নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যাশাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আর প্রত্যাশা পূরণ হয় না... তাও তারা স্বপ্নচারিণী নামে পরিচিতি পেয়ে গেল... ইন্সটাগ্রাম ― @swarochita
আজ আর কোনো মুভি রিভিউ নিয়ে আসিনি। এই মুভিগুলো আসলে মোটামুটি সবার দেখা। আমার মত যাদের নব্বইয়ের দশকে জন্ম এবং ছোটোবেলা থেকে এই মুভি গুলো দেখে এসেছেন তারা এই মুভিগুলোর সাথে ইমোশনালি অনেক বেশি কানেক্টেড। এসব ফিল্মের অনেক ভুল খুঁজে বের করা যায় এবং বেশিরভাগ মুভিতেই তেমন কোনো লজিক নেই। বাস্তবতার চাইতে কল্পনার সাথে নব্বইয়ের দশকের হিন্দি ফিল্মগুলোর যোগাযোগ বেশি। সাথে আছে দুর্দান্ত কম্পজিশনের অল টাইম ফেভারেট কিছু গান। বেশিরভাগ গানই আউটডোরে শ্যুট করা হয় যেখানে সবুজের প্রাধান্য থাকে। নব্বইয়ের অভিনেতা অভিনেত্রীদের কোনো তুলনা হয়না। আর পরিচালকরাও খুব সাধারণ গল্পকে অসাধারণ ভাবে পর্দায় উপস্থাপন করার ক্ষমতা রাখতেন। মূলত এইসব কারণে নব্বইয়ের দশকের হিন্দি ফিল্ম গুলোর আবেদন আমার কাছে সব সময় এক রকম থাকবে। এই কয়েকদিন ধরে এসব ফিল্ম নতুন করে দেখা শুরু করেছি। তাই আজ ভালো লাগার এই ফিল্মগুলো নিয়ে কিছু লেখার জন্য ব্লগে চলে এলাম।
নব্বইয়ের দশকে বলিউড যেসব সুপারস্টার উপহার দিয়েছে তার ভিতর অবশ্যই শাহরুখ খান অন্যতম। তার ক্যারিয়ারের শুরুতে যশ চোপড়া এবং আব্বাস-মাস্তান যথাক্রমে ডর এবং বাজিগর বানাচ্ছিলেন। ডরে মূল অভিনেতার চরিত্র দুটি। সানি দেওলকে দুটির ভিতর একটি বেছে নিতে বলা হলে তিনি বেছে নেন সুনীলের চরিত্রটি। বাকি থেকে যায় রাহুলের চরিত্র। আর বাজিগরের মূল অভিনেতার চরিত্রের নাম অজয়। রাহুল আর অজয় দুটোই নেগেটিভ ক্যারেক্টার। এই চরিত্র দুটি যথাক্রমে অফার করা হয় আমির খান এবং সালমান খানকে। কিন্তু কেউই ভিলেইনের চরিত্র করতে রাজি হয় না। ফলাফলস্বরূপ দুটোই চলে যায় নবাগত শাহরুখ খানের কাছে। আর তিনি হয়ে উঠেন নব্বইয়ের দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যান্টি-হিরো। বাজিগরের জন্য তিনি প্রথমবারের মত ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান আর ডরের জন্য পান শ্রেষ্ঠ খলনায়কের মনোনয়ন।
পরিচালক সুরাজ বারজাতিয়া তার প্রথম ফিল্ম ম্যায়নে পেয়ার কিয়ার সাফল্যের পর আবারও একটা ফ্যামিলি ফিল্ম বানাতে চাচ্ছিলেন। তিনি এর জন্য বেছে নেন আশির দশকে বানানো তার দাদা তারাচাঁদ বারজাতিয়ার প্রযোজনা করা ফিল্ম Nadiya Ke Paar এর গল্পকে। এই ফিল্মটি বানানো হয় লেখক কেশব প্রসাদ মিশরার উপন্যাস Kohbar Ki Shart এর গল্প অবলম্বনে। তবে এইবার পরিচালক গল্পের মূল থিম ঠিক রেখে পাল্টে দেন গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড। আর যেহেতু কমার্শিয়াল ফিল্ম বানাবেন তাই ১৪ টি গান ঢুকিয়ে দেন। ব্যাস! ফিল্ম হয়ে গেল পপুলার। এটা ছিল হাম আপকে হে কৌন ফিল্মের ঘটনা।
১৯৯৪ সালের সব থেকে ব্যবসায় সফল সিনেমা হাম আপকে হে কৌনের ঘটনা তো জানলাম। তবে সেই বছর একটি কমেডি ফিল্ম ছিল যেটা ব্যবসায় সফল ছিল না। এই ফিল্ম তখন ব্যবসায় করতে না পারলেও পরবর্তীতে মানুষ এতই পছন্দ করেছে যে এটা কাল্ট ক্ল্যাসিক খেতাব পেয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, বলছিলাম আন্দাজ আপনে আপনের কথা।
যশ চোপড়ার ছেলে আদিত্য চোপড়া প্রথমবার একটি ফিল্ম বানাবেন। এর জন্য তিনি একজন ফরেনার নায়ক এবং প্রবাসী নায়িকার গল্প লিখেন। তার খুব ইচ্ছা ছিল সেই ফরেনার চরিত্রে টম ক্রুজকে কাস্ট করবেন। যশ চোপড়া এই সিদ্ধান্ত অপছন্দ করলেন। তিনি বলেন নায়কের চরিত্রটি ফরেনার না দেখিয়ে প্রবাসী দেখানো হোক। কারণ মূল চরিত্র ফরেনার হলে অনেক রকম অসুবিধা আছে। দর্শক ঠিক ভাবে গ্রহণ নাও করতে পারে। আর বিদেশি অভিনেতাকে কাস্ট করার অসুবিধা তো আছেই। আদিত্য চোপড়া তাই গল্পটি কিছুটা পরিবর্তন করেন। আর মূল অভিনেতার চরিত্রটি অফার করেন সাইফ আলী খান কে। কিন্তু তিনি অফার ফিরিয়ে দেন। এরপরে তিনি কাস্ট করেন শাহরুখ খানকে। আদিত্যর এই সিদ্ধান্ত তার বন্ধুমহলের কেউ পছন্দ করেনি। কারণ শাহরুখ তখন ডর, বাজিগর আর আনজামের কারণে ভিলেইন হিসেবে অনেক বিখ্যাত। একজন রোমান্টিক হিরো হিসেবে দর্শকমহলের কেউ তাকে গ্রহণ করবেনা বলে সবার বিশ্বাস ছিল। কিন্তু তাও একটা রিস্ক নিয়ে আদিত্য তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এই ফিল্মের গল্প লেখা শেষ, কাস্টিং শেষ। গানগুলো কম্পোজ করেন যতীন-ললিত। পরিচালক গিয়ে ধরেন অভিনেত্রী কিরণ খেরকে, এই ফিল্মের একটা নাম ঠিক করে দেওয়ার জন্য। তিনি ফিল্মের নাম দেন বিখ্যাত একটি হিন্দি গানের নামে। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে।
এবার আসি একটি থ্রিলার ফিল্মে। প্রথম দিকে মনে হয় এটা সাহিল, শীতল আর ইশার লাভ ট্রায়েঙ্গেলের গল্প এটা। কিন্তু যখন সাহিলের বাবা খুন হয় তার দোষ গিয়ে পড়ে সাহিলের উপর। সাহিল নির্দোষ হওয়ার পরও কেউ তার কথা বিশ্বাস করতে চায় না। এমনকি সাহিলের মাও না। সাহিলকে জেলে প্রেরণ করলে সে জেল ভেঙ্গে পালায়। এরপরে একে একে ঘটতে থাকে আরও কয়েকটি খুনের ঘটনা। এই সব খুনের দোষও সাহিলের উপর গিয়ে পড়ে। কে খুনী সেটা জানতে হলে গুপ্ত ফিল্মের শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে। গল্প, পরিচালনা সব তো সুন্দরই এই ফিল্মের সাথে গানগুলোও অসাধারণ।
যশ চোপড়া বরাবরই রোমান্টিক ফিল্মের জন্য বিখ্যাত। আমার মতে তার মত করে সুন্দর কেউই আজ পর্যন্ত সুন্দর করে রোমান্টিক ফিল্ম বানাতে পারেন নি। ১৯৯৭ সালে বানালেন দিল তো পাগাল হে। এই ফিল্মের নিশা চরিত্রটি অনেক অভিনেত্রীকে অফার করা হলে সবাই তা ফিরিয়ে দেন। পরে সেটা চলে যায় কারিশমা কাপুরের কাছে। আর এর জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দুটোই লাভ করেন। এই ফিল্মের সবগুলো গান আমার অনেক পছন্দের। সঙ্গীত পরিচালক উত্তম সিং এই ফিল্মের জন্য একশোটি সুর তৈরি করেন। তার ভিতর থেকে যশ চোপড়া দশটি সুর তার ফিল্মের জন্য সিলেক্ট করেন। এই ফিল্মটি সবারই দেখা। তবে এই ফিল্মের একটি গান আছে চান্দা কি চাঁদনী নামে। সেটা হয়তো অনেকেরই শোনা নয়। এই গানটা ফিল্মে ব্যবহার করা হয় নি, এমনকি দিল তো পাগাল হের মিউজিক অ্যালবামেও এটা ছিল না। পরে ২০০৮ সালে গানটি পরিচালক রিলিজ করেন। দিল তো পাগাল হের মিউজিকের ফ্যান হলে শুনে দেখুন গানটি, আশা করছি ভালো লাগবে।
বিখ্যাত তামিল পরিচালক মনি রত্নমের দিল সে সিনেমা টি ছিল তার টেররিজম ফিল্ম ট্রিলজির শেষ পার্ট। এর প্রথম পার্ট দুটো পার্ট ছিল রোজা আর বম্বে। প্রথম দুটো তামিল ফিল্ম হলেও এর হিন্দি ডাব ছিল। পরিচালক চিন্তা করলেন এর শেষ পার্ট বানাবেন হিন্দি তে। দিল সে দিয়েই তার হিন্দি ফিল্ম বানানোর শুরু। ছোটবেলায় যখন এই ফিল্ম টিভিতে দিত তখন কোনোবারই দেখে শেষ করতে পারিনি। এতই বোরিং লাগতো বলার বাইরে। ভার্সিটিতে উঠার পর প্রথমবার আমি এটা পুরোটা দেখি। আর পুরো ফ্যান হয়ে যাই এই ফিল্মের। একটি পিউর মাস্টারপীস এটা। গান গুলোর সুরকার যথারীতি এ. আর. রাহমান। মনি রত্নমের ফিল্মের গান তিনিই কম্পোজ করেন বেশিরভাগ। প্রতিটি গানই অসাধারণ। তবে আমার সব থেকে প্রিয় জিয়া জালে গানটি। নব্বইয়ের দশকের হিন্দি ফিল্মগুলোতে যেমন ফিল পাওয়া যায় এই ফিল্মের ক্ষেত্রে সেটা ছিল না। তামিল পরিচালকের বানানো দেখে এই ফিল্মে নব্বইয়ের দশকের তামিল ফিল্মের কিছুটা ফ্লেভার পাওয়া যায়। সিম্পল কিন্তু মন ছুঁয়ে যায়। যারা নব্বইয়ের দশকের তামিল ফিল্ম দেখেছেন তারা বুঝতে পারবেন। এখনকার তামিল ফিল্মের সাথে মেলালে হবে না। এই ফিল্ম দিয়ে প্রীতি জিনতা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তে ডেব্যু করেন এবং ফিল্মফেয়ারও পান।
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের শ্যুটিং চলছিল তখন ফিল্মের অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টার নিজে একটি ফিল্ম বানানোর কথা চিন্তা করছিলেন। শাহরুখ আর কাজল এটা জানার পর তারাও এই ফিল্মে অভিনয় করতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু এই গল্পে আরও একজন নায়ক এবং নায়িকা প্রয়োজন। অন্য নায়িকার চরিত্রটি পরিচালক টুইংকেল খান্নার কথা মাথায় রেখে লিখেন। টুইংকেল পরিচালকের ছোটবেলার বন্ধু এবং তার ক্রাশ ছিলেন। গল্পের চরিত্রটির নামও দেওয়া হয় টুইংকেলের ডাকনাম টিনা নামে। কিন্তু বিধি বাম। টুংকেলের মনে হয় দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের পর শাহরুখ আর কাজলের জনপ্রিয়তা তখন আকাশছোঁয়া। এই ফিল্মে অন্য চরিত্রের কোনো গুরুত্বই পাবে না। তাই তিনি মানা করে দেন। এরপরে আরও অনেক অভিনেত্রী এই ফিল্ম রিজেক্ট করে দেয় একই কারণে। ঠিক তখন শাহরুখ এবং আদিত্য চোপড়া পরিচালককে সাজেস্ট করেন রানি মুখার্জির নাম। যে মাত্র বলিউডে একটা ফিল্ম করেছে এবং সেটা তেমন ভালো কোনো ফিল্ম নয়। আর আমিরের সাথে গুলাম ফিল্মের শ্যুটিং চলছিল তখন। তাদের কাছে মনে হয়েছিল এই মেয়েটা সুযোগ পেলে অনেক আগে যাবে। কিন্তু পরিচালকের এই সাজেশন খুব একটা পছন্দ হয়নি। রানি যখন এই ফিল্মের স্ক্রিপ্ট পড়ছিল তখন পরিচালক খুব করে চাইছিলেন রানি যেন মানা করে দেয়। কিন্তু ভাগ্যিস রানি মানা করে নি। তাই তো বলিউড পেয়ে গেল একজন ভার্সেটাইল অভিনেত্রীকে। আর অন্য নায়কের চরিত্রটি যখন সবাই মানা করে দিয়েছিল তখন সালমান খান নিজে থেকে এসে স্ক্রিপ্ট না পড়ে এই সিনেমার জন্য হ্যাঁ করে দেন। ম্যায়নে পেয়ার কিয়া এবং হাম আপকে হে কৌনের পর তার যে জনপ্রিয়তা সেই জন্য পরিচালক তাকে এই ফিল্মের সাপোর্টিং রোল অফার করার কথা চিন্তাও করে নি। সালমানের বক্তব্য ছিল পরিচালকের বাবা যশ জোহার অনেক ভালো একজন মানুষ এবং তাকে তিনি অনেক সম্মান করেন। তার ছেলের প্রথম মুভি তাই তিনি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্ক্রিপ্ট পড়ার পর তার কুচ কুচ হোতা হে অনেক ভালো লেগে যায়। পরবর্তীতে রানি, কাজল, শাহরুখ এবং সালমান - সবাই এই ফিল্মের জন্য ফিল্মফেয়ার পান। আর হ্যাঁ, এটা ছিল ছোটবেলায় দেখা নব্বইয়ের দশকের আমার প্রথম হিন্দি ফিল্ম। যার জন্য এটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল। এর আগে সত্তর আশির দশকের ফিল্ম একটু আধটু দেখেছি যদিও।
সুরাজ বারজাতিয়া হাম আপকে হে কৌনের পর আবারও একটি মাল্টিস্টারার ফ্যামিলি ফিল্ম বানানোর কথা চিন্তা করেন। ফিল্মের নাম হাম সাথ সাথ হে। এই ফিল্ম সেই বছরের সবথেকে ব্যবসায়সফল সিনেমা ছিল। এই ফিল্মও আমার অনেক পছন্দের। তবে হাম আপকে হে কৌন টা কে একটু এগিয়ে রাখবো।
শেষ করছি নব্বইয়ের দশকের একটি কমেডি ফিল্ম দিয়ে। ছোটবেলায় বাদশাহ যখন টিভিতে দিত তখন সেদিনটা ছিল আমার অনেক আনন্দের দিন। এত বেশি মজা লাগতো আমার কাছে ফিল্মটা যে বলার বাইরে। চিন্তা করতাম বাদশাহর সেই অদ্ভুত গাড়িটা যদি আমার থাকতো। আর চকলেট বোম্বটাও প্রিয় ছিল। এখনও বাদশাহ অনেক প্রিয়। যেদিন ভালো লাগবে না বুঝবো সেদিন বড় হয়ে গিয়েছি।
এই ছিল নব্বইয়ের দশকের আমার সবচেয়ে প্রিয় কিছু হিন্দি ফিল্ম। এসব ফিল্ম সবার দেখা। তারপরও কারও যদি এসব ফিল্ম আমার মত মাঝে মাঝে দেখতে ইচ্ছা করে তাদের জন্য নিচে লিংক দিয়ে দিচ্ছি। আর এসব ফিল্মের কোনোটার রেটিং দিচ্ছি না। কারণ এই ফিল্ম গুলো হচ্ছে নস্টালজিয়া, এগুলো সব রকম রেটিং এর উর্ধ্বে।
১) Darr
মুক্তির তারিখ ― ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৩
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৮/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― জাতীয় পুরস্কার (১টি), ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (২টি)
এইন্থুসান লিংক ― Darr
২) Baazigar
মুক্তির তারিখ ― ১২ নভেম্বর ১৯৯৩
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৭/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (৪টি)
ইউটিউব লিংক ― Baazigar - Youtube
এইন্থুসান লিংক ― Baazigar - Einthusan
এমএক্স প্লেয়ার লিংক ― Baazigar - MX Player
৩) Hum Aapke Hain Koun..!
মুক্তির তারিখ ― ৫ আগস্ট ১৯৯৪
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৫/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― জাতীয় পুরস্কার (২টি), ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (৫টি)
ইউটিউব লিংক ― Hum Aapke Hain Koun..! - Youtube
এইন্থুসান লিংক ― Hum Aapke Hain Koun..! - Einthusan
৪) Andaz Apna Apna
মুক্তির তারিখ ― ৪ নভেম্বর ১৯৯৪
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.১/১০
এইন্থুসান লিংক ― Andaz Apna Apna
৫) Dilwale Dulhania Le Jayenge
মুক্তির তারিখ ― ২০ অক্টোবর ১৯৯৫
আইএমডিবি রেটিং ― ৮.১/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― জাতীয় পুরস্কার (১টি), ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (১০টি)
এইন্থুসান লিংক ― Dilwale Dulhania Le Jayenge
৬) Gupt: The Hidden Truth
মুক্তির তারিখ ― ৪ জুলাই ১৯৯৭
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৩/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (৩টি)
জিফাইভ লিংক ― Gupt - ZEE5
এইন্থুসান লিংক ― Gupt - Einthusan
৭) Dil To Pagal Hai
মুক্তির তারিখ ― ৩১ অক্টোবর ১৯৯৭
আইএমডিবি রেটিং ― ৭/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― জাতীয় পুরস্কার (৩টি), ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (৭টি)
এইন্থুসান লিংক ― Dil To Pagal Hai
৮) Dil Se..
মুক্তির তারিখ ― ২১ আগস্ট ১৯৯৮
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৬/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― জাতীয় পুরস্কার (২টি), ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (৬টি)
এইন্থুসান লিংক ― Dil Se..
৯) Kuch Kuch Hota Hai
মুক্তির তারিখ ― ১৬ অক্টোবর ১৯৯৮
আইএমডিবি রেটিং ― ৭.৬/১০
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ― জাতীয় পুরস্কার (২টি), ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (৮টি)
এইন্থুসান লিংক ― Kuch Kuch Hota Hai
১০) Hum Saath-Saath Hain
মুক্তির তারিখ ― ৫ নভেম্বর ১৯৯৯
আইএমডিবি রেটিং ― ৬.৩/১০
ইউটিউব লিংক ― Hum Saath-Saath Hain - Youtube
এইন্থুসান লিংক ― Hum Saath-Saath Hain - Einthusan
১১) Baadshah
মুক্তির তারিখ ― ২৭ আগস্ট ১৯৯৯
আইএমডিবি রেটিং ― ৬.৯/১০
ইউটিউব লিংক ― Baadshah - Youtube
এইন্থুসান লিংক ― Baadshah - Einthusan
*** এইন্থুসানে ভিডিও প্লে করার সময় আমার কাছে বেশ স্লো মনে হয়। তাই এখান থেকে ফিল্ম ডাউনলোড করে দেখি। এইন্থুসান থেকে কিভাবে ভিডিও ডাউনলোড করতে হয় তার একটি ছোট ভিডিও টিউটোরিয়াল ইউটিউবে আছে। এই লিংকে গেলে সেটি পেয়ে যাবেন।
ছবি ঋণ - ইন্টারনেট
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: রঙ্গিলা ও ভালো। তবে যে ফিল্ম গুলো বেশি ভালো লাগে আর বেশি বার দেখা সেগুলো নিয়ে লিখেছি। পরে হয়তো নব্বইয়ের দশকের ফিল্ম নিয়ে আরও একটা পর্ব লিখবো কোনো এক সময়।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫০
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: আহা! সেই দিনগুলি! নষ্টালজিক করে দিলেন
শাহরুখ তখন অসাধারন সব সিনেমায় সুযোগ পেয়েছিলো, এখন কি যে ব্যাঙের ছাতা করে! কোন স্টোরি নাই, নিজেরে চরিত্রকে বেশি ইম্পর্টেন্স দেয়। বিরক্তিকর লাগে।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমি তাই শাহরুখের এখন কার ফিল্মগুলো দেখি না। শুধু পুরানো ফিল্ম গুলোই ভালো লাগে।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: শাহরুক খান আমার বরাবরের পছন্দের অভিনেতা ছিল । আমার দেখা তার প্রথম মুভিটা ছিল বাজিগর । এই মুভিতে যে চোখে মাস্ক পরে বাজিগর ম্যা বাজিগর গানটা ছিল, সেই অনুকরণে আমি নিজে কাপড় দিয়ে মাস্ক বানিয়ে ঘুড়ে বেরিয়েছি সেই ছোট কালে ।
এরপর আন্দাজ আপনা আপনা আর বাদশা এই দুই মুভি আমার এখনও প্রিয় । এখনও সুযোগ পেলে আমি প্রায়ই দেখি ।
চমৎকার একটা পোস্ট । প্লাস রইলো !
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০১
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। আমি শাহরুখের বাজিগরের ঐ লুক কে বলতাম ব্যাটমান লুক। আমারও ভালো লাগতো ওটা। আর বাদশাহ আমার সব থেকে প্রিয় ছিল। বাদশাহর ঐ গাড়ি চালানোর স্বপ্ন দেখতাম।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:০৩
মাওয়ি বলেছেন: প্রিয় সময়টাকে মনে করিয়ে দিলেন। কাজল আমার প্রিয় অভিনেত্রীদের একজন।
লেখায় ভালো লাগা দিলাম।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৩
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: কাজল আমারও প্রিয়। তবে নব্বইয়ের দশকে আমার মনীষা কৈরালার অভিনয় বেশি ভালো লাগে। আর দিব্যা ভারতী বেঁচে থাকলে অনেক নাম করতে পারতেন।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:১৫
মাস্টারদা বলেছেন: বেগুন গিছে টুনটুনির সংসারের মতো ছিমছাম ভালো লাগা লেখা।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৪
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা উপমা দিলেন। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:১৬
স্প্যানকড বলেছেন: নব্বই হইল একশ ! ইস! কি যে সময় পাড় করছি । কান্না চলে আসে। এখন হয় ছবি তবে অমন কি হয় ? তবে আমার প্রিয় ছবি "শোলে।" এরপর আপনি যেগুলি বললেন এগুলা সব হিট ছবি। সবচেয়ে বড় কথা মেলা স্মৃতি জড়িত। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৫
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। নব্বই হল একশো !
আর শোলে আমারও অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:০০
কুশন বলেছেন: জীবনে দুটা হিন্দি সিনেমা দেখেছি, মাদার ইন্ডিয়া আর মোঘল ই আজম।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৮
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমিও দেখেছি এই দুটো। সুন্দর সিনেমা।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: ফিল্মের পেছনের গল্প গুলো দারুন লাগল!
বাদশা এখনো আমার প্রিয় ছবি
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১০
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: যারা এখনও বড় হয় নি তাদের সবার বাদশাহ অনেক প্রিয়। আমিও চাই সবার বাদশাহ আজীবন ভালো লাগুক।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লিস্টের সিনেমাগুলি আসলেই ভালো ছিল। কয়েকটা দেখেছি। বাকিগুলি দেখার ইচ্ছা আছে। আমার একটা প্রিয় সিনেমার রেটিং দিলাম। এই ছবির নায়িকার অভিনয় আমার খুব ভালো লাগে। এর আরেকটা সিনামা আছে সালমানের সাথে নাম 'লাভ'। ওখানে একটা গান আছে ' সাথিয়া তুনে কেয়া কিয়া, প্রেমিয়া ......
Muskurahat
মুক্তির তারিখ - ১৯৯২
IMBD Rating - ৭
ইউটিউব লিংক - muskurahat
ডাইরেক্টর - Priyadorshon
নায়ক - Jay Mehta
নায়িকা - Revati
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০০
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: Muskurahat হল প্রিয়দর্শনেরই ১৯৯১ সালের মালায়ালাম সিনেমা Kilukkam এর রিমেক। দুটো ফিল্মের নায়িকা একই। আমি Kilukkam এর রিভিউ লিখেছিলাম একবার। এই লিংকে গেলে পেয়ে যাবেন।
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৬
রানার ব্লগ বলেছেন: নব্বইয়ের ছবি গুলো ছিলো মিস্টি রোম্যান্টিক একশানে ভরপুর , যেমন গান, যেমন ডায়লগ, যেমন দৃশ্য ধারন, তেমন গল্প। তখন মানুষ অপেক্ষায় থাকতো কখন নতুন সিনেমা রিলিজ হবে। এখনো প্রচুর সিনেমা রিলিজ হয় সেই অপেক্ষাটি আর নেই। যতযাই বলুক মুঘলে আজম, মাদার ইন্ডিয়া, পারোসান, দেবদাস (দিলিপ কুমার), শোলে, দিলওয়ালে দুলহানীয়া লে যাউংগে এর মতো ছবি বানিয়ে দেখাক।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪৪
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আসলেই! পুরানো ফিল্ম গুলো দেখার সময় একটা অন্যরকম ফিল পাওয়া যায়। এখনকার ফিল্মগুলোতে সেটা অনুপস্থিত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমির খান আর উর্মিলা অভিনিত রঙ্গীলা মুভিটিও ছিল অসাধারণ। এ ছবি থেকেই আমির খান নতুন নতুন লুকে আসতে থাকেন। আন্দাজ আপনা আপনা সেরা কমেডি মুভি। তিন খানের রেসে এ সময়টাতে শাহরুখ খান এগিয়ে ছিলেন। সালমান খানের হাম আপকে হে কৌন ছিল এক কথায় অনন্য ।