবহ সঙ্গীত খুবই ভাল। আপনাকে ধন্যবাদ এই পোষ্ট দেওয়ার জন্য।

৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১:০৪

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমিও দুদিন আগে দিয়ার-এ-দিল শেষ করলাম দ্বিতীয়বার দেখে। এখন এই পরিচালকের আরও একটি ড্রামা দেখছি। অনেকের মতে এটাও একটি মাস্টারপিস। হয়তো এটা নিয়েও কোনো একদিন রিভিউ লিখবো যদি সেই লেভেলের ভালো লাগে।

আশা করছি ড্রামা টা শেষ করার পর আপনার অনেক ভালো লাগবে। যেমনটা আমার ভালো লেগেছিল। তাইতো বাধ্য হয়ে দ্বিতীয়বার দেখা শুরু করেছিলাম।

৯| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

একলব্য২১ বলেছেন: দিয়ার-এ-দিল নিয়ম করে ২৭ পর্ব দেখার পর আর চাপ নিতে পারছিলাম না। নিজের কাজের ও অন্যান্য চাপের পর আর এডিশনাল চাপ নিতে চাচ্ছিলাম না। তাই পরবর্তী পর্ব ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে দেখে শেষের পর্বটি পুরো দেখে দিয়ার-এ-দিল শেষ করি। পরবর্তীতে চাপ না নিয়ে আবার ২৮ থেকে ৩৩ পর্ব এক এক করে পুরোটা দেখে ড্রামাটা শেষ করি। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কতটা ভাল লেগেছে এই ড্রামা সিরিয়াল। আগাজান (যার অর্থ head of the family) হিসাবে মরহুম আবেদ আলী অসাধারণ অভিনয় করেছেন। ড্রামার শেষের দিকে সালমান ভাট (ওয়ালি) আর মায়া আলীর (ফারাহ) কেমিস্ট্রি বেশ ভাল লেগেছে। এক কথায় দিয়ার-এ-দিন দেখে আমি মুগ্ধ। হয়তো আবারও কখনো এই নাটকের কোন কোন বিশেষ অংশ দেখার ইচ্ছা রাখি। গত ছয় মাসে শুধু নিউজ চ্যানেল ছাড়া তেমন কোন নাটক বা সিনেমা প্রায় দেখিনি বা দেখতে ইচ্ছাও করেনি। এনি ওয়ে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ড্রামা দেখার রেকোমেন্ডেশন করার জন্য। পাকিস্তান দেশটা অতীতে এবং বর্তমান সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক কথা থাকলেও এই নাটকে হাভেলীর পরিবেশ ছিল শান্তি আর স্নিগ্ধময়। বেহরোজ (মিকাল জুলফিকার) আর ওয়ালির (সালমান খালিদ ভাট) ফর্সা গায়ের রং অন্যদের থেকে একটু ভিন্ন। গুগল করে দেখলাম এদের মা যথাক্রমে ব্রিটিশ ও ফরাসি।

চুপকে চুপকে ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে কিছু অংশ দেখে বুঝলাম এই ড্রামা আমার ততটা ভাল লাগবে না।

থ্যাংক ইউ এগেইন। :)

৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: জানি না শেষ পর্ব আগে দেখার পর কতটুকু ভালো লেগেছে আপনার। হয়তো এটা পরে দেখলে আরও বেশি ভালো লাগতো। যাই হোক, অনেক সিম্পল একটা স্টোরি হওয়ার পরও একটা ড্রামা যে এত ভালো লাগবে সেটা দিয়ার-এ-দিল না দেখলে আমি বুঝতে পারতাম না। ভালো লাগলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে। পুরো নাটকে লীড রোলে যারা যারা ছিলেন সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছেন।

চুপকে চুপকে মূলত কমেডি ড্রামা। কমেডি ড্রামা ভালো না লাগলে এটা বাদ দিন। সিরিয়াস ফিল্ম বা নাটক দেখতে দেখতে ব্রেক নেওয়ার জন্য কমেডি ড্রামা বা ফিল্ম দেখে থাকি। আর যেহেতু এটা রমজান স্পেশাল ড্রামা ছিল। রমজানে এমন লাইট কমেডি ড্রামা ভালো লাগে দেখতে।

ওয়ালি চরিত্রটি প্লে করেছে যিনি তার নাম ওসমান খালিদ ভাট। তাড়াহুড়োতে আপনি হয়তো তার নাম ভুল করে ফেলেছেন। হ্যাঁ, এটা জানি তার মা একজন ফরাসি ছিলেন। এখন অবশ্য তিনি গত হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন টক শো তে তার মা সম্পর্কে কথা বলেন। ওসমানের একটা টক শো দেখে আমি মূলত তার ফ্যান হয়েছিলাম। তিনি বিভিন্ন সোশ্যাল ইস্যু নিয়ে কথা বলেন এই ব্যাপারটা ভালো লাগে। তবে মিকাল জুলফিকারের মা যে ব্রিটিশ সেটা আপনার কমেন্ট দেখে জানলাম।

পাকিস্তান দেশ সম্পর্কে আমি এখনও নেতিবাচক ধারণাই পোষণ করি। তবে তাদের ড্রামা ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক কথা হবে না। তারা মূলত ২০০৯/২০১০ থেকে ড্রামা ইন্ডাস্ট্রি তে একটা বিপ্লব নিয়ে আসে। যার কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শত্রু রাষ্ট্র হওয়ার পরও ভারতীয় একটা চ্যানেলে নিয়মিত পাকিস্তানি নাটক প্রচার করতো এক সময়। দিয়ার-এ-দিল নাটকটি জি টিভিতে একটা সময় প্রচার করেছিল। পাকিস্তানের নাটক মিডল ইস্টের দেশ গুলোতেও জনপ্রিয়। আমাদের দেশেও একটা সময় এত সুন্দর সুন্দর নাটক হত। আফসোস আমরা সেটা ধরে রাখতে পারিনি। আমাদের নাট্যজগতে এমন একটা বিপ্লব আনার সময় হয়ে এসেছে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট দেখে নাটক টি দেখার জন্য। ভালো থাকবেন।

১০| ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "কিন্তু মনে হচ্ছে সেটা লিখে ঠিকমত ব্যক্ত করতে পারিনি" ('দিয়ার-এ দিল' ড্রামা রিভিউ এর শেষাংশে এসে লেখকের স্বগতোক্তি) - না, পেরেছেন। আপনার রিভিউ সংক্ষিপ্ত হলেও আমার কাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে হয়েছে। লিখা, বলা, দেখা, ব্যক্ত করা, সৃষ্টি করা ইত্যাকার কার্যাবলীর পেছনে অনুভব ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন থাকলেও, প্রকৃতপক্ষে কলকাঠি নাড়ে মস্তিষ্ক ও মনন, এক কথায় ব্রেন। সেটা ভালো হলে সবকিছুরই পরিণতি ভালো হয়ে যায়।

পোস্টে তৃতীয় প্লাস। + +
পোস্টটিকে 'প্রিয় তালিকা'য় তুলে রাখলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.